ইনসাইড গ্রাউন্ড

ওডিআইতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়

প্রকাশ: ০৯:১৫ পিএম, ১৮ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়টা অনুমিত থাকলেও, পা হড়কানোর ভয় ছিলো। সবশেষ ওয়ানডে থেকে ৪টি পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজিয়েছিলো বাংলাদেশ। যদিও এই সিরিজে পরীক্ষা-নীরিক্ষার বিষয়টি আগে থেকেই সকলের জানা। তাই তাতে খুব একটা অবাকও হওয়ার কিছু ছিলো না। টি-টোয়েন্টির পর এই ম্যাচ দিয়ে একদিনের ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে তরুণ সম্ভাবনাময় ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয়ের। অভিষেক ম্যাচেই ব্যাট হাতে দারুণ সফলতা এনে দিয়েছেন দলকে। সাকিব আর হৃদয়ের নৈপূণ্যের পর বোলারদের দাপটে আইরিশদের ১৮৩ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ।

পাঁচ ম্যাচ পর টস ভাগ্য সহায় হয়নি তামিম ইকবালদের। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ের শুরুটা অবশ্য মনপূত হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের শুরুতেই অধিনায়ক তামিম ইকবালের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ম্যাচের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে মার্ক অ্যাডায়ারের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম। করেন মাত্র ৩ রান। অধিনায়কের বিদায়ের পর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে লিটন দাস ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন। তবে বেশিদূর টানতে পারেন নি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে স্টারলিংয়ের কাছে ক্যাচ দেন লিটন। ৩১ বলে ২৬ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

এ ম্যাচে আবার ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশের। আইরিশদের বিপক্ষে চার নম্বরে ব্যাটিং করতে আসেন সাকিব আল হাসান। শান্তকে সাথে নিয়ে এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। দ্বিতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে এদিন ওয়ানডেতে ৭ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব। এই মাইলফলকের থেকে হাত ছোঁয়া দুরত্বে ছিলেন সাকিব। প্রয়োজন ছিলো মাত্র ২৪ রানের। ম্যাচের ২০তম ওভারের পঞ্চম বলে সেই মাইলফলক স্পর্শ করেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। কার্টিস ক্যাম্ফারের বল মিড অফে ঢেলে দিয়ে সিঙ্গেল নিয়ে ওয়ানডেতে ৭ হাজার রান পূর্ণ করেন সাকিব। তামিম ইকবালের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ৭ হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করলেন তিনি।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেই ৩০০ ওয়ানডে উইকেটের কীর্তি গড়েছিলেন সাকিব। ৭ হাজার রান ও ৩০০ উইকেট পাওয়া তৃতীয় ক্রিকেটার এখন তিনি। সাকিবের আগে একদিনের ক্রিকেটে এই কীতিত্ব দেখিয়েছেন শ্রীলঙ্কার সনাৎ জয়াসুরিয়া ও পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি। তবে এ কীর্তির ক্ষেত্রে সাকিবই দ্রুততম।

দলীয় ৮১ রানে শান্ত বিদায় নেয়। রাউন্ড দা উইকেট থেকে করা অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রাইনের বলটি লাইন ধরে রেখে ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। ২৫ রান করে আউট হন তিনি। শান্তর বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন এই ম্যাচে অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়। সাকিবকে যোগ্য সঙ্গ দিতে থাকেন। দুজনের ব্যাটে ভর করে জুটি গড়ার চেষ্টা চালায় স্বাগতিকরা।

আগের তিনটি জুটি পঞ্চাশের আগে থামেলেও দলকে এগিয়ে নিয়েছে সাকিব-হৃদয় জুটি। ওয়ানডেতে অভিষিক্ত এই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে দলের রানের চাকা সছল রাখেন সাকিব। ৬০ বল থেকে ৫০ রান পূর্ণ করেন দুজনে। ক্যারিয়ারের ৫৩তম অর্ধশতক তুলে নেন সাকিব আল হাসান। এরপর থেকে হাত খুলে খেলতে থাকেন তিনি। ইনিংসের ৩৫তম ওভারে হ্যারি টেক্টরের উপর রীতিমতো তান্ডব চালিয়েছেন সাকিব। ৫ চারে সে ওভার থেকে ২২ রান তুলে নিয়ে সেঞ্চুরির আশা জাগান এই অলরাউন্ডার।

সাকিবের পর ক্যারিয়ারের প্রথম একদিনের ম্যাচেই অর্ধশতকের দেখা পান তৌহিদ হৃদয়। ২০০৬ সালে ফরহাদ রেজা ও ২০১১ সালে নাসির হোসেনের পর ওয়ানডেতে অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি করা তৃতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হলেন তিনি। সিনিয়র সাকিবের সাথে বেশ সাবলীলভাবেই ব্যাট করতে থাকেন এই তরুণ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। মাঠের চারদিকে শট খেলে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন তিনি। সেই সাথে রানিং বিটুইন দ্যা উইকেটেও বেশ তৎপরতা দেখিয়েছেন হৃদয়।

তবে সেঞ্চুরি থেকে যখন মাত্র ৭ রান দূরে, তখনই নিজের উইকেট বিলিয়ে দিলেন সাকিব। গ্রাহাম হিউমের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের একটি বল জায়গা ছেড়ে খেলতে গিয়ে আলগাভাবে ব্যাট চালিয়েছিলেন সাকিব। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে তা সহজ ক্যাচে পরিণত হয় উইকেটের পেছনে। ভাঙে চতুর্থ উইকেটে ১৩০ বলে ১৩৫ রানের জুটি। ২১৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

ক্রিজে এসেই এদিন মারমুখী ছিলেন মুশফিকুর রহিম। আগ্রাসী মেজাজে মোকাবেলা করেন আইরিশ বোলারদের। স্লগ সুইপে ছয় মেরে শুরুর পর সেটি ধরে রাখেন আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত। ইংলিশদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি পেলেও আইরিশদের বিপক্ষে তা হাতছাড়া হয়েছে ৬ রানের জন্য। ৪৬তম ওভারে গ্রাহাম হিউমের জোড়া আঘাতে রানের গতি কিছুটা কমে আসে বাংলাদেশের। এক বলের ব্যবধানে মুশফিক ও হৃদয়ের উইকেট তুলে নিয়ে দলকে খানিকটা স্বস্তি এনে দেন এই পেসার।

অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরির স্বপ্ন দেখছিলেন তৌহিদ হৃদয়। তবে সাকিবের মতো হতাশ হতে হয়েছে তাকেও। ৯২ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলে হতাশা সঙ্গী করেই মাঠ ছাড়েন এই তরুণ ব্যাটসম্যান। মুশফিক ৪৪ ও হৃদয় আউট হন ৯২ রানে। টেল এন্ডারদের নিয়ে বাকি সময়টা পার করে দেন ইয়াসির রাব্বি। নির্ধারতি ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাড়ায় ৭ উইকেটে ৩৩৮ রান। ৪টি উইকেট নেন হিউমে।

বাংলাদেশের দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ভালই জবাব দিচ্ছিলো আয়ারল্যান্ড। দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার স্টিফেন দোহেনি ও পল স্টারলিং। শুরুটা ধীর গতির হলেও দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন দুই আইরিশ ব্যাটসম্যান। সাকিবের করা প্রথম পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে চড়াও হন দোহেনি। এক ছয় ও দুই চারে সে ওভার থেকে ১৫ রান তুলে নেন তিনি। তাতে সুবিধাজনক স্থানে থেকে পাওয়ার প্লে শেষ করে আয়ারল্যান্ড। ১০ ওভারে দলটির সংগ্রহ দাড়ায় বিনা উইকেটে ৫১ রান। তবে ১২তম ওভারে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব আল হাসান। তার বল টার্ন করে দোহেনির ব্যাট ছুয়ে জমা হয় মুশফিকের গ্লাভসে। দলীয় ৬০ রানে প্রথম উইকেট হারায় সফরকারিরা। ৩৪ রান করেন দোহেনি।

