ইনসাইড গ্রাউন্ড

শিরোপা পুনুরুদ্ধারের পথে বার্সা

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২০ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

প্রায় শতবর্ষ ধরে পথচলা শুরু হয়েছে স্প্যানিশ লিগ লা লিগার। ১৯২৯ সালে প্রথম আসরের পর থেকে চলতি মৌসুমের আগ পর্যন্ত মাঠে গড়িয়েছে ৯১টি আসর। মাঝে স্পেনের গৃহযুদ্ধের কারণে ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত বন্ধ ছিলো এই প্রতিযোগিতা। ইউরোপের অন্যতম শীর্ষ টুর্নামেন্ট এটি। মর্যাদার দিক থেকে স্পেনের সর্বোচ্চ এই ফুটবল টুর্নামেন্ট কোন অংশে কম নয়। তবে যতই সময় গড়িয়েছে, ততই দুই ঘোড়া রেসে পরিণত হয়েছে লা লিগা। বড় ঘোড়ায় দৌড় হিসেবেও তাই পরিচিতি রয়েছে প্রতিযোগিতাটির। আর এই দুই ঘোড়া রাজধানী মাদ্রিদ ভিত্তিক ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। আর অন্যটি উত্তর-পূর্ব স্পেনের কাতালুনিয়া ভিত্তিক বার্সেলোনা।

লা লিগার অভিষেক আসরে শিরোপা জয় করেছিলো বার্সা। সেবার রানার্স আপ হয়েছিলো রিয়াল মাদ্রিদ। শুরুর দিকে বার্সেলোনা, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, ভ্যালেন্সিয়া ছিলো দাপুটে দল। তবে ষাট ও সত্তরের দশকে এসে বদলে যায় চিত্র। পাদপ্রদীপের আলো নিজেদের দিকে টেনে আনে রিয়াল মাদ্রিদ। যা তাদের লা লিগার সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ী দলে পরিণত করেছে। আর সে সময়টাতে নিজেদের হারিয়ে খুঁজতে গিয়ে রিয়ালের পেছনে পড়ে যায় বার্সা। গ্যালাকটিকোদের রেকর্ড ৩৫টি শিরোপার বিপরীতে বার্সার ঝুঁলিতে রয়েছে ২৬টি লা লিগা শিরোপা। একবিংশ শতাব্দীতে এসেও এই লিগ শিরোপাকে নিজেদের সম্পত্তিতে পরিণত করেছে দুই দল। এক বা দুই মৌসুম কোন দল জিতলেও, পরের মৌসুমে শিরোপা যায় অন্য দলের ঘরে। একদিকে স্প্যানিশ আভিজাত্য অন্যদিকে কাতালুনিয়ার স্বাধীনতা- দুইয়ের মিশেলে দল দুটি হয়ে উঠেছে চির প্রতিদ্বন্দ্বী।

সবশেষ ২০১৮-১৯ সালে লিগ শিরোপা জিতেছিলো বার্সেলোনা। এরপর থেকে লা লিগা কিংবা ইউরোপের শীর্ষ প্রতিযোগিতা- কোনটিতেই সুবিধা করে উঠতে পারেনি বার্সা। তবে চলতি মৌসুমে ক্লাবেরই সাবেক ফুটবলার ও কিংবদন্তি জাভি হার্নান্দেজ দ্বায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করছে কাতালানরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে খালি ফিরলেও এই মৌসুমে তাদের লিগ শিরোপা জয় শুধু সময়ের ব্যবধান মাত্র। গতকাল এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে তা আরো জোরদার করেছে বার্সা।

চলতি মৌসুমের অর্ধেকেরও বেশি ম্যাচ খেলে ফেলেছে লা লিগার দলগুলো। প্রতিটি দলই খেলেছে ২৬টি করে ম্যাচ। সেখানে ২২ জয়ের পাশাপাশি সমান ২টি করে ড্র ও হারে বার্সার পয়েন্ট ৬৮। সমান ম্যাচ খেলে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৫৬। বার্সার সাথে পয়েন্ট ব্যবধান কমানোর সুযোগ ছিলো রিয়ালের, তবে সেটা কাজে লাগাতে পারেনি দলটি। উল্টো ম্যাচ হেরে ১২ পয়েন্ট পিছিয়ে পড়া লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের শিরোপা ধরে রাখার সম্ভাবনা তাই নেই বলাই যায়। ইতিহাস ও পরিসংখ্যান সে দাবির পক্ষেই সাফাই গায়। অতীতে দশ পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শিরোপা হাতছাড়া করেনি কোন দলই।

এই মুহূর্তে বার্সা-রিয়াল ছাড়া লিগের শীর্ষ পাঁচ দলের মধ্যে আছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, রিয়াল সোসিয়েদাদ ও রিয়াল বেতিস। সেখানে অ্যাটলেটিকোর পয়েন্ট ৫১, সোসিয়েদাদের ৪৮ ও বেতিসের ৪৫। যেখান থেকে এদের কারো শিরোপা জেতা অসম্ভব।

বার্সার এই জয়ে লা লিগার শিরোপার লড়াইও কার্যত শেষই বলে দেওয়া যায়। কাগজে কলমে এখনো রিয়াল মাদ্রিদের পক্ষে বার্সেলোনাকে ধরা সম্ভব। কিন্তু এই ১২ পয়েন্টের ব্যবধান ঘুচিয়ে শেষ পর্যন্ত যদি রিয়াল মাদ্রিদ এই মৌসুমে লা লিগার শিরোপা জিতে যায়, সেটা রূপকথার গল্পের মতোই হবে। এখন দেখার অপেক্ষা রূপকথা লিখে রিয়ালের প্রত্যাবর্তন হবে না কি হারানো সাম্রাজ্য পুনুরুদ্ধারে বার্সার মিশন সফল হবে।


লা লিগা   বার্সেলোনা   রিয়াল মাদ্রিদ   শিরোপা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

গুঞ্জন উড়িয়ে জার্মানির সাথে নাগলসমানের চুক্তি নবায়ন

প্রকাশ: ০১:৫৯ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বেশ কিছুদিন ধরেই ফুটবল পাড়ায় গুঞ্জন চলছে যে, আসন্ন ইউরো শেষেই জার্মানির প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়ছেন ইউলিয়ান নাগলসমান। শুধু তাই নয়, এমনও শোনা যাচ্ছিল যে, তিনি আবারও ফিরবেন তার পুরোনো ঠিকানায়। তবে এবার সব জল্পনা-কল্পনা শেষে আবারও জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের (ডিএফবি) সঙ্গে ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী এ কোচ।

জাতীয় দলের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত নাগলসমান। জাতোয় দলের সঙ্গে কাজ করাটা কতটা উপভোগ করেন তিনি, তা বুঝাতে গিয়ে এই কোচ বলেছেন—সিদ্ধান্তটা মাথা দিয়ে নয়, হৃদয় থেকে নিয়েছেন।

ডিএফবির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের পর নাগলসমান বলেছেন, ‘সিদ্ধান্তটা হৃদয় থেকে নিয়েছি। জাতীয় দলকে প্রশিক্ষণ দিতে পারা এবং দেশের সেরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করতে পারা আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের। দারুণ পারফর্ম করে সাফল্য পাওয়ার মাধ্যমে পুরো দেশকে অনুপ্রাণিত করার সুযোগ আমাদের আছে।’

গত বছরের সেপ্টেম্বরে হানসি ফ্লিককে বরখাস্ত করে নাগলসমানকে দায়িত্ব দেয় ডিএফবি। প্রাথমিকভাবে ফেডারেশনের সঙ্গে ২০২৪ ইউরো পর্যন্ত চুক্তি ছিল। তার অধীনে এখন পর্যন্ত ৬টি ম্যাচ খেলেছে জার্মানি। জিতেছে ৩টি, হেরেছে ২টি ও ড্র করেছে ১টি ম্যাচ। ৩ জয়ের মধ্যে সর্বশেষ ২টি আবার দুই পরাশক্তি নেদারল্যান্ডস ও ফ্রান্সের বিপক্ষে।

