ইনসাইড গ্রাউন্ড

রাউন্ড অব সিক্সটিনে ব্রাজিল

প্রকাশ: ১২:০৪ এএম, ২৯ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

রেফারির শেষ বাঁশি বাজার সাথে উল্লাসে ফেঁটে পড়ে পুরো স্টেডিয়াম। ৯৭৪টি শিপিং কন্টেইনার দিয়ে স্টেডিয়াম পরিণত হয় সেলেসাওদের উৎসবের মঞ্চে। আর হবেই না কেন? ম্যাচের শুরু থেকে দাপুটে ফুটবল খেলা দলটি কিছুতেই গোলমুখ খুলতে পারছিলেন না সুইসদের রক্ষণাত্নক ফুটবলের কারণে। তবে ঠিকই সাম্বা ছন্দে উপহার দিয়েছেন শৈল্পিক ফুটবল। পায়ের জাদুতে মুগ্ধ করেছেন অগণিত ফুটবল সমর্থকদের। ফরে এমন জয়ে উল্লাস তো তাদেরই মানায়। সুইজারল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে 'জি' গ্রুপের প্রথম দল হিসেবে রাউন্ড অব সিক্সটিন নিশ্চিত করলো ব্রাজিল।
ম্যাচের শুরু থেকেই বলের দখলের জন্য লড়াই করে ব্রাজিল ও সুইজারল্যান্ড। সেই সাথে আক্রমণাত্নক ফুটবল খেলতে গিয়ে শারীরিক ফুটবলের দেখাও পাওয়া যায়। তৃতীয় মিনিটেই ফাউলের শিকার হন ভিনিসিউস। ম্যাচের ১৩ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে দারুণ এক পাসে ডান প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে উঠেন আগের ম্যাচে ব্রাজিলের জয়ের নায়ক রিচার্লিসন। ভিনির উদ্দ্যশে দেয়া পাস সুইস ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করে দেন। সেখান থেকে আবারো সুযোগ তৈরি হয় গোলের। তবে সেটিও কাজে লাগাতে পারেনি রিচার্লিসন। 
১৯ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আসে ব্রাজিলের। বাম প্রান্ত থেকে পাকেতার থ্রু থেকে ভাল সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে ঠিকমতো পা ছোয়াতে পারেনি রিচার্লিসন। পাল্টা আক্রমণে গিয়েছিলো সুইজারল্যান্ডও। ২৭ মিনিটে রাইট উইং থেকে ভিনিসিউসকে দুর্দান্ত এক ক্রস দিয়েছিলেন রাফিনিয়া। ভিনি শট নিলেও কর্নারের বিনিময়ে তা ঠেকিয়ে দেন সুইস গোলরক্ষক সোমার। ৩২ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শট নেন রাফিনিয়া। সরাসরি তা চলে যায় গোলরক্ষকের গ্লাভসে। এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হারায় সেলেসাওরা।
৩৭ মিনিটে এদার মিলিতাও এর শট সুইজারল্যান্ড ফুটবলারের পিঠে লেগে বাইরে চলে যায়। কর্নার পায় ব্রাজিল। সেখান থেকে রাফিনিয়ার নেয়া শট লাফিয়ে উঠে ধরে নেন সোমার। সেখান থেকে প্রথমবারের মত ব্রাজিলের রক্ষণে প্রথম আক্রমণ চালায় সুইজারল্যান্ড। ডি-বক্সের মধ্যে বল পেলেও শট নিতে পারেন নি ভারগেজ। ৪৪ মিনিটে রাফিনিয়ার আরেকটি ক্রস হেডে বাইরে পাঠিয়ে দেন নিকো আলভেদি। পরের মিনিটে আবারো সুইসদের ত্রাতা হয়ে ওঠেন সোমার। কর্নার থেকে আসা বল ক্লিয়ার করেন তিনি। কাউন্টার অ্যাটাকে উঠেও সুবিধা করতে পারেনি সুইজারল্যান্ড। নির্ধারতি সময়ে গোল না হলে সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরিতির পর গোলের আশায় মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে ব্রাজিল। তবে প্রথমার্ধে রক্ষণাত্নক খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিলের উপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে সুইজারল্যান্ড। ৫০ মিনিটে বাজে ট্যাকল করে হলুদ কার্ড দেখেন রিয়েডার। দুই মিনিট পর বুকড হন ব্রাজিলের ফ্রেড। ৫৪ মিনিটে সাউ এবং ভারগাসের জোড়া আক্রমণ থেকে কোন গোল আসেনি। ৫৮ মিনিটে ফ্রেডকে উঠিয়ে গুইমারেজকে মাঠে নামান তিতে। ৬০ মিনিটে আবার সাও এবং ভারগাসের অ্যাটাকও ব্যর্থ হয়।
তবে ম্যাচের ৬৪ মিনিটে দারেুণ এক গোল করে এগিয়ে দেন ভিনিসিউস জুনিয়র। উল্লাসে মেতে ওঠে ফুটবলার থেকে গ্যালারির সকলেই। তবে অফসাইডের আবেদন করেন সুইজারল্যান্ডের ফুটবলাররা। ভিএআরে দেখা যায় অফসাইডে ছিলেন রিচার্লিসন। পরে ভিনির সেই গোল বাতিল করেন সালভাদোরের রেফারি ইভান বার্টন।
অফসাইডে গোল বাতিলের পর আক্রমণের ধার আরো বাড়ায় ব্রাজিল। ৮২ মিনিটে ব্রাজিলকে স্বস্তি এনে দেন মিডফিল্ডার কাসেমিরো। রদ্রিগোর পাস থেকে দারুণ এক শটে বল জালে জড়ান কাসেমিরো। একা জায়গায় দাড়িয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিলো না পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা সুইস গোলরক্ষক ইয়ান সোমারের। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় লাতিন আমেরিকার দলটি।
ম্যাচের বাকি সময়ে লিড বাড়াতে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যায় হলুদ জার্সিধারীরা। শেষদিকে টানা আক্রমণে দিশেহারা হয়ে যায় সুইস ফুটবলাররা। তবে অবিচল ছিলেন সোমার। ৮৭ মিনিটে রদ্রিগোর একটি নিশ্চিত গোল ঠেকিয়ে ব্যবধান বাড়াতে দেননি তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়েও গোলের আশায় ছুটতে থাকে ব্রাজিলিয়ানরা। তবে আর গোল আসে নি। শেষ মুহুর্তে পাওয়া গোলের লিড ধরে রেখে বিজয়ীর বেশে ড্রেসিং রুমের পথ ধরে রদ্রিগো-থিয়াগো সিলভারা। আর ব্রাজিলের হলুদ জার্সিতে স্টেডিয়ামের
প্রতিটি গ্যালারি হয়ে উঠেছিল যেন টুকরো টুকরো সাও পাওলো।
এ জয়ে 'জি' গ্রুপ থেকে প্রথম দল হিসেবে পরের রাউন্ডে চলে গেলো তিতের দল। পুরো ম্যাচে বল পজিশন ও আক্রমণেও যোজন যোজন এগিয়ে ছিলো সেলেসাওরা। রাউন্ড অব সিক্সটিনে তাদের প্রতিপক্ষ বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। তবে সুইজারল্যান্ড হারলেও, এখনও সুযোগ রয়েছে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবার। সে জন্য অপেক্ষা করতে হবে তাদের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত।

কাতার বিশ্বকাপ   ব্রাজিল   সুইজারল্যান্ড   ৯৭৪  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

'ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার' ভারতের জন্য সমস্যা নাকি সুবিধা?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ম্যাচের মাঝে যেকোনো সময় একজন ক্রিকেটারকে বদলে ফেলতে পারবে দু’টি দল। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের গত আসর থেকে শুরু হয়েছে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নামে এই নিয়ম।  

এই নিয়ম আসার পর আইপিএলে বদলেছে অনেক কিছুই। যেমন- এখন আর প্রথম একাদশ বেছে নিলেই হয় না। বেছে নিতে হয় একজন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারকেও। তাই এখন ১১ জন নয়, বরং ১২ জনের খেলা হয়ে গেছে। যেদিন থেকে আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম এসেছে, সেদিন থেকে অলরাউন্ডারের প্রয়োজন কমে যাবে কি না সবার মনে এই একটাই প্রশ্ন ছিলো। 

তবে এখন  প্রশ্ন উঠছে ভারতীয় দলে এই নিয়মের কোন প্রভাব পড়ছে কি না, সেই নিয়ম কি বিপদে ফেলছে ভারতীয় দলকেই, নাকি হচ্ছে সুবিধা?

এই নিয়মের প্রসঙ্গে ভারতীয় এক সাবেক ক্রিকেটার বলেন, ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম আসায় চোট থাকা সত্ত্বেও অনেক ক্রিকেটার খেলতে পারছে। দলে অলরাউন্ডার প্রয়োজন হচ্ছে না। আইপিএলে এখন ১২ জনের খেলা হয়ে গেছে। এতে আইপিএলের আকর্ষণ বেড়েছে। কিন্তু অলরাউন্ডারের প্রয়োজন শেষ করে দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম না থাকতো, তাহলে দুবেকে বল করাতে বাধ্য হত চেন্নাই। আবার রাহুল তেওতিয়া এক সময় ফিনিশার হিসাবে নাম করেছিল। তিনি কিন্তু লেগ স্পিন করতে পারেন। তবে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম আসার পর আর তাকে বল করতে হয় না।  শুধু ব্যাট করেন। এতে কার ক্ষতি হচ্ছে? ভারতীয় দলের।’

এবারের আইপিএল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে। আইপিএলের আগেই সে কথা বলে রেখেছিলেন অজিত আগরকর পরিচালিত নির্বাচক কমিটি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম থাকলে আদৌ কি সব ক্রিকেটারকে সঠিকভাবে দেখা সম্ভব?

এক্ষেত্রে প্রথমেই প্রশ্ন উঠছে শিবম দুবেকে নিয়ে। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেন তিনি। বেশির ভাগ ম্যাচেই নামছেন শুধু ব্যাট করার জন্য। এদিকে হার্দিক সব ম্যাচে বল করছেন না। ফলে এই দুই অলরাউন্ডার কতটা তৈরি তা বোঝা সম্ভব নয় নির্বাচকদের পক্ষে।

ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম পছন্দ নয় অধিনায়ক রোহিত শর্মারও। তিনি বলেন, ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মটা আমার খুব একটা পছন্দ নয়। অলরাউন্ডারদের প্রয়োজন এখন কমে গেছে। ক্রিকেটটা এখন ১২ জনের খেলা হয়ে গিয়েছে। এর ফলে ক্রিকেটটা নষ্ট হচ্ছে। দর্শকের জন্য যদিও খুব উপভোগ্য হচ্ছে ব্যাপারটা।’

রোহিতের মতে এই নিয়মের ফলে ভারতীয় অলরাউন্ডারেরা সুযোগ পাচ্ছেন না। ওয়াশিংটন সুন্দরের মতো ক্রিকেটারকে দলে নেয়া হচ্ছে না।

রোহিত আরও বলেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটের দিক থেকে দেখতে গেলে ওয়াশিংটন, শিবমেরা বল করছে না। এটা দলের জন্য ভাল দিক নয়। কী করব জানি না। দলে ১২ জন ক্রিকেটার রয়েছে। খেলার পরিস্থিতি বুঝে এক জনকে দলে আনা হচ্ছে। এটা দেখতে খুব ভাল লাগলেও এই বাড়তি ক্রিকেটার দলে আসার পর থেকে সাত বা আট নম্বরের ব্যাটার সুযোগ কম পাচ্ছেন। আলাদা করে ব্যাটার নামানোর সুযোগও পাওয়া যাচ্ছে।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কারা খেলবেন সেটা বেছে নেয়ার জন্য গত দু’বছরে ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স দেখা হবে। সেই সঙ্গে রয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেট। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের দল বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে আইপিএল বড় ভূমিকা নেবে, এটা যেমন সত্যি, তেমনই এটাও মানতে হবে যে, দল শুধু আইপিএল দেখে বেছে নেয়া হবে না।


ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ধোনির মুগ্ধতা ও মুস্তাফিজের ব্রেকথ্রুর পরও লখনৌয়ের কাছে চেন্নাইয়ের হার

প্রকাশ: ১২:৪১ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এদিন চিরযৌবনা মহেন্দ্র সিং ধোনি ব্যাট হাতে মুগ্ধতা ছড়ালেন তরুণ বয়সের সেই ক্যাপ্টেন কুলের মতোই। সেই সাথে বোলিংয়ে মুস্তাফিজ-পাথিরানা বল হাতে চালালেন আপ্রাণ চেষ্টা। তবুও লখনৌ সুপার জায়ান্টসের কাছে চেন্নাইকে মানতে হল হার। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) লখনৌয়ের ঘরের মাঠে আগে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে চেন্নাই। ৮ নম্বরে নেমে মাত্র ৯ বলে ২৮ রানের ক্যামিওতে ধোনি দলীয় সংগ্রহকে  নিয়ে যান ১৭৬ রানে।

এছাড়া আজিংকিয়া রাহানে ২৪ বলে ৩৬, রবীন্দ্র জাদেজা ৪০ বলে অপরাজিত ৫৭, মঈন আলী ২০ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেন। লখনৌয়ের পক্ষে জোড়া উইকেট শিকার করেন ক্রুনাল পান্ডিয়া।

জবাব দিতে নেমে লখনৌয়ের দুই ওপেনারই ম্যাচ ছিনিয়ে নেন চেন্নাইয়ের হাত থেকে। মুস্তাফিজ অবশ্য এদিনও বল হাতে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। অধিনায়কের চাওয়া অনুযায়ী বল হাতে নিয়ে প্রথম ওভারে ৮ ও দ্বিতীয় ওভারে ৭ রান খরচ করেন।

রুতুরাজ গাইকোয়াদ শেষদিকের জন্য মুস্তাফিজকে মজুত করে রাখলেও ততক্ষণে ম্যাচ চলে গেছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ১৫তম ওভারে নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে বাংলাদেশি পেসারের তাই তেমন কিছু করার ছিল না। তারপরও মুস্তাফিজই দলকে এনে দেন কাঙ্ক্ষিত ব্রেক থ্রু। ওভারের শেষ বলে কুইন্টন ডি কককে পরিণত করেন ধোনির ক্যাচে। ৪৩ বলে ৫৪ রান করে ফিজের শিকার হয়ে বিদায় নেন প্রোটিয়া তারকা। 

তবে সহজ ম্যাচটা আর কঠিন হয়নি লক্ষ্ণৌয়ের জন্য। অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের ৫৩ বলে গড়া ৮২ রানের ইনিংসে ভর করে হেসেখেলেই পা ফেলে জয়ের বন্দরে, তাও ৬ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে। চেন্নাইয়ের হয়ে অপর উইকেটটি শিকার করেন মাথিশ পাথিরানা।


মুস্তাফিজ   বাংলাদেশ   চেন্নাই   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

লখনৌর মাঠে চেন্নাইয়ের লড়াকু সংগ্রহ

প্রকাশ: ১০:০৯ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

লখনৌ এর বিপক্ষে চেন্নাইয়ের শুরুটা ছিল নড়বড়ে। যার জন্য শঙ্কা ছিল অল্পতেই গুটিয়ে যাওয়ার। তবে মাঝে অজিঙ্কা রাহানে ও রবীন্দ্র জাদেজার দায়িত্বশীলতা ও শেষদিকে মঈন আলি ও মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাটের উপর ভর করে লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে মুস্তাফিজদের দল। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আইপিএলের খেলায় নির্ধারিত ওভার শেষে চেন্নাইয়ের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৭৬ রান।

এদিন শুরুতেই লখনৌর মাঠ একানা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের চেন্নাই। পিচ রিপোর্ট থেকে জানা যায়, এখানকার কন্ডিশন কিছুটা পেস-সহায়ক। তাই রানের গণ্ডি ন্যূনতম ১৭০–২০০ এর মধ্যে রাখতে হবে, তবে এটিকেও যথেষ্ট বলা যাবে না।

শেষপর্যন্ত সেই ন্যূনতম সীমানায় সফরকারীরা পা রেখেছে ধোনির ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে। মাত্র ৯ বলের ইনিংসে তিনি ২৮ রান করেছেন।এছাড়া হলুদ শিবিরের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেছেন জাদেজা। দুজনের জুটিতে শেষ ৪ ওভারে এসেছে ৬৩ রান।


আইপিএল   ক্রিকেট   খেলাধুলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রিয়াল থেকে ক্যাসেমিরোর বিদায়ে কেঁদেছিলেন আনচেলত্তি

প্রকাশ: ০৭:৪১ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার ক্যাসেমিরো। জাতীয় দলসহ ক্লাবের খেলায় যে দলেই খেলেছেন ডিফেন্ডিং মিডফিল্ডে সে দলেরই ভরসার অন্যতম প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তবে ক্যাসেমিরোর ক্যারিয়ারে সেরা সময় কেটেছে লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্যতম সফল দল রিয়াল মাদ্রিদে। যেখানে প্রতিপক্ষের আক্রমণকে রুখে দিয়ে দলের আক্রমণেও বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।

ক্যাসেমিরো তার ক্লাব ক্যারিয়ারের ৯ বছরের দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন রিয়ালে। এরপর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেন তিনি। সম্প্রতি রিয়াল থেকে নিজের বিদায়ের মুহূর্তের কথা স্মরণ করে ক্যাসেমিরো জানিয়েছেন, তার ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে কেঁদেছিলেন রিয়ালের কোচ কার্লো আনচেলত্তি।

ক্যাসেমিরো বলেন, আমি এটি আগে কাউকে বলিনি। আমি শুধুমাত্র একবার ম্যানচেস্টারে যাওয়ার বিষয়ে ভাবছিলাম। আমার মনে আছে, এটা ছিল শুক্রবারের বিকেল এবং এটা (ইউনাইটেড ট্রান্সফার) আমার স্বাক্ষর ছাড়াই করা হয়েছিল। মানুষ জানতো যে, এটা (চুক্তি) সম্পন্ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি আনচেলত্তির সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। তার অফিসে গিয়েছিলাম এবং সে ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানতো। আমি দরজা খুললাম এবং যখন তার দিকে ঘুরে তাকালাম, দেখলাম আনচেলত্তি কাঁদছিলেন। আমি তাকে বলেছি, আপনি কাঁদতে পারেন না। অন্য কেউ কাঁদতে পারে কিন্তু আপনি কাঁদতে পারেন না।

সে সময় রিয়াল বস আনচেলত্তি ক্যাসেমিরোকে বলেছিলেন, আমি কেন কাঁদছি জানি না। তবে আমি তোমাকে খুব পছন্দ করি এবং আমি চাই না তুমি চলে যাও।

ক্যাসেমিরো আরও বলেন, সেই মুহূর্তে আমি বুঝতে পেরেছি, এখানে কত মানুষ আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু আমি আগেই আমার কথা দিয়ে ফেলেছিলাম। আমার কথা অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।


ক্যাসেমিরো   ফুটবল   ব্রাজিল   রিয়াল মাদ্রিদ   কার্লো আনচেলত্তি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক

প্রকাশ: ০৭:০৮ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবার আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক নাহুয়েল গুসমানকে ১১ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশন (এফএমএফ)। ‘অনুপযুক্ত আচরণের’ কারণে গুসমানকে এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, গত রোববার মেক্সিকোর শীর্ষ প্রতিযোগিতা লিগা এমএক্সে টাইগ্রেস ইউএএনএল এবং মন্টেরি মুখোমুখি হয়েছিল। যেখানে টাইগ্রেস ক্লাবের আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক গুসমান চোটের কারণে খেলতে পারেননি। তবে ড্রেসিংরুম থেকে তিনি মাঠে লেজার লাইট মারার কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে বড় শাস্তি ঘোষণা করেছে এফএমএফ।

শেষ পর্যন্ত সেদিন দুই দলের ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে আলোচনা শুরু হয় গুসমানে লেজার ব্যবহার করা নিয়ে। তিনি মন্টেরি গোলরক্ষক এসটেবান আন্দ্রাদার দিকে লেজারের আলো ফেলেছিলেন এবং পরে সেটি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে ক্ষমাও চান এই টাইগ্রেস গোলরক্ষক।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) এক বিবৃতিতে এফএমএফ জানায়, ম্যাচ চলাকালে অনুপযুক্ত আচরণের জন্য টাইগ্রেস ক্লাবের নাহুয়েল ইগনাসিও গুসমানকে ১১ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ডিসিপ্লিনারি কমিটি। তার আচরণ ফেডারেশনের নীতিমালা ভঙ্গ করেছে। পরবর্তীতে টাইগ্রেস ক্লাবও নিজেদের অভ্যন্তরীণ নীতিমালা অনুসারে গুসমানকে শাস্তি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

এদিকে, শাস্তি পেয়েছেন মন্টেরির ফুটবলার আন্দ্রাদাও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুসমানকে সমকামী বলে মন্তব্য করায় তাকে জরিমানা করেছে মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশন।

উল্লেখ্য, এখনও হাঁটুর ইনজুরির পুনর্বাসনে আছেন নিষিদ্ধ হওয়া গুসমান, যে কারণে ৯ মার্চের পর তিনি আর মাঠে নামতে পারেননি। চলমান নিয়মিত মৌসুমে তার দলের আর মাত্র দুই ম্যাচ বাকি, তবে ২০২৪ সালের পরবর্তী টুর্নামেন্টগুলোতে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ হবে ৩৮ বছর বয়সী এই গোলরক্ষকের বিরুদ্ধে। এর আগেও পেনাল্টি শ্যুট আউটের সময় প্রতিপক্ষ ফুটবলারকে বিভ্রান্ত করার জন্য মুখ থেকে হঠাৎ ফিতা বের করেছিলেন গুসমান। গত আগস্টে লিগস কাপের ওই ঘটনার পর প্রথম তিনি আলোচনায় আসেন।


আর্জেন্টাইন   গোলরক্ষক   নাহুয়েল গুসমান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন