ইনসাইড গ্রাউন্ড

আরেকটি রেকর্ড জয় বাংলাদেশের

প্রকাশ: ০৬:২৬ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

আইরিশদের মাত্র ১০১ রানে আটকে রেখে মঞ্চটা আগেই প্রস্তুত করে দিয়েছিলেন বোলাররা। বাকি কাজটা সারলেন দুই ব্যাটসম্যান। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতেও রেকর্ডের খাতায় ওলট-পালট করলো বাংলাদেশ। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে তামিম ইকবালের দল। তাতে সিলেট সাক্ষী হলো আরেকটি প্রথমের। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে এটিই বাংলাদেশের প্রথমবার ১০ উইকেটের জয়।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস ছিলেন নির্ভার। আগের দুই ম্যাচে প্রথম পাওয়ার প্লেদে আইরিশরা আটোসাঁটো বোলিং করলেও আজ হাত খুলে খেলেছেন তামিম ও লিটন। তেমন কোন সুযোগও অবশ্য তৈরি করতে পারেনি সফরকারিরা। বোলারদের শাসন করে প্রথম দশ ওভার থেকে ৮১ রান তুলে নিয়ে জয়কে সময়ের ব্যবধানে পরিণত করেন দুই ব্যাটসম্যান। ১৪তম ওভারের প্রথম বলেই কোন উইকেট না হারিয়ে ২২১ বল বাকি রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে টাইগাররা। লিটন তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৯ম অর্ধশতক। রান খরায় থাকা অধিনায়ক তামিম ইকবালও রান পেয়েছেন আজ। অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে। 

এর আগে, শেষ ওয়ানডে নিজেদের করে নেন বাংলাদেশের পেসাররা। দাপট দেখিয়েছেন হাসান মাহমুদ-তাসকিন আহমেদ-ইবাদত হোসেনরা। পাওয়ার প্লেতে হাসান মাহমুদের পর এই দুই পেসারের গোলার মুখে বিধ্বস্ত হয় আইরিশরা। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে অফ স্টাম্পের বাইরে একটি গুডলেংথ ডেলিভারিতে স্টিফেন ডোহেনির উইকেট তুলে নেন হাসান মাহমুদ। ১২ রানে প্রথম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আইরিশদের রানের চাকা আটকে রাখে বোলাররা। প্রথম ৮ ওভার থেকে মাত্র ২২ রান তুলতে পারে আইরিশরা। সেই চাপ সামলে উঠার আগেই আবার আঘাত হানেন হাসান মাহমুদ। 

৯ম ওভারের প্রথম বলে এলবিডব্লুয়ের ফাঁদে ফেলেন আগের ওভারে জীবন পাওয়া স্টারলিংকে। ওভারের চতুর্থ বলটি রক্ষণাত্নক ভঙ্গিতে খেলেন হ্যারি টেক্টর। বোলার হাসান মাহমুদ ভেবেছিলেন ব্যাট লেগে বল প্যাডে আঘাত করেছে। আবেদনও করেন নি আউটের। তবে মুশফিকুর রহিম ছিলেন আত্নবিশ্বাসী। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। রিপ্লেতে দেখা যায় ব্যাটে লাগার আগে হাসানের বলটা ছুঁয়ে গেছে টেক্টরের প্যাড। দুর্দান্ত এক রিভিউয়ে তৃতীয় উইকেট তুলে নেয় স্বাগতিকরা।

পরের ওভারের তাসকিন আহমেদের বলে পরাস্ত হন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবিরনি। ২৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে আয়ারল্যান্ড। কার্টিস ক্যাম্ফার ও লরকান টাকারের ব্যাটে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করতে থাকে সফরকারিরা। দুই ব্যাটসম্যানই দেখেশুনে খেলতে থাকেন স্বাগতিক বোলারদের। ১৪তম ওভারে ইবাদত হোসেনকে তিনটি চার মেরে চাপ কমানোর চেষ্টা করেন টাকার। তাদের জুটিতে ভর করে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকে আয়ারল্যান্ড।

শুরুতে খানিকটা অস্বস্তিতে থাকলেও দ্রতই ছন্দ খুঁজে পান ইবাদত। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের শিকার হয়ে  লরকান টাকার সাজঘরে ফিরলে ভাঙে আইরিশদের প্রতিরোধ। পঞ্চম উইকেটে ৪২ রানের জুটি গড়েন দুজনে। ওভার দা উইকেট থেকে করা ইবাদতের বলটা অ্যাঙ্গেল করে ভিতরের দিকে ঢোকে। সময়মতো ব্যাটে বল ছোয়াতে পারেন নি টাকার। সরাসরি বল লাগে তাঁর বুটে। আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ নেন টাকার। তবে তা কাজে আসেনি। টাকারের বিদায়ে ক্রিজে আসেন জর্জ ডকরেল। তবে এসেই সতীর্থকে অনুসরণ করে ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে। ইবাদতের ফুল লেংথের বল স্টাম্প ভেঙে দেয় তার। ৬৮ রানে ৬ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন ইবাদত। ধস নামে সফরকারিদের ব্যাটিং অর্ডারে।

ইবাদতের পর ঝলক দেখান তাসকিন আহমেদ। ২২তম ওভারে তাসকিন আহমেদের শর্ট বলে বড় শট খেলার চেষ্টা করেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন। তবে তার সে চেষ্টা সফল হয়নি। উল্টো সোজা উপরে উঠে গিয়ে শর্ট মিডউইকেটে নাসুম আহমেদের হাতে ধরা পড়েন তিনি। এক বল পরই মার্ক অ্যাডায়ারের স্টাম্প উপড়ে যায় তাসকিনের ফুললেংথ ডেলিভারিতে। শঙ্কা জাগে একশোর নিচেই অলআউটের।

সতীর্থদের এই যাওয়ার আসার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন কার্টিস ক্যাম্ফার। রানের আশায় তাই শট খেলার চেষ্টা করা ছাড়া ক্যাম্ফারের খুব বেশি কিছু করারও ছিল না। হাসান মাহমুদের শর্ট বলে পুল করেছিলেন তিনি। তবে সেটি বাউন্ডারি লাইন পার করতে পারেন নি। ডিপ ফাইন লেগে থাকা তাসকিন আহমেদের হাতে ধরা পড়েন। দলের রান যখন ৯৬ তখন নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন তিনি। খেলেন ৪৮ বলে ৩৬ রানের ইনিংস, যা আইরিশদের পক্ষে সর্বোচ্চ।

এরপর আর বেশিদূর যেতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। হাসান মাহমুদের করা ২৯তম ওভারের প্রথম বল গ্রাহম হিউমের প্যাডে লাগে। আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। তাতে ফল আসে স্বাগতিকদের পক্ষে। ১০১ রানে অলআউট হয় আইরিশরা।

ক্যারিয়ারের প্রথমবার ৫ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখান হাসান। তাসকিন ৩টি ও ইবাদত নিয়েছেন বাকি দুই উইকেট। এতে বেশ কয়েকটি নজির গড়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথমবার ইনিংসের সবকটি উইকেট নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করেছেন বাংলাদেশের পেসাররা। এর আগে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮টি উইকেট নিয়েছিলেন পেসাররা। ওয়ানডে ম্যাচে কোন বাংলাদেশের কোন স্পিনারের উইকেট না পাওয়ার প্রথম ঘটনা এটি। এমনকি এদিন বোলিংয়েই আসেন নি সাকিব আল হাসান।


বাংলাদেশ   আয়ারল্যান্ড   ওয়ানডে   ১০ উইকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইতোমধ্যেই শুরু অলিম্পিকের ক্ষণগণনা, সাজছে ঐতিহ্যের শহর

প্রকাশ: ০৪:০৯ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আর মাত্র কিছুদিন পরেই স্বপ্নের শহর প্যারিসে বসতে যাচ্ছে ২০২৪ বিশ্ব অলিম্পিকের আসর। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে ১০০ দিনের ‘ক্ষণগণনা’। আর এবার অলিম্পিকের জন্য নতুন রূপে সাজতে শুরু করেছে সাহিত্য, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের শহর প্যারিস। আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকছে ঐতিহাসিক আইফেল টাওয়ার। শুধু তাই নয়, মেগা এই ইভেন্টকে সামনে রেখে সংস্কার চলছে নটরডেম ক্যাথেড্রালের।

অলিম্পিককে সামনে রেখে এরই মধ্যে নতুন রূপে সাজতে শুরু করেছে পুরনো ঐতিহ্যবাহী এই শহর। মেগা ইভেন্টের আয়োজন থাকছে স্মৃতিস্তম্ভগুলোতে। আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকছে ঐতিহাসিক আইফেল টাওয়ারও। সাইক্লিং, অ্যাথলেটিক্স ও তীরন্দাজের মতো আয়োজন থাকছে হোটেল ডেস ইনভালাইডসে।

১৬৮৭ সালে নির্মিত এই হোটেলটি একসময় ব্যবহৃত হতো সামরিক হাসপাতাল ও যুদ্ধের প্রবীণ সৈনিকদের অবসর কাটানোর জন্য। ফরাসী বিপ্লবের নায়ক সম্রাট নেপোলিয়ন বেনাপোর্টের সমাধিও রয়েছে এই স্থানটিতে। সেইন নদীর অপর প্রান্তে, উনিশ শতকে নির্মিত গ্র্যান্ড প্যালেসে উপভোগ করা যাবে তায়কোয়ান্দো ইভেন্ট। অলিম্পিককে সামনে রেখে সংস্কার চলছে ২০১৯ সালে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত নটরডেম ক্যাথেড্রালের। কিছুদিনের মধ্যেই এর দরজা আবারো খুলে যাবে পর্যটকদের জন্য।

দ্যা গ্রেটেস্ট ক্রীড়া ইভেন্ট অলিম্পিক ও প্যারা অলিম্পিক মিলিয়ে ৫টি মহাদেশের প্রায় ১৫ হাজার ক্রীড়াবিদ একত্রিত হবেন প্যারিসে। শহরটিতে বসবাস রয়েছে প্রায় ২১ লাখ মানুষের। সব মিলিয়ে পর্যটনসমাগমে ভরে উঠবে প্যারিস শহর এমনটিই আশা করা হচ্ছে।


প্যারিস   নটরডেম ক্যাথেড্রাল   অলিম্পিক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইপিএলের মাঝপথেই ফিরছেন মুস্তাফিজ, পাচ্ছেন কত টাকা?

প্রকাশ: ০৩:৩৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলমান আইপিএলে দল পাওয়া নিয়ে ছিল শঙ্কা। পরবর্তীতে বিকল্প হিসেবে দল পেলেও একাদশে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল কম। তবে পাথিরানার ইঞ্জুরি যেন ভাগ্যের চাকা ঘোরায় বাংলাদেশের কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানের। একাদশে সুযোগ পেয়েই চলতি আসরের শুরু থেকেই বল হাতে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন দ্য ফিজ। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকাতেও শীর্ষের দিকে রয়েছেন তিনি। এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলে ১০ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।

মুস্তাফিজকে আইপিএল খেলার জন্য বিসিবি থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছিল ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে পরে আরও একদিন বাড়িয়ে সেই ছুটি করা হয় ১ মে পর্যন্ত। অর্থাৎ আগামী ২ মে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য দেশে ফিরবেন কাটার মাস্টার। তবে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে খর্বশক্তির জিম্বাবুয়ে নাকি আইপিএল ভালো- এ নিয়ে নেট দুনিয়ায় চলছে বিতর্ক।

আগেভাগে চলে আসায় অনেক ক্রিকেটভক্তের মনেই প্রশ্ন, অর্ধেক আইপিএল খেলে কত টাকা পাবেন মুস্তাফিজ। এই টাইগার পেসার যত টাকাই পান না কেন, আইপিএলের পুরো মৌসুম খেলতে না পারায় আর্থিকভাবে বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন তিনি।

এবারের আইপিএলে ভিত্তিমূল্য দুই কোটি রুপিতে মুস্তাফিজকে দলে ভেড়ায় চেন্নাই সুপার কিংস। চলমান ১৭তম আসরে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি তিনি। আর চেন্নাইয়ের জার্সিতে তিনি রয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে। ৫ ম্যাচে শিকার করেছেন ১০ উইকেট। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় রয়েছেন ৩ নম্বরে।

এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরও বাঁহাতি এ টাইগার পেসারকে ফিরতে হচ্ছে দেশে। আগামী ১ মে পর্যন্ত তাকে আইপিএলে খেলার অনুমতি দিয়েছে বিসিবি। তাকে দ্রুত ফেরানোর উদ্দেশ্যে হচ্ছে ঘরের মাঠে আসন্ন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ।

পুরো মৌসুমে না খেলায় স্বাভাবিকভাবেই নিলামের পুরো টাকা পাবেন না টাইগার পেসার। আইপিএলের পারিশ্রমিকের নিয়ম অনুযায়ী গ্রুপ পর্বের ১৪টি ম্যাচ খেলার মতো অবস্থায় থাকলে পুরো টাকাটাই পেতেন তিনি। আর ম্যাচ কম খেললে আনুপাতিক হারে পাবেন পারিশ্রমিক।

সেই হারে প্রতি ম্যাচে মুস্তাফিজ ১৮ লাখ ৭২ হাজার টাকার কিছু বেশি পারিশ্রমিক পাচ্ছেন। একই সঙ্গে দৈনিক ভাতা, ব্যক্তিগত ম্যাচসেরার পুরস্কার, উইনিং বোনাসসহ আইপিএলে আরো অর্থ আয়ের উৎস রয়েছে। গ্রুপপর্বের শেষ চার ম্যাচ খেলতে না পারায় এক কোটি ২৮ লাখের কিছু বেশি অর্থ পাবেন দ্য ফিজ।

অর্থ্যাৎ এবারের আইপিএল থেকে ভিত্তিমূল্য ২ কোটি রুপি থেকে প্রায় ৭২ লাখ রুপি পাবেন না মুস্তাফিজ। এ সময়টায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের ৫ ম্যাচ খেললে তার আয় হবে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা আইপিএলের এক ম্যাচের চেয়েও অনেক কম।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এমএলএসে যুক্ত হচ্ছে নতুন তিন নিয়ম

প্রকাশ: ০৩:০৪ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সময় যত গড়াচ্ছে বিশ্বের সবকিছুই বদলাচ্ছে। জীবনের বিভিন্ন ধাপে যুক্ত হচ্ছে নানা নিয়মনীতি। ঠিক তেমনই ফুটবলেও সময়ের প্রয়োজনে যোগ হয়েছে নানা নতুন নিয়ম। সেই ধারাবাহিকতায় এবার মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) নতুন তিন নিয়ম চালু হতে যাচ্ছে। ফুটবল ম্যাচকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে এই উদ্যোগ নিয়েছেন আয়োজকরা।

শনিবার (২০ এপ্রিল) থেকে নতুন তিনটি নিয়ম চালু করা হবে। এসব নিয়মের মধ্যে দুটিতে সুবিধা পাবেন মেসি-সুয়ারেজরা। যদি সেটি প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়রা করেন।

তিনটি নিয়মের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে, আঘাতপ্রাপ্ত না হয়ে বা সাধারণ ইনজুরিতে কেউ ইচ্ছে করে ১৫ সেকেন্ডের বেশি সময় মাঠে পড়ে থাকলে সেই খেলোয়াড়রকে দুই মিনিটের জন্য মাঠের বাইরে চলে যেতে হবে। অর্থাৎ, তাকে মাঠের বাইরে চিকিৎসার জন্য নেয়ার পর তাকে ফিরতে হবে দুই মিনিট পর।

দ্বিতীয় নিয়ম অনুযায়ী, ১০ সেকেন্ডের মধ্যে বদলি খেলোয়াড়কে মাঠের বাইরে বের হতে হবে। ফুটবলে প্রায়ই দেখা যায় বদলি ফুটবলার ইচ্ছে করে সময় নষ্ট করেন। সেটি রোধ করার জন্য এই নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে এমএলএস।

নতুন নিয়মে ম্যাচ অফিসিয়াল কারও জার্সি নাম্বার ইলেক্ট্রনিক বোর্ডে দেখানোর ১০ সেকেন্ডের মধ্যে তাকে টাচলাইন দিয়ে বের হয়ে যেতে হবে। যদি এমনটা না হয় তখন বদলি হিসেবে মাঠে নামা খেলোয়াড়কে অন্তত এক মিনিট বা পরবর্তীতে কোনো কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার পর মাঠে প্রবেশ করতে হবে।

তৃতীয় নিয়মটি হচ্ছে,  স্টেডিয়ামে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) ঘোষণা। এই নিয়মটি কাতার বিশ্বকাপে দেখানো হয়েছিল। এই নিয়মে ভিএআর সিদ্ধান্ত কিভাবে নেওয়া হয়েছে বা কিসের ভিত্তিতে নেয়া হয়েছে, সেটা ম্যাচ চলাকালীন স্টেডিয়ামে দর্শকদের ব্যাখ্যা করা হবে। তবে ভিএআর কর্মকর্তা আর রেফারির মধ্যে মূল আলোচনা গোপনই থাকবে।


এমএলএস   মেজর লিগ সকার   লিওনেল মেসি   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচ এবার যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের দায়িত্বে

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কদিন আগেও বাংলাদেশ দলকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেছিলেন। ভারতের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে সেবার শিরোপা ঘরে তুলেছিল টাইগাররা। যা আইসিসি কোনো আসরে প্রথম অর্জন টাইগারদের। এই সাফল্যের পেছনের অন্যতম নায়ক ছিলেন হেড কোচ স্টুয়ার্ট ল। এবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় দলের হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন এই অজি কিংবদন্তী।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কোচ হিসেবে ল-এর নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। বাংলাদেশের এই সাবেক কোচের প্রথম প্রতিপক্ষও টাইগাররাই। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে যুক্তরাষ্ট্র। সেটিই যুক্তরাষ্ট্রের কোচ হিসেবে স্টুয়ার্ট ল-এর প্রথম সিরিজ।

এর আগে ২০১১ সালে বাংলাদেশের জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন ল। ছিলেন ২০১২ পর্যন্ত, তার অধীনে প্রথমবার এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ।

এ ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন ২০১৭ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত। এর বাইরে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের কোচ হিসেবেও অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পালন করেছেন।

ব্যাটিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের সঙ্গেও। এ ছাড়া বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তার অধীনেই এসেছিল যুব এশিয়া কাপের শিরোপা।

সবশেষ কাজ করেছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হেড কোচ হিসেবে। কিন্তু যুব বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর তার সঙ্গে আর চুক্তি বৃদ্ধি করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব নিয়ে ৫৫ বছর বয়সী এই কোচ বলেন, এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটে যোগ দিতে পারা রোমাঞ্চকর ব্যাপার। যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম শক্তিশালী সহযোগী দেশ।

‘আমি বিশ্বাস করি, সামনে আমরা একটা ভয়ংকর দল গঠন করতে পারব। বাংলাদেশ সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নেওয়াই হবে প্রথম কাজ, এরপর ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে লক্ষ্য ঠিক করতে হবে, যেটা অনেক বড় বিষয়।’ আগামী ২১ মে শুরু হবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। পরের দুটি ম্যাচ হবে ২৩ ও ২৫ মে। সিরিজের সব কটি ম্যাচই হবে টেক্সাসের হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে।


স্টুয়ার্ট ল   ক্রিকেট   বাংলাদেশ   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এক হারে আর্সেনালের জন্য জোড়া দুঃসংবাদ

প্রকাশ: ০১:৪৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম লেগে ২-২ তে ড্র করায় ফিরতি লেগ ছিল একমাত্র ভরসা। যেখানে শুরু থেকে আর্সেনাল ও বায়ার্নের লড়াইটাও জমেছিল বেশ। তবে বিরতির পর যেন বায়ার্নের সামনে দাঁড়াতে পারেনি গানাররা। যার ফলে মিকেল আর্তেতার দলকে শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে হারায় টমাস টুখেলের দল। আর এতে করেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিতে হয় আর্সেনালকে।

আর এবার এই এক হারে জোড়া দুঃসংবাদ হজম করতে হলো গানারদের। তাদের এই হারে কপাল খুলেছে অস্ট্রিয়ার ক্লাব সালজবার্গের। প্রথমবারের মতো ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের জায়গা করে নিচ্ছে তারা।

গতকাল বার্সেলোনার বিদায়ে নিশ্চিত হয়েছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ জায়গা করে নিচ্ছে ৩২ দলের নতুন ধরণের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে। বাকি দল হিসেবে জায়গা করে নিতে পারত আর্সেনাল কিংবা সালজবার্গ। তবে বায়ার্নের বিপক্ষে আর্সেনালের পরাজয় কপাল খুলে দিয়েছে সালজবার্গের।

আগামী বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবে ৩২ দলের এই ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। ইউরোপের জন্য বরাদ্দ আছে ১২ ক্লাব। যার মধ্যে ১১টিই নিশ্চিত ছিল। গতকাল ১২তম দল হিসেবে জায়গা নিশ্চিত করেছে সালজবার্গ।

গতকাল রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে নিজ নিজ ম্যাচে হেরে যায় আর্সেনাল এবং ম্যানচেস্টার। আর্সেনাল হেরেছে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১-০ গোলের ব্যবধানে। অ্যাগ্রিগেটে যা হয়েছে ৩-২। আর রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ৪-৩ ব্যবধানে টাইব্রেকে ম্যাচ হেরেছে ম্যানসিটি। চার দলের মাঝে কেবল আর্সেনালই বাদ পড়ছে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে।

১২ দলের বাছাইয়ে চার আসরের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বিজয়ী দলের সঙ্গে এই সময়ে তুলনামূলক ওপরের দিকে থাকা দলকে বেছে নিচ্ছে ফিফা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোটায় জায়গা নিশ্চিত করেছে চেলসি, রিয়াল মাদ্রিদ এবং ম্যানচেস্টার সিটি। চলতি বছরের চার সেমিফাইনালিস্ট এরইমাঝে আছে তালিকায়। যার কারণে চলতি বছরের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বিজয়ীর স্লট বিবেচনায় আসছে না।

আর উচ্চ র‍্যাঙ্ক বিবেচনায় জায়গা পেয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ, পিএসজি, ইন্টার মিলান, পোর্তো, বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড, বেনফিকা, জুভেন্টাস, অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ এবং সালজবার্গ। আর্সেনালকে জায়গা পেতে হলে অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিততে হতো। কারণ ফিফার নির্ধারিত স্লট অনুযায়ী, এরইমাখে ইংল্যান্ড থেকে চেলসি এবং ম্যানচেস্টার সিটি জায়গা নিশ্চিত করেছে।

৩২ দলের এই আসরে সালজবার্গ ২৩তম দল হিসেবে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে। আগামীবছর জুনের ১৫ তারিখ থেকে জুলাই মাসের ১৩ তারিখ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে হবে ক্লাব বিশ্বকাপের আসর। ফিফা আশা করছে অন্তত দশ মিলিয়ন ডলারের প্রাইজমানি থাকবে অংশগ্রহণকারী সব ক্লাবের জন্য।

এরইমাঝে আসরের সব ফরম্যাট চূড়ান্ত করেছে ফিফা। যার কারণে বিপুল আর্থিক পুরস্কারের এই আসরে থাকছে না বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, লিভারপুল, এসি মিলানের মতো বড় সব ক্লাব। এমনকি সৌদি লিগ থেকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর আল-নাসর এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে মেসির ইন্টার মায়ামিও বাদ পড়ছে এই আসর থেকে।


আর্সেনাল   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ   ক্লাব ফুটবল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন