ইনসাইড গ্রাউন্ড

ডোনাল্ডের জাদুতে বাংলাদেশের পেস বিপ্লব

প্রকাশ: ০৯:২০ এএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

স্পিনারদের দেশ, স্পিন আক্রমণই বোলিংয়ের মূল ভরসা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু হওয়ার পর থেকে স্পিন আক্রমণের জন্য আলাদা পরিচিতি পেয়েছে বাংলাদেশ। মোহাম্মাদ রফিক, মানজারুল ইসলাম রানা, আব্দুর রাজ্জাকরা নিজেদের স্পিন ঘূর্ণিতে ঘায়েল করেছেন বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানদের। উপমহাদেশের স্পিন সহায়ক কন্ডিশন ও উইকেটে স্পিনাররা পার্থক্য গড়ে দেন ম্যাচের। বাংলাদেশও ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মত বড় দলকে হারিয়েছে এই ঘূর্ণির পাকে ফেলে। তাই বলাই যায় বাংলাদেশের বোলিংয়ের বড় অস্ত্র এই স্পিন। সেই দলই কি না পেস বোলিংয়ে বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছে। অবিশ্বাস্য মনে হলেও তাসকিন আহমেদ-ইবাদতদের হাত ধরে নতুন দিনের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ।

মাশরাফি-রুবেলরা এক সময় পেস বোলিংয়ের আশার আলো জাগিয়ে ছিলেন। তবে সময়ের সাথে সাথে সে আলো বাড়েনি, উল্টো স্তিমিত হয়েছে। অগ্রজদের নিভু নিভু হয়ে যাওয়া সেই আলো আবার জাগিয়ে তুলেছে বর্তমান সময়ের পেসাররা। সাদা বিদ্যুৎ খ্যাত সাবেক প্রোটিয়া ক্রিকেটার অ্যালান ডোনাল্ড বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের দ্বায়িত্ব নেয়ার পর রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছেন পেসাররা। একের পর এক ম্যাচে পারফর্ম্যান্স দিয়ে নজর কেড়েছেন, এনে দিচ্ছেন জয়। তাতে একদিকে স্পিনারদের উপর নির্ভরশীলতা মাত্রা যেমন কমেছে, তেমনি বোলিং আক্রমণেও এসেছে বৈচিত্র।

দ্বায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশের পেসারদের মানসিকতায় পরিবর্তন এনেছেন অ্যালান ডোনাল্ড। ২০২১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর দিয়ে বাংলাদেশ অধ্যায় শুরু করেছিলেন ডোনাল্ড। সেই সিরিজে পেস বোলিংয়ের নতুন দিনের গল্প লিখেছিলেন তাসকিন আহমেদ। প্রোটিয়াদের ওয়ানডে সিরিজ হারিয়েছে তাদের মাটিতেই। গতি আর সুইংয়ের পসরা বসিয়ে সিরিজ সেরা হয়েছিলেন তাসকিন। এক সময় গতিই ছিলো যার ভরসা, সেই তাসকিনের বোলিং আমূল পরিবর্তন করে তাকে পরিণত করেছেন বৈচিত্রময় এক বোলারে। 

টেস্ট বোলারের খেতাব গায়ে সেঁটে গিয়েছিলো ইবাদত হোসেনের। বোলিংও ছিলো খুবই সাদামাটা। সেই ইবাদত এখন হয়ে উঠেছেন পেস বোলিংয়ের অন্যতম ভরসার নাম। তরুণ শরিফুল ইসলাম এবং হাসান মাহমুদের ভয়ডরহীন বোলিংয়ের পেছনেও কৃতিত্ব এই প্রোটিয়া কোচের। আরেক পেসার খালেদ আহমেদের বোলিংয়ে দৃশ্যমান বদল এসেছে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেয়ার পাশাপাশি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার মতো সামর্থ্য তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের পেস বোলিং বিভাগের। বর্তমানে জাতীয় দলের সাথে থাকা পেসারদের মধ্যে একমাত্র মুস্তাফিজুর রহমানও নিজেকে এখনো আগের রূপে ফেরাতে পারেন নি। তবে সময়ের সাথে সাথে সে প্রত্যাশা তিনি মেটাবেন এমন আশা করাটা বাড়াবাড়ি কিছু নয়।

আয়ারল্যান্ডকে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ১০ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবার কোন ম্যাচে সবগুলো উইকেট ভাগাভাগি করেছে পেসাররা। তাতে পেস বোলিংয়ে সুদিন ফেরার পালে বেশ জোর হাওয়া লেগেছে। এখন পর্যন্ত ৪০৯টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। তাতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৮টি উইকেট নিয়েছেন পেসাররা। এমন ঘটনা ঘটেছে মোট ১২ বার। কিন্তু স্পিনাররা ম্যাচে কোন উইকেট পাননি- এমন নজির এই প্রথম। এমনকি এই ম্যাচে স্পিনাররা হাত ঘুরিয়েছেন মাত্র ৪ ওভার। বোলিংয়ের আনাই হয়নি সাকিব আল হাসানকে। এমন সাফল্যের পর পেসারদের নিয়ে স্বপ্নটা দেখলে তাতে দোষের কিছু নেই। চলতি বছরের শেষে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। স্পিনারদের পাশাপাশি পেসারদের এমন দাপটে বিশ্বকাপে ভাল কিছুর প্রত্যাশা করতেই পারে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ, অ্যালান ডোনাল্ড, পেস বোলিং, বিশ্বকাপ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফাইনালে হারার পর যা বললেন হার্দিক

প্রকাশ: ০৮:৪৭ এএম, ৩০ মে, ২০২৩


Thumbnail

পর পর দু’বার আইপিএল জেতার মুখে দাঁড়িয়েছিলেন হার্দিক। কিন্তু শেষ বলে হারতে হল চেন্নাইয়ের কাছে। গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক বলেন, “আমি ধোনির জন্য খুশি। যদি হারতেই হয়, তাহলে ধোনির বিরুদ্ধেই হারা ভাল।”

হেরেও খুশি আছেন হার্দিক। কারণ হারতে হয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির বিরুদ্ধে। হারলেও দলের খেলায় খুশি হার্দিক। তিনি বলেন, আমাদের দল সব জায়গায় ভাল খেলেছে। হৃদয় দিয়ে খেলেছি আমরা। যে ভাবে লড়াই করেছে দল, তাতে আমি গর্বিত। আমাদের একটাই লক্ষ্য ছিল, জিতলে একসঙ্গে জিতব, হারলে একসঙ্গে হারব। কোনও অজুহাত দেব না এই হারের। চেন্নাই আমাদের থেকে বেশি ভাল খেলেছে, তাই জিতেছে।

হার্দিক আরও বলেন, “সাই সুদর্শনের নাম নিতেই হবে। এই ভাবে খেলা খুব সহজ নয়। আমরা সকলকেই সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। দলের সকলের থেকে সেরাটা বার করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু প্রতিটা ক্রিকেটারের ভাল খেলার কৃতিত্ব তাদের নিজেদের। মোহিত (শর্মা), রশিদ (খান), (মোহাম্মদ) শামিরা যেভাবে নিজেদের কাঁধে দায়িত্ব তুলে নিয়েছে, তা অকল্পনীয়।”

চেন্নাইয়ের এই জয় প্রাপ্য ছিল বলে মনে করেন হার্দিক। তিনি বলেন, “ভাল মানুষের সঙ্গে ভাল জিনিস হয়। ধোনি আমার চেনা সব থেকে ভাল মানুষ। ঈশ্বর ওর প্রতি খুশি। আমাকেও ঈশ্বর অনেক দিয়েছেন, তবে এই রাতটা ধোনির।”

 


আই পি এল   ধোনি   হার্দিক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে গুজরাটকে হারিয়ে পঞ্চমবার চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই

প্রকাশ: ০৮:০৯ এএম, ৩০ মে, ২০২৩


Thumbnail

শেষ ২ বলে চেন্নাই সুপার কিংসের জয়ের জন্য দরকার ১০ রান। নাটকীয় এক লড়াইয়ে শেষটায় এসে হতাশায় ডোবার মতো অবস্থা মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের। কে জানতো, এরপরও নাটক বাকি আছে!

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম রুদ্ধশ্বাস এক ফাইনালের সাক্ষী হলো। শেষ দুই বলে ছক্কা আর চার হাঁকিয়ে বৃষ্টি আইনে চেন্নাইকে ৫ উইকেটের নাটকীয় জয় এনে দিলেন রবীন্দ্র জাদেজা।

হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাট টাইটান্সের টানা দ্বিতীয় শিরোপার স্বপ্ন ভেঙে চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস। আইপিএলে এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো শিরোপা জিতলো ধোনির দল। তাদের সমান ৫টি শিরোপা কেবল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের।

এক ফাইনাল নিয়ে কত নাটক হলো! তার এমন সমাপ্তি, নাটকের চেয়েও যেন নাটকীয়। রোববার ছিল ফাইনালের নির্ধারিত দিন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে টসই করা গেলো না। ফলে ম্যাচ গড়ায় রিজার্ভ ডেতে। সেই রিজার্ভ ডেতেও এক ইনিংস যাওয়ার পর বৃষ্টির হানা।

ফলে সোমবারের ম্যাচ সময়ের হিসেবে মঙ্গলবার চলে গেলো। আদতে একটা ফাইনাল শেষ করতে লাগলো তিনদিন! তবে এতটা অপেক্ষার পর হতাশ হতে হয়নি সমর্থকদের। এমন ম্যাচ দেখার সৌভাগ্য যে মেলে কালেভদ্রে!

বৃষ্টি হতে পারতো চেন্নাইয়ে অভিশাপ, সেটি হয়েছে আশীর্বাদ। অভিশাপ কিভাবে? এই ম্যাচটি যদি পরিত্যক্ত হতো, তবে গ্রুপপর্বে পয়েন্ট বেশি থাকার সুবাদে চ্যাম্পিয়ন হতো গুজরাট টাইটান্স।

কিন্তু বৃষ্টি এসে উল্টো আশীর্বাদ করে দিলো মহেন্দ্র সিং ধোনির দলকে। গুজরাট তাদের সামনে ২০ ওভারে ছুড়ে দিয়েছিল ২১৫ রানের বিশাল লক্ষ্য। ম্যাচ পুরোটা হলে কাজটা কঠিনই হতো।

কিন্তু বৃষ্টির কারণে ওভার কমে যায়। ফলে ১৫ ওভারে চেন্নাইয়ের সামনে বেঁধে দেওয়া হয় ১৭১ রানের লক্ষ্য। চেন্নাই অবশ্য রান তাড়ায় ভালোভাবেই ছিল। ওপেনার রুতুরাজ গাইকদের ১৬ বলে ২৬, ডেভন কনওয়ের ২৫ বলে ৪৭ আর আজিঙ্কা রাহানের ১৩ বলে ২৭ রানে বেশ ভালো অবস্থানে দাঁড়ায় ধোনির দল।

১২.৩ ওভার শেষে রান ছিল ৩ উইকেটে ১৪৯। অর্থাৎ শেষ ১৫ বলে চেন্নাইয়ের লাগতো ২২ রান, হাতে ৭ উইকেট। এমন সময়ে এসে জোড়া উইকেট শিকার করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন মোহিত শর্মা।

বিদায়ী ম্যাচ খেলতে নামা আম্বাতি রাইডুকে (৮ বলে ১৯) আর অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে গোল্ডেন ডাকে (১ বলে ০) ফেরান এই পেসার। চাপে পড়ে চেন্নাই। ১৪তম ওভারে মোহাম্মদ শামি দেন মাত্র ৮ রান। ফলে শেষ ওভারে চেন্নাইয়ের দরকার পড়ে ১৪।

মোহিত প্রথম ৪ বলে মাত্র ৪ রান দিলে ম্যাচ ঝুলে যায় গুজরাটের দিকে। সেখান থেকে রবীন্দ্র জাদেজার অসাধ্য সাধন। পঞ্চম বলে লংঅনের ওপর দিয়ে ছক্কা, শেষ বলে মোহিতের লো ফুলটস শর্ট ফাইন লেগ দিয়ে চার। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস জাদেজার। ধোনি যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, অনেকটা সময় তিনি মাথা নিচু করে বসেছিলেন ডাগআউটে।

এর আগে সাই সুদর্শনের ৪৭ বলে ৯৬ রানের (৮ চার আর ৬ ছক্কা) বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২১৪ রান তুলেছিল গুজরাট। এছাড়া ঋদ্ধিমান সাহা ৩৯ বলে ৫৪, শুভমান গিল ২০ বলে ৩৯ এবং হার্দিক পান্ডিয়া ১২ বলে করেন অপরাজিত ২১ রান।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ধোনির চেন্নাইকে ২১৫ রানের বিশাল বড় লক্ষ্য দিলো গুজরাট

প্রকাশ: ১০:৪৪ পিএম, ২৯ মে, ২০২৩


Thumbnail

বৃষ্টির শঙ্কা নিয়েই মাঠে গড়ায় ১৬ তম আইপিএলের ফাইনাল। তবে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চার-ছক্কার বৃষ্টি ছোটালেন গুজরাটের ব্যাটাররা। শুভমান গিল ও সাই সুদর্শনের বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করেই ৪ উইকেটে ২১৪ রান তুলেছে গুজরাট টাইটান্স। মুম্বাইয়ের সর্বোচ্চ পাঁচ আইপিএল জেতার রেকর্ড ছুঁতে ধোনির চেন্নাইকে করতে হবে ২১৫ রান।

আহমেদাবাদে টস জিতে প্রথমে গুজরাটকে ব্যাটিংয়ে পাঠান চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খেতে পারতো গুজরাট। তুষার দেশপান্ডের বলে স্কয়ার লেগে শুভমান গিলের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন দীপক চাহার। গিল তখন ২ রানে।

একের পর এক তাণ্ডব চালানো ইনিংস খেলে গুজরাট টাইটান্সকে ফাইনালে তোলা শুভমান গিল জীবন পাওয়ার পর হয়ে উঠেন আরও ভয়ংকর। পাওয়ার প্লেতে তিনি আর ঋদ্ধিমান সাহা মিলে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন গুজরাটকে। ৬ ওভারে তারা তোলে ৬২ রান।

জীবন পাওয়া গিল হাফসেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে রবীন্দ্র জাদেজার ঘূর্ণিতে ধোনির স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। ২০ বলে ৭ বাউন্ডারিতে গুজরাট ওপেনার করেন ৩৯।

দ্বিতীয় উইকেটে সাই সুদর্শনকে নিয়ে ৪২ বলে ৬৪ রানের জুটি গড়েন ঋদ্ধিমান। ৩৬ বলে ফিফটি পূরণ করা উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার ফেরেন দীপক চাহারের শিকার হয়ে। ৩৯ বলে তার ৫৪ রানের ইনিংসে ছিল ৫ চার আর ১ ছক্কার মার।

এরপর ৩৩ বলে ফিফটি করেন সুদর্শন। ১৭তম ওভারে তুষার দেশপান্ডেকে ৩ চার আর ১ ছক্কা হাঁকিয়ে একাই ২১ রান তুলে নেন এই ব্যাটার।

সুযোগ ছিল সেঞ্চুরির। শেষ ওভারে পাথিরানাকে টানা দুই ছক্কা হাঁকিয়ে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারের একদম কাছে চলে এসেছিলেন সুদর্শন। কিন্তু পরের বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে যান। ভাঙে প্রথম সেঞ্চুরির স্বপ্ন।

চেন্নাইয়ের সব বোলারই খরুচে ছিলেন। পেসার মাথিশা পাথিরানা ২ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে দেন ৪৪ রান।

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টসে জিতে গুজরাটকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল চেন্নাই

প্রকাশ: ০৭:৪৫ পিএম, ২৯ মে, ২০২৩


Thumbnail

বৃষ্টি শঙ্কা উড়িয়ে অবশেষে মাঠে গড়াল ১৬ তম আইপিএলের ফাইনাল। আইপিএল ফাইনালটি হওয়ার কথা ছিল রোববার। কিন্তু বৃষ্টির কারণে সেদিন টসই হয়নি।

আজ হাই-ভোল্টেজ ফাইনালে টস জিতে গুজরাট টাইটান্সকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হচ্ছে রাত ৮টায়।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রিজার্ভ ডে’তে ধোনি-হার্দিক দ্বৈরথ, কে হবেন চ্যাম্পিয়ন?

প্রকাশ: ০৯:২৭ এএম, ২৯ মে, ২০২৩


Thumbnail

‘বিন বুলায়ে মেহমান’! আর সেই অতিথি যদি তাণ্ডব চালায়, তা হলে আর কী করা যাবে! মহেন্দ্র সিং ধোনি অবসর নেবেন কিনা, হার্দিক পান্ডিয়া ‘ক্যাপ্টেন কুল’ হবেন কিনা, চেন্নাই ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হবে কিনা, পরপর দু’বার গুজরাট আইপিএল দখলে নেবে কিনা— এই একগুচ্ছ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য গতকাল রবিবার বিকেল থেকে আহমেদাবাদে চোখ রেখেছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। সে সব মুলতুবি রেখে রবিবার চ্যাম্পিয়ন বৃষ্টি। তাই আজ সোমবার আবার আইপিএল ফাইনাল। 

গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ আহমেদাবাদে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে। ধোনি-হার্দিক দ্বৈরথ দেখতে আসা দর্শকরা হতাশ হয়ে যান। সকলের মনে ঘুরঘুর করতে থাকে একটাই প্রশ্ন, কখন থামবে বৃষ্টি? কোথায় কী? বৃষ্টির মন-মর্জিতে আইপিএল ফাইনাল ধুয়ে গেল। অবশ্য এতে আকর্ষণ কমছে না। কথায় বলে অপেক্ষা আগ্রহ বাড়ায়। ষোড়শী আইপিএলের ফাইনাল সোমবারও যে তুমুল সুগন্ধী ছড়াবে, সন্দেহ কি!

সন্ধের মুখে বৃষ্টির দাপটে গ্যালারির দর্শকরা অধৈর্য হয়ে পড়ছিল। রাত ৮.৫৫ নাগাদ বৃষ্টি থামে। সকলেই ভাবছিলেন, এ বার নিশ্চিত ভাবে টস হবে, শুরু হবে খেলা। তখনই বৃষ্টির নতুন স্পেল তছনছ করে দিয়েছিল স্বপ্ন। সমাপ্তি অনুষ্ঠান যেমন ধুয়ে গিয়েছে, তেমনই ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনাও ক্রমশ কমছিল। ৯.২০ নাগাদ ফের বৃষ্টি শুরু হতেই বোঝা যায়, ফাইনাল হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমশ কমছে। তখনই নানান অঙ্ক নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ম্যাচ যদি না হয়, কে চ্যাম্পিয়ন হবে? এমন সময় আইপিএল টুইট করে জানিয়ে দেয়, সোমবার রিজার্ভ ডে রাখা আছে ফাইনালের। শেষ পর্যন্ত ঠিক হয় সোমবারই হচ্ছে চেন্নাই বনাম গুজরাটের ফাইনাল।

যে কয়েকবার বৃষ্টি থেমেছে, আলোচনায় বসেছেন দুই আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারি জাভাগল শ্রীনাথ এবং দু-দলের ক্যাপ্টেন, মেন্টররা। মাঠকর্মীদের সঙ্গেও দীর্ঘ সময় কথাও হয়। সেখানে মূলত কয়েকটি বিষয়ে জোর দেওয়া হয়ে।

১. দীর্ঘ দু’মাসের ধুন্ধুমার লড়াই শেষে সংক্ষিপ্ত ফাইনাল হোক কেউই চান না। দু’দলই চায় পুরো ম্যাচ হোক, যোগ্য দল জিতুক।

২. আজ কোনও রকমে ম্যাচ করা গেলেও সেটা ৫ ওভারের করতে হত। দু’দলই এই বিষয়ে সায় দেয়নি।

৩. বৃষ্টির পর মাঠের যা পরিস্থিতি, তাতে ম্যাচ হলে প্লেয়ারদের চোট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

৪. আগামী ৭-১১ জুন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল। শুভমন গিল, মহম্মদ সামি, অজিঙ্ক রাহানে, রবীন্দ্র জাডেজাদের মতো গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা তাতে খেলবেন। তাঁদের কেউ চোট পেলে বড় রকমের সমস্যায় পড়বে ভারতীয় দল।

যুক্তি, আশঙ্কা, দুর্যোগ এই তিনের যোগফলেই আইপিএলের ফাইনাল হবে আজ সোমবার সন্ধেয়। মজার কথা হল, আইপিএলের সূচি যখন ঘোষণা করা হয়েছিল তখন কিন্তু রিজার্ভ ডে নামক কোনও আশ্চর্য বস্তু আছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে, তা-ই জানা ছিল না। ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তারা, একগুচ্ছ স্পনসর, সম্প্রচারকারী চ্যানেল, ডিজিটাল সত্ত্বাধিকারী সংস্থা — কার চাপে বোর্ডকে হঠাৎ ঝুলি থেকে রিজার্ভ ডে বার করতে হল সেই গবেষণাই এখন চলছে ভারতীয় ক্রিকেট মহলে। 

আশ্চর্যের এখানেই শেষ নয়। গত ১৫ মরসুমে প্লেয়িং কন্ডিশন নামে আইপিএলের ম্যাচ পরিচালনার শর্তাবলী সরকারি ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই ১৬তম মরসুমে অজানা কারণে প্লেয়িং কন্ডিশনের নতুন নিয়মাবলী দেওয়া হয়নি। গত মরসুমে যে নিয়ম ছিল, তা-ই রাখা হয়েছে। গত মরসুমে অবশ্য আইপিএল ফাইনালের রিজার্ভ ডে থাকবে, তা আগে থেকেই ঘোষণা করা হয়েছিল। তা হলে কি বোর্ড ধরেই নিয়েছিল, নতুন নিয়ম না বলার জন্য গত বারের নিয়মই বলবৎ থাকবে?



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন