কাতার বিশ্বকাপ জয়ের সবে মাত্র মাস পেরিয়েছে আর্জেন্টাইনদের। বিশ্বকাপ জয়ের আমেজ কাটতে না কাটতে দেশকে লজ্জা উপহার দিলেন জুনিয়র আর্জেন্টাইনরা। অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের যোগ্যতাই অর্জন করতে পারলো না দেশটির জুনিয়র ফুটবলাররা। গতকাল রাতে কলম্বিয়ার কাছে হেরে যায় লিওনেল মেসির উত্তরসূরিরা। গ্রুপের ৪র্থ স্থানে শেষ করায় আসন্ন অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি দেশটি।
বিশ্বকাপ বাচাই পর্বের গ্রুপ ‘এ’-তে ছিল আর্জেন্টিনা। সেই গ্রুপ থেকে যোগ্যতা অর্জন করেছে তিনটি দল ব্রাজিল,
কলম্বিয়া ও প্যারাগুয়ে। এ তিন দেশের কাছেই আবার হেরেছে আর্জেন্টিনা। একমাত্র জয় পেয়েছে পেরুর সাথে। তাই এই গ্রুপ থেকে বাদ পড়েছে পেরুও আর্জেন্টিনা। অপর গ্রুপ থেকে যোগ্যতা অর্জন করেছে উরুগুয়ে।
দক্ষিণ আমেরিকা থেকে মোট চারটি দেশ সুযোগ পাবে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করার। সে হিসেবে ব্রাজিল, কলম্বিয়া, উরুগুয়ে, ও প্যারাগুয়ে নিশ্চিত করছে বিশ্বকাপ অংশগ্রহণ। অন্যদিকে ২০১৩ সালের পর বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ দল।
গতকালকে কলম্বিয়ার সাথে অনেকগুলো সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি আর্জেন্টিনা। কলম্বিয়াকে হারাতে পারলেই বিশ্বকাপ টিকেট নিশ্চিত হত আর্জেন্টাইনদের। কলম্বিয়ার জুয়ান ডেভিড ফুয়েন্তেসের কাছে স্বপ্ন ভঙ্গ হয় দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির। কারণ কলম্বিয়ার হয়ে একমাত্র জয় সূচক গোলটি করেন জুয়ান।
আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ অনূর্ধ্ব-২০
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
তিন ষ্টারবিশিষ্ট জার্সি গায়ে প্রথমদিনেই জয়ের দেখা পেল আর্জেন্টিনা। শুক্রবার সকালে ঘরের মাঠ মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে পানামার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ২-০ গোলে সহজ জয় পায় মেসি বাহিনীরা। ম্যাচের শেষ মুহুর্তে দুর্দান্ত ফ্রি-কিকের গোলে ইতিহাস গড়েন মেসি। সেই গোল দিয়ে ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৮০০ গোলের মাইলফলকের দেখা পান ফুটবলের এই কিংবদন্তি। জাতীয় দলের হয়ে গোলের সেঞ্চুরির মাইলফলক ছুঁতে মেসির দরকার আর মাত্র একটি গোল।
পানামার বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধের পুরো সময়টা বল নিয়ে দাপট দেখালেও গোলের দেখা পাচ্ছিলো না বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের ১৬মিনিটের মাথায় মেসিকে বিপজ্জনক ফাউল করে হলুদ কার্ডের দেখা পান পানামার ডিফেন্ডার গালভান। তবে মেসির সেই ফ্রি-কিক সরাসরি গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসায় অল্পের জন্য গোলের সুযোগ মিস হয় মেসির। ৩৬ তম মিনিটে বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে যায় মেসি। তবে পানামার ডিফেন্ডারের জন্য ক্লিয়ার শট করার সুযোগ তৈরি করতে পারেন নি। এরপর একের পর এক আক্রমণ করেও বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ৭তম মিনিটে ঝাঁপিয়ে পড়ে মেসির ফ্রি-কিক ফেরান পানামার গোলরক্ষক। সেই ফ্রি-কিকের ২৪মিনিট পর আবার ফ্রি-কিক পান মেসি। সেই ফ্রি-কিকে গোলাপোস্টে লেগে ফিরে এলেও তা জালে দিতে ভুল করেননি বদলি খেলোয়াড় আলমাদা। এরপর নির্ধারিত সময়ের বাকি যখন এক মিনিট, তখন ফ্রি-কিকের গোলে ৮০০ তম গোলের মাইল ফলক স্পর্শ করেন আর্জেন্টাইন তারকা। পুরো ক্যারিয়ারে ১০১৭ ম্যাচ খেলে ৮০০ গোল করেন মেসি। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে মেসির গোলের সংখ্যা ৯৯টি। সেই ম্যাচে আরও একটি গোলের দেখা পেলে জাতীয় দলের হয়ে ১০০ গোলের আরও একটি মাইল ফলকের দেখা পেত মেসি।
মন্তব্য করুন
স্পিনারদের দেশ, স্পিন আক্রমণই বোলিংয়ের মূল ভরসা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু হওয়ার পর থেকে স্পিন আক্রমণের জন্য আলাদা পরিচিতি পেয়েছে বাংলাদেশ। মোহাম্মাদ রফিক, মানজারুল ইসলাম রানা, আব্দুর রাজ্জাকরা নিজেদের স্পিন ঘূর্ণিতে ঘায়েল করেছেন বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানদের। উপমহাদেশের স্পিন সহায়ক কন্ডিশন ও উইকেটে স্পিনাররা পার্থক্য গড়ে দেন ম্যাচের। বাংলাদেশও ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মত বড় দলকে হারিয়েছে এই ঘূর্ণির পাকে ফেলে। তাই বলাই যায় বাংলাদেশের বোলিংয়ের বড় অস্ত্র এই স্পিন। সেই দলই কি না পেস বোলিংয়ে বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছে। অবিশ্বাস্য মনে হলেও তাসকিন আহমেদ-ইবাদতদের হাত ধরে নতুন দিনের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ।
মাশরাফি-রুবেলরা এক সময় পেস বোলিংয়ের আশার আলো জাগিয়ে ছিলেন। তবে সময়ের সাথে সাথে সে আলো বাড়েনি, উল্টো স্তিমিত হয়েছে। অগ্রজদের নিভু নিভু হয়ে যাওয়া সেই আলো আবার জাগিয়ে তুলেছে বর্তমান সময়ের পেসাররা। সাদা বিদ্যুৎ খ্যাত সাবেক প্রোটিয়া ক্রিকেটার অ্যালান ডোনাল্ড বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের দ্বায়িত্ব নেয়ার পর রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছেন পেসাররা। একের পর এক ম্যাচে পারফর্ম্যান্স দিয়ে নজর কেড়েছেন, এনে দিচ্ছেন জয়। তাতে একদিকে স্পিনারদের উপর নির্ভরশীলতা মাত্রা যেমন কমেছে, তেমনি বোলিং আক্রমণেও এসেছে বৈচিত্র।
দ্বায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশের পেসারদের মানসিকতায় পরিবর্তন এনেছেন অ্যালান ডোনাল্ড। ২০২১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর দিয়ে বাংলাদেশ অধ্যায় শুরু করেছিলেন ডোনাল্ড। সেই সিরিজে পেস বোলিংয়ের নতুন দিনের গল্প লিখেছিলেন তাসকিন আহমেদ। প্রোটিয়াদের ওয়ানডে সিরিজ হারিয়েছে তাদের মাটিতেই। গতি আর সুইংয়ের পসরা বসিয়ে সিরিজ সেরা হয়েছিলেন তাসকিন। এক সময় গতিই ছিলো যার ভরসা, সেই তাসকিনের বোলিং আমূল পরিবর্তন করে তাকে পরিণত করেছেন বৈচিত্রময় এক বোলারে।
টেস্ট বোলারের খেতাব গায়ে সেঁটে গিয়েছিলো ইবাদত হোসেনের। বোলিংও ছিলো খুবই সাদামাটা। সেই ইবাদত এখন হয়ে উঠেছেন পেস বোলিংয়ের অন্যতম ভরসার নাম। তরুণ শরিফুল ইসলাম এবং হাসান মাহমুদের ভয়ডরহীন বোলিংয়ের পেছনেও কৃতিত্ব এই প্রোটিয়া কোচের। আরেক পেসার খালেদ আহমেদের বোলিংয়ে দৃশ্যমান বদল এসেছে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেয়ার পাশাপাশি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার মতো সামর্থ্য তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের পেস বোলিং বিভাগের। বর্তমানে জাতীয় দলের সাথে থাকা পেসারদের মধ্যে একমাত্র মুস্তাফিজুর রহমানও নিজেকে এখনো আগের রূপে ফেরাতে পারেন নি। তবে সময়ের সাথে সাথে সে প্রত্যাশা তিনি মেটাবেন এমন আশা করাটা বাড়াবাড়ি কিছু নয়।
আয়ারল্যান্ডকে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ১০ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবার কোন ম্যাচে সবগুলো উইকেট ভাগাভাগি করেছে পেসাররা। তাতে পেস বোলিংয়ে সুদিন ফেরার পালে বেশ জোর হাওয়া লেগেছে। এখন পর্যন্ত ৪০৯টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। তাতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৮টি উইকেট নিয়েছেন পেসাররা। এমন ঘটনা ঘটেছে মোট ১২ বার। কিন্তু স্পিনাররা ম্যাচে কোন উইকেট পাননি- এমন নজির এই প্রথম। এমনকি এই ম্যাচে স্পিনাররা হাত ঘুরিয়েছেন মাত্র ৪ ওভার। বোলিংয়ের আনাই হয়নি সাকিব আল হাসানকে। এমন সাফল্যের পর পেসারদের নিয়ে স্বপ্নটা দেখলে তাতে দোষের কিছু নেই। চলতি বছরের শেষে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। স্পিনারদের পাশাপাশি পেসারদের এমন দাপটে বিশ্বকাপে ভাল কিছুর প্রত্যাশা করতেই পারে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ, অ্যালান ডোনাল্ড, পেস বোলিং, বিশ্বকাপ
মন্তব্য করুন
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবথেকে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। কাড়ি কাড়ি টাকা আর নানা সুবিধার জন্য ক্রিকেটারদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে আইপিএল। অতীতে নানা সময়ে নানা চমক দেখিয়েছে টুর্নামেন্টটি। প্রতিযোগিতাটির ১৬তম আসর মাঠে গড়াবে আগামী ৩১ মার্চ থেকে। মাঠের লড়াইয়ে বেশ কিছু নতুন নিয়ম দেখা যাবে এবারের আইপিএলে।
ফুটবলের শীর্ষ প্রতিযোগিতাগুলো আয়োজিত হয় হোম-অ্যাওয়ে ফরম্যাটে। ক্রিকেটে সেটি নিয়মিতভাবে চোখে পড়ে না খুব একটা। তবে আসন্ন আইপিএলে এবার ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই পদ্ধতিতে। দলগুলো কোন একটি ভেন্যুকে নিজেদের মাঠ হিসেবে ব্যবহার করবেন। মুখোমুখি লড়াইয়ে প্রথম হোম ভেন্যুতে হলে পরের ম্যাচটি হবে প্রতিপক্ষের মাঠে। এছাড়াও আরো নতুন তিনটি নিয়মের প্রবর্তন হতে চলেছে আইপিএলে।
ক্রিকেটের যেকোনো ফরম্যাটেই টসের আগে একাদশ ঘোষণা করে দলগুলো। তবে এবার আইপিএলে টসের আগে একাদশ ঘোষণা করার প্রয়োজন নেই দলগুলোর। টসের সময় আলাদা আলাদা দুটি তালিকা নিয়ে মাঠে নামতে পারবেন দুই দলের অধিনায়ক। টসের পরে পছন্দের তালিকা একে অপরকে দেবেন অধিনায়কেরা। মূল একাদশের সাথে অতিরিক্ত ৪ জন ক্রিকেটারকে তালিকায় রাখতে পারবে দলগুলো। এতে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুবিধা পাবে দলগুলো- এমনটাই যুক্তি আইপিএলের নীতি নির্ধারকদের। তবে কোন দলই মাঠে ৪ জনের বেশি বিদেশী ক্রিকেটার নামাতে পারবেন না।
এবার স্লো ওভার রেটের নীতিতেও পরিবর্তন আসছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওভার শেষ করতে না পারলে জরিমানার মুখে পড়েন অধিনায়ক। কিন্তু আবার আইপিএলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওভার শেষ করতে না পরলে বাড়তি সুবিধা পাবে ব্যাটিং দল। শাস্তি হিসেবে ৩০ গজের সীমানার বাইরে ৫ জনের পরিবর্তে ৪ জনকে রাখতে হবে।
সেই সাথে ফিল্ডিংয়ের সময় উইকেটরক্ষক কিংবা কোন ফিল্ডার নিয়ম বহির্ভূত নড়াচড়া করলে ব্যাটিং দলের রানের খাতায় যুক্ত হবে ৫ রান। রান যুক্ত হওয়ার সাথে সেই বলটিকে গণ্য করা হবে ডেড বল হিসেবে।
মন্তব্য করুন
তিন ষ্টারবিশিষ্ট জার্সি গায়ে প্রথমদিনেই জয়ের দেখা পেল আর্জেন্টিনা। শুক্রবার সকালে ঘরের মাঠ মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে পানামার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ২-০ গোলে সহজ জয় পায় মেসি বাহিনীরা। ম্যাচের শেষ মুহুর্তে দুর্দান্ত ফ্রি-কিকের গোলে ইতিহাস গড়েন মেসি। সেই গোল দিয়ে ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৮০০ গোলের মাইলফলকের দেখা পান ফুটবলের এই কিংবদন্তি। জাতীয় দলের হয়ে গোলের সেঞ্চুরির মাইলফলক ছুঁতে মেসির দরকার আর মাত্র একটি গোল।
মাশরাফি-রুবেলরা এক সময় পেস বোলিংয়ের আশার আলো জাগিয়ে ছিলেন। তবে সময়ের সাথে সাথে সে আলো বাড়েনি, উল্টো স্তিমিত হয়েছে। অগ্রজদের নিভু নিভু হয়ে যাওয়া সেই আলো আবার জাগিয়ে তুলেছে বর্তমান সময়ের পেসাররা। সাদা বিদ্যুৎ খ্যাত সাবেক প্রোটিয়া ক্রিকেটার অ্যালান ডোনাল্ড বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের দ্বায়িত্ব নেয়ার পর রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছেন পেসাররা।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবথেকে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। কাড়ি কাড়ি টাকা আর নানা সুবিধার জন্য ক্রিকেটারদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে আইপিএল। অতীতে নানা সময়ে নানা চমক দেখিয়েছে টুর্নামেন্টটি। প্রতিযোগিতাটির ১৬তম আসর মাঠে গড়াবে আগামী ৩১ মার্চ থেকে। মাঠের লড়াইয়ে বেশ কিছু নতুন নিয়ম দেখা যাবে এবারের আইপিএলে।