ইনসাইড গ্রাউন্ড

শিরোপা জিতে টানা দুই ম্যাচেই হারল বার্সেলোনা

প্রকাশ: ০৯:২০ এএম, ২৪ মে, ২০২৩


Thumbnail

ম্যাচ শুরুর ৮২ সেকেন্ডের মাথায় ডাইভিং হেডে যে গোলটি করলেন আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেন, যে কোনো ফুটবলারের জন্য তা মধুর স্বাদের; কিন্তু বার্সেলোনার এই ডিফেন্ডারকে দিল তিক্ততা। নিজের জালেই যে বল পাঠালেন তিনি! শুরুর ওই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারল না তারা। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে লা লিগায় টিকে থাকার আশা জোরাল করল রিয়াল ভাইয়াদলিদ।

ঘরের মাঠে মঙ্গলবার (২৩ মে) রাতে লিগ ম্যাচে ৩-১ গোলে জিতেছে ভাইয়াদলিদ। দারুণ এই জয়ে রেলিগেশন অঞ্চল থেকে বেরিয়ে এলো তারা। শিরোপা নিশ্চিত হওয়ার পর যেন জয়ের ক্ষুধা ফুরিয়ে গেছে বার্সেলোনার। তাদের পারফরম্যান্সে সেটাই যে ফুটে উঠল। গত ১৪ মে এস্পানিওলকে হারিয়ে তিন মৌসুম পর আবার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় শাভির দল। এরপর ১০ দিনের মধ্যে দুই ম্যাচ খেলে দুইটিতেই হারল তারা।

শুরুতেই বার্সেলোনার রক্ষণের অমন গড়বড় করে ফেলা ভীষণ দৃষ্টিকটু। বাঁ দিক থেকে দারউইন মাচিসের বাড়ানো ক্রস ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে হেডে ক্লিয়ার করতে গিয়ে জালে পাঠান ডেনিশ ডিফেন্ডার ক্রিস্টেনসেন। কিছুই করার ছিল গোলরক্ষক মার্ক-টের স্টেগেনের। এগিয়ে গিয়ে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে ভাইয়াদলিদ। পরের ১০ মিনিটে আরও কয়েকটি ভালো আক্রমণ করে তারা। ত্রয়োদশ মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য আক্রমণ শাণাতে পারে বার্সেলোনা। কোনাকুনি শট নেন রাফিনিয়া, কিন্তু গোলরক্ষককে এড়াতে পারেননি তিনি।

চ্যাম্পিয়নদের স্তব্ধ করে দিয়ে ২২তম মিনিটে স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কাইল ল্যারিন। ডি-বক্সে গনসালো প্লাতাকে বার্সেলোনা ডিফেন্ডার এরিক গার্সিয়া ফাউল করলে পেনাল্টিটি পায় ভাইয়াদলিদ। দুই গোল খাওয়ার পর যেন তেতে ওঠে বার্সেলোনা। পরপর দুই মিনিটে দারুণ সুযোগও পায় তারা; কিন্তু অসাধারণ ক্ষিপ্রতায় রুখে দেন জর্দি মাসিপ। প্রথমে ৩১তম মিনিটে ক্রিস্টেনসেনের জোরাল হেড ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান তিনি। ওই কর্নারের ফলশ্রুতিতে রবের্ত লেভানদোভস্কির শটও একইভাবে ঠেকান মাসিপ।

দ্বিতীয়ার্ধেও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দারুণ সব আক্রমণ করতে থাকে ভাইয়াদলিদ। চেষ্টা করতে থাকে বার্সেলোনাও, কিন্তু উজ্জীবিত স্বাগতিকদের সামনে সুবিধা করতে পারছিল না লেভানদোভস্কিরা। ৫৯তম মিনিটে ব্যবধান বাড়তে পারতো আরও। ডান দিক থেকে মাচিসের ক্রস টের স্টেগেনকে ফাঁকি দিয়ে দূরের পোস্টে লাগলে বেঁচে যায় বার্সেলোনা। ৭৩তম মিনিটে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা অনেকটাই শেষ হয়ে যায় বার্সেলোনার। দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে স্কোরলাইন ৩-০ করেন প্লাতা। গতিতে সবাইকে পেছনে ফেলে ডি-বক্সে ঢুকে ল্যারিন পাস বাড়ান বাঁয়ে, প্রথম ছোঁয়ায় জোরাল শটে টের স্টেগেনকে পরাস্ত করেন একুয়েডরের মিডফিল্ডার প্লাতা। শুরুতে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি, তবে ভিএআরে পাল্টায় সিদ্ধান্ত।

পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান বাড়তে পারতো আরও। তবে লুকাস রোসার শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বাধা পায় পোস্টে। খানিক পর প্লাতার হেড অল্পের জন্য হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট। ৮৪তম মিনিটে অবশেষে একটি গোলের দেখা পায় বার্সেলোনা। ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের থ্রু পাস ধরে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে কাটিয়ে দুরূহ কোণ থেকে শটে বল জালে পাঠান লেভানদোভস্কি।

নাটকীয়তার আভাস মিললেও বাকি সময়ে আর তেমন কিছুই করতে পারেনি কাতালান ক্লাবটি। তবে সান্ত্বনার এই গোলে লা লিগায় অভিষেক মৌসুমেই পিচিচি ট্রফি জয়ের দৌড়ে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলেন লেভানদোভস্কি। ৩১ ম্যাচে ২২ গোল তার। পাঁচ গোল কম নিয়ে তালিকায় দুইয়ে করিম বেনজেমা।

৩৬ ম্যাচে ২৭ জয় ও ৪ ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৮৫। ৭২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদ। আর রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৭১। মাদ্রিদের দল দুটি একটি করে ম্যাচ কম খেলেছে। ৩৬ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে ১৭ নম্বরে ভাইয়াদলিদ; অবনমন অঞ্চল থেকে ৩ পয়েন্ট উপরে তারা।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এফএ কাপ ফাইনালে ইতিহাসের প্রথম ম্যানচেস্টার ডার্বি

প্রকাশ: ১১:৫৯ এএম, ০৩ জুন, ২০২৩


Thumbnail

এবারই প্রথমবারের মতো এফএ কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ফলে নতুন ইতিহাসও লেখা হয়ে যাচ্ছে আজ। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত আটটায়।

এফএ কাপে শেষবার ‘ম্যানচেস্টার ডার্বি’ হয়েছিল ২০১১ সালে। সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই ম্যানচেস্টার। ইয়াইয়া তুরের একমাত্র জয়সূচক গোলে ম্যান ইউকে হারিয়ে দীর্ঘ ৩০ বছর পর এফএ কাপ ফাইনালে উঠেছিল ম্যান সিটি। সে বছর চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল তারা।

এবারও ম্যানচেস্টার সিটি রয়েছে দুর্দান্ত ফর্মে । গত ছয় মৌসুমের মধ্যে পাঁচবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জেতা দলটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালেও উঠেছে। পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের সামনে এখন একমাত্র লক্ষ্য ‘ট্রেবল’।

মৌসুমে এরইমধ্যে একটি ট্রফি জিতে নিয়েছে সিটি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গার্দিওলার দল। তিন নম্বরে থেকে শেষ করেছে ম্যান ইউ। তারাও রয়েছে দুর্দান্ত ছন্দে । এফএ কাপের মতো ঐতিহ্যের ট্রফি জেতাই লক্ষ্য দুই ম্যানচেস্টারের।

ম্যান সিটি বলতেই এখন চলে আসে তরুণ স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ডের নাম। ইংলিশ ফুটবলে অভিষেক মৌসুমেই রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এই নরওয়েজিয়ান। হালান্ডকে আটকানোই এফএ কাপ ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে বাড়তি চ্যালেঞ্জ ।

ম্যান সিটির ক্ষেত্রে বলা যায়, দলে সেই অর্থে বড় কোনও চোট সমস্যা নেই। সামান্য ধোঁয়াশা রয়েছে ম্যানুয়েল আকাঞ্জিকে নিয়ে। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের কথা ভেবে এই ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে গোলকিপার এডারসনকে। তার জায়গায় খেলতে পারেন স্টেফান ওর্তেগা।এই ম্যাচে পাওয়া যাবে না অ্যান্টনি স্যান্টোসকে চোটের জন্য বাইরে আছেন লিজান্দ্রো মার্টিনেজও। সিটির সামনে তাই কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে রেড ডেভিলসদের।

 

 


ম্যানচেস্টার ডার্বি   ওয়েম্বলি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মেসির পর পিএসজিকে বিদায় জানাচ্ছেন রামোস

প্রকাশ: ১১:২০ এএম, ০৩ জুন, ২০২৩


Thumbnail

প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) সঙ্গে লিওনেল মেসির সম্পর্ক শেষ হয়েছে কদিন আগেই। আজই (শনিবার) পিএসজিতে লিওনেল মেসির শেষ ম্যাচ। বৃহস্পতিবার রাতে কোচ ক্রিস্টোফে গাল্টিয়ের জানিয়ে দিয়েছেন সে কথা। এবার আরও এক তারকা ফুটবলারের পিএসজি অধ্যায় শেষ হতে যাচ্ছে। অকস্মাৎ বিদায়ের ঘোষণা দিলেন পিএসজির আরেক বড় তারকা সার্জিও রামোস।

সাবেক রিয়াল ডিফেন্ডার জানিয়েছেন, চলতি মৌসুমে অর্থাৎ শনিবার ক্লেমন্টের বিপক্ষে ম্যাচটিই হবে পিএসজিতে তার শেষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এই বিষয়টি জানিয়েছেন রামোস। শুক্রবার তিনি লিখেছেন, ‘আগামীকাল আমার জন্য বিশেষ দিন। কারণ কাল আমি আমার জীবনের একটি অধ্যায়কে বিদায় বলব, বিদায় পিএসজি।’

৩৭ বছর বয়সী রামোস পিএসজির হয়ে ৫৭টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০২১ সালের জুলাইয়ে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ফরাসি লিগে যোগ দিয়েছিলেন এই ডিফেন্ডার। পিএসজির হয়ে তিনি দুটি লিগ শিরোপা জিতেছেন।

রামোস জাতীয় দল স্পেনের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলার। দেশের হয়ে জিতেছেন বিশ্বকাপ এবং দুটি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ।

ক্লাব ক্যারিয়ারে তার মূল সময়টা কেটেছে রিয়াল মাদ্রিদে। ২০০৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৬ বছর কাটিয়েছেন রিয়ালে। জিতেছেন পাঁচটি লা লিগা শিরোপা এবং চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন মরিনিও

প্রকাশ: ০৯:১২ এএম, ০৩ জুন, ২০২৩


Thumbnail

ম্যাচ হেরে অভিজ্ঞ কোচ জোসে মরিনিওর মেজাজ হারানোর ঘটনা নতুন কিছু নয়। এরকম আচরণের দায়ে এর আগেও তিনি শাস্তি পেয়েছিলেন। আরও একবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করলেন এই রোমা কোচ। ঘটনাটি সর্বশেষ ইউরোপা লিগ ফাইনালের, ম্যাচ শেষে তার বিরুদ্ধে রেফারির উদ্দেশ্যে অপমানজনক ও অশালীন ভাষা ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও ম্যাচে তাদের সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করার কারণে হলুদ কার্ড দেখতে হয় তাকে। সেই ঘটনার জন্য কড়া শাস্তি পেতে পারেন এই স্পেশাল ওয়ান।

গত ৩১ মে ইউরোপা লিগের ফাইনালে সেভিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে যায় রোমা। ম্যাচটিতে টুর্নামেন্টের রেকর্ড সংখ্যক হলুদ কার্ড দেখানো হয়। যেখানে ৪০টি ফাউলের বিপরীতে ১৩ বার হলুদ কার্ড দেখাতে হয়েছে রেফারি অ্যান্থনি টেইলরকে। এর মধ্যে রোমার খেলোয়াড়েরাই ৭টি হলুদ কার্ড পেয়েছেন ।

একদিকে হার, অন্যদিকে কার্ডের সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই বেশ রগচটে ছিলেন মরিনিও। তারই রেশ ধরে ম্যাচ শেষে তিনি পুসকাস অ্যারেনার বাইরে ম্যাচ অফিসিয়ালদের লক্ষ্য করে চিৎকার করেন। পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনেও রেফারি টেইলরের কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন তিনি।

৬০ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ কোচের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার কথা জানিয়েছে উয়েফা। সমর্থকদের আচরণের জন্য উভয় ক্লাবের বিরুদ্ধেও বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে। জানা গেছে, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া সাপেক্ষে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন মরিনিও।

ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে গত বুধবার বুদাপেস্টে সেভিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরে যায় রোমা। নির্ধারিত অতিরিক্ত সময়ে - ড্র ছিল। ট্রাইবেকে রোমা একাধিক শ্যুট আউট মিস করে। ফলে সেভিয়ার রেকর্ড সপ্তমবারের ইউরোপা লিগ শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায়।

যার রেশ ম্যাচের পরদিনও রেখে দেন রোমা সমর্থকরা। এদিন বুদাপেস্ট বিমানবন্দরে তাদের হয়রানির শিকার হন রেফারি টেইলর তার পরিবার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, টেইলর তার পরিবারকে গালিগালাজ করছেন ইতালিয়ান ক্লাবটির সমর্থকরা। একজন সমর্থন টেইলরকে লক্ষ্য করে চেয়ারও ছুড়ে মারলেও, অল্পের জন্য রক্ষা পান ইংলিশ রেফারি। 


মরিনিও   রোমা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আবারও বিশ্বের দামি ক্লাব রিয়াল

প্রকাশ: ০১:০৬ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail

ইউরোপীয় ফুটবলে রাজত্ব করা স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ টানা দ্বিতীয় বছর বিশ্বের সবচেয়ে দামি ক্লাবগুলোর তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। মার্কিন ব্যবসা সাময়িকী ফোর্বসের হিসাব অনুসারে, এই মুহূর্তে রিয়ালের বাজারমূল্য ৬.০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামি ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ইংল্যান্ডের এই ক্লাবটির বাজারমূল্য ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ফুটবল ক্লাবগুলোর মধ্যে ৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ক্লাব শুধু এ দু'টিই। ২০০৪ সাল থেকে ফুটবল ক্লাবগুলোর বাজারমূল্যভিত্তিক তথ্য হালনাগাদ করছে ফোর্বস। প্রতিবারই প্রথম পাঁচের মধ্যে থাকা ক্লাবও শুধু রিয়াল আর ইউনাইটেডই।

ফোর্বস বলছে, গত এক বছরে রিয়ালের বাজারমূল্য বেড়েছে ১৯ শতাংশ। সংস্কার করা সান্তিয়াগো বার্নাব্যু স্টেডিয়ামে ৪০ কোটি মার্কিন ডলারের একটি অর্থায়ন তাদের মূল্য বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টাইব্রেকারে রোমাকে হারিয়ে ইউরোপা চ্যাম্পিয়ন ‘কিং’ সেভিয়া

প্রকাশ: ১২:২২ পিএম, ০১ জুন, ২০২৩


Thumbnail

ইউরোপিয়ান ফাইনালে হোসে মরিনহো কখনো হারেননি। আবার সেভিয়া কখনো ইউরোপা লিগের ফাইনালে উঠে হারেনি। ষষ্ঠবারের মতো ইউরোপিয়ান ফাইনালে ওঠে মরিনহোর পরিচালনাধীন দল। আর সপ্তমবারের মতো ইউরোপা লিগের ফাইনাল খেলতে নামে সেভিয়া। এ ক্ষেত্রে বুধবার রাতে তো একটি পক্ষকে হারতেই হবে। ফুটবল ভক্তরা অপেক্ষায় ছিলেন, কে হবে সেই পক্ষ?

আক্ষরিক অর্থে, বুধবার রাতে বুদাপেস্টের পুসকাস অ্যারেনায় কেউ হারেনি। দুই পক্ষের মধ্যে ফাইনাল ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। কিন্তু ফাইনাল যেহেতু, সেখানে তো জয়-পরাজয় নির্ধারণ করতে হবে!

সুতরাং, ফাইনাল গড়ালো ভাগ্যের খেলায়। অর্থাৎ টাইব্রেকারে। সেখানে সেভিয়ার দাপটের সামনে টিকতে পারলো না হোসে মরিনহোর এএস রোমা। ৪-১ ব্যবধানে ইতালিয়ান ক্লাব রোমাকে হারিয়ে সপ্তমবারের মতো ইউরোপা লিগের শিরোপা ঘরে তুলে নিলো স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়া।

এএস রোমার দুর্ভাগ্য। ম্যাচের নির্ধারিত সময় ৯০ মিনিট এবং এরপর আরও অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলায় যে দুটি গোল হয়েছে, সে দুটি গোলই এসেছে তাদের ফুটবলারদের পা থেকে। কিন্তু এর একটি যে নিজেদের জালেই জড়িয়েছেন রোমার ডিফেন্ডার জিয়ানলুকা মানচিনি।

পুস্কাস অ্যারেনায় হোসে মরিনহোর ট্যাকটিসের কাছেই হেরে যেতে পারে সেভিয়া। কিন্তু স্প্যানিশ ক্লাবটিও সে পরিকল্পনা করে মাঠে নামে, যেন মরিনহোর যে কোনো কৌশলকে পরাভূত করে তারা এগিয়ে যেতে পারে।

তবে, সে আশায় গুড়েবালি। উল্টো এএস রোমা সেভিয়ার সামনে দাপট দেখিয়ে খেলতে শুরু করে। যার ফলশ্রুতিতে ৩৪ মিনিটেই গোল আদায় করে নেয় তারা। রোমার আর্জেন্টাইন সুপারস্টার পাওলো দিবালা দুর্দান্ত এক গোল করে রোমাকে এগিয়ে দেন।

কিন্তু ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে জিয়ানলুকা মানচিনি বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন। এরপর নির্ধারিত সময়ের ৯০ মিনিট এবং অতিরিক্ত সময়ের ৩০ মিনিট শেষ হওয়ার পরও কোনো গোল না হওয়ায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।

এখানেই বাজিমাত করে সেভিয়া। কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে গঞ্জালো মন্টিয়েলের ফিনিশিং গোলেই বিশ্বজয়ের আনন্দে মেতে ওঠে লিওনেল মেসিরা। সেই গঞ্জালো মন্টিয়েল এবারও টাইব্রেকারে ফিনিশিং গোলটি দিয়ে সেভিয়ার শিরোপা নিশ্চিত করেন।

এএস রোমার হয়ে টাইব্রেকারে একমাত্র গোলটি করেন ব্রায়ান ক্রিসতান্তে। আত্মঘাতি গোল দেয়া জিয়ানলুকা মানচিনি এবং ইবানেজ গোল মিস করেন।

সেভিয়ার জয়ে শেষ মুহূর্তের নায়কে পরিণত হন মরক্কোর সেই গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো। যার বীরত্বে কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলেছিল আরব-আফ্রিকান দেশটি। এবারও ইউরোপা লিগের ফাইনালে জিয়ানলুকা মানচিনি এবং ইবানেজের স্পট কিক ফিরিয়ে দিয়ে দলের শিরোপা জয়ে মূল ভূমিকা পালন করেন।

সেভিয়ার হয়ে গোল চারটি করেন লুকাস ওকাম্পোজ, এরিক লামেলা, ইভান রাকিটিক এবং গঞ্জালো মন্টিয়েল।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন