ইউরোপিয়ান ফাইনালে হোসে মরিনহো কখনো হারেননি। আবার সেভিয়া কখনো ইউরোপা লিগের ফাইনালে উঠে হারেনি। ষষ্ঠবারের মতো ইউরোপিয়ান ফাইনালে ওঠে মরিনহোর পরিচালনাধীন দল। আর সপ্তমবারের মতো ইউরোপা লিগের ফাইনাল খেলতে নামে সেভিয়া। এ ক্ষেত্রে বুধবার রাতে তো একটি পক্ষকে হারতেই হবে। ফুটবল ভক্তরা অপেক্ষায় ছিলেন, কে হবে সেই পক্ষ?
আক্ষরিক অর্থে, বুধবার রাতে বুদাপেস্টের পুসকাস অ্যারেনায় কেউ হারেনি। দুই পক্ষের মধ্যে ফাইনাল ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। কিন্তু ফাইনাল যেহেতু, সেখানে তো জয়-পরাজয় নির্ধারণ করতে হবে!
সুতরাং, ফাইনাল গড়ালো ভাগ্যের খেলায়। অর্থাৎ টাইব্রেকারে। সেখানে সেভিয়ার দাপটের সামনে টিকতে পারলো না হোসে মরিনহোর এএস রোমা। ৪-১ ব্যবধানে ইতালিয়ান ক্লাব রোমাকে হারিয়ে সপ্তমবারের মতো ইউরোপা লিগের শিরোপা ঘরে তুলে নিলো স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়া।
এএস রোমার দুর্ভাগ্য। ম্যাচের নির্ধারিত সময় ৯০ মিনিট এবং এরপর আরও অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলায় যে দুটি গোল হয়েছে, সে দুটি গোলই এসেছে তাদের ফুটবলারদের পা থেকে। কিন্তু এর একটি যে নিজেদের জালেই জড়িয়েছেন রোমার ডিফেন্ডার জিয়ানলুকা মানচিনি।
পুস্কাস অ্যারেনায় হোসে মরিনহোর ট্যাকটিসের কাছেই হেরে যেতে পারে সেভিয়া। কিন্তু স্প্যানিশ ক্লাবটিও সে পরিকল্পনা করে মাঠে নামে, যেন মরিনহোর যে কোনো কৌশলকে পরাভূত করে তারা এগিয়ে যেতে পারে।
তবে, সে আশায় গুড়েবালি। উল্টো এএস রোমা সেভিয়ার সামনে দাপট দেখিয়ে খেলতে শুরু করে। যার ফলশ্রুতিতে ৩৪ মিনিটেই গোল আদায় করে নেয় তারা। রোমার আর্জেন্টাইন সুপারস্টার পাওলো দিবালা দুর্দান্ত এক গোল করে রোমাকে এগিয়ে দেন।
কিন্তু ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে জিয়ানলুকা মানচিনি বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন। এরপর নির্ধারিত সময়ের ৯০ মিনিট এবং অতিরিক্ত সময়ের ৩০ মিনিট শেষ হওয়ার পরও কোনো গোল না হওয়ায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।
এখানেই বাজিমাত করে সেভিয়া। কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে গঞ্জালো মন্টিয়েলের ফিনিশিং গোলেই বিশ্বজয়ের আনন্দে মেতে ওঠে লিওনেল মেসিরা। সেই গঞ্জালো মন্টিয়েল এবারও টাইব্রেকারে ফিনিশিং গোলটি দিয়ে সেভিয়ার শিরোপা নিশ্চিত করেন।
এএস রোমার হয়ে টাইব্রেকারে একমাত্র গোলটি করেন ব্রায়ান ক্রিসতান্তে। আত্মঘাতি গোল দেয়া জিয়ানলুকা মানচিনি এবং ইবানেজ গোল মিস করেন।
সেভিয়ার জয়ে শেষ মুহূর্তের নায়কে পরিণত হন মরক্কোর সেই গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো। যার বীরত্বে কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলেছিল আরব-আফ্রিকান দেশটি। এবারও ইউরোপা লিগের ফাইনালে জিয়ানলুকা মানচিনি এবং ইবানেজের স্পট কিক ফিরিয়ে দিয়ে দলের শিরোপা জয়ে মূল ভূমিকা পালন করেন।
সেভিয়ার হয়ে গোল চারটি করেন লুকাস ওকাম্পোজ, এরিক লামেলা, ইভান রাকিটিক এবং গঞ্জালো মন্টিয়েল।
মন্তব্য করুন
সৌদি
আরবে উড়ছেন পর্তুগিজ অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তার সঙ্গে উড়ছে
ক্লাব আল নাসরও। গত
রাতে গোলবন্যার ম্যাচে জোড়া গোল করেন
সিআরসেভেন। এতে করে ৭
গোলের ম্যাচে বড় জয় নিয়ে
মাঠ ছাড়ে আল নাসর।
শুক্রবার
(২২ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টায় রিয়াদের
কিং সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রো
লিগের ম্যাচে মুখোমুখি হয় আল-নাসর
ও আল-আহলি।
ম্যাচ
শুরুর মাত্র ৩ মিনিট পরেই
স্কোরবোর্ডে নাম লেখান রোনালদো।
তার সুবাদেই লিড গোল পায়
আল-নাসের। লিভারপুলের সাবেক ফরোয়ার্ড সাদিও মানের নিচু শটে বাঁ
পায়ের ছোঁয়ায় গোলের সূচনা করেন পর্তুগিজ তারকা।
প্রথমার্ধের বিরতি শেষে আবারও বাঁ
পায়ে আরেকটি দুর্দান্ত শট নিয়ে আল
নাসেরের চতুর্থ গোলটি করেন তিনি। এর
মধ্যে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড অ্যান্ডারসন তালিস্কা প্রথমার্ধে নিজের দুইটি গোল করেন। প্রথমটি
পেনাল্টি স্পট থেকে এবং
দ্বিতীয়টি ক্রসবারের নীচের দিকে দুর্দান্ত স্ট্রাইক
দিয়ে।
এ দিকে তিন দফায়
আল-আহলি সফল হলেও
এক গোলে পিছিয়ে থেকে
তাদের হার দেখতে হয়েছে।
বার্সেলোনার সাবেক মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্ক কেসি প্রথমার্ধে জাল
খুঁজে পান এবং দ্বিতীয়ার্ধে
আলজেরিয়ান উইঙ্গার রিয়াদ মাহরেজ পেনাল্টি থেকে গোল করেন।
৮৭তম মিনিটে বদলি খেলোয়াড় ফেরাস
আল-ব্রিকানের গোল ব্যবধান দাঁড়ায়
৪-৩। শেষ পর্যন্ত
এই ব্যবধান থাকায় জয় পায় আল-নাসের।
মৌসুমের
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে
যাওয়া আল-নাসের এই
নিয়ে টানা পাঁচটি জয়ের
রেকর্ড গড়ল। সর্বশেষ জয়ে
সৌদি প্রো লিগের পয়েন্ট
টেবিলের পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে রোনালদোর
দল। ৭ ম্যাচ শেষে
তাদের পয়েন্ট ১৫। আর সমান
ম্যাচ খেলে ১৮ পয়েন্ট
নিয়ে শীর্ষে রয়েছে আল-ইত্তিহাদ।
মন্তব্য করুন
আইসিসি ভারত বিশ্বকাপ প্রাইজমানি
মন্তব্য করুন
অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। আজ ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করলেন পিসিবির প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল-হক।
চোটের কারণে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে যান নাসিম শাহ। একই কারণে এই পেসারকে রাখা হয়নি বিশ্বকাপ দলেও। তার পরিবর্তে লম্বা সময় পর জাতীয় দলে ফিরেছেন হাসান আলী। আরেক পেসার হারিস রউফকে নিয়ে কিছুটা শঙ্কা ছিল। তবে সেটা কেটে গেছে। তিনি দলে আছেন।
গুঞ্জন ছিল দলে জায়গা হারাচ্ছেন শাদাব খান। তবে সেটা বাতাসে উড়ে গেছে। শাদাব দলেতো আছেনই, একই সঙ্গে সহ অধিনায়কের দায়িত্বেও বহাল আছেন।
পাকিস্তানের বিশ্বকাপ স্কোয়াড-
বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, ফখর জামান, ইমাম উল হক, আবদুল্লাহ শফিক, ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খান (সহ-অধিনায়ক), মোহাম্মদ নাওয়াজ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, সালমান আলী আগা, ওসামা মীর, সৌদ শাকিল, হাসান আলী।
রিজার্ভ ক্রিকেটার- মোহাম্মদ হারিস, আবরার আহমাদ, জামান খান।
বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা পাকিস্তান
মন্তব্য করুন
বিশ্বকাপ দল
ঘোষণার ঠিক একদিন আগে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য
পদ থেকে সড়ে দাঁড়ালেন মোহাম্মদ হাফিজ।
বৃহস্পতিবার
(২১ সেপ্টেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে পিসিবি থেকে অব্যাহতির
কথা জানান হাফিজ।
তিনি লিখেছেন,
'পাকিস্তান ক্রিকেটের টেকনিক্যাল কমিটি থেকে সড়ে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি এমজন
সম্মানিত সদস্য হিসেবে কাজ করেছি। আমাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য জাকা আশরাফকে ধন্যবাদ
দিতে চাই। জাকা আশরাফ যদি পাকিস্তান ক্রিকেটের প্রয়োজনে আমার কোনো পরামর্শ চায়, তাহলে
সাহায্য করার জন্য সবসময় আমি প্রস্তুত আছি। পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য শুভকামনা। পাকিস্তান
জিন্দাবাদ।'
এদিকে বেশ কয়েকজন
ক্রিকেটারের ইনজুরি এবং সর্বশেষ এশিয়া কাপে আশানুরূপ সাফল্য না পাওয়ায় বিশ্বকাপের জন্য
পাকিস্তানের স্কোয়াড ঘোষণায় দেরির কথা আগেই জানা গেছে। এ নিয়ে গতকাল জরুরি বৈঠকে বসেছিল
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
যেখানে বাবর
আজম অধিনায়ক এবং শাদাব খানকে সহ-অধিনায়ক করে বিশ্বকাপ দল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ (শুক্রবার) পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
পিসিবি টেকনিক্যাল কমিটি মোহাম্মদ হাফিজ
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ আর
নিউজিল্যান্ডের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম খেলাটি পন্ড হয়ে গেলো বৃষ্টিতে। বৃহস্পবিার
রাত ৮ টা ২৬ মিনিটে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
না করেও উপায়
ছিল না। কারণ, নিয়মানুযায়ী রাত ৯ টা ৬ মিনিটের মধ্যে খেলা শুরু না হলে এমনিতেই খেলা
পরিত্যক্ত হয়ে যেত। কারণ, এরপর বৃষ্টি থেমে ম্যাচ শুরু করা সম্ভব হলেও ওই সময়ের মধ্যে
অন্তত ২০ ওভার খেলা চালানো সম্ভব হতো না। এ কারণে খেলা পরিত্যাক্ত ঘোষণা করেছেন আম্পায়ার
ও ম্যাচ রেফারি।
বার বার বৃষ্টিতে
বাধাপ্রাপ্ত খেলাটি শেষবার বন্ধ হয়েছিল ৬টা ৪২ মিনিটে। কিন্তু এরপর অবিরাম বৃষ্টিতে
আর খেলা শুরু করা সম্ভব হয়নি। বৃষ্টিতে বন্ধ হওয়ার সময় পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের স্কোর
ছিল ৩৩.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৬। তখনই কিউই ইনিংসের ৮.২ ওভার বাকি ছিল।
অবশ্য সেটা
নির্ধারিত ৫০ ওভারের নয়। বৃষ্টিতে এর আগে একবার বন্ধ থাকায় খেলা নির্ধারিত ৫০ ওভার
থেকে ছোট করে ৪২ ওভারে নামিয়ে আনা হয়। এদিকে পরিত্যক্ত ঘোষণার সময়ও শেরে বাংলায় বৃষ্টি
হচ্ছিলো। পিচ ও ত্রিশ গজের আশপাশের এলাকা ত্রিপল দিয়ে ঢাকা।
মন্তব্য করুন