ইনসাইড গ্রাউন্ড

বোলিং নৈপুণ্যে প্রোটিয়াদের উড়িয়ে দিলো ভারত

প্রকাশ: ০৯:১৫ এএম, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail বোলিং নৈপুণ্যে প্রোটিয়াদের উড়ীয়ে দিলো ভারত

প্রথমে বোলারদের দাপট, এরপর লোকেশ রাহুল ও সূর্যকুমার যাদবের দানবিয় ব্যাটিংয়ে সহজ জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত। গতকাল বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) থিরুভানাথাপুরামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে রোহিত শর্মার দলের জয় ৮ উইকেটে।

বোলারদের নৈপুণ্যে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৬ রানে আটকে দিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা ২০ বল বাকি থাকতে। 

অনুশীলনে পাওয়া পিঠের চোটের কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারেননি জাসপ্রিত বুমরাহ। তার বদলে দলে আসা চাহার ২৪ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ২৬ রান দিয়ে দুইটি উইকেট নেন হার্শাল প্যাটেল। এদিকে, উইকেট না পেলেও দুর্দান্ত বোলিং করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও আকসার প্যাটেল। নিজের প্রথম ও ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে জয়ের ভিত গড়ে দেওয়া আর্শদিপ জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। শেষ পর্যন্ত তার বোলিং ফিগার ৪-০-৩২-৩। শুরুতে মন্থর ব্যাটিং করা রাহুল পরে রানের গতি বাড়িয়ে ৫৬ বলে করেন ৫১ রান। ৪ ছক্কার সঙ্গে মারেন ২ চার। ৩৩ বলে ৩ ছক্কা ও ৫ চারে ৫০ রান করেন সূর্যকুমার। তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটি ৯৩ রানের। 

চাহার ও আর্শদিপের চমৎকার বোলিংয়ে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা হয় দুঃস্বপ্নের মতো। স্কোরবোর্ডে ৯ রান যোগ হতেই হারায় তারা ৫ উইকেট।  টি-টোয়েন্টিতে দুই অঙ্কে যাওয়ার আগে ৫ উইকেট হারানোর অভিজ্ঞতা নেই টেস্ট খেলুড়ে আর কোনো দলের। এর আগে সবচেয়ে কম রানে দক্ষিণ আফ্রিকার ৫ উইকেট পড়েছিল ২০০৭ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০ রানে। 

সফরকারীদের শিবিরে প্রথম ছোবল হানেন চাহার। ইনিংসের ষষ্ঠ বলে তার দুর্দান্ত ইনসুইঙ্গারে স্টাম্প এলোমেলো হয়ে যায় টেম্বা বাভুমার। প্রতিপক্ষের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড এরপর ভেঙে দেন আর্শদিপ। তার অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল স্টাম্পে টেনে আনেন কুইন্টন ডি কক। সুইং করে বেরিয়ে যাওয়া বলে কট বিহাইন্ড হন রাইলি রুশো। পরের বলে আর্শদিপ চমকে দেন ডেভিড মিলারকে। ভেতরে ঢোকা বল ভেঙে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের স্টাম্প। 

চাহারের বাড়তি লাফিয়ে ওঠা বলে থার্ডম্যানে ধরা পড়েন ট্রিস্টান স্টাবস। আউট হওয়া পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে কেবল ডি কক খুলতে পারেন রানের খাতা। রুশো, মিলার, স্টাবস পান গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ৫ উইকেট নিতে স্রেফ ১৫ বল লাগে ভারতের, যা তাদের সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১৬ সালে শ্রীলঙ্কার শুরুর ৫ উইকেট নিয়েছিল তারা ৩১ বলে। 

অল্পতে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে কিছুক্ষণ টানেন এইডেন মারক্রাম। তাকে এলবিডব্লিউর রিভিউ নিয়ে ফেরায় ভারত। ওয়েইন পার্নেলকে বিদায় করেন আকসার প্যাটেল।  দক্ষিণ আফ্রিকা একশ পার করে কেশভ মহারাজের ব্যাটে। ২ ছক্কা ও ৫ চারে ৩৫ বলে ক্যারিয়ার সেরা ৪১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। আগের ১৮ টি-টোয়েন্টিতে ৪ ইনিংস ব্যাটিং করে তার মোট রান ১৫, সেরা ছিল ১১। 

ছোট পুঁজি নিয়ে শুরুতে ভারতকে চেপে ধরে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে কাগিসো রাবাদার বলে কট বিহাইন্ড হন রোহিত শর্মা। এরপর যেন রান করার পথই খুঁজে পাচ্ছিল না স্বাগতিকরা। পাওয়ার প্লেতে ভারত তোলে কেবল ১৭ রান। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ৬ ওভারে যা তাদের সর্বনিম্ন। 

সপ্তম ওভারের প্রথম বলে আনরিক নরকিয়ার বলে বিরাট কোহলি কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়লে আরও বিপদে পড়ে ভারত। এই পেসারকে টানা দুটি ছক্কায় উড়িয়ে চাপ কিছুটা সরিয়ে দেন সূর্যকুমার। একটা সময় রাহুলের রান ছিল ৩৬ বলে ১৫। দশম ওভারে নরকিয়াকে ছক্কা মেরে রানের গতিতে দম দেন তিনি। পরে বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার তাবরাইজ শামসিকে মারেন আরেকটি।  আরেক প্রান্তে দ্রুত রান তুলতে থাকেন সূর্যকুমার। ৩৩ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি। শামসিকে ছক্কায় উড়িয়ে দলকে কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার সঙ্গে নিজের ফিফটিও পূর্ণ করেন রাহুল, ৫৬ বলে। দুই দলের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি আগামী রবিবার। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর: 

দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১০৬/৮ (ডি কক ১, বাভুমা ০, রুশো ০, মারক্রাম ২৫, মিলার ০, স্টাবস ০, পার্নেল ২৪, মহারাজ ৪১, রাবাদা ৭*, নরকিয়া ২*; চাহার ৪-০-২৪-২, আর্শদিপ ৪-০-৩২-৩, অশ্বিন ৪-১-৮-০, হার্শাল ৪-০-২৬-২, আকসার ৪-০-১৬-১) 

ভারত: ১৬.৪ ওভারে ১১০/২ (রাহুল ৫১*, রোহিত ০, কোহলি ৩, সূর্যকুমার ৫০*; রাবাদা ৪-১-১৬-১, পার্নেল ৪-০-১৪-০, নরকিয়া ৩-০-৩২-১, শামসি ২.৪-০-২৭-০, মহারাজ ৩-০-২১-০) 

ফল: ভারত ৮ উইকেটে জয়ী 

ম্যান অব দা ম্যাচ: আর্শদিপ সিং 

সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে ভারত


ক্রিকেট   টি-টোয়েন্টি   টি-টোয়েন্টি সিরিজ   ভারত   দক্ষীন আফ্রিকা   প্রোটিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপে সবচেয়ে কম বয়সী ক্রিকেটারদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশের তানজিম

প্রকাশ: ১০:০৭ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ভারতের মাটিতে শুরু হতে যাওয়া এবারের বিশ্বকাপ। প্রায় প্রতিটি দলেই আছে অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের সমন্বয়। বাংলাদেশেও তাই। বাইশ গজের লড়াই শুরুর আগমুহূর্তে জেনে নেওয়া যাক, অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সবচেয়ে কম বয়সী ক্রিকেটারদের সম্পর্কে।

নুর আহমেদ (১৮ বছর ২৭০ দিন)
বিশ্বকাপে যেসব উদীয়মান খেলোয়াড়ের ওপর চোখ থাকবে, নুর আহমেদ তাঁদের অন্যতম। যিনি এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে কম বয়সী ক্রিকেটারও বটে। মাত্র ১৮ বছর বয়সে ঘূর্ণি–জাদুতে চমক দেখিয়েছেন এই বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার। চায়নাম্যান এই স্পিনার সবার নজরে আসেন ২০২৩ আইপিএলের রানার্সআপ গুজরাট টাইটানসের হয়ে খেলে। ফ্রাঞ্চাইজিটির হয়ে ১৩ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ১৬ উইকেট। 

এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন লিগে খেলার অভিজ্ঞতাও আছে তাঁর। আফগানিস্তানের হয়ে অবশ্য এখন পর্যন্ত ৩টি ওয়ানডে খেলে নুর নিয়েছেন মাত্র ২ উইকেট। তবে টি–টোয়েন্টিতে যে একটি ম্যাচ খেলেছেন, সেই ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়ে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন এ স্পিনার। বিশ্বকাপে জাতীয় দলের হয়ে নুর নিজেকে মেলে ধরতে পারেন কি না, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

আরিয়ান দত্ত (২০ বছর ১৪১ দিন)
বয়স মাত্র ২০ বছর ১৪১ দিন। এর মধ্যেই নেদারল্যান্ডসের হয়ে ২৫টি ওয়ানডে ও ৫টি টি–টোয়েন্টি খেলে ফেলেছেন আরিয়ান দত্ত। বল হাতে ওয়ানডেতে তাঁর উইকেট সংখ্যা ২০। সেরা বোলিং ৩১ রানে ৩ উইকেট। বোলার হিসেবে তাঁর মাঝে দারুণ সম্ভাবনা দেখেছেন সাবেক ডাচ কোচ রায়ান ক্যাম্পবেলও। ২০২২ সালের জুনে টানা তিন ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক নিকোলাস পুরানকে আউট করে আলোচনায় আসেন আরিয়ান। তিন ম্যাচের দুটিতে করেন বোল্ড। এখন বিশ্বকাপে তেমন কোনো চমক নিয়ে আরিয়ান হাজির হন কি না, সেটাই দেখার অপেক্ষা।

বিক্রমজিৎ সিং (২০ বছর ২৬৪ দিন)
জন্মভূমিতে ডাচদের হয়ে বিশ্বকাপ খেলতে এসেছেন বিক্রমজিৎ সিং। ২০০৩ সালের ৯ জানুয়ারি তাঁর জন্ম পাঞ্জাবের চিমা কুর্দে। পরবর্তী সময়ে পরিবারের সঙ্গে নেদারল্যান্ডসেই স্থায়ী হন বিক্রমজিৎ। মাত্র ৭ বছর বয়সে ইউরোপের দেশটিতে পাড়ি জমান এই অলরাউন্ডার। ওপেনিং ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতি মিডিয়াম পেসেও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার সমার্থ্য আছেন তাঁর। গত বছর ডাচদের হয়ে ওয়ানডে অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত খেলেছেন ২৫ ম্যাচ। এই ম্যাচগুলোতে ৩২.৩২ গড়ে করেছেন ৮০৮ রান। যেখানে ১টি সেঞ্চুরির সঙ্গে আছে ৪টি ফিফটিও। পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছেন ৭ উইকেট। এখন বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের হয়ে এই ওপেনার আলো ছড়াতে পারেন কি না, সেটাই দেখার অপেক্ষা।

রিয়াজ হাসান (২০ বছর ৩২৭ দিন)
গত বছরের জানুয়ারিতে সম্ভাবনাময় তরুণ ব্যাটসম্যান হিসেবে আফগানিস্তান দলে অভিষেক হয় রিয়াজ হাসানের। এবার নামছেন বিশ্বকাপেও। রিয়াজের বয়স এখন ২০ বছর ৩২৭ দিন। অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৫ ওয়ানডে। ৩০ গড়ে করেছেন ১২০ রান, আছে ১টি ফিফটি। এখনো বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও পর্যাপ্ত সুযোগ পেলে দারুণ কিছু করার সামর্থ্য আছে এই আফগান ব্যাটসম্যানের। কে জানে হয়তো বিশ্বকাপই হতে পারে রিয়াজের জ্বলে ওঠার মঞ্চ।

তানজিম হাসান সাকিব (২০ বছর ৩৪৫ দিন)
অভিষেকেই বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন বাংলাদেশি পেসার তানজিম হাসান সাকিব। ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় বলেই ফিরিয়েছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে। এরপর বোল্ড করেন তিলক ভার্মাকেও। সেই ম্যাচে বল হাতে বাংলাদেশের জয়ের ভিতও গড়ে দেন উদীয়মান এ পেসার। 

বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে শঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাঁকে রেখেই দল ঘোষণা করেছেন নির্বাচকেরা। বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া সবচেয়ে কম বয়সী ৫ ক্রিকেটারের মধ্যে পঞ্চম স্থানে আছেন সাকিব। বিশ্বকাপে মাঠে নামার সুযোগ পেলে নিজের সামর্থ্য প্রমাণের সুযোগ আছে তাঁর। তাঁর মাঝে দারুণ সম্ভাবনা দেখছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকেরাও। স্লোয়ার, সুইং ও ইয়ার্কারেও ব্যাটসম্যানকে বোকা বানাতে পারেন এ বোলার। এ ছাড়া বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতে লোয়ার অর্ডারেও অবদান রাখার সামর্থ্য আছে তানজিমের।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপ মাসকটের নাম জানাল আইসিসি

প্রকাশ: ০৬:৩০ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আর মাত্র ৫ দিন পর মাঠে গড়াবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। লিঙ্গ সমতা তুলে ধরতে ভারত বিশ্বকাপের জন্য দুটি মাসকট উন্মোচন করেছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। সংস্থাটির উন্মোচিত লাল পোশাক পরা মাসকটটি ছিল নারী আর নীল পোশাক পরিহিতটি ছিল পুরুষ। তবে সেই সময় নাম প্রকাশ না করলেও আজ মাসকট দুটির নাম জানিয়েছে আইসিসি।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ক্রিকেটপ্রেমীদের ভোটে পুরুষ মাসকটটির নাম টঙ্ক এবং নারীটির নাম ব্লেজ নির্বাচিত হয়েছে। নিজেদের ওয়েবসাইটে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসিসি। আজ থেকে ব্লেজ ও টঙ্ককে বিশ্বকাপের সব ভেন্যুতেই দেখা যাবে। এ ছাড়া ফ্যানস পার্কগুলোতেও দেখা যাবে।

আইসিসির ইভেন্ট প্রধান ক্রিস টেটলি আগেই বলেছিলেন, ‘এবারের মাস্কটটি সার্বজনীনতাকে নির্দেশ করে। এ ছাড়া বর্তমান বিশ্বে লিঙ্গ সমতার মতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে মাসকটগুলোতে।’ আইসিসির ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ব্লেজ-টঙ্কের ভিডিওতে ওই কথাগুলোরই প্রতিফলন ঘটেছে।

পুরুষ মাসকটের নাম হল টঙ্ক। নীল পোশাক পরা টঙ্ক একজন চ্যাম্পিয়ন ব্যাটসম্যান। সে একটি তড়িৎচুম্বকীয় ব্যাট দিয়ে সব ধরনের শট খেলতে পারে। তার একেকটা শট দর্শকদের আন্দলিত করে এবং ক্রিকেটের সর্বৃবহৎ মঞ্চকে আলোকিত করে।

নারী মাসকটের নাম ব্লেজ, যার দ্রুতগতির বল ব্যাটসম্যানদের আতঙ্কিত করে তোলে। নির্ভুলতা, অতুলনীয় প্রতিফলন, সীমাহীন নমনীয়তা ও দৃঢ় সংকল্পের কারণে সে একজন ফাস্ট বোলিং তারকা। ব্লেজ লাল রঙের পোশাকের সঙ্গে কোমরে একটি বেল্ট বেঁধেছে, যেটার সঙ্গে ছয়টি ক্রিকেট বলের মতো ক্ষমতাসম্পন্ন গোলাকার বস্তু রয়েছে। প্রতিটিই খেলার কৌশল পরিবর্তনের জন্য ব্যবহার করা হয়।

আগামী ৫ অক্টোবর গত আসরের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড লড়াই দিয়ে শুরু হবে বিশ্বকাপ। ১০টি দল ১০ ভেন্যুতে মোট ৪৮টি ম্যাচ খেলবে। ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্বকাপ   মাসকট   আইসিসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশের সম্মানটা যেন বজায় থাকে: সাকিবদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৩:৫১ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া বাংলাদেশ পুরুষ ক্রিকেট দলের প্রতি শুভকামনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খেলোয়াড়রা নিজেদের নিংড়ে দেশের সম্মান বজায় রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী ভয়েস অফ আমেরিকার সঙ্গে সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি তাদের বলব যে বাংলাদেশের সম্মানটা যেন বজায় থাকে। তারা সেভাবে সবটুকু ঢেলে দেবে এবং আন্তরিকতার সঙ্গে খেলবে- সেটাই আমি চাই।'

সপ্তম-বারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নিতে এরমধ্যে ভারতে গেছেন সাকিব আল হাসানরা।

বাংলাদেশের খেলা থাকলে সব সময় যোগাযোগ রাখেন প্রধানমন্ত্রী। খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলেও দেন অনুপ্রেরণা।

তিনি বলেন, 'আমার সঙ্গে সব সময় তাদের যোগাযোগ থাকে। আসার আগেও আমি কথা বললাম। খেলোয়াড়দের সঙ্গেও আমি কথা বলি। যারা সংগঠক তাদের সঙ্গেও কথা বলি। আমি সব সময় খেয়াল রাখি। সব রকম সহযোগিতা করেন থাকি। '

ফলাফল কি হবে না ভেবে নিজেদের সেরাটা দিতে পারবে বাংলাদেশ দল। আশাবাদী দেশের প্রধানমন্ত্রী, 'বিশ্বকাপে আমরা যে সুযোগ পেয়েছি, এটা সবচাইতে ভালো দিক। ভালোভাবে খেলতে পারলে, ভালো রেজাল্ট করতেও পারবে। আমি আশাবাদী সব সময়।'

ধর্মশালায় ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

২য় প্রস্তুতি ম্যাচে থাকবেন সাকিব?

প্রকাশ: ১১:২৮ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিশ্বকাপ শুরুর আগে আবারও আরেকটি বড় ধাক্কা টাইগার শিবিরে। গুয়াহাটিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে সাকিবের পরিবর্তে টস করতে আসলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। হঠাৎ ইনজুরির কারণে প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এমনকি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও অনিশ্চিত সাকিব, এমনটাও শোনা গিয়েছিল।

গুয়াহাটিতে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচের আগের রাতে ফুটবল খেলতে গিয়েই নাকি বাঁ পায়ে ব্যথা পেয়েছেন সাকিব। তার পা অনেকটাই ফুলে গেছে বলে খবর এসেছে। যে কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে খেলেননি সাকিব। 

এ ছাড়া ম্যাচ শুরুর পর ধারাভাষ্যকার দিনেশ কার্তিকও জানান, অনুশীলনে ফুটবল খেলতে গিয়ে পায়ে চোট পাওয়াতেই এই ম্যাচে মাঠের বাইরে সাকিব। এতসবের মাঝে আজ শনিবার এসেছে নতুন খবর। ২য় প্রস্তুতি ম্যাচ থেকেও নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন টাইগার অধিনায়ক।

দেশের এক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম।

তিনি জানিয়েছেন, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগারদের ২য় প্রস্তুতি ম্যাচেও থাকছেন না অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। হালকা চোটের কারণে সতর্কতা হিসেবেই নিজেকে ২য় ম্যাচ থেকে সরিয়ে রাখছেন সাকিব। 

তবে সাকিবের চোট তেমন গুরুতর নয়। প্রথম ম্যাচ থেকেই তিনি খেলতেন পারবেন বলে একটি বিশেষ সূত্রে জানা গেছে।

স্বাভাবিকভাবে চিন্তা করলেও দেখা যাচ্ছে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের প্রথম ম্যাচ আগামী ৭ অক্টোবর। এখনও সময় রয়েছে প্রায় ৮ দিন। এর মধ্যেই পুরো ফিট হয়ে সাকিব মাঠে নামবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

গোল না করেও আল-হিলালকে জেতালেন নেইমার

প্রকাশ: ০৯:৪৯ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

সৌদি আরবে এখনও নিজের অভিষেক গোলের দেখা পাননি নেইমার জুনিয়র। তবে নিজে গোল না পেলেও সতীর্থদের দিয়ে গোল করিয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টায় সৌদি প্রো লিগের ম্যাচে মুখোমুখি হয় আল-হিলাল ও আল-শাবাব। ম্যাচটিতে ২-০ গোলের জয় পায় নেইমারের দল আল-হিলাল। দলের হয়ে গোল করেন কালিদু কুলিবালি ও আলেকজান্ডার মিত্রোভিচ। 

ম্যাচের প্রথমার্ধে দুই দলই জালের দেখা পেতে ব্যর্থ হয়। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৭ মিনিটে প্রথম লক্ষ্যভেদ করেন সেনেগাল তারকা কালিদু কুলিবালি। গোলটিতে অ্যাসিস্ট করেন নেইমার। কর্নার কিক থেকে ব্রাজিল তারকা গোলের সামনে বল দেন। আর হেড থেকে দলকে লিড গোল এনে দেন কুলিবালি। 

এরপর ৭৫ মিনিটে আবারও গোলের দেখা পায় হিলাল। এবারও গোলের পেছনের কারিগর নেইমার। তিনি সতীর্থ মিত্রোভিচকে বল দিলে প্রথম শটে সফল না হলেও ফিরতি শটে লক্ষ্যভেদ করেন সার্বিয়ান স্ট্রাইকার। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নেইমার বাহিনী।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন