বিজয়ের বিদায়ের
পর কমে গেছে রানের গতি। ১৫০ রানের মাইলফল ছুঁতে টাইগারদের লেগছে ৩১তম ওভার। আফিফ হোসেন
কিছুটা রান তুলার চেষ্টা করলেও শুরু থেকেই ধিরগতিতে খেলছিলেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু
তা আর আগাতে পারেনি। আগের দিন বাংলাদেশকে ২৯০ পর্যন্ত নিয়ে যেতে সহায়তা করলেও আজ রান
তুলতে ভুগতে থাকা মাহমুদউল্লাহ ফিরলেন ৩৫তম ওভারেই। এদিকে ১৭৩ রানে পঞ্চম উইকেট হারাল
বাংলাদেশ।
৬৮ বল খেলার পর অফ স্টাম্পের বাইরের বলটা স্টাম্পে ডেকে আনলেন মাহমুদউল্লাহ। ৩৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ১৭৬ রান।
সিরিজে দ্বিতীয়বার
৭০ ছুঁয়ে ফেলার পর আটকে গেলেন এনামুল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলতি সিরিজের প্রথম
ম্যাচে ৬২ বলে ৭৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেছিলেন এনামুল হক বিজয়। মাঝে দ্বিতীয় ম্যাচে
আউট হন ২০ রান করে। আজকে ৭০ রানের ঘর ছুয়েও ৭১ বলে ৭৬ রান করে কট
বিহাইন্ড হলেন। লুক জঙ্গুয়ের বলে শেষ পর্যন্ত ব্যাটের ফেসটা ওপেন করেখোঁচা দিয়ে ফিরতে
হলো তাঁকে।
এরই সাথে ভাঙলো
মাহমুদুল্লাহার সাথে ৯০ বলে ৭৭ রানের জুটি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ
৩০ ওভার শেষে ৪ উইকেয়াট হারিয়ে ১৪৭ রান। । ৫৬ বলে ২৬ করে ক্রিজে আছেন মাহমুদুল্লাহ।
তার সঙ্গ দিচ্ছেন ১৬ বলে ১৩ রানে তরুণ আফিফ।
সিরিজের প্রথম
দুই ম্যাচেই উদ্বোধনী জুটিতে অর্ধশত রানের পার্টনারশিপ পেয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে
ভালো শুরুর পরেও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল
হক বিজয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিজউয়ের ডাকে রানআউটে পঞ্চাশের আগেই ভেঙে গেছে উদ্বোধনী
জুটি। পরে খালি হাতে ফিরেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তামিম আউট হয়েছেন ১৯ রান করে।
গোল্ডেন ডাক নিয়ে ফিরেছেন শান্ত। একই ওভারে খালি হাতে আউট হয়ে গেছেন মুশফিকুর রহিমও।
ইনিংসের নবম
ওভারে রান আউট হয়ে ফিরতে হয়েছে তামিমকে। দলীয় ৪১ রানে এনগ্রাবার বল অফ সাইডে ঠেলে দিয়ে
রান নেওয়ার জন্য সম্মতি দিয়েছিলেন বিজয়, কিন্তু পরে তিনি থেমে যান। ততক্ষণে নন স্ট্রাইকে
থাকা তামিম অনেক দূর চলে গেছেন। তিনি ফেরার আগেই স্টাম্প ভাঙেন এনগ্রাবা।
এরপর নিজের
প্রথম বলেই মাধাভেরের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ব্র্যাডলি ইভান্সের বলে আউট হয়েছেন নাজমুল
হোসেন শান্তও। পরে আসেন মুশফিকুর রহিম। সেও ইভান্সের বলে এনগ্রাবার হাতে ক্যাচ দিয়ে
ফিরেছেন শূন্য হাতেই। এক ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ভালো বিপদেই পড়েছে বাংলাদেশ।
ইনিংসের দ্বিতীয়
বলেই রিচার্ড এনগ্রাভাকে চার মেরে শুরু করেন তামিম। কিন্তু পরের দুই ওভারেই বাউন্ডারির
দেখা পায়নি বাংলাদেশ। ভিক্টর নিয়াউচির করা চতুর্থ ওভারে তামিম মেরেছেন টানা দুই চার।
ওই ওভার থেকে এসেছে ১২ রান।
এর আগে, জিম্বাবুয়ের
বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতেও টস হারে টাইগাররা। সেই সাথে যথারীতি বাংলাদেশকে ব্যাটিং এ পাঠায়
জিম্বাবুয়ে।
আন্তর্জাতিক
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ৪০০তম ম্যাচ এটি। এখন পর্যন্ত ৩৯৯টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ।
যেখানে জয় ১৪৩ ম্যাচে আর পরাজয় ২৪৯টিতে, ফল আসেনি বাকি ৭টি ম্যাচে।
২০০৪ সালে নিজেদের
১০০তম ওয়ানডেতে ভারতকে ১৫ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। পাঁচ বছর পর ২০০তম ওয়ানডে ওয়েস্ট
ইন্ডিজের বিপক্ষে জয় ৩ উইকেটে। আর ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ৩০০তম ওয়ানডেতে ভারতের কাছে
পরাজয় ১০৯ রানে। এবার দেখা যাক ৪০০তম ম্যাচে বাংলাদেশের ফলফলটা কি হয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া
বাংলাদেশ পুরুষ ক্রিকেট দলের প্রতি শুভকামনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খেলোয়াড়রা নিজেদের নিংড়ে দেশের
সম্মান বজায় রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী
ভয়েস অফ আমেরিকার সঙ্গে
সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী
বলেন, 'আমি তাদের বলব যে বাংলাদেশের
সম্মানটা যেন বজায় থাকে।
তারা সেভাবে সবটুকু ঢেলে দেবে এবং
আন্তরিকতার সঙ্গে খেলবে- সেটাই আমি চাই।'
সপ্তম-বারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপে
অংশ নিতে এরমধ্যে ভারতে
গেছেন সাকিব আল হাসানরা।
বাংলাদেশের
খেলা থাকলে সব সময় যোগাযোগ
রাখেন প্রধানমন্ত্রী। খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলেও দেন
অনুপ্রেরণা।
তিনি বলেন,
'আমার সঙ্গে সব সময় তাদের
যোগাযোগ থাকে। আসার আগেও আমি
কথা বললাম। খেলোয়াড়দের সঙ্গেও আমি কথা বলি।
যারা সংগঠক তাদের সঙ্গেও কথা বলি। আমি
সব সময় খেয়াল রাখি।
সব রকম সহযোগিতা করেন
থাকি। '
ফলাফল
কি হবে না ভেবে
নিজেদের সেরাটা দিতে পারবে বাংলাদেশ
দল। আশাবাদী দেশের প্রধানমন্ত্রী, 'বিশ্বকাপে আমরা যে সুযোগ
পেয়েছি, এটা সবচাইতে ভালো
দিক। ভালোভাবে খেলতে পারলে, ভালো রেজাল্ট করতেও
পারবে। আমি আশাবাদী সব
সময়।'
ধর্মশালায় ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন।
মন্তব্য করুন
বিশ্বকাপ শুরুর আগে আবারও আরেকটি বড় ধাক্কা টাইগার শিবিরে। গুয়াহাটিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে সাকিবের পরিবর্তে টস করতে আসলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। হঠাৎ ইনজুরির কারণে প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এমনকি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও অনিশ্চিত সাকিব, এমনটাও শোনা গিয়েছিল।
গুয়াহাটিতে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচের আগের রাতে ফুটবল খেলতে গিয়েই নাকি বাঁ পায়ে ব্যথা পেয়েছেন সাকিব। তার পা অনেকটাই ফুলে গেছে বলে খবর এসেছে। যে কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে খেলেননি সাকিব।
এ ছাড়া ম্যাচ শুরুর পর ধারাভাষ্যকার দিনেশ কার্তিকও জানান, অনুশীলনে ফুটবল খেলতে গিয়ে পায়ে চোট পাওয়াতেই এই ম্যাচে মাঠের বাইরে সাকিব। এতসবের মাঝে আজ শনিবার এসেছে নতুন খবর। ২য় প্রস্তুতি ম্যাচ থেকেও নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন টাইগার অধিনায়ক।
দেশের এক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম।
তিনি জানিয়েছেন, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগারদের ২য় প্রস্তুতি ম্যাচেও থাকছেন না অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। হালকা চোটের কারণে সতর্কতা হিসেবেই নিজেকে ২য় ম্যাচ থেকে সরিয়ে রাখছেন সাকিব।
তবে সাকিবের চোট তেমন গুরুতর নয়। প্রথম ম্যাচ থেকেই তিনি খেলতেন পারবেন বলে একটি বিশেষ সূত্রে জানা গেছে।
স্বাভাবিকভাবে চিন্তা করলেও দেখা যাচ্ছে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের প্রথম ম্যাচ আগামী ৭ অক্টোবর। এখনও সময় রয়েছে প্রায় ৮ দিন। এর মধ্যেই পুরো ফিট হয়ে সাকিব মাঠে নামবে বলে
ধারণা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
সৌদি
আরবে এখনও নিজের অভিষেক
গোলের দেখা পাননি নেইমার জুনিয়র। তবে নিজে গোল
না পেলেও সতীর্থদের দিয়ে গোল করিয়ে
দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রেখেছেন তিনি।
শুক্রবার
(২৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টায় সৌদি
প্রো লিগের ম্যাচে মুখোমুখি হয় আল-হিলাল
ও আল-শাবাব। ম্যাচটিতে
২-০ গোলের জয়
পায় নেইমারের দল আল-হিলাল।
দলের হয়ে গোল করেন
কালিদু কুলিবালি ও আলেকজান্ডার মিত্রোভিচ।
ম্যাচের
প্রথমার্ধে দুই দলই জালের
দেখা পেতে ব্যর্থ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬৭ মিনিটে প্রথম
লক্ষ্যভেদ করেন সেনেগাল তারকা
কালিদু কুলিবালি। গোলটিতে অ্যাসিস্ট করেন নেইমার। কর্নার
কিক থেকে ব্রাজিল তারকা
গোলের সামনে বল দেন। আর
হেড থেকে দলকে লিড
গোল এনে দেন কুলিবালি।
এরপর
৭৫ মিনিটে আবারও গোলের দেখা পায় হিলাল।
এবারও গোলের পেছনের কারিগর নেইমার। তিনি সতীর্থ মিত্রোভিচকে
বল দিলে প্রথম শটে
সফল না হলেও ফিরতি
শটে লক্ষ্যভেদ করেন সার্বিয়ান স্ট্রাইকার।
শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের
জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে
নেইমার বাহিনী।
মন্তব্য করুন
আর মাত্র ৫ দিন পর মাঠে গড়াবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। লিঙ্গ সমতা তুলে ধরতে ভারত বিশ্বকাপের জন্য দুটি মাসকট উন্মোচন করেছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। সংস্থাটির উন্মোচিত লাল পোশাক পরা মাসকটটি ছিল নারী আর নীল পোশাক পরিহিতটি ছিল পুরুষ। তবে সেই সময় নাম প্রকাশ না করলেও আজ মাসকট দুটির নাম জানিয়েছে আইসিসি।