শিষ্যদের এমন পারফরম্যান্স মুগ্ধ করেছে কোচকে। নাগলসমান বলেন, ‘মার্চে ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় দুটি সত্যিই আমাকে ছুঁয়ে গেছে। আমরা নিজেদের মাঠে সাফল্যমণ্ডিত ইউরো খেলতে চাই। আমি এখন সেদিকেই তাকিয়ে আছি এবং (এরপর) আমার কোচিং দলকে নিয়ে বিশ্বকাপ চ্যালেঞ্জ নেওয়ার অপেক্ষায় থাকব।’


নাগালসমান   জার্মানি ফুটবল ফেডারেশন   ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মুস্তাফিজসহ চেন্নাইয়ের বোলারদের প্রতি হতাশ হার্শা-মুডি

প্রকাশ: ০১:২৭ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গতকাল রাতে লখনৌয়ের বিপক্ষে চেন্নাই সুপার কিংস যেন শুরু থেকেই ছিল নড়বড়ে। তবুও ব্যাটিংয়ে আজিঙ্কা রাহানে, রবিন্দ্র জাদেজা ও মহেন্দ্র সিং ধোনির মুগ্ধতায় লড়াকু সংগ্রহে পৌঁছেছিল তারা। কিন্তু পরবর্তীতে বোলাররা আপ্রাণ চেষ্টা করেও আটকাতে পারেনি লখনৌয়ের ব্যাটারদের।

এদিন মুস্তাফিজকেও দেখা যায়নি তার চেনা ফর্মে। একটি উইকেট নিলেও ওভারপ্রতি দশের উপরে রান দিয়েছেন তিনি। যা ইনফর্ম এই পেসারের থেকে খানিকটা অপ্রত্যাশিতই। ফিজের এমন পারফরম্যান্সের সমালোচনা করেছেন হার্শা ভোগলে ও টম মুডি।

মুডি বলেন, 'মুস্তাফিজুর, দেশপান্ডে, জাদেজা তারা সবাই ওভারপ্রতি দশের বেশি রান দিয়েছে। এমন বোলারদের কাছে আপনি কখনই এমনটা প্রত্যাশা করবেন না। এটা চেন্নাইয়ের জন্য অপ্রত্যাশিত ছিল।'

আসরের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন মুস্তাফিজ। একাধিক ম্যাচে দলের জয়ে বড় ভূমিকা ছিল এই বাঁহাতি পেসারের। তবে গত রাতে তার এমন পারফরম্যান্সের কারণ হিসেবে উইকেটকে কিছুটা দায় দিলেন হার্শা।

তিনি বলেন, 'চেন্নাই যখন ব্যাটিং করছিল তখন বল খানিকটা গ্রিপ করছিলো। আমার মনে হয়েছিল এই উইকেটে ফিজ দুর্দান্ত বোলিং করবে। আমি জানি না উইকেটের ব্যাপারটা কি ছিল। তবে দেখে মনে হয়েছে পরের দিকে ব্যাটিং করাটা সহজ হয়ে গিয়েছিল।'

লক্ষ্ণৌতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান করে চেন্নাই। জবাবে খেলতে নেমে ১৯ ওভারে ২ উইকেট হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লক্ষ্ণৌ।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মুস্তাফিজ খুবই ভালো মনের মানুষ: পাথিরানা

প্রকাশ: ১১:২৬ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ক্রিকেটে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ মানেই বর্তমানে বাড়তি উত্তেজনা। গত বছরে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপে এ দুই দলের মধ্যকার দ্বৈরথ পেয়েছে ভিন্নমাত্রা। বিশেষ করে বিশ্বকাপে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ‘টাইমড আউট’ নিয়ে তো বেশ সরব ছিল ক্রিকেট পাড়া। সবশেষে বাংলাদেশের মাটিতে হওয়া সিরিজেও এই উত্তেজনা লক্ষ্য করা গেছে।

তবে মাঠের উত্তেজনা ছাপিয়ে মাঠের বাইরে ক্রিকেটারদের বন্ধুত্বের সম্পর্কও রয়েছে দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে। সম্প্রতি এমনই একটি সম্পর্ক লক্ষ্য করা গেছে মুস্তাফিজ ও মাথিশা পাথিরানার মধ্যে। যা নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন লঙ্কান তরুণ পেসার পাথিরানা।

আইপিএলের গত আসরে চেন্নাইয়ের শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মাথিশা পাথিরানা। আর গত বছর ডিসেম্বরে হওয়া নিলামে ২ কোটি টাকা ভিত্তিমূল্যে চেন্নাইতে যোগ দেন বাংলাদেশের কাটার মাস্টার।

আইপিএলের চলতি আসরের আগে বাজে ফর্মে থাকলেও পাথিরানার ইনজুরিতে সুযোগ পেয়ে শতভাগ কাজে লাগান ‘দ্য ফিজ’। উদ্বোধনী ম্যাচে বল হাতে ৪ উইকেট নিয়ে হন ম্যাচসেরা। এলে দলে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করেন তিনি। ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে তিনি আছেন সেরা উইকেট শিকারী তালিকার ৪ নম্বরে।  

মুস্তাফিজ ও পাথিরানার উপস্থিতিতে শক্তি বেড়েছে চেন্নাইয়ের বোলিং লাইন আপের। সম্প্রতিক এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন চেন্নাইয়ের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। সেই অনুষ্ঠানে পাথিরানার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তরুণ অলরাউন্ডার শিভম দুবে ও অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড়।

সেই অনুষ্ঠানে মোস্তাফিজের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হয় লঙ্কান পেসার পাথিরানাকে। জবাবে ডানহাতি এই ফাস্ট বোলার জানান, ‘কাছ থেকে দেখার পর মনে হচ্ছে মোস্তাফিজ একজন খুবই ভালো মনের মানুষ।’

পাথিরানা আরও বলেন, ‘চেন্নাই দলে আসার আগে আমি তাকে চিনতাম না। আমি তার সঙ্গে কখনো কথা বলিনি। এখানে আসার পর এবং তাকে চেনার পর আমার মনে হচ্ছে সে দারুণ একজন মানুষ।’

মোস্তাফিজুর রহমান   আইপিএল   মাথিশা পাথিরানা   চেন্নাই সুপার কিংস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের ফাইনাল আজ

প্রকাশ: ১১:২২ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল আজ। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। 

ম্যাচ দুটি হবে বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে। খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে জামালপুরের মাদারগঞ্জ চরগোলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মুখোমুখি হবে রংপুরের মিঠাপুকুর তালিমগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের ফাইনালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিপক্ষ লালমনিরহাটের পাটগ্রাম টেপুরগাড়ি বি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। 

এরআগে, বুধবার (১৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামের হলরুমে টুর্নামেন্ট উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী রুমান আলী জানান, শনিবার বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে এ টুর্নামেন্ট দুটির ২০২৩ এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবার কথা জানান। 


বঙ্গবন্ধু   বঙ্গমাতা   গোল্ডকাপ   ফাইনাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

'ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার' ভারতের জন্য সমস্যা নাকি সুবিধা?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ম্যাচের মাঝে যেকোনো সময় একজন ক্রিকেটারকে বদলে ফেলতে পারবে দু’টি দল। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের গত আসর থেকে শুরু হয়েছে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নামে এই নিয়ম।  

এই নিয়ম আসার পর আইপিএলে বদলেছে অনেক কিছুই। যেমন- এখন আর প্রথম একাদশ বেছে নিলেই হয় না। বেছে নিতে হয় একজন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারকেও। তাই এখন ১১ জন নয়, বরং ১২ জনের খেলা হয়ে গেছে। যেদিন থেকে আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম এসেছে, সেদিন থেকে অলরাউন্ডারের প্রয়োজন কমে যাবে কি না সবার মনে এই একটাই প্রশ্ন ছিলো। 

তবে এখন  প্রশ্ন উঠছে ভারতীয় দলে এই নিয়মের কোন প্রভাব পড়ছে কি না, সেই নিয়ম কি বিপদে ফেলছে ভারতীয় দলকেই, নাকি হচ্ছে সুবিধা?

এই নিয়মের প্রসঙ্গে ভারতীয় এক সাবেক ক্রিকেটার বলেন, ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম আসায় চোট থাকা সত্ত্বেও অনেক ক্রিকেটার খেলতে পারছে। দলে অলরাউন্ডার প্রয়োজন হচ্ছে না। আইপিএলে এখন ১২ জনের খেলা হয়ে গেছে। এতে আইপিএলের আকর্ষণ বেড়েছে। কিন্তু অলরাউন্ডারের প্রয়োজন শেষ করে দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম না থাকতো, তাহলে দুবেকে বল করাতে বাধ্য হত চেন্নাই। আবার রাহুল তেওতিয়া এক সময় ফিনিশার হিসাবে নাম করেছিল। তিনি কিন্তু লেগ স্পিন করতে পারেন। তবে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম আসার পর আর তাকে বল করতে হয় না।  শুধু ব্যাট করেন। এতে কার ক্ষতি হচ্ছে? ভারতীয় দলের।’

এবারের আইপিএল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে। আইপিএলের আগেই সে কথা বলে রেখেছিলেন অজিত আগরকর পরিচালিত নির্বাচক কমিটি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম থাকলে আদৌ কি সব ক্রিকেটারকে সঠিকভাবে দেখা সম্ভব?

এক্ষেত্রে প্রথমেই প্রশ্ন উঠছে শিবম দুবেকে নিয়ে। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেন তিনি। বেশির ভাগ ম্যাচেই নামছেন শুধু ব্যাট করার জন্য। এদিকে হার্দিক সব ম্যাচে বল করছেন না। ফলে এই দুই অলরাউন্ডার কতটা তৈরি তা বোঝা সম্ভব নয় নির্বাচকদের পক্ষে।

ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম পছন্দ নয় অধিনায়ক রোহিত শর্মারও। তিনি বলেন, ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মটা আমার খুব একটা পছন্দ নয়। অলরাউন্ডারদের প্রয়োজন এখন কমে গেছে। ক্রিকেটটা এখন ১২ জনের খেলা হয়ে গিয়েছে। এর ফলে ক্রিকেটটা নষ্ট হচ্ছে। দর্শকের জন্য যদিও খুব উপভোগ্য হচ্ছে ব্যাপারটা।’

রোহিতের মতে এই নিয়মের ফলে ভারতীয় অলরাউন্ডারেরা সুযোগ পাচ্ছেন না। ওয়াশিংটন সুন্দরের মতো ক্রিকেটারকে দলে নেয়া হচ্ছে না।

রোহিত আরও বলেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটের দিক থেকে দেখতে গেলে ওয়াশিংটন, শিবমেরা বল করছে না। এটা দলের জন্য ভাল দিক নয়। কী করব জানি না। দলে ১২ জন ক্রিকেটার রয়েছে। খেলার পরিস্থিতি বুঝে এক জনকে দলে আনা হচ্ছে। এটা দেখতে খুব ভাল লাগলেও এই বাড়তি ক্রিকেটার দলে আসার পর থেকে সাত বা আট নম্বরের ব্যাটার সুযোগ কম পাচ্ছেন। আলাদা করে ব্যাটার নামানোর সুযোগও পাওয়া যাচ্ছে।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কারা খেলবেন সেটা বেছে নেয়ার জন্য গত দু’বছরে ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স দেখা হবে। সেই সঙ্গে রয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেট। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের দল বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে আইপিএল বড় ভূমিকা নেবে, এটা যেমন সত্যি, তেমনই এটাও মানতে হবে যে, দল শুধু আইপিএল দেখে বেছে নেয়া হবে না।


ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন