'এফ' গ্রুপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে স্পেন ও জাপান। খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে এই ম্যাচে জয় তুলে নিলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউটে চলে যাবে ২০১০ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ড্র করলেও পরের রাউন্ডের টিকিট পাবে দলটি। তবে ম্যাচটি বাঁচা মরার লড়াই জাপানের জন্য। প্রথম ম্যাচে জার্মানিকে হারিয়ে চমক দেখালেও, পরের ম্যাচে কোস্টা রিকার কাছে হেরে সমীকরণটা কঠিন বানিয়ে ফেলেছে জাপান। এ ম্যাচে তাই জয় তুলে নিতে চায় এশিয়ার দলটি।
দুই দলের একাদশ ও ফর্মেশন:
স্পেন একাদশ:
উনাই সিমোন, সিজার আজপিলিকুয়েতা, পাও তোরেস, আলেজান্দ্রো বাল্দে, রদ্রি, সার্জিও বুসকেতস, গাভি, পেদ্রি, আলভারো মোরাতা, নিকো উইলিয়ামস, দানি ওলমো।
ফর্মেশন: ৪-৩-৩
জাপান একাদশ:
সুচি গন্দা, শোগো তানিগুইচি, কোউ ইতাকুরা, মায়া ইয়োশিদা, ইয়োতো নাগাতোমো, হিদেমাসা মরিতা, জুনায়া ইতো, আও তানাকা, তাকেফুসা কুবো, দাইচি কামাদা, দাইজেন মায়েদা।
ফর্মেশন: ৩-৪-৩
কাতহার বিশ্বকাপ স্পেন জাপান খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম
মন্তব্য করুন
স্পিনারদের দেশ, স্পিন আক্রমণই বোলিংয়ের মূল ভরসা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু হওয়ার পর থেকে স্পিন আক্রমণের জন্য আলাদা পরিচিতি পেয়েছে বাংলাদেশ। মোহাম্মাদ রফিক, মানজারুল ইসলাম রানা, আব্দুর রাজ্জাকরা নিজেদের স্পিন ঘূর্ণিতে ঘায়েল করেছেন বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানদের। উপমহাদেশের স্পিন সহায়ক কন্ডিশন ও উইকেটে স্পিনাররা পার্থক্য গড়ে দেন ম্যাচের। বাংলাদেশও ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মত বড় দলকে হারিয়েছে এই ঘূর্ণির পাকে ফেলে। তাই বলাই যায় বাংলাদেশের বোলিংয়ের বড় অস্ত্র এই স্পিন। সেই দলই কি না পেস বোলিংয়ে বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছে। অবিশ্বাস্য মনে হলেও তাসকিন আহমেদ-ইবাদতদের হাত ধরে নতুন দিনের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ।
মাশরাফি-রুবেলরা এক সময় পেস বোলিংয়ের আশার আলো জাগিয়ে ছিলেন। তবে সময়ের সাথে সাথে সে আলো বাড়েনি, উল্টো স্তিমিত হয়েছে। অগ্রজদের নিভু নিভু হয়ে যাওয়া সেই আলো আবার জাগিয়ে তুলেছে বর্তমান সময়ের পেসাররা। সাদা বিদ্যুৎ খ্যাত সাবেক প্রোটিয়া ক্রিকেটার অ্যালান ডোনাল্ড বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের দ্বায়িত্ব নেয়ার পর রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছেন পেসাররা। একের পর এক ম্যাচে পারফর্ম্যান্স দিয়ে নজর কেড়েছেন, এনে দিচ্ছেন জয়। তাতে একদিকে স্পিনারদের উপর নির্ভরশীলতা মাত্রা যেমন কমেছে, তেমনি বোলিং আক্রমণেও এসেছে বৈচিত্র।
দ্বায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশের পেসারদের মানসিকতায় পরিবর্তন এনেছেন অ্যালান ডোনাল্ড। ২০২১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর দিয়ে বাংলাদেশ অধ্যায় শুরু করেছিলেন ডোনাল্ড। সেই সিরিজে পেস বোলিংয়ের নতুন দিনের গল্প লিখেছিলেন তাসকিন আহমেদ। প্রোটিয়াদের ওয়ানডে সিরিজ হারিয়েছে তাদের মাটিতেই। গতি আর সুইংয়ের পসরা বসিয়ে সিরিজ সেরা হয়েছিলেন তাসকিন। এক সময় গতিই ছিলো যার ভরসা, সেই তাসকিনের বোলিং আমূল পরিবর্তন করে তাকে পরিণত করেছেন বৈচিত্রময় এক বোলারে।
টেস্ট বোলারের খেতাব গায়ে সেঁটে গিয়েছিলো ইবাদত হোসেনের। বোলিংও ছিলো খুবই সাদামাটা। সেই ইবাদত এখন হয়ে উঠেছেন পেস বোলিংয়ের অন্যতম ভরসার নাম। তরুণ শরিফুল ইসলাম এবং হাসান মাহমুদের ভয়ডরহীন বোলিংয়ের পেছনেও কৃতিত্ব এই প্রোটিয়া কোচের। আরেক পেসার খালেদ আহমেদের বোলিংয়ে দৃশ্যমান বদল এসেছে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেয়ার পাশাপাশি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার মতো সামর্থ্য তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের পেস বোলিং বিভাগের। বর্তমানে জাতীয় দলের সাথে থাকা পেসারদের মধ্যে একমাত্র মুস্তাফিজুর রহমানও নিজেকে এখনো আগের রূপে ফেরাতে পারেন নি। তবে সময়ের সাথে সাথে সে প্রত্যাশা তিনি মেটাবেন এমন আশা করাটা বাড়াবাড়ি কিছু নয়।
আয়ারল্যান্ডকে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ১০ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবার কোন ম্যাচে সবগুলো উইকেট ভাগাভাগি করেছে পেসাররা। তাতে পেস বোলিংয়ে সুদিন ফেরার পালে বেশ জোর হাওয়া লেগেছে। এখন পর্যন্ত ৪০৯টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। তাতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৮টি উইকেট নিয়েছেন পেসাররা। এমন ঘটনা ঘটেছে মোট ১২ বার। কিন্তু স্পিনাররা ম্যাচে কোন উইকেট পাননি- এমন নজির এই প্রথম। এমনকি এই ম্যাচে স্পিনাররা হাত ঘুরিয়েছেন মাত্র ৪ ওভার। বোলিংয়ের আনাই হয়নি সাকিব আল হাসানকে। এমন সাফল্যের পর পেসারদের নিয়ে স্বপ্নটা দেখলে তাতে দোষের কিছু নেই। চলতি বছরের শেষে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। স্পিনারদের পাশাপাশি পেসারদের এমন দাপটে বিশ্বকাপে ভাল কিছুর প্রত্যাশা করতেই পারে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ, অ্যালান ডোনাল্ড, পেস বোলিং, বিশ্বকাপ
মন্তব্য করুন
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবথেকে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। কাড়ি কাড়ি টাকা আর নানা সুবিধার জন্য ক্রিকেটারদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে আইপিএল। অতীতে নানা সময়ে নানা চমক দেখিয়েছে টুর্নামেন্টটি। প্রতিযোগিতাটির ১৬তম আসর মাঠে গড়াবে আগামী ৩১ মার্চ থেকে। মাঠের লড়াইয়ে বেশ কিছু নতুন নিয়ম দেখা যাবে এবারের আইপিএলে।
ফুটবলের শীর্ষ প্রতিযোগিতাগুলো আয়োজিত হয় হোম-অ্যাওয়ে ফরম্যাটে। ক্রিকেটে সেটি নিয়মিতভাবে চোখে পড়ে না খুব একটা। তবে আসন্ন আইপিএলে এবার ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই পদ্ধতিতে। দলগুলো কোন একটি ভেন্যুকে নিজেদের মাঠ হিসেবে ব্যবহার করবেন। মুখোমুখি লড়াইয়ে প্রথম হোম ভেন্যুতে হলে পরের ম্যাচটি হবে প্রতিপক্ষের মাঠে। এছাড়াও আরো নতুন তিনটি নিয়মের প্রবর্তন হতে চলেছে আইপিএলে।
ক্রিকেটের যেকোনো ফরম্যাটেই টসের আগে একাদশ ঘোষণা করে দলগুলো। তবে এবার আইপিএলে টসের আগে একাদশ ঘোষণা করার প্রয়োজন নেই দলগুলোর। টসের সময় আলাদা আলাদা দুটি তালিকা নিয়ে মাঠে নামতে পারবেন দুই দলের অধিনায়ক। টসের পরে পছন্দের তালিকা একে অপরকে দেবেন অধিনায়কেরা। মূল একাদশের সাথে অতিরিক্ত ৪ জন ক্রিকেটারকে তালিকায় রাখতে পারবে দলগুলো। এতে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুবিধা পাবে দলগুলো- এমনটাই যুক্তি আইপিএলের নীতি নির্ধারকদের। তবে কোন দলই মাঠে ৪ জনের বেশি বিদেশী ক্রিকেটার নামাতে পারবেন না।
এবার স্লো ওভার রেটের নীতিতেও পরিবর্তন আসছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওভার শেষ করতে না পারলে জরিমানার মুখে পড়েন অধিনায়ক। কিন্তু আবার আইপিএলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওভার শেষ করতে না পরলে বাড়তি সুবিধা পাবে ব্যাটিং দল। শাস্তি হিসেবে ৩০ গজের সীমানার বাইরে ৫ জনের পরিবর্তে ৪ জনকে রাখতে হবে।
সেই সাথে ফিল্ডিংয়ের সময় উইকেটরক্ষক কিংবা কোন ফিল্ডার নিয়ম বহির্ভূত নড়াচড়া করলে ব্যাটিং দলের রানের খাতায় যুক্ত হবে ৫ রান। রান যুক্ত হওয়ার সাথে সেই বলটিকে গণ্য করা হবে ডেড বল হিসেবে।
মন্তব্য করুন
আইরিশদের মাত্র ১০১ রানে আটকে রেখে মঞ্চটা আগেই প্রস্তুত করে দিয়েছিলেন বোলাররা। বাকি কাজটা সারলেন দুই ব্যাটসম্যান। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতেও রেকর্ডের খাতায় ওলট-পালট করলো বাংলাদেশ। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে তামিম ইকবালের দল। তাতে সিলেট সাক্ষী হলো আরেকটি প্রথমের। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে এটিই বাংলাদেশের প্রথমবার ১০ উইকেটের জয়।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস ছিলেন নির্ভার। আগের দুই ম্যাচে প্রথম পাওয়ার প্লেদে আইরিশরা আটোসাঁটো বোলিং করলেও আজ হাত খুলে খেলেছেন তামিম ও লিটন। তেমন কোন সুযোগও অবশ্য তৈরি করতে পারেনি সফরকারিরা। বোলারদের শাসন করে প্রথম দশ ওভার থেকে ৮১ রান তুলে নিয়ে জয়কে সময়ের ব্যবধানে পরিণত করেন দুই ব্যাটসম্যান। ১৪তম ওভারের প্রথম বলেই কোন উইকেট না হারিয়ে ২২১ বল বাকি রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে টাইগাররা। লিটন তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৯ম অর্ধশতক। রান খরায় থাকা অধিনায়ক তামিম ইকবালও রান পেয়েছেন আজ। অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে।
এর আগে, শেষ ওয়ানডে নিজেদের করে নেন বাংলাদেশের পেসাররা। দাপট দেখিয়েছেন হাসান মাহমুদ-তাসকিন আহমেদ-ইবাদত হোসেনরা। পাওয়ার প্লেতে হাসান মাহমুদের পর এই দুই পেসারের গোলার মুখে বিধ্বস্ত হয় আইরিশরা। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে অফ স্টাম্পের বাইরে একটি গুডলেংথ ডেলিভারিতে স্টিফেন ডোহেনির উইকেট তুলে নেন হাসান মাহমুদ। ১২ রানে প্রথম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আইরিশদের রানের চাকা আটকে রাখে বোলাররা। প্রথম ৮ ওভার থেকে মাত্র ২২ রান তুলতে পারে আইরিশরা। সেই চাপ সামলে উঠার আগেই আবার আঘাত হানেন হাসান মাহমুদ।
৯ম ওভারের প্রথম বলে এলবিডব্লুয়ের ফাঁদে ফেলেন আগের ওভারে জীবন পাওয়া স্টারলিংকে। ওভারের চতুর্থ বলটি রক্ষণাত্নক ভঙ্গিতে খেলেন হ্যারি টেক্টর। বোলার হাসান মাহমুদ ভেবেছিলেন ব্যাট লেগে বল প্যাডে আঘাত করেছে। আবেদনও করেন নি আউটের। তবে মুশফিকুর রহিম ছিলেন আত্নবিশ্বাসী। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। রিপ্লেতে দেখা যায় ব্যাটে লাগার আগে হাসানের বলটা ছুঁয়ে গেছে টেক্টরের প্যাড। দুর্দান্ত এক রিভিউয়ে তৃতীয় উইকেট তুলে নেয় স্বাগতিকরা।
পরের ওভারের তাসকিন আহমেদের বলে পরাস্ত হন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবিরনি। ২৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে আয়ারল্যান্ড। কার্টিস ক্যাম্ফার ও লরকান টাকারের ব্যাটে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করতে থাকে সফরকারিরা। দুই ব্যাটসম্যানই দেখেশুনে খেলতে থাকেন স্বাগতিক বোলারদের। ১৪তম ওভারে ইবাদত হোসেনকে তিনটি চার মেরে চাপ কমানোর চেষ্টা করেন টাকার। তাদের জুটিতে ভর করে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকে আয়ারল্যান্ড।
শুরুতে খানিকটা অস্বস্তিতে থাকলেও দ্রতই ছন্দ খুঁজে পান ইবাদত। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের শিকার হয়ে লরকান টাকার সাজঘরে ফিরলে ভাঙে আইরিশদের প্রতিরোধ। পঞ্চম উইকেটে ৪২ রানের জুটি গড়েন দুজনে। ওভার দা উইকেট থেকে করা ইবাদতের বলটা অ্যাঙ্গেল করে ভিতরের দিকে ঢোকে। সময়মতো ব্যাটে বল ছোয়াতে পারেন নি টাকার। সরাসরি বল লাগে তাঁর বুটে। আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ নেন টাকার। তবে তা কাজে আসেনি। টাকারের বিদায়ে ক্রিজে আসেন জর্জ ডকরেল। তবে এসেই সতীর্থকে অনুসরণ করে ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে। ইবাদতের ফুল লেংথের বল স্টাম্প ভেঙে দেয় তার। ৬৮ রানে ৬ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন ইবাদত। ধস নামে সফরকারিদের ব্যাটিং অর্ডারে।
ইবাদতের পর ঝলক দেখান তাসকিন আহমেদ। ২২তম ওভারে তাসকিন আহমেদের শর্ট বলে বড় শট খেলার চেষ্টা করেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন। তবে তার সে চেষ্টা সফল হয়নি। উল্টো সোজা উপরে উঠে গিয়ে শর্ট মিডউইকেটে নাসুম আহমেদের হাতে ধরা পড়েন তিনি। এক বল পরই মার্ক অ্যাডায়ারের স্টাম্প উপড়ে যায় তাসকিনের ফুললেংথ ডেলিভারিতে। শঙ্কা জাগে একশোর নিচেই অলআউটের।
সতীর্থদের এই যাওয়ার আসার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন কার্টিস ক্যাম্ফার। রানের আশায় তাই শট খেলার চেষ্টা করা ছাড়া ক্যাম্ফারের খুব বেশি কিছু করারও ছিল না। হাসান মাহমুদের শর্ট বলে পুল করেছিলেন তিনি। তবে সেটি বাউন্ডারি লাইন পার করতে পারেন নি। ডিপ ফাইন লেগে থাকা তাসকিন আহমেদের হাতে ধরা পড়েন। দলের রান যখন ৯৬ তখন নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন তিনি। খেলেন ৪৮ বলে ৩৬ রানের ইনিংস, যা আইরিশদের পক্ষে সর্বোচ্চ।
এরপর আর বেশিদূর যেতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। হাসান মাহমুদের করা ২৯তম ওভারের প্রথম বল গ্রাহম হিউমের প্যাডে লাগে। আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। তাতে ফল আসে স্বাগতিকদের পক্ষে। ১০১ রানে অলআউট হয় আইরিশরা।
ক্যারিয়ারের প্রথমবার ৫ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখান হাসান। তাসকিন ৩টি ও ইবাদত নিয়েছেন বাকি দুই উইকেট। এতে বেশ কয়েকটি নজির গড়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথমবার ইনিংসের সবকটি উইকেট নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করেছেন বাংলাদেশের পেসাররা। এর আগে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮টি উইকেট নিয়েছিলেন পেসাররা। ওয়ানডে ম্যাচে কোন বাংলাদেশের কোন স্পিনারের উইকেট না পাওয়ার প্রথম ঘটনা এটি। এমনকি এদিন বোলিংয়েই আসেন নি সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ড ওয়ানডে ১০ উইকেট
মন্তব্য করুন
আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজকে সামনে রেখে প্রধান কোচ হিসেবে মোহাম্মদ ইউসুফের নাম ঘোষণা করেছিলো পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তবে একদিন পার হতে না হতেই সুর পাল্টে ফেললো পিসিবি। মোহাম্মদ ইউসুফকে সরিয়ে হেড কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আব্দুর রহমানকে। ব্যাটিং কোচের দায়িত্বে বহাল রাখা হয় মোহাম্মদ ইউসুফকে। তবে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আফগান সিরিজ থেকে সরে দাড়িয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ।
আগামী ২৪ মার্চ থেকে দুবাইয়ের সারজাহতে আফগানিস্তানের সাথে তিন ম্যাচের টি-টোয়ান্টি সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। পাকিস্তানের বয়সভিত্তিক দলের পরামর্শক হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি আগে থেকেই পাকিস্তান জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ইউসুফ। তিনি সরে দাড়ানোয় ব্যাটিং কোচের দ্বায়িত্বও সামলাতে হবে রেহমানকে।
এর আগে, বুধবার সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে কথা বলেন প্রধান কোচের দ্বায়িত্ব পাওয়া আব্দুর রেহমান। সে সময় তিনি জানান, পাকিস্তানের সুপার লিগ-পিসিএলে দারুণ খেলেছেন ক্রিকেটাররা। দুর্দান্ত ফর্মে আছেন তারা। সেটি আফগানদের বিপক্ষে সিরিজেও ধরে রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। সেই সাথে দলের বোলিং লাইন-আপ নিয়ে সন্তুষ্টির কথাও বলেন নতুন কোচ।
মোহাম্মদ ইউসুফ ব্যাটিং কোচ পাকিস্তান ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন জার্মান তারকা মেসুত ওজিল। ক্যারিয়ারের একটা সময় সময় চোটের সাথে যুদ্ধ করতে হয়েছে তাকে। ইনজুরির কারণে এখন মাঠেও বেশ অনিয়মিত তিনি। ইনজুরির সাথে সংগ্রাম করতে করতে ক্লান্ত ওজিল তাই এবার নিজের বুট জোড়া তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন। নিজের ইনস্টাগ্রামের একাউন্ট থেকে এই খবর জানান ৩৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
সামাজিক মাধ্যমে দেয়া সে পোষ্টে তিনি জানান, ১৭ বছর সম্মানের সাথে পেশাদার ফুটবলের সাথে জড়িত ছিলেন তিনি। দীর্ঘ এই ক্যারিয়ারে পাশে থাকার জন্য সতীর্থ, বন্ধু ও পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। তবে ইনজুরির কারণে বারবার পেশাদার ফুটবল থেকে ছিটকে যাচ্ছিলেন তিনি। তাই সবকিছু ভেবেচিন্তে ফুটলবলের মঞ্চকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান ওজিল।
তাঁর ক্যারিয়ারের সাথে সম্পৃক্ত ক্লাবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ওজিল বলেন, দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারের সময়টা স্মরণীয় ও আবেগময় হয়ে থাকবে তাঁর জীবনে। শালকে ০৪, ওয়ের্ডের ব্রেমেন, রিয়াল মাদ্রিদ, আর্সেনাল, ফেনারবাখে, বাসাকসেহির মতো ক্লাবে খেলেছেন এই জার্মান ফুটবলার। এসময় ক্লাব, কোচ ও সতীর্থদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
২০০৯ সালে জার্মানির হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয় ওজিলের। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তবে ফেডারেশনের সাথে জটিলতা ও ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ জয়ের ব্যর্থতা নিয়ে জাতীয় দল থেকে বিদায় নেন ওজিল। জাতীয় দলের জার্সিতে না দেখা গেলেও চালিয়ে গেছেন ক্লাব ফুটবল। শালকের হয়ে ক্লাব ফুটবলে যুক্ত হন ২০০৬ সালে। দল পরিবর্তন করে চলে যান ব্রেমেনে। ২০১০ বিশ্বকাপের পর ওজিলকে দলে টেনে নেয় রিয়াল মাদ্রিদ। গ্যালাকটিকোদের হয়ে লা-লিগা ও স্প্যানিশ কাপ শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছেন। এরপর টানা ৮ বছর ছিলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল আর্সেনালে। ১৮৪ ম্যাচে ৩৩ গোল করেন আর্সেনালের হয়ে। পরে আর্সেনাল থেকে যোগ দেন তুরস্কের ক্লাব ফেনারবাখেতে। সর্বশেষ পাড়ি জমান ইস্তানবুল বাসাকসেহিরে। ২০২২-২৩ মৌসুমে ৭ ম্যাচ খেলে ক্যারিয়ারে ইতি টানল জার্মান এই তারকা।
মেসুত ওজিল অবসর ফুটবল জার্মান তারকা
মন্তব্য করুন
মাশরাফি-রুবেলরা এক সময় পেস বোলিংয়ের আশার আলো জাগিয়ে ছিলেন। তবে সময়ের সাথে সাথে সে আলো বাড়েনি, উল্টো স্তিমিত হয়েছে। অগ্রজদের নিভু নিভু হয়ে যাওয়া সেই আলো আবার জাগিয়ে তুলেছে বর্তমান সময়ের পেসাররা। সাদা বিদ্যুৎ খ্যাত সাবেক প্রোটিয়া ক্রিকেটার অ্যালান ডোনাল্ড বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের দ্বায়িত্ব নেয়ার পর রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছেন পেসাররা।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবথেকে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। কাড়ি কাড়ি টাকা আর নানা সুবিধার জন্য ক্রিকেটারদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে আইপিএল। অতীতে নানা সময়ে নানা চমক দেখিয়েছে টুর্নামেন্টটি। প্রতিযোগিতাটির ১৬তম আসর মাঠে গড়াবে আগামী ৩১ মার্চ থেকে। মাঠের লড়াইয়ে বেশ কিছু নতুন নিয়ম দেখা যাবে এবারের আইপিএলে।
আইরিশদের মাত্র ১০১ রানে আটকে রেখে মঞ্চটা আগেই প্রস্তুত করে দিয়েছিলেন বোলাররা। বাকি কাজটা সারলেন দুই ব্যাটসম্যান। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতেও রেকর্ডের খাতায় ওলট-পালট করলো বাংলাদেশ। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে তামিম ইকবালের দল। তাতে সিলেট সাক্ষী হলো আরেকটি প্রথমের। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে এটিই বাংলাদেশের প্রথমবার ১০ উইকেটের জয়।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজকে সামনে রেখে প্রধান কোচ হিসেবে মোহাম্মদ ইউসুফের নাম ঘোষণা করেছিলো পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তবে একদিন পার হতে না হতেই সুর পাল্টে ফেললো পিসিবি। মোহাম্মদ ইউসুফকে সরিয়ে হেড কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আব্দুর রহমানকে। ব্যাটিং কোচের দায়িত্বে বহাল রাখা হয় মোহাম্মদ ইউসুফকে। তবে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আফগান সিরিজ থেকে সরে দাড়িয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ।
ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন জার্মান তারকা মেসুত ওজিল। ক্যারিয়ারের একটা সময় সময় চোটের সাথে যুদ্ধ করতে হয়েছে তাকে। ইনজুরির কারণে এখন মাঠেও বেশ অনিয়মিত তিনি। ইনজুরির সাথে সংগ্রাম করতে করতে ক্লান্ত ওজিল তাই এবার নিজের বুট জোড়া তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন। নিজের ইনস্টাগ্রামের একাউন্ট থেকে এই খবর জানান ৩৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার।