আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজকে সামনে রেখে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু করেছে বাংলাদেশ। এই ক্যাম্পের ২৬ সদস্যের দলে জায়গা হয়নি অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের। এতে আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার আশা অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে মাহমুদুল্লাহর।
প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বাংলাদেশে আসতে না পারায় প্রথম দিনের প্রস্তুতি পর্ব পরিচালনা করেন সহকারী কোচ নিক পোথাস। পুরোদমে অনুশীলন শুরুর একদিন আগে ৩ জুন দেশে ফিরবেন হাথুরুসিংহে। দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল জানান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে তৃতীয় এবং শেষ অনানুষ্ঠানিক টেস্ট খেলতে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সঙ্গে থাকায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজের জন্য ২৬ ক্রিকেটারের মধ্যে পাঁচজন ক্যাম্পে যোগ দিতে পারেননি।
এ বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপ থাকায় মাহমুদুল্লাহর বাদ পড়াটা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, মার্চে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পর জায়গা হারানো সত্ত্বেও বিশ্বকাপের জন্য বিবেচনায় আছেন মাহমুদুল্লাহ। নাফিস জানিয়েছেন, দেশে থাকা সত্ত্বেও মাহমুদুল্লাহকে প্রস্তুতি ক্যাম্পে ডাকা হয়নি। এক প্রশ্নের জবাবে নাফিস বলেন, ‘না (ডাকা হয়নি তাকে)। যদি ডাকা হতো, তাহলে তাকে এখানে দেখতে পেতেন।’
স্ট্রাইক রোটেশনের ব্যর্থতা ফুটে উঠায় আধুনিক ক্রিকেটের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছেন না মাহমুদুল্লাহ। বয়সের ছাপ প্রভাব ফেলায় ফিল্ডিংয়েও। নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। ফিল্ডিংয়ে দারুণ চটপটে ও স্ট্রাইক রেট বজায় রেখে রান করায় পারদর্শিতা দেখিয়েছেন মাহমুদুল্লাহর স্থলাভিষিক্ত হওয়া তাওহিদ হৃদয়। এই পজিশনের জন্য ব্যাক আপ হিসেবে আরও আছেন ইয়াসির আলি রাব্বি এবং আফিফ হোসেন। এতে মাহমুদুল্লাহর দলে ফেরাটা কঠিন হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, পবিত্র হজ পালনের জন্য ২২ জুন দেশ ছাড়বেন মাহমুদুল্লাহ এবং এ বিষয়ে বিসিবিকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের দিন, অর্থাৎ ৫ জুলাই দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৪ জুন থেকে বাংলাদেশের একমাত্র টেস্ট শুরু হবে। অনুশীলন সেশন পুরোদমে শুরু হলে ৪ জুনের আগে একমাত্র টেস্টের জন্য দল ঘোষণা করবে বিসিবি। বর্তমানে শুধুমাত্র ওয়ানডে ফরম্যাটেই খেলছেন মাহমুদুল্লাহ।
মন্তব্য করুন
ওয়ানডে বাংলাদেশ নাজমুল হোসেন শান্ত
মন্তব্য করুন
সেল্তাকে ৩-২
ব্যবধানে হারিয়ে লা লিগা পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে বার্সেলোনা। নিজেদের মাঠে
৮০ মিনিট পর্যন্ত ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকলেও ৮ মিনিটের এক ঝড়ে ম্যাচের চেহারাই বদলে
দিয়েছে জাভি হার্নান্দেজের দল।
রবার্ট লেভানডফস্কি
জোড়া গোলে সমতা আনার পর জোয়াও কানসেলো এগিয়ে দিয়েছেন। যার ওপর ভর করে বেশির ভাগ সময়
পিছিয়ে থাকা বার্সেলোনাই সেল্তাকে হারিয়েছে ৩-২ ব্যবধানে।
অলিম্পিক লুইস
স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে ১৯ মিনিটে সেল্তাকে এগিয়ে দেন জর্গেন লারসেন। প্রথমার্ধে দুই
দল মিলিয়ে হয়েছে এই একটি গোলই। দ্বিতীয়ার্ধে এক গোল শোধ দেওয়ার বদলে উল্টো আরও একটি
গোল হজম করে বার্সেলোনা। ৭৬ মিনিটে সেল্তাকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন গ্রিক ফরোয়ার্ড
তাসোস ডভিকাস। সেল্তার ডাগআউটে ছিলেন ২০০৩ সালে ভ্যালেন্সিয়ার হয়ে দুটি অ্যাওয়ে ম্যাচ
জেতানো রাফা বেনিতেজ। ১৯৬৫ সালের পর কোনো কোচ বার্সেলোনায় টানা তিনটি অ্যাওয়ে না জিতলেও
আজ মনে হচ্ছিল সেটি হয়ে যাবে।
কিন্তু ৮১ মিনিট
থেকে শুরু হয় বার্সেলোনার রোমাঞ্চকর প্রত্যাবর্তন। জোয়াও ফেলিক্সের অ্যাসিস্ট থেকে
বল জালে জড়ান লেভানডফস্কি। এর চার মিনিট পর পোলিশ স্ট্রাইকার স্কোরলাইন বানিয়ে দেন
২-২। ম্যাচে সমতা আনা গোলটিতে অ্যাসিস্ট করেন ফেলিক্সের স্বদেশি কানসেলো।
ম্যাচের ৮৯
মিনিটে গাভির দারুণ ক্রস কাজে লাগিয়ে পর্তুগিজ এই ডিফেন্ডারই বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন
৩-২ ব্যবধানে। যা শেষ পর্যন্ত ধরে রেখে ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।
মন্তব্য করুন
কিউইদের ২৫৪
রান তাড়ায় চরম ব্যাটিং
বিপর্যয়ের কারণে ৪১.১ ওভারে
১৬৮ রানেই অলআউট হয় বাংলাদেশ। ইশ
সৌধির লেগ স্পিনে বিভ্রান্ত
হয়ে ২৫৫ রানের টার্গেট
তাড়ায় ৮৬ রানে হারল
বাংলাদেশ। তবে এই হারের পরও তামিম ইকবালের মতে,
বাংলাদেশ ম্যাচ হারলেও দীর্ঘদিন পর খেলতে নেমে মাহমুদউল্লাহ খুবই ভালো খেলেছেন।
ম্যাচের পর
তামিম সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, ‘আমার তো মনে হয় উনি চমৎকার খেলেছেন। আমি ওনার সঙ্গে
ছোট একটা জুটিতে ছিলাম। ওনার ইনটেন্ট খুবই ভালো ছিল। আমার মনে হয়নি উনি ছয়-সাত মাস
বিরতির পর খেলতে নেমেছেন।’
মাহমুদউল্লাহর
ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করতে গিয়ে ফিল্ডিং প্রসঙ্গও টেনে আনেন তামিম, ‘ওনার ফিল্ডিং খুবই
ভালো হয়েছে। যতবারই বল গেছে, উনি সেরাটাই দিয়েছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, তিনি
খুবই খুবই ভালো খেলেছেন।’
মাহমুদউল্লাহ
যখন ব্যাটিং করতে নামেন, বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ৭০। ৩৬তম ওভারে কোল ম্যাকনকির বলে
যখন আউট হয়ে ফেরেন, তখন নামের পাশে ৪ চার ১ ছয়ে গড়া ৪৯ রানের ইনিংস।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রথম দুই ওয়ানডের দলে বিশ্রাম দেওয়া হয় বাংলাদেশ দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারকে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও তাই ছিল। এই ম্যাচগুলোতে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দেন লিটন দাস। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে বিশ্রাম চেয়েছেন তিনি। এজন্য প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করবেন নাজমুল হোসেন শান্ত।