বাবা জোয়াও রামোস ডু নাসিমেন্টো নিজেও
ছিলেন ফুটবলার। আর তাঁর স্ত্রী সেলেস্তে আরান্তেস ছেলেকে ডাকতেন
ডিকো বলে। সেই ডাকনাম যে একদিন তলিয়ে যাবে স্মৃতির চোরাবালিতে, কেউ হয়তো জানতো না।
এমনকি, যে নামে সারা বিশ্ব তাকে চিনলো, তাও ছিল না তাঁর নাম। ভাস্কো দ্য গামার গোলকিপার
বিলে ছিলেন ছেলেবেলার হিরো। চেয়েছিলেন, স্কুলের বন্ধুরা বিলে নামেই ডাকুক। কিন্তু হললো
যে তাঁর উল্টোটা। বিলের বদলে পেলে নাম ধরে রাগাতে শুরু করল বন্ধুরা। কে জানতো, রাগানোর
জন্য ব্যবহার করা ওই নামই একদিন সোনালী অক্ষরে লিখতে হবে স্কুলের বন্ধুদের থেকে শুরু
করে সারা বিশ্বের? ফুটবল বিশ্বে চিরকাল অমর থেকে যাবেন! দারিদ্র, সাফল্য, স্বপ্নপূরণ,
ব্রাজিল, এমনকি ফুটবলও হয়ে যাবে পেলে নামের সমার্থক!
খেলার এই এক দারুণ মহিমা। কেউ কেউ মানুষের
হৃদয় ছাপিয়ে জায়গা পেয়ে যান খেলারই হৃদয়ে। প্রিয় ছাত্র কিংবদন্তি হয়ে কেউ কেউ ছাপিয়ে
যান খেলাটাকেই। যেমন ক্রিকেটে ডন ব্র্যাডম্যান কিংবা বক্সিংয়ে মোহম্মদ আলি। ফুটবলে তেমন পেলে। গ্যারিঞ্চা,
ভাভা, দিদারা এসেছেন। কিংবদন্তি হয়েছেন। ম্যারাডোনা, মেসি, রোনাল্ডোরা এসেছেন। কিংবদন্তি
হয়েছেন। কিন্তু পেলের নাম লেখা হয়েছে খেলার উর্ধ্বে। তাকে দেখার জন্য থেমে গিয়েছে যুদ্ধ।
মুছে গিয়েছে সামাজিক ভেদাভেদ। দুঃখ, যন্ত্রণা এমনকি প্রিয়জনের মৃত্যু ভুলেও ছুটে এসেছে
অগণিত মানুষ। জাতীয় সম্পদ ঘোষিত হয়েছেন। দেশের দুর্নীতি মুছতে ক্রীড়ামন্ত্রী বাছতে
হয়েছে তাঁকে। ফুটবল আসলে সেতু ছিল তাঁর। জীবন বদলের গানই শুনিয়েছেন পেলে।
তীব্র গতি, ভীষণ শক্তিশালী, ক্ষুরধার মস্তিষ্ক, পরিস্থিতি অনুযায়ী মুহূর্তেই নিজে গতিবিধি পাল্টে ফেলা, আকন্ঠ টিমম্যান- মাঠ ও মাঠের বাইরে পেলে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এই ক’টা শব্দই গত ষাট বছর ধরে ব্যবহার করেছেন ভক্ত থেকে বিশেষজ্ঞরা। বাবা পেশাদার খেলোয়াড় হলেও অসম্ভব দারিদ্র ঠেলে সাফল্যের এভারেস্টে উঠেছিলেন পেলে। একটি ফুটবল ম্যাচ খেলতে গিয়ে পা ভেঙে যায় বাবার। ছোট্ট পেলের কাছে তখন থেকেই দুনিয়া হয়ে গিয়েছিল অসংখ্য গোলকিপারে ঢাকা পড়া একটা গোলপোস্ট। পরিবারকে আর্থিক স্বচ্ছন্দ দেওয়া জন্য চায়ের দোকানে কাজ করতে হয়েছে ছেলেবেলায়। পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে বেছে নিয়েছিলেন এই পথ। সেই ছেলেবেলা থেকেই পেলে ছিলেন টিমম্যান। নিজে জিততে চেয়েছেন। জেতাতে চেয়েছেন টিমকে। পরিবারের ক্ষেত্রে, ব্রাজিলের ক্ষেত্রে সেই পেলেকেই বারবার চিনেছে বিশ্ব।
১১ বছর বয়সে ফুটবল সাম্রাজ্যে ঢুকে
পড়ার সুযোগ পেলেন পেলে। কিংবা বলা যায় ফুটবল পেয়ে গেলো তার সম্রাট! সে সময় ব্রাজিলের
অত্যন্ত নামী ফুটবলার ওয়াল্টার ডি’ব্রিটো ঞ্ছিলেন স্কাউটিংয়ের দায়িত্বে। নতুন প্রতিভা
তুলে আনার জন্য ব্রাজিলের অলি-গলি ঘুরছিলেন ব্রিটো। মিনাসের ছোট্ট শহর ত্রেস কোরাসোয়েসে
গিয়ে এক বিস্ময়কর প্রতিভার খোঁজ পেয়ে গেলেন তিনি। ১১ বছরের কিশোর। কিন্তু গোলটা চেনে
খুব ভালোভাবে। দুরন্ত ড্রিবল পায়ে। দু’পায়ে জোরালো শট। সবচেয়ে বড় কথা, ওই পুঁচকে ছেলের
আশ্চর্য জয়ের খিদে। ব্রিটো বুঝেছিলেন, ব্ল্যাক পার্ল খুঁজে পেয়েছেন তিনি। টানা দু’বছর
কোচিং দিলেন। ব্রিটোই রাজি করালেন বাবা-মা জোয়াও আর আরান্তেসকে। মাত্র ১৫ বছর বয়সে
সান্তোসে ট্রায়াল দিলেন পেলে। ট্রায়ালে দেখেই কোচ লুলা বুঝেছিলেন, এ ছেলে অনেক দূর
যাবে। ব্রিটো আর লুলার জন্য পেলেকে সই করাতে দেরি করেনি সান্তোস। সিনিয়র টিমের সঙ্গে
প্র্যাক্টিস করতে করতে ১৯৫৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর পেলে খেললেন তাঁর প্রথম পেশাদার ম্যাচ।
কোরিন্থিয়ান্সের বিরুদ্ধে সান্তোস জিতেছিলো ৭-১ ব্যাবধানে। অভিষেক ম্যাচে ৪ গোল করে
সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন পেলে। সান্তোসের সমর্থকরা, মিডিয়া এবং ব্রাজিলের ফুটবল ভক্তরা
জেনে গেলো, এক বিস্ময় বালকের আবির্ভাব হয়েছে।
আরও বছর খানেক পর আন্তর্জাতিক আঙিনায়
পা রাখবেন তিনি। সেটাও জুলাই মাসের এক ৭ তারিখ। পেলের অভিষেক ম্যাচের সাক্ষী থাকবে
ঠাসাঠাসি মারাকানো স্টেডিয়াম। সাক্ষী থাকবে আর্জেন্টিনা। ১৬ বছর ৯ মাস বয়সে ব্রাজিলের
হয়ে অভিষেক ম্যাচেই গোল করবেন পেলে। আর এক বছর পর, ১৯৫৮ সালে বিশ্বকাপ জিতবেন। ব্রাজিলের
প্রথম, নিজেরও।
তখনও সাবালক হননি পেলে। বয়স মাত্র ১৭।
১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে সুইডেনের বিরুদ্ধে শেষ গোলটা তারই। নিজেই বর্ণনা দিয়েছিলেন
ওই গোলের- খেলা শেষ হতে ১১ মিনিট বাকি। তখনই স্কোরলাইন ৩-১ করি। নিল্টনকে চেঁচিয়ে বলেছিলাম,
লম্বা সেন্টার পাঠাতে। বলটা বুকে নামিয়ে নিয়েছিলাম। সুইডেনের ডিফেন্ডার গুস্তাভসন এগিয়ে
আসছিলো। ওর মাথার উপর দিয়ে বলটা ফ্লিপ করে এগিয়ে যাই। তারপর, ভলিতে গোল… সেই শুরু।
পরের বিশ্বকাপটাও জিতবেন, জেতাবেন দেশকে। ১৯৭০ সালে আবার।
১৯৩০ সাল থেকে বিশ্বকাপের শুরু। তারও অনেক আগে যাত্রা শুরু ফুটবলের। বাস্কেটবল, ফর্মুলা ওয়ান, গল্ফ, ক্রিকেটের মতো খেলাগুলোকে কিভাবে পিছনের সারিতে ফেললো ফুটবল? সহজ উত্তর- পাঁচের দশকের শেষ দিকে পেলের মতো এক তারকার উত্থানে। ছয়ের দশক জুড়ে পেলের ধারাবাহিক সাফল্যের মাধ্যমে। পেলের আগে, পেলের সময়, পেলের সঙ্গে কি কেউ ছিলেন না? ছিলেন অনেকেই। কিন্তু কেউই পেলের মতো বর্ণময় চরিত্র ছিলেন না। সাফল্যে ভরপুর থাকতে পারেননি। ফুটবলকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি।
তখন ফুটবল চাইছে পেলেকে। আর ইউরোপিয়ান টিমগুলো খুঁজছে ব্রাজিলিয়ান তারকাকে। ১৯৬১ সালে ইংল্যান্ড, ইতালির বেশ কয়েকটা বড় টিম পেলের পিছনে ছুটছে টাকার থলি নিয়ে। পেলে যদি সান্তোস ছেড়ে চলে যান, দেশীয় ফুটবলের কী হবে? ওই ভাবনা থেকেই ব্রাজিলের সরকার পেলেকে জাতীয় সম্পদ ঘোষণা করে দিয়েছিল। তার অর্থ ছিল, পেলেকে টাকা দিয়ে কেনা যায় না! বিখ্যাত ইংলিশ ফুটবল সাংবাদিক লিখেছিলেন, দে স্তেফানো তৈরি হয়েছেন পৃথিবীতে। আর পেলে, তাঁকে তৈরি করেছেন ঈশ্বর!
১৯৬৯ সালের জানুয়ারি মাস। নাইজেরিয়ায়
ফুটবল ম্যাচ খেলতে চলেছে সান্তোস। দু’বছর ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে দেশটিতে। পুরো দেশ বারুদে
গন্ধে আচ্ছন্ন, বিপর্যস্ত। সান্তোস কি মাঠে নামতে পারবে? ব্রাজিলিয়ান ক্লাবের কর্তারাও
ছিলেন সন্দিহান। কিন্তু পেলে জানতেন, তিনি মাঠে নামবেন। হয়েও ছিলো তাই। পেলে নাইজেরিয়া
সফরে যাচ্ছেন বলে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। লাগোসের ক্লাবের বিরুদ্ধে পেলের মাঠে নামার
সময় গ্যালারি প্ল্যাকার্ডে, পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছিল— পেলে খেলতে নামছেন, শান্তি বজায়
রাখুন। ওই বছরই নভেম্বর মাসের মারাকানো দেখল এক আশ্চর্য ঘটনা। ঘরোয়া লিগের একটা ম্যাচ
খেলতে নেমে পেলে করেছিলেন তাঁর ক্যারিয়ারের হাজারতম গোল। স্টেডিয়াম থেকে কাতারে কাতারে
মানুষ নেমে পড়েছিলেন মাঠে। আধঘণ্টা ম্যাচ বন্ধ রাখতে হয়েছিল রেফারিকে। ১৯ নভেম্বর
পেলের জন্যই সান্তোসে শুরু হল ফুটবল দিবস পালন। সেই তিনিই কসমসে গিয়ে আমেরিকার রন্ধ্রে
ঢুকিয়ে দিলেন ফুটবল।
কেন পেলে কিংবন্তিরও উর্ধ্বে? কেন পেলে
ফুটবলের সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত? শুধু ফুটবল দিয়ে কেন মাপা যাবে না পেলেকে? মহানায়কের
মঞ্চে উঠে দাঁড়ানো পেলের জীবনের ছত্রে ছত্রে রয়ে গিয়েছে লড়াই। হারিয়ে যেতে যেতে ঘুরে
দাঁড়ানোর গল্প। আসলে আমজনতার দারিদ্রতার গল্পকে স্বপ্নের মোড়কে পেশ করেছিলেন পেলে।
চায়ের দোকানে কাজ করা একটা বাচ্চা ছেলের ফুটবল পায়ে দৌড়, গোলের সেলিব্রেশন, বিশ্বকাপে
চুম্বন আবেগে-অনুষঙ্গে ঢুকে পড়েছিল ব্রাজিলের, বিশ্বের। দুর্নীতি আক্রান্ত ব্রাজিল
সরকার তাঁকেই ক্রীড়ামন্ত্রী করত না, ইউনেসকো তাঁকে বিশ্বদূত হিসেবে পেশ করত না। এমনকি,
হলিউডের রুপালি পর্দা সিলভারস্টার স্ট্যালোনের পাশে দাঁড় করিয়ে দিত না পেলেকে!
আসলে পেলেই বেছে নিয়েছিলেন ফুটবলকে।
এই পৃথিবীর অসংখ্য স্টেডিয়াম, খেলার মাঠ, অগণিত ভক্ত, এই খেলাটাতে স্থায়ী ছাপ রেখে
যাওয়ার জন্য। একটা আস্ত পৃথিবী তৈরি করার জন্য। যে পৃথিবীর নাম— পেলে’জ় ওয়ার্ল্ড!
মন্তব্য করুন
চলতি মৌসুম শেষেই স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন জাভি হার্নান্দেজ। গত জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে এমনটা জানান তিনি। তার দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণার পর দুইমাস পেরিয়ে গেলেও তার উত্তরসূরি চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে এখনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই বার্সেলোনায়।
অনেকের ধারণা, জাভিকে আরও এক বছর থেকে যেতে বলবে বার্সেলোনার পরিচালনা পর্ষদ। বার্সেলোনার সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা মুন্দো দেপোর্তিভোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেনও। কিন্তু প্রস্তাব দেওয়া বা জাভির দিক থেকে পরের মৌসুমেও দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক আভাস পাওয়া যায়নি। বার্সেলোনার সংশ্লিষ্ট বিভাগকে তাই নতুন কোচ খোঁজার কাজটি চালিয়ে যেতে হচ্ছেই।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভো জানিয়েছে, বার্সেলোনার সম্ভাব্য কোচের তালিকা এখন ছোট হয়ে এসেছে। এর মধ্যে শীর্ষ নাম লুইস এনরিকে। বার্সেলোনার সাবেক এই কোচ এখন পিএসজির দায়িত্বে। আগামী ১৬ এপ্রিল চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগ খেলতে দল নিয়ে বার্সার মাঠে আসবেন তিনি।
৫৩ বছর বয়সী এনরিকের সঙ্গে পিএসজির চুক্তির মেয়াদও এক বছর বাকি। তবু জাভির অবর্তমানে বার্সেলোনা যদি কাউকে নিশ্চিন্তে দায়িত্ব দিতে চায়, সেটি এনরিকেই। সাবেক খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে এই ক্লাবকে তিনি বেশ ভালো করে চেনেন। বার্সেলোনার সংস্কৃতি, তরুণ ফুটবলার ও খেলার ধরন—কোনো কিছুই এনরিকের জন্য নতুন হবে না।
তবে অনেক সময়ই ঘুরে দাঁড়াতে নতুন পরিকল্পনা, নতুন মুখের দরকার হয়। এদিকে বাড়তি গুরুত্ব দিলে বার্সেলোনা কোচ করতে পারে হান্সি ফ্লিককে। বায়ার্ন মিউনিখ ও জার্মানির সাবেক এই কোচ এখন বেকার। বার্সেলোনার কোচ হতে তাঁর আগ্রহও আছে। ফ্লিকের যিনি এজেন্ট, সেই পিনি জাহাভি আবার বার্সেলোনার সভাপতি লাপোর্তার ভালো বন্ধু। সবচেয়ে বড় কথা বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ফ্লিকের সাফল্য (২ মৌসুমে ৭ ট্রফি) বার্সেলোনা পর্ষদকে ফ্লিকের ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলেছে।
শেষ পর্যন্ত ফ্লিক বা এনরিকের কেউ কোচ না হলে চমক হতে পারেন রাফায়েল মার্কেজ। বার্সেলোনার সাবেক এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার এখন বার্সেলোনা ‘বি’ দলের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। পেপ গার্দিওলা যেমন বার্সেলোনা মূল দল দিয়ে প্রথম সিনিয়র কোনো দলের কোচিং শুরু করেন, মার্কেজও হতে পারেন তেমন কেউ। তবে এই নাম তিনটির কোনোটিকেই হয়তো বার্সেলোনার ডাগআউটে দেখা যাবে না, যদি জাভি কাজ চালিয়ে যেতে সম্মত হন।
জাভি ও লাপোর্তা দুজনই বিশ্বাস করেন, চলতি মৌসুমে বার্সেলোনার এখনো কিছু একটা অর্জনের সুযোগ আছে। অন্তত শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকার সামর্থ্যও আছে দলটির। যদিও লা লিগায় বার্সা এখন শীর্ষে থাকা রিয়ালের চেয়ে ৮ পয়েন্ট পিছিয়ে। আর চ্যাম্পিয়নস লিগেও ফাইনালের দৌড়ে বার্সেলোনা ফেবারিট নয়। তবে জাভির বিদায় ঘোষণার পর দল যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সামনে ভালো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়েও দেওয়া যায় না।
বার্সালোনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল জাভি হার্নান্দেজ
মন্তব্য করুন
বিশ্বকাপ জেতার আনন্দে পুরো গ্যালারিভর্তি দর্শক এবং টিভি ক্যামেরার সামনে নারী ফুটবলারকে চুমু দেন স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। এই ঘটনার জেরে চাকরি হারানোর পর এবার বড় শাস্তি পেতে যাচ্ছেন সাবেক এই ফুটবল সংগঠক।
ফিফা নারী ফুটবল বিশ্বকাপের সবশেষ আসরের চ্যাম্পিয়ন স্পেন। গত বছরের ২২ আগস্ট ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়নের স্বাদ পায় স্প্যানিশ মেয়েরা। তবে শিরোপার মঞ্চে বিপত্তি ঘটান স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস।
হারমোসোকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে চুমু দিয়েই মূলত বিপাকে পড়েছেন রুবিয়ালেস। ঘটনার জেরে প্রথমে চাকরি হারান তিনি। বিষয়টি তদন্তের পর এবার বিচারের জন্য তোলা হয়েছে আদালতে। সেখানে দোষী সাব্যস্ত হলে কারাগারে যেতে হতে পারে তাকে।
রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের জন্য ১ বছর এবং জবরদস্তিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য ১৮ মাস বা দেড় বছর সাজা চেয়েছেন হারমোসোর আইনজীবী দুরান্তেজ। তিনি আরো দাবি করেছেন, হারমোসোকে ৫০ হাজার ইউরো (৫৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা) ক্ষতিপূরণও দিতে হবে রুবিয়ালেসকে।
মন্তব্য করুন
মহেন্দ্র সিং ধোনি। নামটি শুনলেই ক্রিকেটের সফলতম অধিনায়কত্বের কথা মাথায় আসে। তার অধিনায়কত্বে ভারত দুইটি বিশ্বকাপ পেয়েছে। তার তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তার জন্য তিনি ক্যাপ্টেন কুল নামেও পরিচিত। ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া আসর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (আইপিএল) তিনি সবচেয়ে সফলতম অধিনায়ক। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে জিতেছেন ৫টি শিরোপা।
কিন্তু এবার তিনি অধিনায়ক নন। এবার তরুণ খেলোয়াড় ঋতুরাজ গায়কোয়াডকে অধিনায়ত্ব দেওয়া হলেও মাঠে ধোনির রাজত্ব রয়েছেই। ফিল্ডার সাজানো থেকে শুরু করে বোলিং-ব্যাটিং পজিশন, সবখানেই ধোনির সংযুক্ততা রয়েছে তার। এমনকি নতুন অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াডকেও দেখা গেছে যেকোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে ধোনির সাথে আলোচনা করতে।
এবার আইপিএলে নতুন কৌশল রপ্ত করেছেন এই মাস্টারমাইন্ড। গত বছর থেকে চালু হয়েছে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের’ নিয়ম। এর ফলে কোনো দল ম্যাচ শুরুর আগে পাঁচজন বদলি খেলোয়াড়ের নাম জানাতে পারে। ম্যাচের যে কোনো সময় প্রথম একাদশে থাকা কোনো ক্রিকেটারের পরিবর্তে বদলি তালিকা থেকে কাউকে নামানো যায়। সেই নিয়মের সুবিধা কাজে লাগিয়েই ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে এত নীচে নামিয়ে এনেছেন চেন্নাইয়ের মাস্টারমাইন্ড মহেন্দ্র সিং ধোনি।
গত মঙ্গলবার গুজরাটের বিপক্ষে চেন্নাই দুশোর উপর রান তুলেছিল। সেই ম্যাচে চেন্নাইয়ের ছয় উইকেট পড়ে গেলেও ব্যাট করতে নামেননি ধোনি। এই বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেলেন তারই সাবেক সতীর্থ ও চেন্নাইয়ের ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি।
হাসি বলেন, ‘নিশ্চয়ই কোচ স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নির্দেশেই ওরা এ কাজ করেছে। ম্যাচটা আরো বেশি দূর টানার ইচ্ছে ছিল ওদের। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মের কারণে ওদের ব্যাটিং অর্ডার আরো লম্বা হয়েছে। ধোনি আট নম্বরে নামছে, যা কোনো দিন ভাবাই যেত না। অনুশীলনে ওকে দেখে ভালোই লেগেছে।’
নতুন নিয়মের কারণেই চেন্নাইয়ের খেলায় শুরু থেকে এত বেশি আক্রমণ বলে মনে করেন ধোনি। এই বিষয়ে বলেন, ‘ব্যাটিং অর্ডার লম্বা হওয়ার কারণে ওরা শুরু থেকে চালিয়ে খেলতে পারে। কোচ এবং অধিনায়কের সমর্থনও ওদের সঙ্গে রয়েছে। মারতে গিয়ে যদি আউটও হয় তাতেও পরোয়া নেই। ওদের কেউ সমালোচনা করবে। চেন্নাই এ ভাবেই আগ্রাসী খেলা চালিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।’
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশি আম্পায়ার আইসিসি শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত
মন্তব্য করুন
ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ভিন্ন সিরিজের পূর্ণাঙ্গ সূচি ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। আগামী নভেম্বরে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। এরপরেই ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে অজিরা। দীর্ঘ ৩৩ বছর পর পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে যাচ্ছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া।
সবশেষ ১৯৯৯ সালে ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর হোম-অ্যাওয়েতে ১১টি চার ম্যাচের, তিনটি তিন ম্যাচের এবং একটি করে এক ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া।
পার্থের নতুন ভেন্যুতে আগামী ২২ নভেম্বর থেকে বোর্ডার-গাভাস্কার টেস্ট সিরিজ শুরু করবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। আগামী ৬ ডিসেম্বর গোলাপি বলে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া।
এরপর ব্রিজবেনে ১৪ ডিসেম্বর থেকে তৃতীয় খেলতে নামবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। ২৬ ডিসেম্বর বক্সিং ডে’তে সিরিজে চতুর্থ টেস্ট খেলবে দু’দল। ঐতিহ্যবাহী বক্সিং ডে টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। আগামী বছরের শুরুতে ৩ জানুয়ারি সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্টে লড়বে দু’দল।
অস্ট্রেলিয়া ভারত পাকিস্তান ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
মহেন্দ্র সিং ধোনি। নামটি শুনলেই ক্রিকেটের সফলতম অধিনায়কত্বের কথা মাথায় আসে। তার অধিনায়কত্বে ভারত দুইটি বিশ্বকাপ পেয়েছে। তার তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তার জন্য তিনি ক্যাপ্টেন কুল নামেও পরিচিত। ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া আসর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (আইপিএল) তিনি সবচেয়ে সফলতম অধিনায়ক। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে জিতেছেন ৫টি শিরোপা।
ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ভিন্ন সিরিজের পূর্ণাঙ্গ সূচি ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। আগামী নভেম্বরে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। এরপরেই ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে অজিরা। দীর্ঘ ৩৩ বছর পর পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে যাচ্ছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া।