বাংলাদেশের দেয়া ৩৩৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ভালই জবাব দিচ্ছিলো আয়ারল্যান্ড। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশি বোলারদের দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার স্টিফেন দোহেনি ও পল স্টারলিং। মুস্তাফিজুর রহমানের প্রথম ওভার থেকে ৩ ও তাসকিন আহমেদের পরের ওভার থেকে ২ রান নিয়ে শুরু করলেও, ধীরে ধীরে নিজেদের এগিয়ে নিতে থাকেন দুই আইরিশ ব্যাটসম্যান।
সাকিবের করা প্রথম পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে চড়াও হন দোহেনি। এক ছয় ও দুই চারে সে ওভার থেকে ১৫ রান তুলে নেন তিনি। তাতে সুবিধাজনক স্থানে থেকে পাওয়ার প্লে শেষ করে আয়ারল্যান্ড। ১০ ওভারে দলটির সংগ্রহ দাড়ায় বিনা উইকেটে ৫১ রান। তবে ১২তম ওভারে ভাঙে তাদের প্রতিরোধ। দলকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব আল হাসান। তার একটি বল টার্ন করে দোহেনির ব্যাট ছুয়ে জমা হয় মুশফিকের গ্লাভসে। দলীয় ৬০ রানে প্রথম উইকেট হারায় সফরকারিরা।
সতীর্থের বিদায়ের পর তাকে অনুসরণ করে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার পল স্টারলিং। দোহেনির পরের ওভারেই ইবাদতের একটি শর্ট লেন্থের ডেলিভারিতে পরাস্ত হন স্টারলিং। উইকেটের পেছনে শূন্যে লাফিয়ে দারুণ এক ক্যাচ নেন মুশফিকুর রহিম। আইরিশররা সে ধাক্কা সামলে উঠার আগেই আবার আঘাত হানেন ইবাদত। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার আগে হ্যারি টেক্টরকে ফিরতি পথ ধরায় এই পেসার। ৮ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে আয়ারল্যান্ড।
ক্রিজে দাড়িয়ে দলের এই ব্যাটিং ধসের সাক্ষী হচ্ছিলেন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডু বালবিরনি। তবে দুঃসময়ে দলকে এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হন তিনি। ১৬তম ওভারে তাসকিনের দারুণ এক ডেলিভারি ভেঙে দেয় তার স্টাম্প। ৭৩ রানে চতুর্থ উইকেটে পতন হয় দলটির। মাত্র ৫ রানে ফেরেন বালবিরনি। এক ওভার পর আবারো দলকে সাফল্য এনে দেন তাসকিন আহমেদ। লোরকান টাকারকে ফিরিয়ে চাপে ফেলে দেন প্রতিপক্ষকে। স্লিপে দর্শনীয় এক ক্যাচ নেন ইয়াসির রাব্বি। স্কোরবোর্ডে ৭৬ রান তুলতেই পাঁচ ব্যাটসম্যান হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে আয়ারল্যান্ড।
বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ড ওয়ানডে সিলেট
মন্তব্য করুন
আসন্ন আইপিএলে
পাঞ্জাব কিংসে ইনজুরড জনি বেয়ারস্টোর জায়গায় খেলবেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার ম্যাট
শর্ট। পায়ের চোট পুরোপুরি না সারায় এবারের আইপিএল থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন
ইংল্যান্ডের তারকা বেয়ারস্টো। তাঁর আইপিএল না খেলার সিদ্ধান্তে বড় ধাক্কার সম্মুখীন
হতে হয় শিখর ধাওয়ানের দলকে। তাই পাঞ্জাব কিংসকে খুঁজতে হয় পৌনে ৭ কোটি রুপি দিয়ে কেনা
ইংলিশ তারকার বিকল্প।
অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের
ওপেনার শর্ট বিগ ব্যাশে দারুণ পারফর্মেন্সের পর আইপিএলে এবারই প্রথম ডাক পেয়েছেন। ৪৫৮
রান ও ১১ উইকেট নিয়ে বিবিএল টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার পান শর্ট। আইপিএলে বেয়ারস্ট্রো
নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে তাঁর পরিবর্তিত খেলোয়াড় নেওয়ার
আবেদন করে শিখর ধাওয়ানের দল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শর্টকে দলে নেওয়ার খবর জানায়
পাঞ্জাব কিংস।
বেয়ারস্টোর
আপডেট ও নতুন খেলোয়াড়ের চুক্তি ইস্যু নিয়ে পাঞ্জাব কিংস জানায়, জনি বেয়ারস্টো তার
ইনজুরির কারণে এই মৌসুমে আইপিএলে অংশ নেবেন না। এটা আমাদের জন্য খারাপ সংবাদ। আমরা
ম্যাথিউ শর্টকে তার বদলি হিসেবে পেয়ে আনন্দিত।
গত সেপ্টেম্বরে
গলফ খেলতে গিয়ে পায়ে চোট পাওয়ার কারণে দল থেকে ছিটকে পড়েন বেয়ারস্টো। খেলতে পারেন নি
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বাংলাদেশ সিরিজেও আসতে পারেন নি তিনি। বেয়ারস্টো ব্রিটিশ গণমাধ্যমকে
জানিয়েছিলেন এবার পাঞ্জাব কিংসের জার্সির গায়ে মাঠে দেখা যাবে না তাকে। জুনে ইংল্যান্ডে
শুরু হওয়া অ্যাশেজ সিরিজের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
বেয়ারস্ট্রো ম্যাট শর্ট আইপিএল পাঞ্জাব কিংস
মন্তব্য করুন
কাতার
বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়ার
পর প্রথমবারের মতো মাঠে নামে
পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ কাতার বিশ্বকাপে চমক দেওয়া মরক্কো।
বিশ্বকাপের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এবার
ব্রাজিলকে হারিয়ে আবারও চমক দেখালো
মরক্কো।
গতকাল শনিবার
(২৫ মার্চ) দিনগত রাতে তাঞ্জিয়ারে ইবনে বতুতা স্টেডিয়ামে ব্রাজিলকে আতিথ্য দেয় মরক্কো।
যেখানে ২-১ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।
প্রীতি
ম্যাচ হলেও, পূর্ণশক্তির দল নিয়েই মাঠে
নামে মরক্কো। চোটের কারণে এই ম্যাচে ছিলেন না ব্রাজিলের
সেরা তারকা নেইমার। অনূর্ধ্ব-২০ কোপা আমেরিকাজয়ী দলের কোচ রেমন মেনেজেস তার কাছে থাকা
তরুণ অস্ত্র পরীক্ষাও করেছেন। কিন্তু ছন্নছাড়া ফুটবল খেলে হারতে হয়েছে সেলেসাওদের।
বল দখল আর শটের
হিসেবে ব্রাজিল কিছুটা এগিয়ে থাকলেও নিজেদের মাঠে মরক্কোও খুব পিছিয়ে ছিল না। তারা ১১ শটের ৩টি
লক্ষ্যে রাখে, যার দুটিই হয়েছে
গোল। অন্যদিকে ১৪ শট নিয়ে
৪টি লক্ষ্যে রাখা ব্রাজিল গোল
করেছে একটি।
ম্যাচের
২৯ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে ব্রাজিল। তাদের
রক্ষণের ভুলে বল পেয়ে
গোল করে মরক্কোকে এগিয়ে
দেন বাওফল। ৬৭ মিনিটে কাসিমিরো
সমতা ফিরিয়েছিলেন। এই গোলে কিছুটা
ভাগ্যের সহায়তা ছিল। মরক্কোর গোলরক্ষক
ইয়াসিন বুনো বলটি ধরলেও
তা ফস্কে বেরিয়ে যায়।
এরপর
দুই দলই এগিয়ে যাওয়ার
চেষ্টায় আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ চালায়। ৭৯ মিনিটে আরেক
গোল পেয়ে যায় মরক্কো।
সাবিরি দারুণ ফিনিশিংয়ে ২-১ করেন।
শেষ পর্যন্ত ওই লিড নিয়েই
ম্যাচ শেষ করে স্বাগতিকরা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের সাথে টি-টোয়েন্টি সিরিজকে
খুব হালকাভাবে নিয়েছিল পাকিস্তান। তাই সিনিয়র খেলোয়াড়দের বিশ্রামে দিয়ে শারজাহতে দ্বিতীয় সারির দল পাঠিয়েছে পাকিস্তান
ক্রিকেট বোর্ড। এর মাশুলও গুনতে
হয়েছে পাকিস্তানকে। শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে আফগানদের বোলিং তোপে ৯২ রানেই গুটিয়ে
যায় শাদাব খানের দল। ১৩ বল বাকি
থাকতেই ৬ উইকেটের বড়
ব্যবধানে জয় পায় আফগানিস্তান।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে পাকিস্তানের বিপক্ষে এটিই আফগানিস্তানের প্রথম জয়।
আফগানিস্তান সিরিজে মোহাম্মদ রিজওয়ান, বাবর আজম, হারিস রউফ ও শাহিন শাহ্
আফ্রিদিদের বিশ্রাম দিয়ে অনেকটা নতুন দল গঠন করে
শারজাহতে দল পাঠায় পিসিবি।
দলে ডাক পায় দীর্ঘদিন দলের বাইরে থাকা ৪ খেলোয়াড়।
টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ৬ রান করে
বিদায় নেন মোহাম্মদ হারিস। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। কোনো রান না করেই ফারুকির
বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন আবদুল্লাহ শফিকি। পিএসএল মাতানো সাইম আইয়ুব ১৭রানের বেশি করতে পারেন নি অভিষেক ম্যাচে।
পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩
উইকেট হারিয়ে ৩৯ রান সংগ্রহ
করে পাকিস্তান।
চারে নেমে ১৬ রান করে
সাজঘরে ফেরেন তৈয়ব তাহির। বিপিএল ও পিএসএলে মাঠ
কাপানো আজম খান কোনো রানই তুলতে পারেন নি। ২০ রানের কোটায়
পৌঁছাতে পারেননি কোনো পাকিস্তানের ব্যাটাররা। ইমাদ ওয়াসিমের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ১৮ রান। মুজিবুর
রহমানের স্পিনার বলে ১২ রান করে
আউট হন অধিনায়ক শাদাব
খান।
৯ উইকেট হারিয়ে
২০ ওভারে শেষ পর্যন্ত ৯২ রানের বেশি
তুলতে পারেননি পাকিস্তানের ব্যাটাররা। আফগানদের পক্ষে ২ টি করে
উইকেট নেন ফজলহক ফারুকি, মুজিবুর রহমান ও মোহাম্মদ নবি।
১ টি করে নেন
আজমতউল্লাহ ওমরজাই, নাভিন উল হক ও
রাশিদ খান।
সহজ লক্ষ্যে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি আফগানিস্তানের। প্রথম ওভারেই দুই উইকেট নেন অভিষিক্ত ইহসানউল্লাহ। ৪৫ রানে মধ্যেই
৪ উইকেট তুলে নেয় পাকিস্তানের বোলাররা।
তবে নাজিবউল্লাহ জাদরানকে সাথে নিয়ে অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবির ৫৩ রানের জুটিতে ১৭.৫ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রাশিদ খানের দল। মোহাম্মদ নবি ৩৮ বলে ৩৮ রান করে এবং নজিবুল্লাহ জাদরান ২৩ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
মন্তব্য করুন
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে নতুন নেতৃত্ব নিয়ে মাঠে নেমে ৪-০ গোলে
সহজ জয় তুলে নেয়
ফ্রান্স। জোড়া গোল করে জাতীয় দলের ৫ম সর্বোচ্চ গোলদাতার
জায়গা করে নেন নতুন অধিনায়ক কিলিয়ান এমবাপ্পে। সহজ জয় দিয়ে ইউরোপিয়ান
চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্ব শুরু করে দেশামের দল। ভাইরাস সংক্রমণের কারণে পাঁচ খেলোয়াড়কে হারাতে হয় ডাচদের। তাই
পাল্টা জবাব দিতে ব্যর্থ হয় নেদারল্যান্ডস।
নির্ধারিত সময়ের ২মিনিট বাকি থাকতে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান এমবাপ্পে। এই গোল দিয়ে করিম বেনজেমাকে ছাড়িয়ে ফ্রান্স জাতীয় দলের ৫তম সর্বোচ্চ গোলদাতার জায়গা করে নেন এমবাপ্পে। ফ্রান্সের হয়ে তাঁর মোট গোলের সংখ্যা ৩৮টি। ফ্রান্সের জাতীয় দলে ৯৭ টি ম্যাচে ৩৭টি গোল করেন বেনজেমা।
হুগো লরিসের অবসরের পর এমবাপ্পেকে নতুন অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সহ-অধিনায়ক করা হয় গ্রিজম্যানকে। অধিনায়কত্ব না পাওয়ায় জাতীয় দলকে বিদায় জানানোর কথা শোনা যাচ্ছিল গ্রিজম্যানের। তবে ম্যাচ শুরুর ২ মিনিটের মাথায় এমবাপ্পের বলে গোল করতে পারায় এমবাপ্পের ওপর অভিমান কিছুটা কমতেও পারে গ্রিজম্যানের।
প্রথম গোলের ৬মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দায়ত উপামেকানো। ম্যাচ শুরুর ২১ মিনিটের মধ্যে চুয়ামেনির পাস থেকে এমবাপ্পের করা গোলে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকে ফ্রান্স। অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখেও পাল্টা জবাব দেওয়ার সুযোগ পায় নি নেদারল্যান্ডস।
বিরতির পর আরো আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে এমবাপ্পেরা। ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। কিন্তু কোনো পরিকল্পনাই কাজে লাগাতে পারেনি ডাচবাহিনীরা। নির্ধারিত সময়ের পর যোগ করা সময়ে পেনাল্টি পায় নেদারল্যান্ডস। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ডিপাই। আগামী সোমবার পরের ম্যাচে আইসল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ফ্রান্স।
ফ্রান্স নেদারন্যান্ডস এমবাপ্পে
মন্তব্য করুন
টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ৬ রান করে বিদায় নেন মোহাম্মদ হারিস। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। কোনো রান না করেই ফারুকির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন আবদুল্লাহ শফিকি। পিএসএল মাতানো সাইম আইয়ুব ১৭রানের বেশি করতে পারেন নি অভিষেক ম্যাচে। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৯ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।