ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে শুরু হলো বাংলাদেশের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের পূর্ণাঙ্গ সফর। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই দলের তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচ পর টস ভাগ্য সহায় হয়নি তামিম ইকবালদের। টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডু বালবিরনি।
ব্যাটিংয়ের শুরুটা অবশ্য মনপূত হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের শুরুতেই অধিনায়ক তামিম ইকবালের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ম্যাচের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে মার্ক অ্যাডায়ারের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম। করেন মাত্র ৩ রান। অধিনায়কের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তাকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজ করেন আরেক ওপেনার লিটন দাস। দেখেশুনে খেলতে থাকেন আইরিশ বোলারদের।
তবে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে স্টারলিংয়ের কাছে ক্যাচ দেন লিটন। ৩১ বলে ২৬ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। প্রথম পাওয়ার প্লে থেকে ওভার প্রতি ৫ গড়ে ২ উইকেটে ৫০ রান তোলে বাংলাদেশ। দলকে টেনে নিচ্ছেন শান্ত ও সাকিব আল হাসান। এই ম্যাচে তার সামনে ৭ হাজার রানের মাইলফলক ছোয়ার হাতছানি রয়েছে। ১৫ ওভার শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭৬ রান।
বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ড ওয়ানডে সিলেট
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই আক্রমনাত্মক ছিল শিখর-সিমরনরা। প্রথম দুই ওভারে ২৩ রান তুলে নেয় সিমরন। তবে ২২ গজ বেশিক্ষণ নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি ইন্ডিয়ার ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ইনিংসের ২য় তম ওভারের শেষ বলে সিমরনের উইকেট তুলে নেয় নিউজিল্যান্ডের বোলার টিম সাউদি।
সিমরনের বিদায়ের পর ধাওয়ানকে সাথে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখে রাজাপাকসে। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে পাঞ্জাব ৫৬ রান সংগ্রহ করে পাঞ্জাব। ৫ চার, ২ ছয়ে ৩২ বলেই ফিফটি তুলে নেয় শ্রীলংকান এই বাহাতি ব্যাটার। কিন্তু ফিফটি করার পর উমেশ যাদবের শেষ বলে লং অনে শট খেলে বিদায় নেন রাজাপাকসে।
এরপর দলের হাল ধরে অধিনায়ক ধাওয়ান। ফিফটি থেকে মাত্র ১০ রান দূরে অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান, ঠিক সেই সময়ে তার গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন বরুণ। ধাওয়ানের বিদায়ের পর রানে গতি কিছুটা কমে আসে পাঞ্জাবের। দলের হয়ে জতিশ ২১, সিকান্দার ১৬ করে আউট হয়। কারান ও শাহরুখ ২৬,১১ রান করে অপরাজিত থাকেন।
মন্তব্য করুন
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণভাবে সূচনা করেন প্রাভসিমরান সিং। প্রথম দুই ওভারে তার ব্যাট থকে আসে ২৩ রান।
কোলকাতার
প্রথম ওভার থেকে ৮
পায় প্রাভসিমরান। দ্বিতীয় ওভারে এসে বোল হাতে
তেমন সুবিধা করতে পারেনি নিউজিল্যান্ডের
বোলার টিম সাউদি। পরপর
তার প্রথম দুই বলে চারের
মার খেলে প্রাভসিমরান। তবে
দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে প্রাভসিমরান
সিং এর উইকেট তুলে
নেয় সাউদি। ১২ বলে ২৩
রান নিয়ে সাজঘরে ফিরে
যায় প্রাভসিমরান।
টিম
সাউদির দ্বিতীয় ওভার থেকে ১২
রান তুলে নেয় পাঞ্জাব।
৫তম ওভারে বোলিংয়ে আসে সুনীল নারিন।
তার ওভার থেকে রাজা
পাকসে তুলে নেন ১৪
রান।পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে সাউদির
পরিবর্তে বোলিংয়ে আনা হয় বরুণ
চক্রবর্তীকে। তার ওভারে ব্যাট
হাতে তেমন সুবিধা করতে
পারে নি পাঞ্জাবের ব্যাটাররা।
পাওয়ার
প্লে’র ৬ ওভার
শেষে ১ উইকেট হারিয়ে
পাঞ্জাবের সংগ্রহ ৫৬ রান।
মন্তব্য করুন
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ-আইপিএলের দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও পাঞ্জাব কিংস। মোহালিতে টস জিতে বোলিং এর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা। এই ম্যাচ দিয়ে অধিনায়ক হিসেবে আইপিএলে পথচলা শুরু হলো গত কয়েক মৌসুমে কলকাতার হয়ে চমক দেখানো নীতিশ রানার।
দুই দলেরই লক্ষ্য ম্যাচে জয় নিশ্চিত করার। জয়ের ধারায় থেকে টুর্নামেন্টের সূচনা করতে চান উভয় দলই। দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের স্বমন্বয়ে শক্তিশালী দল গড়েছে কলকাতা ও পাঞ্জাব। ব্যাট-বলের লড়াই দেখিয়ে এই আসরে শিরোপা পুনুরুদ্ধার করতে চায় দুই বারের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা। আর গত কয়েক মৌসুমে আশা জাগিয়েও শিরোপা লড়াইয়ে টিকে থাকতে না পার পাঞ্জাবও আশাবাদী ইতিবাচক ফলের।
এই ম্যাচ দিয়ে আইপিএলে অভিষেক হয়েছে আফগান উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান রহমানুল্লাহ গুরবাজের।
দুই দলের একাদশ:
কলকাতা নাইট রাইডার্স:
নীতিশ রানা, রহমানুল্লাহ গুরবাজ, মানদীপ সিং, রিংকু সিং, আন্দ্রে রাসেল, শার্দুল ঠাকুর, টিম সাউদি, সুনীল নারাইন, অনুকূল রায়, উমেশ যাদব, বরুণ চক্রবর্তী।
পাঞ্জাব কিংস:
শিখর ধাওয়ান, প্রাভসিমরান সিং, ভানুকা রাজাপাকশে, জিতেশ শর্মা, স্যাম কারেন, সিকান্দার রাজা, শাহরুখ খান, হারপ্রীত, রাহুল চাহার, আর্শদ্বীপ সিং, নাথান এলিস।
আইপিএল কলকাতা নাইট রাইডার্স পাঞ্জাব কিংস মোহালি
মন্তব্য করুন
১৯২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে কোলকাতা। দ্বিতীয় ওভারেই মানদীপ সিং ও অনুকূল রায়ের উইকেট তুলে নেন বাহাতি বোলার আর্শদ্বীপ সিং। মানদীপ ২রান ও অনুকূল ৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। এরপর ইম্পেক্ট খেলোয়াড় ভেঙ্কাটেস আয়ারকে সাথে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন অভিষিক্ত রাহমাতুল্লাহ গুরবাজ। কিন্তু বেশিদূর এগোতে পারেননি গুরবাজ। ২২ রানেই তাকে থামিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ান পেস বোলার নাথান এলিস।