এশিয়া কাপ ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিং আরচারিতে স্বর্ণ জিতেছে বাংলাদেশ। চাইনিজ তাইপেতে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতার স্টেজ-১ এ এই অর্জন লেখা হলো বাংলাদেশের নামের পাশে। রোববার রিকার্ভ মিশ্র দৈতের ফাইনালে দিয়া সিদ্দিকী ও হাকিম আহমেদ রুবেলের সমন্বয়ে গড়া বাংলাদেশ ৫-৩ সেট পয়েন্টে হারিয়েছে কাজাখস্তানকে।
দেশসেরা নারী আর্চার দিয়া সিদ্দিকী। তার সঙ্গে হাকিম আহমেদ রুবেলকে নিয়ে এবারের প্রতিযোগিতায় দল সাজায় বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে এই জুটি ৫-১ সেট পয়েন্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পায়। তার আগে কোয়ার্টারফাইনালে বাংলাদেশ ৬-২ সেট পয়েন্টে জয় পেয়েছিল মালয়েশিয়ার বিপক্ষে।
প্রধান প্রশিক্ষক মার্টিন ফ্রেডরিকের অধীনে এ টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের ৯ সদস্যের দল। ১০ ইভেন্টের মধ্যে বাংলাদেশ অংশ নিয়েছে রিকার্ভ পুরুষ একক, রিকার্ভ মহিলা একক, রিকার্ভ পুরুষ দলগত, রিকার্ভ মিশ্র দলগত, কম্পাউন্ড পুরুষ একক, কম্পাউন্ড মহিলা একক এবং কম্পাউন্ড মিশ্র দলগত ইভেন্টে।
বাংলাদেশ দল:
মোহাম্মদ হাকিম আহমেদ রুবেল (রিকার্ভ পুরুষ), মো. সাগর ইসলাম (রিকার্ভ পুরুষ), রামকৃষ্ণ সাহা (রিকার্ভ পুরুষ), দিয়া সিদ্দিকী (রিকার্ভ মহিলা), মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান (কম্পাউন্ড পুরুষ) ও শ্যামলী রায় (কম্পাউন্ড মহিলা)।
এশিয়া কাপ আর্চারি বাংলাদেশ স্বর্ণ
মন্তব্য করুন
যে দলটির বিপক্ষে ক্রিকেটের কোন সংস্করণেই জয় ছিলো না আফগানিস্তানের, সেই দলটির বিপক্ষেই সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়লো এশিয়ার নবীনতম দলটি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও জিতেছে আফগানরা। নাটকীয়তায় মোড়া ম্যাচটির শেষ ওভারে জয় নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তান। পাকিস্তানের করা ৬ উইকেটে ১৩০ রানের জবাবে ১ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে রশিদ খানের দল। তাতে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেলো দলটি।
টি-টোয়েন্টিতে প্রথম তিন দেখায় তিনটিতেই পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল আফগানিস্তান। গত শুক্রবার পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতে আফগানিস্তান। এবার সিরিজও পকেটে পুঁড়লো তারা। এখন শেষ ম্যাচে জিতে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগও রয়েছে আফগানদের। ম্যাচের ভাগ্য পেন্ডলামের মতো ঝুলছিলো দুই দলের দিকেই। ম্যাচ একবার আফগানিস্তানের দিকে হেলে তো আরেকবার পাকিস্তানের দিকে। বারবার রূপ বদলানো এই ম্যাচে শেষ ২ ওভারে আফগানিস্তানের প্রয়োজন ছিল ২২ রান। সেখান থেকে শেষ ৬ বলে ৫। আর শেষ ২ বলে আফগানদের প্রয়োজন ছিল ২। সেই সমীকরণ মিলিয়ে স্মরণীয় এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রহমানুল্লাহ গুরবাজরা।
শারজায় টস জিতে ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভাল হয়নি পাকিস্তানের। ইনিংসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে সিয়াম আইয়ুব ও আবদুল্লাহ শফিককে ফিরিয়ে হ্যাট্রটিকের সম্ভাবনা জাগানোর পাশাপাশি পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের ভিত নাড়িয়ে দেন ফজল হক ফারুকি। প্রথম ওভারে কোনো রান না দিয়েই ২ উইকেট নেন ফারুকি। আর টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা চার ম্যাচে শূন্য রানে আউট হলেন এই ব্যাটসম্যান।
তৃতীয় ওভারে পাকিস্তানকে ধাক্কা দেন নাভিন উল হক। হারিসকে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। শুরুর ধাক্কা সামলে দলকে টেনে নেয়ার চেষ্টা করেন তায়েব তাহির ও ইমাদ ওয়াসিম। দলীয় ৬০ রানে তায়েবকে ফেরান করিম জানাত। পরের ওভারে দুর্দান্ত এক গুগলীতে আজম খানকে পরাস্ত করেন রশিদ খান।
এরপর ইমাদ ওয়াসিম ও অধিনায়ক শাদাব খানের ব্যাটে ভর করে লড়াই করার মতো পুঁজি পায় পাকিস্তান। ফিফটি তুলে নেন ইমাদ। ইনিংসের শেষ ওভারে রান আউট হন শাদাব। ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন ইমাদ ওয়াসিম। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে পাকিস্তানের ষংগ্রহ দাড়ায় ৬ উইকেটে ১৩০ রান।
লক্ষ্য তাড়ায় উড়ন্ত সূচনা পায় আফগানিস্তান। চতুর্থ ওভারে উসমান ঘানিকে হারালেও রানের গতি শ্লথ করেনি আফগানিস্তান। জুটি গড়ে দলকে টেনে নেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জারদান। ১০ ওভার শেষে তারা দলকে নিয়ে যান ৬৬ রানে। মাঝে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রান ও বলের ব্যবধান বেড়ে যাওয়ায় চাপে পড়ে আফগানিস্তান। ১৬তম ওভারে রানআউট হয়ে ফিরে যান ৪৪ রান করা গুরবাজও। দলীয় ১০২ রানে ফিরে যান ৩৮ করা ইব্রাহিমও। তবে ১৯তম ওভারে চাপের মুখে ১৭ রান নিয়ে ম্যাচের রূপ বদলে দেয় আফগানিস্তান। আর রুদ্ধশ্বাস শেষ ওভারের ৫ম বলে চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন জারদান।
আফগানিস্তান পাকিস্তান শারজা টি-টোয়েন্টি
মন্তব্য করুন
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ে লুক্সেমবার্গকে গোল বন্যায় ভাসাল পর্তুগাল। ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এ নিয়ে পরপর
দুই ম্যাচে জোড়া গোলের দেখা পেলেন রোনালদো। আন্তর্জাতিক ফুটবলে এ নিয়ে রোনালদোর
গোলসংখ্যা গিয়ে ঠেকল ১২২-এ।
‘জে’ গ্রুপের ম্যাচে রবিবার লুক্সেমবার্গের জাতীয় স্টেডিয়ামে লুক্সেমবার্গকে ৬-০ গোলে হারিয়েছে রবের্তো মার্তিনেসের দল।
রোনালদোর জোড়া গোলের পাশাপাশি অন্য চারটি গোল করেছেন জোয়াও ফেলিক্স, বের্নার্দো সিলভা, ওতাভিও ও রাফায়েল লেয়াও।
লুক্সেমবোর্গ স্টেডিয়ামে ম্যাচের নবম মিনিটে পর্তুগালকে এগিয়ে দেন রোনালদো। নুনো মেন্দেসের হেড থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের ছোঁয়ায় তা জালে পাঠান তিনি।
১৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জোয়াও ফেলিক্স। বের্নার্দো সিলভার মাপা ক্রসে দুর্দান্ত হেডে খুঁজে নেন জালের ঠিকানা। তিন মিনিট পর আবারও হেডে গোল পায় পর্তুগাল। এবার অবশ্য গোলদাতা সিলভা নিজেই। জোয়াও পালিনিয়ার থ্রু বলে মাথা ছুঁইয়ে দারুণ এক গোল করেন এই মিডফিল্ডার।
৩১ মিনিটে ব্রুনো ফের্নান্দেসের বাড়ানো বল খুঁজে নেয় ডি বক্সে থাকা রোনালদোকে। বাঁ প্রান্তের নিচু কর্নার দিয়ে বাঁ পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। ফলে ৪-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় পর্তুগাল।
দ্বিতীয়ার্ধে অতোটা ধারালো ছিল না সফরকারীরা। ৫৭ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখা রোনালদোকে ৬৬ মিনিটে বদলি করান কোচ মার্তিনেস। মাঠে নামান বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করা গনসালো রামোসকে। কিন্তু এবার খালি হাতেই ফিরতেই হয় তাকে। তবে ওতাবিওর দিনটা ছিল ব্যতিক্রম। মাঠে নামার দুই মিনিটের ভেতর ম্যাচের ৭৭ মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখান তিনি। রাফায়লে লেয়াওয়ের ক্রস থেকে তার হেড ব্যবধান বাড়িয়েছিল পর্তুগালের। ৮৪ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল পর্তুগিজরা, কিন্তু তা থেকে গোল করতে পারেননি লেয়াও। চার মিনিট পরই অবশ্য দারুণ এক গোলে শাপমোচন করেন তিনি। পিছিয়ে পড়ার পর আর ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি খুঁজে পায়নি লুক্সেমবোর্গ। তাই ঘরের মাঠে বড় হারের স্বাদ পেতে হয় তাদের।
মন্তব্য করুন
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজের আগেই ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে নিজেদের সেরা সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। আরেকটি সিরিজ সামনে রেখে তাই লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের কাছে প্রত্যাশার পারদ অনেক উচুতে সকলের। যদিও প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড কাগজে-কলমে ও শক্তি-সামর্থ্যে অনেকটাই পিছিয়ে বাংলাদেশের থেকে।
যে সংস্করণে বাংলাদেশ পায়ের নিচের মাটি খুঁজে পেতেই হিমশিম খাচ্ছিলো, সেই সংস্করণে এমন সাফল্য খানিকটা অবাক করে দেয়ার মতোই। তবে এতে কৃতিত্বের দাবিদার দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধান কোচের দায়িত্ব পাওয়া কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহের। পরিবর্তনটা চোখে পড়ার মতোই। ঘরের মাঠে উইকেটের সুবিধা নিয়ে অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ডের মতো দলকেও টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ হারিয়েছে বাংলাদেশ। তবে ইংলিশদের বিপক্ষে সেই সিরিজে তেমন কিছু দেখা যায়নি। উল্টো স্পোর্টিং উইকেটে খেলে দাপুটে পারফরম্যান্স দেখিয়েই জয় তুলে নিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। এমন সাফল্যের পেছনের কারণ কি?
বাংলাদেশ এখন ভালো উইকেটে খেলছে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট। ঘরের মাঠের স্পিননির্ভরতা থেকে সরে এসেছে। গতি দিয়ে দুমড়েমুচড়ে দিচ্ছে প্রতিপক্ষকে। ফিল্ডিংয়ে এসেছে উন্নতি। ক্রিকেটাররা খেলছে মন খুলে। যেন হারানোর ভয় নেই। পরিবর্তন এসেছে মানসিকতায়। দ্বিতীয় মেয়াদে দ্বায়িত্ব নিয়ে ড্রেসিংরুমে এই পরিবর্তনের ছোঁয়াতেই বদলে গেছে বাংলাদেশ দল।
আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজের আগে দলের পরিবর্তনের বিষয়ে এই মানসিকতার বদলকে- মূল কারণ হিসেবে ব্যাখা করেছেন হাথুরুসিংহে। লঙ্কান এই কোচের মতে, রাতারাতি ক্রিকেটারদের দক্ষতায় পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়, যেটা সম্ভব তা হলো মানসিকতার বদল। রক্ষণাত্মক মাসনিকতা ছেড়ে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার জন্য যে ‘মনস্তাত্ত্বিক নিরাপত্তা’ দরকার সেটির উপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।
সেই সাথে ক্রিকেটারদের চাপ মুক্ত হয়ে খেলার সুযোগের কথা বলেছেন হাথুরুসিংহে। সেরকম পরিবেশ তৈরি করতে পারলে, খেলোয়াড়রা ফলাফল কিংবা এর প্রভাবের ব্যাপারে চিন্তা না করে নিজের সেরাটা দিতে পারবে। আর সব মিলিয়ে এসব কারণেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ।
মাঠে আগ্রাসী ক্রিকেট বলতে শুধু মেরে খেলা নয়, সবদিক থেকেই বদল আনতে চায় বাংলাদেশ। সেটা দল নির্বাচন থেকে শুরু করে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং এবং মাঠে ক্রিকেটারদের শরীরী ভাষাতেও। মাঠে সে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে পারলে দলগত সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়তে থাকে। আইরিশদের বিপক্ষেও সেই পথেই হাঁটার লক্ষ্য বাংলাদেশ দলের।
বাংলাদেশ, আয়ারল্যান্ড, হাথুরুসিংহে, টি-টোয়েন্টি
মন্তব্য করুন
রোমাঞ্চকর এক ম্যাচের সাক্ষী হলো সেঞ্চুরিয়নের সুপার স্পোর্টস পার্কে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখতে আসা দর্শকরা। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে হেরে পিছিয়ে পড়েছিলো স্বাগতিকরা। তাতে ক্যারিবিয়ানদের সামনে ছিলো সিরিজ পকেটে পুড়ে নেয়ার হাতছানি। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে জনসন চার্লসের ঝড়ে সেঞ্চুরিতে সে পথে অনেকটা এগিয়েও গিয়েছিলো সফরকারিরা। তবে কুন্টন ডি ককের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিতে শেষ হাসি হেসেছে প্রোটিয়ারাই। ক্যারিবিয়ানদের ৬ উইকেটে হারিয়ে সমতা এনেছে সিরিজে।
নির্বাসন কাটিয়ে ছয় বছর পর গত বছরের অক্টোবরে দলে ফিরেছেন জনসন চার্লস। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ ও এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খুব একটা ভালো কাটেনি চার্লসের। তবে আজ যেন স্বরূপে দেখা গেলো এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে। ইনিংসের তৃতীয় বলে ব্রান্ডন কিংয়ের উইকেট হারালে ক্রিজে আসেন চার্লস। এরপর থেকেই ঝড় বইয়ে দেন প্রোটিয়া বোলারদের উপর। ক্রিস গেইলকে টপকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক এখন তিনি। প্রতিপক্ষের উপর তান্ডব চালিয়ে মাত্র ৩৯ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। আগের রেকর্ডটি ছিল ক্রিস গেইলের। ২০১৬ বিশ্বকাপে মুম্বাইয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন ইউনিভার্স বস।
অপর প্রান্তে থাকা কাইল মায়ার্সও তুলে নেন অর্ধশতক। আর শেষ দিকে রোমারিও শেফার্ড ও ওডেন স্মিথের ক্যামিওতে ৫ উইকেটে ২৫৮ রানের সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি করে চার্লস আউট হন ১১৮ রানে। ১০ চার ও ১১টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। তার চেয়ে কম বলে সেঞ্চুরি আছে তিনজনের। ডেভিড মিলার, রোহিত শর্মা ও সুদেশ বিক্রমাসেকারা- প্রত্যেকেই সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ৩৫ বলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়েও এটি টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ।
বড় টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার কুন্টন ডি কক ও রিজা হেনড্রিকস। ১৫২ রানের জুটিতে দলকে কক্ষপথে রাখেন দুজনে। ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে র্যামন রেইফারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ডি কক সাজঘরে ফিরলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। ৪৪ বলে ৯ চার ও ৮ ছয়ে ১০০ রান করেন ডি কক। রাইলি রুশো থিতু হতে না পারলেও হেনড্রিকস ২৮ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন প্রোটিয়াদের। মিলারও ফিরেছেন দ্রুতই।
তবে অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও হাইনরিখ ক্লাসেনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৭ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে হারের লজ্জা থেকে বাঁচার পাশাপাশি সিরিজ জয়ের সম্ভাবনাও বাচিয়ে রাখলো স্বাগতিকরা।
দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি
মন্তব্য করুন
ভারতীয় ক্রিকেটে এই মুহুর্তে আলোচিত এক নাম সরফরাজ খান। ঘরোয়া লিগে দুর্দান্ত খেলেও জাতীয় দলে জায়গা হয়নি এই খেলোয়াড়ের। রঞ্জি ট্রফিতে ৬ ম্যাচে তিন সেঞ্চুরিসহ ৫৫৬ রান করেছিলেন তিনি। এমন পারফর্ম্যান্সের পরেও তাকে উপেক্ষা করেই দল গঠন করা হয়। শারীরিক স্থুলতাকে যার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে টেস্ট স্কোয়াডে সরফরাজের নাম না আসায় নির্বাচকদের নিয়ে সমালোচনা করেছেন ভেঙ্কটেশ প্রসাদ, সুনীল গাভাসকরের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কড়া সমালোচনা করে গাভাস্কার বলেছিলেন, রোগা ও ছিপছিপে চেহারের কাউকে খুজলে ফ্যাশন শো থেকে ক্রিকেটার খুঁজে আনা উচিত বিসিসিআইয়ের। তবে তাতে পিছু হটেন নি সরফরাজ। নিজের ফিটনেস নিয়ে কাজ করে চলেছেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান। নিজেকে ফিট রাখতে প্রতিদিন রাত ২টায় অনুশীলন থেকে ফিরে আবার ভোর ৫টায় অনুশীলনে যাওয়া কথা জানান সরফরাজ।
আসন্ন আইপিএলকে সামনে রেখে প্রথমবারের মতো ফিটনেস নিয়ে কথা বলেন তিনি। সরফরাজ জানান, ক্রিকেটে ফিট থাকাটা খুব দরকার। এর জন্য অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন তিনি। সাধারণ দিনেই ছয় জন ভিন্ন বোলারের বিরুদ্ধে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যাটিং করে থাকেন। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সরফরাজ বলেন, ‘ফিটনেস সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। রঞ্জি ট্রফি খেলা শেষ করে রাত দুইটায় বাসায় গিয়ে আবার ভোর পাঁচটায় ফিরে আসছিলাম। দিল্লিতে সম্প্রতি ১৪ দিনের জন্য একটি ফিটনেস ক্যাম্পেইনে যুক্ত ছিলাম। আমার হাতে থাকা সবগুলো উপায়ে চেষ্টা করছি ফিট থাকার।’
দলে জায়গা না পেলেও নিজের ফর্ম নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে সরফরাজ বলেন,এখন যে ছন্দে আছেন তা দীর্ঘদিন ধরে রাখতেই মনোযোগী তিনি। নিজের ফর্ম ধরে রাখে আরও কিছুক্ষণ দলের জন্য অপেক্ষা করতে চান তিনি। সূর্যকুমার যাদবের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন সেও দেরিতে ডাক পেয়েছে এবং টানা ভালো ফর্মেও রয়েছে।
মন্তব্য করুন
যে দলটির বিপক্ষে ক্রিকেটের কোন সংস্করণেই জয় ছিলো না আফগানিস্তানের, সেই দলটির বিপক্ষেই সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়লো এশিয়ার নবীনতম দলটি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও জিতেছে আফগানরা। নাটকীয়তায় মোড়া ম্যাচটির শেষ ওভারে জয় নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তান। পাকিস্তানের করা ৬ উইকেটে ১৩০ রানের জবাবে ১ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে রশিদ খানের দল। তাতে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেলো দলটি।
‘জে’ গ্রুপের ম্যাচে রবিবার লুক্সেমবার্গের জাতীয় স্টেডিয়ামে লুক্সেমবার্গকে ৬-০ গোলে হারিয়েছে রবের্তো মার্তিনেসের দল। রোনালদোর জোড়া গোলের পাশাপাশি অন্য চারটি গোল করেছেন জোয়াও ফেলিক্স, বের্নার্দো সিলভা, ওতাভিও ও রাফায়েল লেয়াও। লুক্সেমবোর্গ স্টেডিয়ামে ম্যাচের নবম মিনিটে পর্তুগালকে এগিয়ে দেন রোনালদো। নুনো মেন্দেসের হেড থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের ছোঁয়ায় তা জালে পাঠান তিনি।
যে সংস্করণে বাংলাদেশ পায়ের নিচের মাটি খুঁজে পেতেই হিমশিম খাচ্ছিলো, সেই সংস্করণে এমন সাফল্য খানিকটা অবাক করে দেয়ার মতোই। তবে এতে কৃতিত্বের দাবিদার দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধান কোচের দায়িত্ব পাওয়া কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহের। পরিবর্তনটা চোখে পড়ার মতোই। ঘরের মাঠে উইকেটের সুবিধা নিয়ে অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ডের মতো দলকেও টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ হারিয়েছে বাংলাদেশ। তবে ইংলিশদের বিপক্ষে সেই সিরিজে তেমন কিছু দেখা যায়নি। উল্টো স্পোর্টিং উইকেটে খেলে দাপুটে পারফরম্যান্স দেখিয়েই জয় তুলে নিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। এমন সাফল্যের পেছনের কারণ কি?
রোমাঞ্চকর এক ম্যাচের সাক্ষী হলো সেঞ্চুরিয়নের সুপার স্পোর্টস পার্কে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখতে আসা দর্শকরা। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে হেরে পিছিয়ে পড়েছিলো স্বাগতিকরা। তাতে ক্যারিবিয়ানদের সামনে ছিলো সিরিজ পকেটে পুড়ে নেয়ার হাতছানি। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে জনসন চার্লসের ঝড়ে সেঞ্চুরিতে সে পথে অনেকটা এগিয়েও গিয়েছিলো সফরকারিরা। তবে কুন্টন ডি ককের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিতে শেষ হাসি হেসেছে প্রোটিয়ারাই। ক্যারিবিয়ানদের ৬ উইকেটে হারিয়ে সমতা এনেছে সিরিজে।
ভারতীয় ক্রিকেটে এই মুহুর্তে আলোচিত এক নাম সরফরাজ খান। ঘরোয়া লিগে দুর্দান্ত খেলেও জাতীয় দলে জায়গা হয়নি এই খেলোয়াড়ের। রঞ্জি ট্রফিতে ৬ ম্যাচে তিন সেঞ্চুরিসহ ৫৫৬ রান করেছিলেন তিনি। এমন পারফর্ম্যান্সের পরেও তাকে উপেক্ষা করেই দল গঠন করা হয়। শারীরিক স্থুলতাকে যার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে টেস্ট স্কোয়াডে সরফরাজের নাম না আসায় নির্বাচকদের নিয়ে সমালোচনা করেছেন ভেঙ্কটেশ প্রসাদ, সুনীল গাভাসকরের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও।