মন্তব্য করুন
ভারত
বিশ্বকাপের আর ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই। বিশ্বকাপ মানেই বাড়তি উত্তেজনা। তাই লড়াইটাও
অন্য আর দশটা টুর্নামেন্টের চেয়ে যেন বেশি প্রাণবন্ত হয়। সবাই জান লড়িয়ে চেষ্টা
করে সেরাটা দিতে। তাইতো দুই পক্ষের লড়াইটাও জমে হয় ক্ষীর। টুর্নামেন্ট
মাঠে গড়ানোর আগে বেশ কিছু ব্যাটার কিংবা বোলারদের ওপর আলাদা নজর থাকছে সবার। তবে
এমন কিছু অলরাউন্ডারও আছেন, যারা কিনা দুই বিভাগেই পারফর্ম করে পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন
ম্যাচের ভাগ্যে। বিশ্বকাপের সম্ভাব্য সেরা ৫ অলরাউন্ডারকে নিয়ে এবারের প্রতিবেদন।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার হিসেবে একাধিকবার অংশ নেবার কৃতিত্বটা কেবল একজন ক্রিকেটারের আছে। তিনি হলেন সাকিব আল হাসান। ২ বা ৩ বার নয়, চতুর্থবারের মতো এমন নজির গড়ার অপেক্ষায় টাইগার কাপ্তান।
অলরাউন্ডারের প্রসঙ্গে কথা বললে তাই স্বাভাবিকভাবেই সবার আগে উঠে আসে সাকিবের নাম।
ব্যাটে-বলে সমানতালে দেড় দশকের বেশি সময় যাবৎ আধিপত্য যার। এবারের বিশ্বকাপেও
অলরাউন্ডার হিসেবে আলাদা নজর থাকবে মিস্টার সেভেন্টি ফাইভের ওপরে।
ছবির ক্যাপশন- মিচেল মার্শ দারুণ সম্ভাবনা নিয়ে বিশ্বকাপে অজিদের জার্সিতে ।
ঘরের মাঠ বলেই বিশ্বকাপটা বিশেষ কাটতে পারে হার্দিক পান্ডিয়ার জন্য। ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা এই অলরাউন্ডার ধারাবাহিক পারফর্ম করছেন মেন ইন ব্লু'র হয়ে। এবারের আসরে ভারতের জন্য ট্রাম্পকার্ড হতে পারেন হার্দিক।
ছবি
ছবির ক্যাপশন- ঘরের মাঠে বাড়তি সুবিধা পেতেই পারেন পান্ডিয়া।
অলরাউন্ডারের তর্কে আলাদা করে জায়গা দিতে হবে রশিদ খানকে। মূলত আইপিএল খেলার লম্বা অভিজ্ঞতার কারণে, ভারত বিশ্বকাপে আলাদা সুবিধা পাবেন এই আফগান ক্রিকেটার। আইপিএলের সবশেষ আসরেও, বল হাতে ২৭ উইকেট নিয়েছেন রশিদ। আফগানদের হয়ে মিডল অর্ডারে ব্যাট হাতেও বড় ভূমিকা রাখতে পারেন এই লেগি।
ছবির ক্যাপশন- স্পিন বোলার মিরাজ হয়ে উঠছেন ব্যাটিং পারফর্মারও।
সাকিব আল হাসান মেহেদি হাসান মিরাজ রশিদ খান হার্দিক পান্ডিয়া মিচেল মার্চ বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০২৩ অলরাউন্ডার
মন্তব্য করুন
বিশ্বকাপ খেলতে পাকিস্তান দল এখন ভারতে। পাকিস্তানের পেসার হাসান আলীর শ্বশুরবাড়ি ভারতের হরিয়ানায়। জামাই ভারতে আসায় তার সঙ্গে দেখা করতে তর সইছে না শ্বশুর-শাশুড়ির। মেয়ে-জামাইয়ের পাশাপাশি একমাত্র নাতনিকে দেখার জন্য উদ্গ্রীব তারা। হরিয়ানার নুহ জেলার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী লিয়াকত খানের মেয়ে সামিয়ার সঙ্গে ২০১৯ সালে বিয়ে হয় হাসানের। দুবাইয়ে হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। এরপর থেকে পাকিস্তানে থাকেন সামিয়া। মেয়ের সঙ্গে একবারই দেখা হয়েছিল মায়ের। কিন্তু বাবা সেই দেশে যেতে পারেননি। এতদিন পর মেয়ে, জামাই, নাতনিকে দেখবেন লিয়াকত।
ছবির ক্যাপশন- পাকিস্তানী ফাস্ট বোলার হাসান আলী ও তার ভারতীয় স্ত্রী সামিয়া আজরো।
আহমেদাবাদে ১৪ অক্টোবর ভারতের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। সেখানেই দেখা করতে যাবেন তারা। লিয়াকত বলেন, ‘২০২১ সালে সামিয়ার মেয়ে হওয়ার সময় আমার স্ত্রী ওর ওখানে গিয়েছিল। আমি যেতে পারিনি। মেয়ে-জামাইকে চার বছর দেখিনি। নাতনিকে এই প্রথম দেখব। আশা করছি, ওদের সঙ্গে দেখা করতে কোনো সমস্যা হবে না।’
ছবির ক্যাপশন- বিয়ের ফটোশুটে হাসান আলী-সামিয়া দম্পতি।
মেয়ের সঙ্গে পাকিস্তানের ক্রিকেটারের বিয়ে হওয়ায় কোনো দুঃখ নেই লিয়াকতের। কে কী বলল, এ নিয়ে মাথা ঘামান না তিনি। লিয়াকত বলেন, ‘আমার মেয়ে শিক্ষিত। নিজের ভালো ও বোঝে। আর পেছনে কে কী বলল, এ নিয়ে মাথা ঘামাই না। আমার মেয়ে খুশি থাকলেই আমরা খুশি। পাকিস্তানে আমাদের অনেক আত্মীয় আছে। হাসান খুব ভালো ছেলে। আমরা খুশি।’
জামাই পাকিস্তানের হলেও ভারত-পাক ম্যাচে অবশ্য নিজের দেশকেই সমর্থন করবেন
লিয়াকত। তিনি বলেন, ‘আমি সুনীল গাভাস্কার, কপিল দেব, শচীন টেন্ডুলকার, মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনদের
খেলা দেখেছি। কিন্তু আমার প্রিয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলি। এবারও আমরাই জিতব।’ পাকিস্তানের
বিশ্বকাপের দল ঘোষণার সময় হতাশ হয়েছিলেন লিয়াকত। কারণ, প্রাথমিক দলে হাসান ছিলেন না।
আরেক পেসার নাসিম শাহ চোট পাওয়ায় শেষ মুহূর্তে হাসানকে দলে নেওয়া হয়।
হাসান আলী পাকিস্তান ক্রিকেট বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০২৩ সামিয়া
মন্তব্য করুন
হারের ধারা বজায় রেখে চলছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আগের ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে হেরেছিল ম্যানচেস্টার। হারের সেই ধারা অব্যাহত রেখে চ্যাম্পিয়ান্স লিগের দলটি এবার হারলো তার্কিশ ক্লাব গ্যালাতসারের বিপক্ষেও। ০৩ অক্টোবর দিবাগত রাতে এরিক টেন হ্যাগের শিষ্যরা হার মানে ৩-২ গোলে।
ওল্ড
ট্রাফোর্ডে রাসমন্ড হলান্ডের গোলে শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল ম্যানচেস্টারের ক্লাবটি।
পরে উইলফ্রেড জাহা, মুহাম্মদ কারিম ও মাউরো ইকার্দির গোলে হার বরণ করে তারা।
ম্যানচেস্টারের পরের গোলটিও হলান্ডের।
১৭ মিনিটে মার্কাস রাশফোর্ডের অ্যাসিস্ট থেকে করা গোলে স্বাগতিক দলকে এগিয়ে নেন হলান্ড। ২৩ মিনিটে জাহার গোলে সমতায় ফিরে গ্যালাতসারে। সমতায় থাকা অবস্থায় বিরতিতে যায় উভয় দল।
তার্কিশ ক্লাব গ্যালাতসারের কাছে ৩-২ গোলে পরাজিত হয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
আরও একবার
ইউনাইটেডকে লিড এনে দেন হলান্ড। ৬৭ মিনিটে এ গোলটি করেন ড্যানিশ ফুটবলার। পরের
দৃশ্যটা শুধুই গ্যালাতসারের। ৭১ মিনিটে আবার সমতায় ফেরে তারা। ৭৭ মিনিটে লাল কার্ড
দেখে মাঠ ছাড়েন ক্যাসেমিরো।
৭৮ মিনিটে
পেনাল্টি মিস করেন ইকার্দি। সেই ইকার্দিই গোল করেন ৩ মিনিট পর। তাতে ৩-২ গোলের জয়
নিশ্চিত হয় সফরকারী দলের।
মন্তব্য করুন
যে কেউ শুনলেই আতকে
উঠবেন! সাধারণ মানুষও এমন ঘটনা কম ঘটায়। আর সেখানে ফুটবল অঙ্গনের পরিচিত মুখরা এমন
কাণ্ড করলে দেশের ফুটবলের নামটাতেই যেন কালিমা পড়ে। এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন বসুন্ধরা
কিংসের পাঁচ ফুটবলার তপু বর্মন, আনিসুর রহমান জিকো, তৌহিদুল আলম সবুজ, শেখ মোরসালিন
ও রিমন হোসেন।
মালদ্বীপের মাজিয়া
স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের বিপক্ষে এএফসি কাপের ম্যাচ খেলে দেশে ফেরার
সময় অবৈধ মদ এনেছিলেন ওই পাঁচ ফুটবলার। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের কাস্টমস
কর্মকর্তারা তাদের কাছে ৬৪ বোতল বিদেশি মদ পেয়েছেন বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
পাঁচ ফুটবলারের
এমেন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটানোর পর বসুন্ধরা কিংস তাদের সাময়িক নিষিদ্ধ করে তদন্ত
করছে। এ বিষয়ে বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান জানিয়েছেন, ‘পাঁচ ফুটবলার দলীয়
শৃঙ্খলা ভেঙেছে। এ জন্য তাদের সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তদন্ত করে সেভাবে
চূড়ান্ত শাস্তি দেওয়া হবে।’
মদ আনার প্রসঙ্গে
কিংসের সভাপতি বলেন, ‘ঠিক কী কারণে তাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে, নির্দিষ্ট করে তা
এখনই বলছি না। এতটুকুই বলবো, ওরা বড় ধরনের অন্যায় করেছে। তদন্ত করে এক সপ্তাহের
মধ্যে জানাতে পারবো।’
গত ১৯ সেপ্টেম্বর
মালেতে মাজিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ খেলে পরের দিন ঢাকায় ফেরে বসুন্ধরা কিংস। ২০ সেপ্টেম্বর
সন্ধায় শাহজালাল বিমানবন্দরের কাস্টমস অফিসাররা ওই পাঁচ ফুটবলারের লাগেজ থেকে ৬৪
বোতল মদ উদ্ধার করেন।
ফুটবল বাংলাদেশ ফুটবল বসুন্ধরা কিংস এএফসি কাপ জিকো মোরসালিন তপু বর্মন বাফুফে
মন্তব্য করুন
তামিমকে টিম ম্যানেজমেন্ট ও ক্যাপ্টেন সাকিব চাননি। তাকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে সদিচ্ছার অভাব ছিল। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে বেশি রান করা তামিমের মতো একজন অভিজ্ঞ ব্যাটারকে বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে নিশ্চয় ভোগাবে বাংলাদেশকে। বিশেষ করে টপ অর্ডারে। একেবারেই নবীন তানজিদ তামিমকে দিয়ে কি অভিজ্ঞ তামিমের অভাব পূরণ হবে? এটা যত বড় প্রশ্ন তত বড় সংশয়ও ক্রিকেট ভক্তদের কাছে। তাইতো তামিম ভক্তরা মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ২ নং গেটে তামিমকে দলে চেয়ে মানবন্ধনও করেন। তারা স্লোগান দেন লাল সবুজের পতাকায় তামিম ভাইকে দেখতে চাই। ক্রিকেট নিয়ে দূর্নীতি চলবে না, চলবে না। তামিমকে দলে নিতে বিসিবিতে লিগ্যাল নোটিশও পাঠোনো হয়। সবই ভক্তদের ভালোবাসা।