ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিবর্ণ চট্টগ্রামের বিপক্ষে দাপুটে জয় কুমিল্লার

প্রকাশ: ০৫:৩৮ পিএম, ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

বিপিএল ক্রিকেটে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, যা দলটির টানা সপ্তম জয়। এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলেও নিজেদের অবস্থান শক্ত করলো বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এবারের বিপিএলের শুরুটা খুব বাজে হলেও দারুণভাবে ঘুরে দাড়িয়ে শিরোপার অন্যতম দাবিদার হয়ে উঠেছে ইমরুল কায়েসের দল। টুর্নামেন্টে এটি ছিলো দুই দলেরই ১০ম ম্যাচ। আগেই প্লে-অফ পর্বে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। আর টুর্নামেন্ট থেকে চট্টগ্রাম ছিটকে যাওয়ায় তাদের জন্য ম্যাচটি আনুষ্ঠানিকতার হলেও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে দুইয়ে থেকে প্রাথমিক পর্ব শেষ করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নেমেছিলো কুমিল্লা।

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে কুমিল্লার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম অধিনায়ক শুভাগত হোম চৌধুরি।

তবে শুরুটা খুব একটা ভাল হয়নি দলটির। রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারায় চ্যালেঞ্জার্স। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ওপেনার মেহেদী মারুফকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তানভীর ইসলাম। এক ওভার পর আবারো আঘাত হানেন তানভীর। এবার এই স্পিনারের শিকার খাজা নাফে। লফটেড শট খেলতে গিয়ে ব্যাট-বলে করতে পারেন নি এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। সহজ ক্যাচ নেন সৈকত আলী। মাত্র ৬ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। 

শুরুর ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন উসমান খান ও আফিফ হোসেন। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ওভারপ্রতি ৫ গড়ে ৩০ রান তোলে দলটি। তৃতীয় উইকেটে ৮৮ রানের জুটি গড়েন উসমান ও আফিফ। অর্ধশতক তুলে নেন উসমান। তবে এরপরই সৈকত আলীর বলে জনসন চার্লসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ৪টি চার ও ৩ ছয়ে ৪১ বলে করেন ৫২ রান। দলকে বড় সংগ্রহের আশা দেখাতে থাকেন আফিফ ও অধিনায়ক শুভাগত হোম। 

তবে দলীয় ১২৯ রানে ১৭তম ওভারের শেষ বলে রান আউটে কাঁটা পড়েন শুভাগত। পরের ওভারের প্রথম বলে আইরিশ অলরাউন্ডার কার্টিস ক্যাম্ফারও অধিনায়কের পথে হাঁটেন। আর পঞ্চম বলে জিয়াউর রহমান ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরলে রান তোলার গতি কমে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। একপ্রান্ত আগলে রেখে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন আফিফ হোসেন। ইনিংসের শেষ ওভারে হাসান আলীর শিকারে পরিণত হন আফিফ। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৬৬ রান। ৪৯ বলে ৬টি চার ও ২টি ছয়ে সাজান নিজের ইনিংস। তবে দারউইস রাসুলির ২১ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভাল সংগ্রহই পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে দলটির সংগ্রহ দাড়ায় ৭ উইকেটে ১৫৬ রান। দুটি করে উইকেট নেন তানভীর ইসলাম ও হাসান আলী।

আগের ম্যাচে হাতে চোট পাওয়ায় এদিন দলে ছিলেন না লিটন দাস। তবে চট্টগ্রামের দেয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আত্নবিশ্বাসের ছাপ রাখছিলেন দুই ওপেনার সৈকত আলী ও মোহাম্মাদ রিজওয়ান। তবে ২০ রানে সৈকতকে সাজঘরে ফেরান মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি। ক্রিজে এসে দ্রুত আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে থাকেন ইমরুল কায়েস। তবে জিয়াউর রহমানের একটি বুদ্ধিদীপ্ত ডেলিভারিতে পরাস্ত হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ইমরুল। দলীয় ৫৭ রানে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান জনসন চার্লসকেও ফেরান জিয়া। কিন্তু কুমিল্লার আশার আলো হয়ে ছিলেন মোহাম্মাদ রিজওয়ান। তুলে নেন আসরের চতুর্থ অর্ধশতক।

মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে ৫২ বলে ৭৬ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান রিজওয়ান। ১৩৩ রানে মৃত্যুঞ্জয়ের বলে আউট হন রিজওয়ান। ৪৭ বলে করেন ৬১ রান। বাকি পথটা জাকের আলীকে নিয়ে অনায়াসে পাড়ি দিয়েছেন মোসাদ্দেক। এক ওভার হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় কুমিল্লা। ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক।

চট্টগ্রামের বিপক্ষে জয়ের ফলে ১০ ম্যাচে ৭টি করে জয়ে সমান ১৪ পয়েন্ট ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। তবে রান রেটে এগিয়ে থাকায় দুইয়ে অবস্থান করছে বরিশাল আর তিনে কুমিল্লা।


বিপিএল   কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স   চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স   মিরপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আবারও পাকিস্তানের নেতৃত্বে বাবর!

প্রকাশ: ০২:০৭ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়া গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর ব্যর্থতার দায় নিয়ে নেতৃত্ব ছাড়তে হয়েছিল বাবরকে আজম। আর টেস্ট থেকে নিজেই সরে দাঁড়িয়েছিলেন। সে শূন্যতা পূরণে টেস্টে শান মাসুদ ও টি-টোয়েন্টিতে শাহীন শাহ আফ্রিদিকে নতুন অধিনায়ক ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

তবে নতুন খবর হলো এক সিরিজ শেষেই অধিনায়কত্বের অধ্যায় আপাতত শেষ হচ্ছে শাহিন শাহ আফ্রিদির। পুনরায় অধিনায়কত্ব ফিরে পাচ্ছেন বাবর।

জানা গেছে, নতুন নির্বাচক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই বাবর আজমকে পুনরায় অধিনায়কত্বের গুরু দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। বোর্ডের সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি জিও নিউজের। আসন্ন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়েই নেতৃত্বে ফিরবেন বাবর।

বিশ্ব ক্রিকেটে ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ হিসেবে পরিচিতি আছে পাকিস্তানের। কখনো জেতা ম্যাচ যেমন হেরে বসে থাকে, আবার নিশ্চিত হারের ম্যাচেও অবিশ্বাস্যভাবে জিতে যায় কখনো কখনো। ক্রিকেটারদের মতো দেশটির ক্রিকেট বোর্ডেও কখন কী হয় কেউ জানে না। পিসিবির খোদ চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে নির্বাচক কিংবা কোচ কারও পদই টেকসই বলা যায় না। গেল কয়েক মাসের কথাই ধরা যাক, বারবার রদবদল এসেছে পিসিবির বিভিন্ন পদে।

গত বছর ভারতে আয়োজিত বিশ্বকাপে বাবরের নেতৃত্বেই খেলেছিল পাকিস্তান। কিন্তু খারাপ পারফরম্যান্সের জেরে গ্রুপপর্ব থেকেই ছিটকে যায় ম্যান ইন গ্রিনরা। সমর্থক তথা বোর্ডের তীব্র সমালোচনার মুখেও পড়তে হয় তাকে। এরপরই সব ফরম্যাটের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ান বাবর। ফলে নতুন অধিনায়কের খোঁজ শুরু করে পিসিবি। ঠিক হয়, ওয়ানডে ও টেস্টে শান মাসুদ এবং টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দেবেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।

দেশটির গণমাধ্যমের খবর, কয়েক মাসেই নাকি নতুন অধিনায়কদের নিয়ে পিসিবির মোহভঙ্গ হয়েছে! আবারও নাকি বাবরেই ভরসা রাখতে চাইছে পিসিবি। এবার সেটি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তই নিয়ে ফেলল মহসিন নকভীর নেতৃত্বাধীন বোর্ড। কিউই সিরিজ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে কাকুলে ট্রেনিং করছে ক্রিকেটাররা। সেখানেই অধিনায়ক হিসেবে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে বাবরের।


পাকিস্তান   বাবর আজম   শাহীন আফ্রিদি   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

শারীরিকভাবে অসুস্থ পরাগ ‘ব্যথা’ দিলেন দিল্লিকে

প্রকাশ: ১২:১৭ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ক্রিকেটকে ভালোবাসেনা এমন ভারতীয় ভক্ত-সমর্থক খুঁজে পাওয়া বিরল। তবে শুধু সমর্থক বা ভক্তই নয়, ক্রিকেটের জন্য নিজের জীবন বাজী রাখতে পারেন ভারতে এমন ক্রিকেটারও অনেক রয়েছে। তেমনই একজন রিয়ান পরাগ।

২০২৩ আইপিএলে ৭ ইনিংসে ৭৮ রান। ১৩ ব্যাটিং গড়ে স্ট্রাইকরেট ১১৮.১৮। আগের বছর নিলামে ৩ কোটি ৮০ লাখ রুপিতে কেনার পর রিয়ান পরাগের কাছে মোটেও এমন পারফরম্যান্স আশা করেনি রাজস্থান রয়্যালস। এবার আইপিএলে দুই ইনিংসে পরাগের রান ১২৭। স্ট্রাইকরেট ১৭১.৬২। এর মধ্যে গতকাল জয়পুরে কঠিন উইকেটে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো ৪৫ বলে অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংসও আছে। টি-টোয়েন্টিতে এটাই পরাগের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।

২২ বছর বয়সী পরাগ নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করেই এবার আইপিএলে ভালো শুরু পেয়েছেন। এ মৌসুমে ভারতের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে সর্বোচ্চ ৫১০ রান (১০ ইনিংস) এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। ৮৫ ব্যাটিং গড়ে স্ট্রাইকরেট ১৮৩ এর কাছাকাছি। আর এই পথে টানা সাতটি ফিফটি তুলে নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে গড়েছেন টানা সর্বোচ্চ ইনিংসে ফিফটির রেকর্ডও।

গতকাল ম্যাচ শেষে পরাগ জানিয়েছেন, তার এই পাল্টে যাওয়ার পেছনে রয়েছে প্রচুর অনুশীলন। তিনি বলেন ‘কে বল করছে সেটা নয়, কী বল করছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ, আর সেগুলোই বেশি বেশি অনুশীলন করেছি। আজ (গতকাল) তার কিছু কাজে লাগাতে পেরেছি।’

পরাগ কেমন কাজে লাগিয়েছেন, তার একটা ছোট্ট উদাহরণ হচ্ছে রাজস্থান রয়্যালসের ইনিংসে শেষ ওভারটা। বোলিংয়ে ছিলেন দিল্লির পেসার আনরিখ নর্কিয়া। বিশ্বের অন্যতম গতিময় এই পেসারের কাছ থেকে পরাগ একাই তুলেছেন ২৫ রান। অথচ শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থও ছিলেন না। আগের তিন দিন বিছানায় পড়েছিলেন। ম্যাচের দিন সকালে ব্যথানাশক ওষুধ (পেইন কিলার) খেয়ে ম্যাচটা খেলতে নেমেছিলেন।

কিন্তু মাঠে দেখা গেল পরাগের উইলো-বাজিতে হারের ব্যথাটা দিল্লিই পেল। ম্যাচ-পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পরাগ বলেছেন, ‘গত তিন দিন অনেক ধকল গেছে। বিছানায় পড়ে ছিলাম। অসুস্থ ছিলাম। ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে আজ (গতকাল) উঠে দাঁড়িয়েছি। এরপর ঠিকঠাকমতো সব করতে পেরেছি। তাই নিজের জন্য ভালো লাগছে।’

নর্কিয়ার বাউন্সার এবং ইয়র্কার পাত্তাই দেননি পরাগ। হাত খুলে মেরেছেন। ম্যাচসেরা পরাগ এই দক্ষতা নিয়ে বলেছেন, ‘উইকেটের দুই প্রান্তেই রান করা নিয়ে শেষ দিকে কাজ করেছি। আমি জানি শর্ট বলে ছক্কা কিংবা ইয়র্কারও মেরে দেওয়ার মতো শক্তি ও ক্ষমতা আমার আছে। তাই সুযোগ পেলেই এটা করি। কখনো বাউন্ডারি মারতে পারি, কখনো আবার পারি না।’

ষষ্ঠ ওভারে রাজস্থানের স্কোর ২ উইকেটে ৩০ থাকতে চারে ব্যাটিংয়ে নামেন পরাগ। একপর্যায়ে তাঁর রান ছিল ২৬ বলে ২৬। কিন্তু নিজের খেলা শেষ ১৯ বল থেকে তুলেছেন ৫৮ রান। পরাগ জানিয়েছেন, রাজস্থান রয়্যালস কোচ কুমার সাঙ্গাকারা এবং সঞ্জু স্যামসন তাঁকে ‘ইনিংসটা লম্বা করতে’ বলেছিলেন। পরাগের ভাষায়, ‘আমি জানতাম, ইনিংসটা লম্বা করতে পারলে অনেক রান পাব।’

রান পাওয়ার এই ম্যাচে একটি রেকর্ডও গড়েছেন পরাগ। ভারতের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ১০০ ম্যাচ খেলার মাইলফলক ছুঁয়েছেন গতকাল রাতের ম্যাচে। ২২ বছর ১৩৯ দিন বয়সে পরাগ রেকর্ডটি গড়ার পথে পেছনে ফেলেছেন তাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজি দলেরই অধিনায়ক স্যামসনের রেকর্ড। ২২ বছর ১৫৭ দিন বয়সে রেকর্ডটি গড়েছিলেন স্যামসন।


রিয়ান পরাগ   আইপিএল   দিল্লী ক্যাপিটালস   রাজস্থান রয়্যালস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বার্সায় জাভির উত্তরসূরি হবেন কে?

প্রকাশ: ১১:১৫ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মৌসুম শেষেই স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন জাভি হার্নান্দেজ। গত জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে এমনটা জানান তিনি। তার দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণার পর দুইমাস পেরিয়ে গেলেও তার উত্তরসূরি চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে এখনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই বার্সেলোনায়।

অনেকের ধারণা, জাভিকে আরও এক বছর থেকে যেতে বলবে বার্সেলোনার পরিচালনা পর্ষদ। বার্সেলোনার সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা মুন্দো দেপোর্তিভোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেনও। কিন্তু প্রস্তাব দেওয়া বা জাভির দিক থেকে পরের মৌসুমেও দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক আভাস পাওয়া যায়নি। বার্সেলোনার সংশ্লিষ্ট বিভাগকে তাই নতুন কোচ খোঁজার কাজটি চালিয়ে যেতে হচ্ছেই।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভো জানিয়েছে, বার্সেলোনার সম্ভাব্য কোচের তালিকা এখন ছোট হয়ে এসেছে। এর মধ্যে শীর্ষ নাম লুইস এনরিকে। বার্সেলোনার সাবেক এই কোচ এখন পিএসজির দায়িত্বে। আগামী ১৬ এপ্রিল চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগ খেলতে দল নিয়ে বার্সার মাঠে আসবেন তিনি।

৫৩ বছর বয়সী এনরিকের সঙ্গে পিএসজির চুক্তির মেয়াদও এক বছর বাকি। তবু জাভির অবর্তমানে বার্সেলোনা যদি কাউকে নিশ্চিন্তে দায়িত্ব দিতে চায়, সেটি এনরিকেই। সাবেক খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে এই ক্লাবকে তিনি বেশ ভালো করে চেনেন। বার্সেলোনার সংস্কৃতি, তরুণ ফুটবলার ও খেলার ধরন—কোনো কিছুই এনরিকের জন্য নতুন হবে না।

তবে অনেক সময়ই ঘুরে দাঁড়াতে নতুন পরিকল্পনা, নতুন মুখের দরকার হয়। এদিকে বাড়তি গুরুত্ব দিলে বার্সেলোনা কোচ করতে পারে হান্সি ফ্লিককে। বায়ার্ন মিউনিখ ও জার্মানির সাবেক এই কোচ এখন বেকার। বার্সেলোনার কোচ হতে তাঁর আগ্রহও আছে। ফ্লিকের যিনি এজেন্ট, সেই পিনি জাহাভি আবার বার্সেলোনার সভাপতি লাপোর্তার ভালো বন্ধু। সবচেয়ে বড় কথা বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ফ্লিকের সাফল্য (২ মৌসুমে ৭ ট্রফি) বার্সেলোনা পর্ষদকে ফ্লিকের ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলেছে।

শেষ পর্যন্ত ফ্লিক বা এনরিকের কেউ কোচ না হলে চমক হতে পারেন রাফায়েল মার্কেজ। বার্সেলোনার সাবেক এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার এখন বার্সেলোনা ‘বি’ দলের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। পেপ গার্দিওলা যেমন বার্সেলোনা মূল দল দিয়ে প্রথম সিনিয়র কোনো দলের কোচিং শুরু করেন, মার্কেজও হতে পারেন তেমন কেউ। তবে এই নাম তিনটির কোনোটিকেই হয়তো বার্সেলোনার ডাগআউটে দেখা যাবে না, যদি জাভি কাজ চালিয়ে যেতে সম্মত হন।

জাভি ও লাপোর্তা দুজনই বিশ্বাস করেন, চলতি মৌসুমে বার্সেলোনার এখনো কিছু একটা অর্জনের সুযোগ আছে। অন্তত শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকার সামর্থ্যও আছে দলটির। যদিও লা লিগায় বার্সা এখন শীর্ষে থাকা রিয়ালের চেয়ে ৮ পয়েন্ট পিছিয়ে। আর চ্যাম্পিয়নস লিগেও ফাইনালের দৌড়ে বার্সেলোনা ফেবারিট নয়। তবে জাভির বিদায় ঘোষণার পর দল যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সামনে ভালো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়েও দেওয়া যায় না।


বার্সালোনা   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ   কোয়ার্টার ফাইনাল   জাভি হার্নান্দেজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নারী ফুটবলারকে চুমুকাণ্ডে বড় শাস্তি পাচ্ছেন রুবিয়ালেস

প্রকাশ: ০৯:২০ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বকাপ জেতার আনন্দে পুরো গ্যালারিভর্তি দর্শক এবং টিভি ক্যামেরার সামনে নারী ফুটবলারকে চুমু দেন স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। এই ঘটনার জেরে চাকরি হারানোর পর এবার বড় শাস্তি পেতে যাচ্ছেন সাবেক এই ফুটবল সংগঠক।

ফিফা নারী ফুটবল বিশ্বকাপের সবশেষ আসরের চ্যাম্পিয়ন স্পেন। গত বছরের ২২ আগস্ট ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়নের স্বাদ পায় স্প্যানিশ মেয়েরা। তবে শিরোপার মঞ্চে বিপত্তি ঘটান স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস।

হারমোসোকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে চুমু দিয়েই মূলত বিপাকে পড়েছেন রুবিয়ালেস। ঘটনার জেরে প্রথমে চাকরি হারান তিনি। বিষয়টি তদন্তের পর এবার বিচারের জন্য তোলা হয়েছে আদালতে। সেখানে দোষী সাব্যস্ত হলে কারাগারে যেতে হতে পারে তাকে।

রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের জন্য ১ বছর এবং জবরদস্তিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য ১৮ মাস বা দেড় বছর সাজা চেয়েছেন হারমোসোর আইনজীবী দুরান্তেজ। তিনি আরো দাবি করেছেন, হারমোসোকে ৫০ হাজার ইউরো (৫৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা) ক্ষতিপূরণও দিতে হবে রুবিয়ালেসকে।


রুবিয়ালেস   নারী ফুটবলার   স্পেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অধিনায়ক না থাকলেও রাজত্ব ধোনির, মাস্টারমাইন্ডের নতুন কৌশল

প্রকাশ: ০৯:০১ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

মহেন্দ্র সিং ধোনি। নামটি শুনলেই ক্রিকেটের সফলতম অধিনায়কত্বের কথা মাথায় আসে। তার অধিনায়কত্বে ভারত দুইটি বিশ্বকাপ পেয়েছে। তার তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তার জন্য তিনি ক্যাপ্টেন কুল নামেও পরিচিত। ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া আসর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (আইপিএল) তিনি সবচেয়ে সফলতম অধিনায়ক। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে জিতেছেন ৫টি শিরোপা।

কিন্তু এবার তিনি অধিনায়ক নন। এবার তরুণ খেলোয়াড় ঋতুরাজ গায়কোয়াডকে অধিনায়ত্ব দেওয়া হলেও মাঠে ধোনির রাজত্ব রয়েছেই। ফিল্ডার সাজানো থেকে শুরু করে বোলিং-ব্যাটিং পজিশন, সবখানেই ধোনির সংযুক্ততা রয়েছে তার। এমনকি নতুন অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াডকেও দেখা গেছে যেকোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে ধোনির সাথে আলোচনা করতে।

এবার আইপিএলে নতুন কৌশল রপ্ত করেছেন এই মাস্টারমাইন্ড। গত বছর থেকে চালু হয়েছে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের’ নিয়ম। এর ফলে কোনো দল ম্যাচ শুরুর আগে পাঁচজন বদলি খেলোয়াড়ের নাম জানাতে পারে। ম্যাচের যে কোনো সময় প্রথম একাদশে থাকা কোনো ক্রিকেটারের পরিবর্তে বদলি তালিকা থেকে কাউকে নামানো যায়। সেই নিয়মের সুবিধা কাজে লাগিয়েই ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে এত নীচে নামিয়ে এনেছেন চেন্নাইয়ের মাস্টারমাইন্ড মহেন্দ্র সিং ধোনি।

গত মঙ্গলবার গুজরাটের বিপক্ষে চেন্নাই দুশোর উপর রান তুলেছিল। সেই ম্যাচে চেন্নাইয়ের ছয় উইকেট পড়ে গেলেও ব্যাট করতে নামেননি ধোনি। এই বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেলেন তারই সাবেক সতীর্থ ও চেন্নাইয়ের ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি।

হাসি বলেন, ‌‌‘নিশ্চয়ই কোচ স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নির্দেশেই ওরা এ কাজ করেছে। ম্যাচটা আরো বেশি দূর টানার ইচ্ছে ছিল ওদের। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মের কারণে ওদের ব্যাটিং অর্ডার আরো লম্বা হয়েছে। ধোনি আট নম্বরে নামছে, যা কোনো দিন ভাবাই যেত না। অনুশীলনে ওকে দেখে ভালোই লেগেছে।’

নতুন নিয়মের কারণেই চেন্নাইয়ের খেলায় শুরু থেকে এত বেশি আক্রমণ বলে মনে করেন ধোনি। এই বিষয়ে বলেন, ‘ব্যাটিং অর্ডার লম্বা হওয়ার কারণে ওরা শুরু থেকে চালিয়ে খেলতে পারে। কোচ এবং অধিনায়কের সমর্থনও ওদের সঙ্গে রয়েছে। মারতে গিয়ে যদি আউটও হয় তাতেও পরোয়া নেই। ওদের কেউ সমালোচনা করবে। চেন্নাই এ ভাবেই আগ্রাসী খেলা চালিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।’


ধোনি   চেন্নাই  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন