ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে শুরু হলো বাংলাদেশের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের পূর্ণাঙ্গ সফর। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই দলের তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচ পর টস ভাগ্য সহায় হয়নি তামিম ইকবালদের। টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডু বালবিরনি। আগে ব্যাট করে আয়ারল্যান্ডকে ৩৩৯ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
ব্যাটিংয়ের শুরুটা অবশ্য মনপূত হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের শুরুতেই অধিনায়ক তামিম ইকবালের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ম্যাচের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে মার্ক অ্যাডায়ারের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম। করেন মাত্র ৩ রান। অধিনায়কের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তাকে নিয়ে লিটন দাস ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন। তবে বেশিদূর টানতে পারেন নি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে স্টারলিংয়ের কাছে ক্যাচ দেন লিটন। ৩১ বলে ২৬ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
এ ম্যাচে আবার ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশের। আইরিশদের বিপক্ষে চার নম্বরে ব্যাটিং করতে আসেন সাকিব আল হাসান। শান্তকে সাথে নিয়ে এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। দ্বিতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে এদিন ওয়ানডেতে ৭ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব।
এই মাইলফলকের থেকে হাত ছোঁয়া দুরত্বে ছিলেন সাকিব। প্রয়োজন ছিলো মাত্র ২৪ রানের। ম্যাচের ২০তম ওভারের পঞ্চম বলে সেই মাইলফলক স্পর্শ করেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। কার্টিস ক্যাম্ফারের বল মিড অফে ঢেলে দিয়ে সিঙ্গেল নিয়ে ওয়ানডেতে ৭ হাজার রান পূর্ণ করেন সাকিব। তামিম ইকবালের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ৭ হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করলেন তিনি।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেই ৩০০ ওয়ানডে উইকেটের কীর্তি গড়েছিলেন সাকিব। ৭ হাজার রান ও ৩০০ উইকেট পাওয়া তৃতীয় ক্রিকেটার এখন তিনি। সাকিবের আগে একদিনের ক্রিকেটে এই কীতিত্ব দেখিয়েছেন মাত্র দুজন, শ্রীলঙ্কার সনাৎ জয়াসুরিয়া ও পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি। তবে এ কীর্তির ক্ষেত্রে সাকিবই দ্রুততম।
তবে দলীয় ৮১ রানে শান্ত বিদায় নিলে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রাউন্ড দা উইকেট থেকে করা অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রাইনের বলটি টার্ন করবে ভেবেছিলেন শান্ত। তবে বল লাইন ধরে রেখে ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। ২৫ রান করে আউট হন তিনি। শান্তর বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন এই ম্যাচে অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়। সাকিবকে যোগ্য সঙ্গ দিতে থাকেন। দুজনের ব্যাটে ভর করে জুটি গড়ার চেষ্টা চালায় স্বাগতিকরা।
আগের তিনটি জুটি পঞ্চাশের আগে থামেলেও দলকে এগিয়ে নিয়েছে সাকিব-হৃদয় জুটি। ওয়ানডেতে অভিষিক্ত এই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে দলের রানের চাকা সছল রাখেন সাকিব। ৬০ বল থেকে ৫০ রান পূর্ণ করেন দুজনে। ক্যারিয়ারের ৫৩তম অর্ধশতক তুলে নেন সাকিব আল হাসান। এরপর থেকে হাত খুলে খেলতে থাকেন তিনি। ইনিংসের ৩৫তম ওভারে হ্যারি টেক্টরের উপর রীতিমতো তান্ডব চালিয়েছেন সাকিব। ৫ চারে সে ওভার থেকে ২২ রান তুলে নিয়ে সেঞ্চুরির আশা জাগান এই অলরাউন্ডার।
সাকিবের পর ক্যারিয়ারের প্রথম একদিনের ম্যাচেই অর্ধশতকের দেখা পান তৌহিদ হৃদয়। ২০০৬ সালে ফরহাদ রেজা ও ২০১১ সালে নাসির হোসেনের পর ওয়ানডেতে অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি করা তৃতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হলেন তিনি। সিনিয়র সাকিবের সাথে বেশ সাবলীলভাবেই ব্যাট করতে থাকেন এই তরুণ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। মাঠের চারদিকে শট খেলে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন তিনি। সেই সাথে রানিং বিটুইন দ্যা উইকেটেও বেশ তৎপরতা দেখিয়েছেন হৃদয়।
তবে সেঞ্চুরি থেকে যখন মাত্র ৭ রান দূরে, তখনই নিজের উইকেট বিলিয়ে দিলেন সাকিব। গ্রাহাম হিউমের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের একটি বল জায়গা ছেড়ে খেলতে গিয়ে আলগাভাবে ব্যাট চালিয়েছিলেন সাকিব। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে তা সহজ ক্যাচে পরিণত হয় উইকেটের পেছনে। ভাঙে চতুর্থ উইকেটে ১৩০ বলে ১৩৫ রানের জুটি। ২১৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
ক্রিজে এসেই এদিন মারমুখী ছিলেন মুশফিকুর রহিম। আগ্রাসী মেজাজে মোকাবেলা করেন আইরিশ বোলারদের। স্লগ সুইপে ছয় মেরে শুরুর পর সেটি ধরে রাখেন আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত। ইংলিশদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি পেলেও আইরিশদের বিপক্ষে তা হাতছাড়া হয়েছে ৬ রানের জন্য। ৪৬তম ওভারে গ্রাহাম হিউমের জোড়া আঘাতে রানের গতি কিছুটা কমে আসে বাংলাদেশের। এক বলের ব্যবধানে মুশফিক ও হৃদয়ের উইকেট তুলে নিয়ে দলকে খানিকটা স্বস্তি এনে দেন এই পেসার।
অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরির স্বপ্ন দেখছিলেন তৌহিদ হৃদয়। তবে সাকিবের মতো হতাশ হতে হয়েছে তাকেও। ৯২ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলে হতাশা সঙ্গী করেই মাঠ ছাড়েন এই তরুণ ব্যাটসম্যান। মুশফিক ৪৪ ও হৃদয় আউট হন ৯২ রানে। টেল এন্ডারদের নিয়ে বাকি সময়টা পার করে দেন ইয়াসির রাব্বি। নির্ধারতি ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাড়ায় ৭ উইকেটে ৩৩৮ রান। ৪টি উইকেট নেন হিউমে।
বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ড ওয়ানডে সিলেট
মন্তব্য করুন
আসন্ন আইপিএলে
পাঞ্জাব কিংসে ইনজুরড জনি বেয়ারস্টোর জায়গায় খেলবেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার ম্যাট
শর্ট। পায়ের চোট পুরোপুরি না সারায় এবারের আইপিএল থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন
ইংল্যান্ডের তারকা বেয়ারস্টো। তাঁর আইপিএল না খেলার সিদ্ধান্তে বড় ধাক্কার সম্মুখীন
হতে হয় শিখর ধাওয়ানের দলকে। তাই পাঞ্জাব কিংসকে খুঁজতে হয় পৌনে ৭ কোটি রুপি দিয়ে কেনা
ইংলিশ তারকার বিকল্প।
অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের
ওপেনার শর্ট বিগ ব্যাশে দারুণ পারফর্মেন্সের পর আইপিএলে এবারই প্রথম ডাক পেয়েছেন। ৪৫৮
রান ও ১১ উইকেট নিয়ে বিবিএল টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার পান শর্ট। আইপিএলে বেয়ারস্ট্রো
নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে তাঁর পরিবর্তিত খেলোয়াড় নেওয়ার
আবেদন করে শিখর ধাওয়ানের দল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শর্টকে দলে নেওয়ার খবর জানায়
পাঞ্জাব কিংস।
বেয়ারস্টোর
আপডেট ও নতুন খেলোয়াড়ের চুক্তি ইস্যু নিয়ে পাঞ্জাব কিংস জানায়, জনি বেয়ারস্টো তার
ইনজুরির কারণে এই মৌসুমে আইপিএলে অংশ নেবেন না। এটা আমাদের জন্য খারাপ সংবাদ। আমরা
ম্যাথিউ শর্টকে তার বদলি হিসেবে পেয়ে আনন্দিত।
গত সেপ্টেম্বরে
গলফ খেলতে গিয়ে পায়ে চোট পাওয়ার কারণে দল থেকে ছিটকে পড়েন বেয়ারস্টো। খেলতে পারেন নি
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বাংলাদেশ সিরিজেও আসতে পারেন নি তিনি। বেয়ারস্টো ব্রিটিশ গণমাধ্যমকে
জানিয়েছিলেন এবার পাঞ্জাব কিংসের জার্সির গায়ে মাঠে দেখা যাবে না তাকে। জুনে ইংল্যান্ডে
শুরু হওয়া অ্যাশেজ সিরিজের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
বেয়ারস্ট্রো ম্যাট শর্ট আইপিএল পাঞ্জাব কিংস
মন্তব্য করুন
কাতার
বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়ার
পর প্রথমবারের মতো মাঠে নামে
পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ কাতার বিশ্বকাপে চমক দেওয়া মরক্কো।
বিশ্বকাপের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এবার
ব্রাজিলকে হারিয়ে আবারও চমক দেখালো
মরক্কো।
গতকাল শনিবার
(২৫ মার্চ) দিনগত রাতে তাঞ্জিয়ারে ইবনে বতুতা স্টেডিয়ামে ব্রাজিলকে আতিথ্য দেয় মরক্কো।
যেখানে ২-১ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।
প্রীতি
ম্যাচ হলেও, পূর্ণশক্তির দল নিয়েই মাঠে
নামে মরক্কো। চোটের কারণে এই ম্যাচে ছিলেন না ব্রাজিলের
সেরা তারকা নেইমার। অনূর্ধ্ব-২০ কোপা আমেরিকাজয়ী দলের কোচ রেমন মেনেজেস তার কাছে থাকা
তরুণ অস্ত্র পরীক্ষাও করেছেন। কিন্তু ছন্নছাড়া ফুটবল খেলে হারতে হয়েছে সেলেসাওদের।
বল দখল আর শটের
হিসেবে ব্রাজিল কিছুটা এগিয়ে থাকলেও নিজেদের মাঠে মরক্কোও খুব পিছিয়ে ছিল না। তারা ১১ শটের ৩টি
লক্ষ্যে রাখে, যার দুটিই হয়েছে
গোল। অন্যদিকে ১৪ শট নিয়ে
৪টি লক্ষ্যে রাখা ব্রাজিল গোল
করেছে একটি।
ম্যাচের
২৯ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে ব্রাজিল। তাদের
রক্ষণের ভুলে বল পেয়ে
গোল করে মরক্কোকে এগিয়ে
দেন বাওফল। ৬৭ মিনিটে কাসিমিরো
সমতা ফিরিয়েছিলেন। এই গোলে কিছুটা
ভাগ্যের সহায়তা ছিল। মরক্কোর গোলরক্ষক
ইয়াসিন বুনো বলটি ধরলেও
তা ফস্কে বেরিয়ে যায়।
এরপর
দুই দলই এগিয়ে যাওয়ার
চেষ্টায় আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ চালায়। ৭৯ মিনিটে আরেক
গোল পেয়ে যায় মরক্কো।
সাবিরি দারুণ ফিনিশিংয়ে ২-১ করেন।
শেষ পর্যন্ত ওই লিড নিয়েই
ম্যাচ শেষ করে স্বাগতিকরা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের সাথে টি-টোয়েন্টি সিরিজকে
খুব হালকাভাবে নিয়েছিল পাকিস্তান। তাই সিনিয়র খেলোয়াড়দের বিশ্রামে দিয়ে শারজাহতে দ্বিতীয় সারির দল পাঠিয়েছে পাকিস্তান
ক্রিকেট বোর্ড। এর মাশুলও গুনতে
হয়েছে পাকিস্তানকে। শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে আফগানদের বোলিং তোপে ৯২ রানেই গুটিয়ে
যায় শাদাব খানের দল। ১৩ বল বাকি
থাকতেই ৬ উইকেটের বড়
ব্যবধানে জয় পায় আফগানিস্তান।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে পাকিস্তানের বিপক্ষে এটিই আফগানিস্তানের প্রথম জয়।
আফগানিস্তান সিরিজে মোহাম্মদ রিজওয়ান, বাবর আজম, হারিস রউফ ও শাহিন শাহ্
আফ্রিদিদের বিশ্রাম দিয়ে অনেকটা নতুন দল গঠন করে
শারজাহতে দল পাঠায় পিসিবি।
দলে ডাক পায় দীর্ঘদিন দলের বাইরে থাকা ৪ খেলোয়াড়।
টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ৬ রান করে
বিদায় নেন মোহাম্মদ হারিস। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। কোনো রান না করেই ফারুকির
বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন আবদুল্লাহ শফিকি। পিএসএল মাতানো সাইম আইয়ুব ১৭রানের বেশি করতে পারেন নি অভিষেক ম্যাচে।
পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩
উইকেট হারিয়ে ৩৯ রান সংগ্রহ
করে পাকিস্তান।
চারে নেমে ১৬ রান করে
সাজঘরে ফেরেন তৈয়ব তাহির। বিপিএল ও পিএসএলে মাঠ
কাপানো আজম খান কোনো রানই তুলতে পারেন নি। ২০ রানের কোটায়
পৌঁছাতে পারেননি কোনো পাকিস্তানের ব্যাটাররা। ইমাদ ওয়াসিমের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ১৮ রান। মুজিবুর
রহমানের স্পিনার বলে ১২ রান করে
আউট হন অধিনায়ক শাদাব
খান।
৯ উইকেট হারিয়ে
২০ ওভারে শেষ পর্যন্ত ৯২ রানের বেশি
তুলতে পারেননি পাকিস্তানের ব্যাটাররা। আফগানদের পক্ষে ২ টি করে
উইকেট নেন ফজলহক ফারুকি, মুজিবুর রহমান ও মোহাম্মদ নবি।
১ টি করে নেন
আজমতউল্লাহ ওমরজাই, নাভিন উল হক ও
রাশিদ খান।
সহজ লক্ষ্যে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি আফগানিস্তানের। প্রথম ওভারেই দুই উইকেট নেন অভিষিক্ত ইহসানউল্লাহ। ৪৫ রানে মধ্যেই
৪ উইকেট তুলে নেয় পাকিস্তানের বোলাররা।
তবে নাজিবউল্লাহ জাদরানকে সাথে নিয়ে অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবির ৫৩ রানের জুটিতে ১৭.৫ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রাশিদ খানের দল। মোহাম্মদ নবি ৩৮ বলে ৩৮ রান করে এবং নজিবুল্লাহ জাদরান ২৩ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
মন্তব্য করুন
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে নতুন নেতৃত্ব নিয়ে মাঠে নেমে ৪-০ গোলে
সহজ জয় তুলে নেয়
ফ্রান্স। জোড়া গোল করে জাতীয় দলের ৫ম সর্বোচ্চ গোলদাতার
জায়গা করে নেন নতুন অধিনায়ক কিলিয়ান এমবাপ্পে। সহজ জয় দিয়ে ইউরোপিয়ান
চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্ব শুরু করে দেশামের দল। ভাইরাস সংক্রমণের কারণে পাঁচ খেলোয়াড়কে হারাতে হয় ডাচদের। তাই
পাল্টা জবাব দিতে ব্যর্থ হয় নেদারল্যান্ডস।
নির্ধারিত সময়ের ২মিনিট বাকি থাকতে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান এমবাপ্পে। এই গোল দিয়ে করিম বেনজেমাকে ছাড়িয়ে ফ্রান্স জাতীয় দলের ৫তম সর্বোচ্চ গোলদাতার জায়গা করে নেন এমবাপ্পে। ফ্রান্সের হয়ে তাঁর মোট গোলের সংখ্যা ৩৮টি। ফ্রান্সের জাতীয় দলে ৯৭ টি ম্যাচে ৩৭টি গোল করেন বেনজেমা।
হুগো লরিসের অবসরের পর এমবাপ্পেকে নতুন অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সহ-অধিনায়ক করা হয় গ্রিজম্যানকে। অধিনায়কত্ব না পাওয়ায় জাতীয় দলকে বিদায় জানানোর কথা শোনা যাচ্ছিল গ্রিজম্যানের। তবে ম্যাচ শুরুর ২ মিনিটের মাথায় এমবাপ্পের বলে গোল করতে পারায় এমবাপ্পের ওপর অভিমান কিছুটা কমতেও পারে গ্রিজম্যানের।
প্রথম গোলের ৬মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দায়ত উপামেকানো। ম্যাচ শুরুর ২১ মিনিটের মধ্যে চুয়ামেনির পাস থেকে এমবাপ্পের করা গোলে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকে ফ্রান্স। অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখেও পাল্টা জবাব দেওয়ার সুযোগ পায় নি নেদারল্যান্ডস।
বিরতির পর আরো আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে এমবাপ্পেরা। ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। কিন্তু কোনো পরিকল্পনাই কাজে লাগাতে পারেনি ডাচবাহিনীরা। নির্ধারিত সময়ের পর যোগ করা সময়ে পেনাল্টি পায় নেদারল্যান্ডস। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ডিপাই। আগামী সোমবার পরের ম্যাচে আইসল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ফ্রান্স।
ফ্রান্স নেদারন্যান্ডস এমবাপ্পে
মন্তব্য করুন
টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ৬ রান করে বিদায় নেন মোহাম্মদ হারিস। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। কোনো রান না করেই ফারুকির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন আবদুল্লাহ শফিকি। পিএসএল মাতানো সাইম আইয়ুব ১৭রানের বেশি করতে পারেন নি অভিষেক ম্যাচে। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৯ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।