মন্তব্য করুন
আয়ারল্যান্ডের
বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দুর্দান্তভাবে শেষ করেছে বাংলাদেশ দল। বৃষ্টির বাঁধায় দ্বিতীয় ওয়ানডে ভেসে গেলেও বাকি দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল টাইগাররা। ওয়ানডে মিশন শেষে এবার টাইগারদের লক্ষ্য টি-টোয়েন্টি সিরিজ
জয়ের। সোমবার (২৭ মার্চ) টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল। ম্যাচটি শুরু হবে স্থানীয় সময় দুপুর ২টায়।
টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগের দিন রবিবার (২৬ মার্চ) বদলে গেল আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে নিয়মিত অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নিকে। তার জায়গায় সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দেবেন পল স্টার্লিং। ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই খবর জানিয়েছে। এই সিরিজের স্টার্লিংয়ের ডেপুটি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কিপার-ব্যাটসম্যান লরকান টাকার।
১২১ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ৬টিতে অধিনায়কত্ব করেছেন স্টার্লিং। সব ঠিক থাকলে বাংলাদেশ সফর শেষে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৯-এ। তার নেতৃত্বে ২টিতে জয় পেয়েছে আইরিশরা, পরাজয় ৪ ম্যাচে। অধিনায়কত্বে পরিবর্তন ও বালবার্নির বিশ্রামের ব্যাপারে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট ও বাংলাদেশের বিপক্ষে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের সিরিজের কথা উল্লেখ করেন আয়ারল্যান্ডের প্রধান কোচ হাইনরিখ মালান।
তিনি বলেন, আসন্ন টেস্ট ও মে মাসে মহা গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বকাপ সুপার লিগের সিরিজের জন্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগামী মাসের ওয়ানডে সিরিজ থেকে বিশ্রাম নেওয়ার কথা ছিল অ্যান্ড্রুর (বালবার্নি)। এখন যেহেতু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের বদলে আরেকটি টেস্ট যুক্ত হয়েছে, তাই এই সে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে বিশ্রাম নেবে।”
আগামী মাসে শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে আয়ারল্যান্ড দল। গলে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হবে ১৬ এপ্রিল। একই মাঠে পরের ম্যাচ ২৪ এপ্রিল। এরপর ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে মে মাসের ৯ তারিখ থেকে বিশ্বকাপ সুপার লিগের সিরিজ খেলবে আইরিশরা।
আয়ারল্যান্ড টি-টোয়েন্টি দল: পল স্টার্লিং (অধিনায়ক), মার্ক অ্যাডায়ার, রস অ্যাডায়ার, কার্টিস ক্যাম্পার, গ্যারেথ ডেলানি, জর্জ ডকরেল, গ্রাহাম হিউম, ম্যাথু হামফ্রেজ, টম মায়েস, ফিওন হ্যান্ড, হ্যারি টেক্টর, লর্কান টাকার (সহ-অধিনায়ক), বেন হোয়াইট, ক্রেইগ ইয়াং।
মন্তব্য করুন
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজের আগেই ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে নিজেদের সেরা সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। আরেকটি সিরিজ সামনে রেখে তাই লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের কাছে প্রত্যাশার পারদ অনেক উচুতে সকলের। যদিও প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড কাগজে-কলমে ও শক্তি-সামর্থ্যে অনেকটাই পিছিয়ে বাংলাদেশের থেকে।
যে সংস্করণে বাংলাদেশ পায়ের নিচের মাটি খুঁজে পেতেই হিমশিম খাচ্ছিলো, সেই সংস্করণে এমন সাফল্য খানিকটা অবাক করে দেয়ার মতোই। তবে এতে কৃতিত্বের দাবিদার দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধান কোচের দায়িত্ব পাওয়া কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহের। পরিবর্তনটা চোখে পড়ার মতোই। ঘরের মাঠে উইকেটের সুবিধা নিয়ে অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ডের মতো দলকেও টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ হারিয়েছে বাংলাদেশ। তবে ইংলিশদের বিপক্ষে সেই সিরিজে তেমন কিছু দেখা যায়নি। উল্টো স্পোর্টিং উইকেটে খেলে দাপুটে পারফরম্যান্স দেখিয়েই জয় তুলে নিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। এমন সাফল্যের পেছনের কারণ কি?
বাংলাদেশ এখন ভালো উইকেটে খেলছে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট। ঘরের মাঠের স্পিননির্ভরতা থেকে সরে এসেছে। গতি দিয়ে দুমড়েমুচড়ে দিচ্ছে প্রতিপক্ষকে। ফিল্ডিংয়ে এসেছে উন্নতি। ক্রিকেটাররা খেলছে মন খুলে। যেন হারানোর ভয় নেই। পরিবর্তন এসেছে মানসিকতায়। দ্বিতীয় মেয়াদে দ্বায়িত্ব নিয়ে ড্রেসিংরুমে এই পরিবর্তনের ছোঁয়াতেই বদলে গেছে বাংলাদেশ দল।
আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজের আগে দলের পরিবর্তনের বিষয়ে এই মানসিকতার বদলকে- মূল কারণ হিসেবে ব্যাখা করেছেন হাথুরুসিংহে। লঙ্কান এই কোচের মতে, রাতারাতি ক্রিকেটারদের দক্ষতায় পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়, যেটা সম্ভব তা হলো মানসিকতার বদল। রক্ষণাত্মক মাসনিকতা ছেড়ে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার জন্য যে ‘মনস্তাত্ত্বিক নিরাপত্তা’ দরকার সেটির উপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।
সেই সাথে ক্রিকেটারদের চাপ মুক্ত হয়ে খেলার সুযোগের কথা বলেছেন হাথুরুসিংহে। সেরকম পরিবেশ তৈরি করতে পারলে, খেলোয়াড়রা ফলাফল কিংবা এর প্রভাবের ব্যাপারে চিন্তা না করে নিজের সেরাটা দিতে পারবে। আর সব মিলিয়ে এসব কারণেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ।
মাঠে আগ্রাসী ক্রিকেট বলতে শুধু মেরে খেলা নয়, সবদিক থেকেই বদল আনতে চায় বাংলাদেশ। সেটা দল নির্বাচন থেকে শুরু করে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং এবং মাঠে ক্রিকেটারদের শরীরী ভাষাতেও। মাঠে সে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে পারলে দলগত সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়তে থাকে। আইরিশদের বিপক্ষেও সেই পথেই হাঁটার লক্ষ্য বাংলাদেশ দলের।
বাংলাদেশ, আয়ারল্যান্ড, হাথুরুসিংহে, টি-টোয়েন্টি
মন্তব্য করুন
রোমাঞ্চকর এক ম্যাচের সাক্ষী হলো সেঞ্চুরিয়নের সুপার স্পোর্টস পার্কে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখতে আসা দর্শকরা। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে হেরে পিছিয়ে পড়েছিলো স্বাগতিকরা। তাতে ক্যারিবিয়ানদের সামনে ছিলো সিরিজ পকেটে পুড়ে নেয়ার হাতছানি। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে জনসন চার্লসের ঝড়ে সেঞ্চুরিতে সে পথে অনেকটা এগিয়েও গিয়েছিলো সফরকারিরা। তবে কুন্টন ডি ককের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিতে শেষ হাসি হেসেছে প্রোটিয়ারাই। ক্যারিবিয়ানদের ৬ উইকেটে হারিয়ে সমতা এনেছে সিরিজে।
নির্বাসন কাটিয়ে ছয় বছর পর গত বছরের অক্টোবরে দলে ফিরেছেন জনসন চার্লস। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ ও এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খুব একটা ভালো কাটেনি চার্লসের। তবে আজ যেন স্বরূপে দেখা গেলো এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে। ইনিংসের তৃতীয় বলে ব্রান্ডন কিংয়ের উইকেট হারালে ক্রিজে আসেন চার্লস। এরপর থেকেই ঝড় বইয়ে দেন প্রোটিয়া বোলারদের উপর। ক্রিস গেইলকে টপকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক এখন তিনি। প্রতিপক্ষের উপর তান্ডব চালিয়ে মাত্র ৩৯ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। আগের রেকর্ডটি ছিল ক্রিস গেইলের। ২০১৬ বিশ্বকাপে মুম্বাইয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন ইউনিভার্স বস।
অপর প্রান্তে থাকা কাইল মায়ার্সও তুলে নেন অর্ধশতক। আর শেষ দিকে রোমারিও শেফার্ড ও ওডেন স্মিথের ক্যামিওতে ৫ উইকেটে ২৫৮ রানের সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি করে চার্লস আউট হন ১১৮ রানে। ১০ চার ও ১১টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। তার চেয়ে কম বলে সেঞ্চুরি আছে তিনজনের। ডেভিড মিলার, রোহিত শর্মা ও সুদেশ বিক্রমাসেকারা- প্রত্যেকেই সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ৩৫ বলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়েও এটি টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ।
বড় টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার কুন্টন ডি কক ও রিজা হেনড্রিকস। ১৫২ রানের জুটিতে দলকে কক্ষপথে রাখেন দুজনে। ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে র্যামন রেইফারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ডি কক সাজঘরে ফিরলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। ৪৪ বলে ৯ চার ও ৮ ছয়ে ১০০ রান করেন ডি কক। রাইলি রুশো থিতু হতে না পারলেও হেনড্রিকস ২৮ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন প্রোটিয়াদের। মিলারও ফিরেছেন দ্রুতই।
তবে অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও হাইনরিখ ক্লাসেনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৭ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে হারের লজ্জা থেকে বাঁচার পাশাপাশি সিরিজ জয়ের সম্ভাবনাও বাচিয়ে রাখলো স্বাগতিকরা।
দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি
মন্তব্য করুন
ভারতীয় ক্রিকেটে এই মুহুর্তে আলোচিত এক নাম সরফরাজ খান। ঘরোয়া লিগে দুর্দান্ত খেলেও জাতীয় দলে জায়গা হয়নি এই খেলোয়াড়ের। রঞ্জি ট্রফিতে ৬ ম্যাচে তিন সেঞ্চুরিসহ ৫৫৬ রান করেছিলেন তিনি। এমন পারফর্ম্যান্সের পরেও তাকে উপেক্ষা করেই দল গঠন করা হয়। শারীরিক স্থুলতাকে যার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে টেস্ট স্কোয়াডে সরফরাজের নাম না আসায় নির্বাচকদের নিয়ে সমালোচনা করেছেন ভেঙ্কটেশ প্রসাদ, সুনীল গাভাসকরের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কড়া সমালোচনা করে গাভাস্কার বলেছিলেন, রোগা ও ছিপছিপে চেহারের কাউকে খুজলে ফ্যাশন শো থেকে ক্রিকেটার খুঁজে আনা উচিত বিসিসিআইয়ের। তবে তাতে পিছু হটেন নি সরফরাজ। নিজের ফিটনেস নিয়ে কাজ করে চলেছেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান। নিজেকে ফিট রাখতে প্রতিদিন রাত ২টায় অনুশীলন থেকে ফিরে আবার ভোর ৫টায় অনুশীলনে যাওয়া কথা জানান সরফরাজ।
আসন্ন আইপিএলকে সামনে রেখে প্রথমবারের মতো ফিটনেস নিয়ে কথা বলেন তিনি। সরফরাজ জানান, ক্রিকেটে ফিট থাকাটা খুব দরকার। এর জন্য অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন তিনি। সাধারণ দিনেই ছয় জন ভিন্ন বোলারের বিরুদ্ধে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যাটিং করে থাকেন। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সরফরাজ বলেন, ‘ফিটনেস সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। রঞ্জি ট্রফি খেলা শেষ করে রাত দুইটায় বাসায় গিয়ে আবার ভোর পাঁচটায় ফিরে আসছিলাম। দিল্লিতে সম্প্রতি ১৪ দিনের জন্য একটি ফিটনেস ক্যাম্পেইনে যুক্ত ছিলাম। আমার হাতে থাকা সবগুলো উপায়ে চেষ্টা করছি ফিট থাকার।’
দলে জায়গা না পেলেও নিজের ফর্ম নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে সরফরাজ বলেন,এখন যে ছন্দে আছেন তা দীর্ঘদিন ধরে রাখতেই মনোযোগী তিনি। নিজের ফর্ম ধরে রাখে আরও কিছুক্ষণ দলের জন্য অপেক্ষা করতে চান তিনি। সূর্যকুমার যাদবের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন সেও দেরিতে ডাক পেয়েছে এবং টানা ভালো ফর্মেও রয়েছে।
মন্তব্য করুন
ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের কাছে পাত্তাই পায়নি আয়ারল্যান্ড। পুরো সিরিজে একের পর এক রেকর্ড ভেঙেছে গড়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে রেকর্ড রানে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। তবে বৃষ্টিতে ভেসে যায় ম্যাচটি। আর শেষ ম্যাচে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার ১০ উইকেটে জয়ের স্বাদ পায় তামিম ইকবালের দল। বাংলাদেশের বিপক্ষে তাই টি-টোয়েন্টি সিরিজে কঠিন পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত আয়ারল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের বিপক্ষে ইতিবাচক ফলের প্রত্যাশা সফরকারিদের।
আর এমন প্রত্যাশার পেছনে আইরিশ কোচ আইনরিখ ম্যালান অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে আফগানদের জয়কে। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মলনে তিনি বলেন, যে সংস্করণ যত সংক্ষিপ্ত, সেখানে সব দলের সম্ভাবনাই তত বেশি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের রোমাঞ্চকর ব্যাপার এটিই। আর আমরাও দেখিয়েছি, এই সংস্করণে আমরা ভালো করতে পারি।’
সিলেটে ওয়ানডে সিরিজে বেশ ব্যাটিং-সহায়ক কন্ডিশন ছিল। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টির উইকেটকে আরও ফ্ল্যাট মনে করছেন ম্যালান। লড়াইয়ের আশা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আশা করি, কন্ডিশনের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারব। এখানে কী করতে হবে সে বিষয়ে ছেলেদের ভালো ধারণা আছে এখন। আশা করি, আমরা ভালো কিছুই করে দেখাতে পারব।’ সেই সাথে এই সিরিজ দিয়ে পল স্টার্লিং-হ্যারি টেক্টররাও রানে ফিরবেন বলে আশা করছেন ম্যালানের।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে হারানোর সুখস্মৃতি রয়েছে আয়ারল্যান্ডের। ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নটিংহামে মুখোমুখি প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশকে হারিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। ২০১২ সালে দেশের মাটিতে ৩ ম্যাচ সিরিজের সব কটিতেই অবশ্য হেরেছিল তারা। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুখোমুখি হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছিলো ম্যাচটি। মধ্যবর্তী সময়ে এই ফরম্যাটে আর দেখা হয়নি দুই দলের।
বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ড টি-টোয়েন্টি আইনরিখ ম্যালান
মন্তব্য করুন
১২১ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ৬টিতে অধিনায়কত্ব করেছেন স্টার্লিং। সব ঠিক থাকলে বাংলাদেশ সফর শেষে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৯-এ। তার নেতৃত্বে ২টিতে জয় পেয়েছে আইরিশরা, পরাজয় ৪ ম্যাচে। অধিনায়কত্বে পরিবর্তন ও বালবার্নির বিশ্রামের ব্যাপারে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট ও বাংলাদেশের বিপক্ষে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের সিরিজের কথা উল্লেখ করেন আয়ারল্যান্ডের প্রধান কোচ হাইনরিখ মালান।
যে সংস্করণে বাংলাদেশ পায়ের নিচের মাটি খুঁজে পেতেই হিমশিম খাচ্ছিলো, সেই সংস্করণে এমন সাফল্য খানিকটা অবাক করে দেয়ার মতোই। তবে এতে কৃতিত্বের দাবিদার দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধান কোচের দায়িত্ব পাওয়া কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহের। পরিবর্তনটা চোখে পড়ার মতোই। ঘরের মাঠে উইকেটের সুবিধা নিয়ে অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ডের মতো দলকেও টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ হারিয়েছে বাংলাদেশ। তবে ইংলিশদের বিপক্ষে সেই সিরিজে তেমন কিছু দেখা যায়নি। উল্টো স্পোর্টিং উইকেটে খেলে দাপুটে পারফরম্যান্স দেখিয়েই জয় তুলে নিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। এমন সাফল্যের পেছনের কারণ কি?
রোমাঞ্চকর এক ম্যাচের সাক্ষী হলো সেঞ্চুরিয়নের সুপার স্পোর্টস পার্কে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখতে আসা দর্শকরা। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে হেরে পিছিয়ে পড়েছিলো স্বাগতিকরা। তাতে ক্যারিবিয়ানদের সামনে ছিলো সিরিজ পকেটে পুড়ে নেয়ার হাতছানি। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে জনসন চার্লসের ঝড়ে সেঞ্চুরিতে সে পথে অনেকটা এগিয়েও গিয়েছিলো সফরকারিরা। তবে কুন্টন ডি ককের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিতে শেষ হাসি হেসেছে প্রোটিয়ারাই। ক্যারিবিয়ানদের ৬ উইকেটে হারিয়ে সমতা এনেছে সিরিজে।
ভারতীয় ক্রিকেটে এই মুহুর্তে আলোচিত এক নাম সরফরাজ খান। ঘরোয়া লিগে দুর্দান্ত খেলেও জাতীয় দলে জায়গা হয়নি এই খেলোয়াড়ের। রঞ্জি ট্রফিতে ৬ ম্যাচে তিন সেঞ্চুরিসহ ৫৫৬ রান করেছিলেন তিনি। এমন পারফর্ম্যান্সের পরেও তাকে উপেক্ষা করেই দল গঠন করা হয়। শারীরিক স্থুলতাকে যার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে টেস্ট স্কোয়াডে সরফরাজের নাম না আসায় নির্বাচকদের নিয়ে সমালোচনা করেছেন ভেঙ্কটেশ প্রসাদ, সুনীল গাভাসকরের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও।
ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের কাছে পাত্তাই পায়নি আয়ারল্যান্ড। পুরো সিরিজে একের পর এক রেকর্ড ভেঙেছে গড়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে রেকর্ড রানে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। তবে বৃষ্টিতে ভেসে যায় ম্যাচটি। আর শেষ ম্যাচে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার ১০ উইকেটে জয়ের স্বাদ পায় তামিম ইকবালের দল। বাংলাদেশের বিপক্ষে তাই টি-টোয়েন্টি সিরিজে কঠিন পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত আয়ারল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের বিপক্ষে ইতিবাচক ফলের প্রত্যাশা সফরকারিদের।