সতীর্থের বিদায়ের পর তাকে অনুসরণ করে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার পল স্টারলিং। দোহেনির পরের ওভারেই ইবাদতের একটি শর্ট লেন্থের ডেলিভারিতে পরাস্ত হন স্টারলিং। উইকেটের পেছনে শূন্যে লাফিয়ে দারুণ এক ক্যাচ নেন মুশফিকুর রহিম। আইরিশররা সে ধাক্কা সামলে উঠার আগেই আবার আঘাত হানেন ইবাদত। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার আগেই হ্যারি টেক্টরকে ফিরতি পথ ধরায় এই পেসার। ৮ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে আয়ারল্যান্ড।

ক্রিজে দাড়িয়ে দলের এই ব্যাটিং ধসের সাক্ষী হচ্ছিলেন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডু বালবিরনি। তবে দুঃসময়ে দলকে এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হন তিনি। ১৬তম ওভারে তাসকিনের দারুণ এক ডেলিভারি ভেঙে দেয় তার স্টাম্প। ৭৩ রানে চতুর্থ উইকেটে পতন হয় দলটির। মাত্র ৫ রানে ফেরেন বালবিরনি। এক ওভার পর আবারো দলকে সাফল্য এনে দেন তাসকিন আহমেদ। লোরকান টাকারকে ফিরিয়ে চাপে ফেলে দেন প্রতিপক্ষকে। স্লিপে দর্শনীয় এক ক্যাচ নেন ইয়াসির রাব্বি। স্কোরবোর্ডে ৭৬ রান তুলতেই পাঁচ ব্যাটসম্যান হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে আয়ারল্যান্ড।

জর্জ ডকরেলকে নিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা চালিয়েছেন কার্টিস ক্যাম্ফার। তবে ১০৯ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন ক্যাম্ফার। জয়ের সুবাস পেতে থাকে স্বাগতিকরা। নাসুম আহমেদ ২৬তম ওভারের শেষ দুই বলে গ্যারেথ ডিলানি ও অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রাইনের উইকেট তুলে নিলে তা সময়ের ব্যবধানে পরিণত হয়। একপ্রান্ত আগলে রেখে হারের ব্যবধান কমাতে থাকেন ডকরেল। 

মার্ক অ্যাডায়ারকে নিয়ে লড়াই করতে থাকেন ডকরেল। নবম উইকেটে স্কোরবোর্ডে ২৮ রান যোগ করেন দুজনে। ইবাদত হোসেনের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন অ্যাডায়ার। ৩১তম ওভারে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ডকরেলের স্টাম্প উপড়ে দিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনিই। 

১৯ ওভার ১ বল বাকি থাকতেই ১৫৫ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড। তাতে ১৮৩ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। যা ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জয়। এর আগে ওয়ানডেতে রানের ব্যবধানে বাংলাদেশের সবচেয়ে জয় ছিলো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৬৩ রানের। ৪টি উইকেট নিয়ে বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল ইবাদত হোসেন। ৩টি উইকেট নেন নাসুম আহমেদ। আগামী ১৯ জানুয়ারি একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।


বাংলাদেশ   আয়ারল্যান্ড   ওয়ানডে   সিলেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশ: ০৩:০২ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ভিন্ন সিরিজের পূর্ণাঙ্গ সূচি ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। আগামী নভেম্বরে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। এরপরেই ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে অজিরা। দীর্ঘ ৩৩ বছর পর পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে যাচ্ছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া।

সবশেষ ১৯৯৯ সালে ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর হোম-অ্যাওয়েতে ১১টি চার ম্যাচের, তিনটি তিন ম্যাচের এবং একটি করে এক ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া।

পার্থের নতুন ভেন্যুতে আগামী ২২ নভেম্বর থেকে বোর্ডার-গাভাস্কার টেস্ট সিরিজ শুরু করবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। আগামী ৬ ডিসেম্বর গোলাপি বলে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া।

এরপর ব্রিজবেনে ১৪ ডিসেম্বর থেকে তৃতীয় খেলতে নামবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। ২৬ ডিসেম্বর বক্সিং ডে’তে সিরিজে চতুর্থ টেস্ট খেলবে দু’দল। ঐতিহ্যবাহী বক্সিং ডে টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। আগামী বছরের শুরুতে ৩ জানুয়ারি সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্টে লড়বে দু’দল।


অস্ট্রেলিয়া   ভারত   পাকিস্তান   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ব্যক্তিগত লক্ষ্য বা অর্জন নিয়ে কখনও ভাবিনি: সাকিব

প্রকাশ: ০১:৪২ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ক্রিকেটে কখনও ব্যক্তিগত লক্ষ্য বা অর্জন নিয়ে কখনও ভাবিনি বলে মন্তব্য করেছেন সাকিব আল হাসান। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রূপায়ণ সিটি উত্তরার সঙ্গে ঢাকায় একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা জানান বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।

সাকিব বলেন, ‘যতদিন ক্রিকেট খেলেছি, ব্যক্তিগত লক্ষ্য বা অর্জন নিয়ে কখনও ভাবিনি। সবসময় চেষ্টা করেছি দলে কীভাবে অবদান রাখা যায়। টেস্ট দলে ফিরতে পেরে স্বাভাবিকভাবেই আমি আনন্দিত। ম্যাচ জেতার আশা তো সবসময়ই করি। শ্রীলংকার সঙ্গে ম্যাচটি জেতা উচিত।’

বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব বেশ কিছুদিন ছিলেন জাতীয় দলের বাইরে। শ্রীলংকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে ফিরছেন জাতীয় দলে। ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত সংস্করণ ধরা হয় সাদা পোশাকের ম্যাচকে। সেই টেস্টে বাংলাদেশ এখনও অনেক পিছিয়ে। শ্রীলংকার বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছে চার দিনে। করতে পারেনি ন্যূনতম লড়াই।

সিলেট টেস্ট শেষে চট্টগ্রামে ফিরেছে দল। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগামী ৩০ মার্চ থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। সেই ম্যাচের দলে যুক্ত করা হয়েছে সাকিবকে।


শ্রীলংকা   বাংলাদেশ   সাকিব আল হাসান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

চট্টগ্রাম টেস্ট শুরুর পূর্বে লংকান শিবিরে দুঃসংবাদ

প্রকাশ: ১২:৩৮ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশকে নাস্তানাবুদ করে জয় তুলে নিয়েছে শ্রীলংকা। তবে দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর পূর্বে বড় দুঃসংবাদ পেয়েছে সফরকারীরা। সিলেট টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি লঙ্কান বোলার কাসুন রাজিথা চট্টগ্রাম টেস্ট থেকে ছ্টিকে গেছেন। ইনজুরির কারণে আগামী ৩০ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া এই টেস্টে খেলতে পারবেন না এই লঙ্কান পেসার।

রাজিথার পরিবর্তে চট্টগ্রাম টেস্টে খেলবেন আসিথা ফার্নান্ডো। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে এসএলসি বলেছে, 'কাসুন রাজিথা দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের জন্য বিবেচিত হবেন না। কারণ তিনি পিঠের বাঁপাশের উপরের অংশে চোট পেয়েছেন। পুনর্বাসনের কাজ শুরু করতে কাসুন দেশে ফিরে আসবে।'

সিলেট টেস্টে খেলতে গিয়ে পিঠের ইনজুরিতে পড়েন রাজিথা। তার পরিবর্তে যেই আসিথাকে দলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা, তিনি হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে সিলেট টেস্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। তবে দ্রুত ফিরে এসে যোগ দিচ্ছেন দ্বিতীয় টেস্টে।

সিলেট টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৮ উইকেট শিকার করেছেন রাজিথা। এর মধ্যে প্রথম ইনিংসে ৩ আর দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট।


শ্রীলংকা   বাংলাদেশ   টেস্ট ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কবে অবসরে যাচ্ছেন মেসি, জানালেন নিজেই

প্রকাশ: ১১:২৪ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। ক্যারিয়ারে এমন কিছু নেই যা তার অধরা। এমনকি ক্যারিয়ারের গোধূলি লগ্নে এসে নিজের আজন্ম স্বপ্ন পূরণ করেছেন তিনি। প্রথমবার বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছেন ৩৫ বছর বয়সে এসে।

বর্তমানে বয়স ৩৬ হলেও খেলার মাঠে যেন বয়সের কোনো চাপ নেই তার। জাতীয় দল কিংবা ক্লাব দুই জায়গায় ২০ বছরের তরুণের চেয়েও মাঠে এখনও দুর্দান্ত মেসি। এমন তারকা ফুটবলার অবসরে চলে যাক, তা হয়তো কোনো ভক্তই চান না। না চাইলেও অনেক ভক্তের মনে প্রশ্ন, মেসি তো অবসর নেবেন একটা সময়; আর সেটা কখন?

যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার (এমএলএস) লিগের ক্লাব ইন্টার মিয়ামির সঙ্গে মেসির চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে। এরপর মেসি অবসর নেবেন কিনা, সেই প্রশ্নই অনেকের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।

অবসর নিয়ে ভাবনা আছে মেসিরও। বিষয়টি নিয়ে খোলাখুলি কথাও বলেছেন আর্জেন্টাইন ব্শ্বিকাপজয়ী তারকা। তবে সেটা বয়স বিবেচনায় নয়। ৮ বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী এই তারকার অবসরের সিদ্ধান্ত আসবে পারফরম্যান্স বিবেচনায়।

মেসি এমবিসির বিগ টাইম পডকাস্টকে বলেন, ‘যে মুহূর্তে বুঝতে পারবো যে, আমি পারফর্ম করছি না, নিজেকে (খেলায়) উপভোগ করছি না এবং আমি আমার সতীর্থদের সাহায্য করতে পারছি না (তখন অবসরের সিদ্ধান্ত আসবে)।’

আর্জেন্টাইন তারকা আরও বলেন, ‘আমি খুব আত্মসমালোচক। আমি জানি কখন ভালো খেলি, কখন খারাপ খেলি। যখন আমি অনুভব করবো, এই (অবসর) পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে, তখন বয়স নিয়ে চিন্তা না করেই এটি গ্রহণ করব। যদি আমি ভাল বোধ করি, আমি সর্বদা প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো। কারণ এটি আমি পছন্দ করি এবং সেটি কিভাবে করতে হবে সেটাও জানি।’

কাতার বিশ্বকাপে যদি শিরোপা জিততে না পারতেন, তাহলে ওই আসরের পরই অবসর নিয়ে নিতেন, এমনটিই বলেছেন মেসি।

ফুটবলে বর্ণাঢ্য এক ক্যারিয়ার তৈরি করেছেন মেসি। এখন পর্যন্ত ৪৪টি শিরোপা জিতেছেন তিনি। এখনো যেভাবে খেলছেন, তাতে বেশ কিছু শিরোপা জেতার সম্ভাবনা তো আছেই।

বর্তমানে হ্যামস্ট্রিং চোটে ভুগছেন মেসি। যে কারণে এল-সালভেদর ও কোস্টারিকার বিপক্ষে আর্জেন্টিনা হয়ে দুটি ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

দি মারিয়াকে হুমকিদাতা গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

আর্জেন্টিনার রোসারিও শহরের খ্যাতির কারণ জিজ্ঞেস করলে লোকে বলবে দুই বিশ্বজয়ী ফুটবলারের নাম- লিওনেল মেসি ও এঞ্জেল ডি মারিয়া। ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনাকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করার অন্যতম বড় কাণ্ডারি তো তারাই। এর মধ্যে ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে চলে এসেছেন প্রতিভাবান উইঙ্গার এঞ্জেল ডি মারিয়া। জানিয়েছেন, এবারের কোপা আমেরিকার পরেই জার্সিটা তুলে রাখতে চান তিনি। কিন্তু পুরো আর্জেন্টিনায় ব্যাপক জনপ্রিয় এই ফুটবলারই কদিন আগেই নিজের দেশে পেয়েছিলেন মৃত্যুর হুমকি। আর এবার সেই হুমকিদাতাদের গ্রেপ্তার করেছে আর্জেন্টিনার ফেডারেল পুলিশ এবং তদন্ত ও অপরাধীদের তথ্য সংগ্রহে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট পিডিআই।

৩৬ বছর বয়সী দি মারিয়া বর্তমানে খেলছেন পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকায়। গত সপ্তাহে দি মারিয়া জানিয়েছিলেন, শৈশবের ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রালে খেলেই ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানতে চান। সেই ঘোষণার পরই হুমকি পান দি মারিয়া। মাদকসংক্রান্ত সহিংসতার জন্য কুখ্যাতি আছে সান্তা ফে প্রদেশের শহর রোজারিওর। এই শহরেরই নিরাপত্তাবেষ্টিত আবাসিক এলাকায় দি মারিয়ার বাড়ি। সেখানেই সোমবার ভোরে হুমকিসংবলিত কাগজ ছুড়ে ফেলে যায় কজন অচেনা ব্যক্তি। একটি ধূসর গাড়ি থেকে ছুড়ে ফেলা সেই কাগজে দি মারিয়ার পরিবারের উদ্দেশে লেখা ছিল, আর্জেন্টাইন তারকা যদি শহরে ফেরেন, তাহলে প্রাদেশিক গভর্নর মাক্সিমিলিয়ানো পুয়ারোও দি মারিয়াদের নিরাপদে রাখার নিশ্চয়তা দিতে পারবেন না।

আর্জেন্টিনার জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী পাত্রিসিয়া বুলরিখ জানিয়েছেন, এই হুমকি দেওয়ার মূল হোতার নাম পাবলো আকোত্তো। মাদক চোরাচালানের ব্যাপারে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। হুমকি দেওয়ায় তাঁকে সহযোগিতা করেছেন সারা বেলেন গুতিরেজ ও গ্যাব্রিয়েল ইসমায়েল পাস্তোরে। পাবলো আকোত্তো হুমকি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, নিজ নিজ বাসা থেকে পালানোর সময় এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সান্তা ফে প্রদেশের দুই সরকারি কৌঁসুলি হাভিয়ের আরজুবি ও পাবলো সোক্কা এই অভিযানে জোরদার ভূমিকা পালন করেন।

টিওয়াইসি স্পোর্টস আরও জানিয়েছে, গত ২৫ মার্চ সোমবার রাত আড়াইটায় অপরাধীরা গাড়িতে করে ফুনেস হিলস মিরাফ্লোরেস কান্ট্রি হাউসের সামনে হুমকিবার্তা ফেলে রেখে যান। দি মারিয়া আর্জেন্টিনায় ফিরলে সেখানেই থাকেন।

দি মারিয়ার বাবার প্রতি লেখা হুমকিবার্তায় যা লেখা ছিল, সেটা প্রকাশ করেছে আর্জেন্টিনার নিউজ পোর্টাল ইনফোবে, ‘তোমাদের ছেলে আনহেলকে বলো রোজারিওতে না ফিরতে। যদি ফেরে, তোমাদের পরিবারের যেকোনো একজন সদস্যকে আমরা খুন করব। পুয়ারোও তোমাদের বাঁচাতে পারবে না। আমরা শুধু কাগুজে বার্তাই ফেলে যাই না, আমরা বুলেট আর লাশও ফেলে যাই।’ তখন ওই অঞ্চলে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, গাড়িটি দ্রুতবেগে বেরিয়ে যাওয়ার সময় চারবার গুলির আওয়াজ তাঁরা শুনেছেন। ধূসর রঙের রেনাল্ট মডেলের সেই গাড়ি পরে সান্তা ফে পুলিশ রাস্তায় পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।

আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম লা কাপিতালকে বুলরিখ বলেছেন, ‘আমরা মনে করি সমর্থকদের মধ্যে ঝামেলার সঙ্গে এটার (হুমকি) সম্পর্ক আছে। কারণ তিনি (দি মারিয়া) বলেছেন, রোজারিও সেন্ট্রালের হয়ে আবারও খেলতে চান।’ রোজারিওতে রোজারিও সেন্ট্রাল ক্লাবের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী নিওয়েলস ওল্ড বয়েজ।

দি মারিয়ার সঙ্গে বেনফিকার চুক্তির মেয়াদ ফুরোবে এ বছরের ৩০ জুন। যুক্তরাষ্ট্রে কোপা আমেরিকা শুরু হয়ে যাবে এর আগেই, ২০ জুন। টুর্নামেন্টটি খেলে দি মারিয়া আর্জেন্টিনায় ফিরবেন কি না, সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।

আর্জেন্টিনা   ডি মারিয়া   রোসারিও  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন