এই দূর্দমনীয় ভারতকে কেউ থামাতে পারবে কে ভেবেছিল! সেমির লড়াই পর্যন্ত টানা ১০ ম্যাচে জিতে আকাশে উড়ছিল ভারত। কিন্তু, একবার না একবার নামতেই যে হয় প্রকৃতির নিয়মে। সেই নিয়মের উপলক্ষ্য হয়ে এলো যেন অস্ট্রেলিয়া।
যে দলটির সেমিতে উঠা ছিল অনিশ্চয়তার ঘেরা টোপে। সেই দলটিই কিনা শেষ পর্যন্ত এলো ফাইনালে। এলো তো এলো ফাইনালে অপরাজিত ভারতকে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবার স্বাদটাও নিয়ে নিলো। মানে, কার খাবার কে খেলো এমন বিষয় আর কি।
গ্রুপ পর্বে অজিরা ৯ ম্যাচের সাতটিতেই জিতেছিল। এমনকি গ্রুপ পর্বের শুরুর ম্যাচে এই ভারতের সঙ্গেই কি করুণভাবে না হারলো!
এই দলটি পিছিয়ে থেকেও কিভাবে মগডালে উঠলো সেই জিজ্ঞাসাই সামনে আসে এখন। কি অবলীলায় বলে কয়েই যেন প্রথম দেখায় হারা ভারতকেই ফাইনালে হারিয়ে দিল। অজিরা যে বড় সমুদ্রের মাছ তা প্রায়শই বুঝিয়ে দেয় হাই ভোল্টেজের ম্যাচ জিতে নিয়ে।
১৩তম বিশ্বকাপ আসরে মূলত দূর্বল চিত্ত নিয়ে লড়াই করা অস্ট্রেলিয়া হারতে হারতে যখন নিজেদের মনোবল হারাতে বসেছিল তখনই তারা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়ালো। আর ঘুরে দাঁড়াবার মূল রসদটি তারা পেয়েছে ৯০% জিতে যাওয়া আফগানদের হারিয়ে।
৭ নভেম্বর মুম্বাইতে যখন ৯৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচে হারছে বলে পুরো ড্রেসিং রুম মানসিকভাবে প্রস্তুতিই নিয়ে ফেলেছে সেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আফগানরা যখন ইতিমধ্যে সাবেক ৩ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সর্বাধিক বিশ্বকাপ জয়ী অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে গোঁফে তেল দিয়েছে। তখনই যেন ক্রিকেটের রবিন হুড হয়ে ম্যাক্সওয়েল হাজির অজিদের ত্রাতা হিসেবে। গভীর সমুদ্রে ডুবতে থাকা হলুদ জার্সিদের তিনি ডুবুরির মতো উদ্ধার করে এক অসাধ্য সাধন করলেন। দু’বার মাঠে পড়েও গেলেন ইনজুরি নিয়ে। কিন্তু, এক প্রান্ত আগলে রেখে শুধু বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারিতে ভর করে ম্যাক্সওয়েল স্ট্রাইক নিয়ে এক ঐশ্বরিক খেলা খেলে দলকে জেতালেন। খেললেন অপরাজিত ২০১ রানের ইনিংস। বোধহয় স্বয়ং ক্রিকেট ঈশ্বর ম্যাক্সওয়েলের উপর ভর করলেন আর তারই দেখানো পথে অসুস্থ্য ম্যাক্সিই ম্যাচ জেতালেন। তা না হলে এই অসাধ্য সাধন কী করে হয়! এখনও ক্রিকেট দর্শকদের বিশ্বাসের মূলে যেন ধরে না এই ম্যাচ। আফগানদের দুঃসহ রূপকথায় জায়গা করে নিলো অস্ট্রেলিয়া।
ওই যে গভীর সমুদ্র থেকে প্রাণের সঞ্চার করা ম্যাক্সওয়েল দলকে সমুদ্র থেকে ডাঙ্গায় আনলেন এরপর অস্ট্রেলিয়া হয়ে উঠলো এক অপ্রতিরোধ্য। যেন ১৯৯৯ থেকে ২০০৭ সাল এই ১২ বছরে যে প্রতাপশালী অস্ট্রেলিয়াকে দেখা গিয়েছিল এই বিশ্বকাপেও নিজেদের হারিয়ে খুঁজে ফেরা অজিরা যেন ১৬ বছর আগে ফিরে গেলেন। জয় করলেন বিশ্বকাপ ষষ্ঠবারের মতো। অবিস্মরণীয় সে জয়। ক্রিকেটের গুডবুকে রাখার মতো সে জার্নি। শেষ পর্যন্ত অজিদের এবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবার টার্নিং পয়েন্ট আফগানদের সঙ্গে ৭ নভেম্বরের ওই ম্যাচটিকে বললে ভুল হয়তো হবে না।
অস্ট্রেলিয়া বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন টার্নিং পয়েন্ট বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০২৩
মন্তব্য করুন
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে টানা ৩ ম্যাচ হারের প্রভাব পড়ল ব্রাজিলের ফিফা রেংকিংয়ে। তৃতীয় স্থান থেকে দুই ধাপ পিছিয়ে এখন সেলেসাওরা পঞ্চম স্থানে। শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আর্জেন্টিনা। নভেম্বরে উরুগুয়ের কাছে হারলেও তারা পরের ম্যাচে ব্রাজিলকে হারিয়ে ঠিক ঘুরে দাঁড়িয়েছে লিওনেল মেসির দল।
কাতার বিশ্বকাপের আগে সবশেষ শীর্ষে ছিল ব্রাজিল। চ্যাম্পিয়ন হয়ে আর্জেন্টিনা
সেই জায়গা নেয়। সেলেসাওরা নেমে যায় তিন নম্বরে। এতদিন সেই তৃতীয় স্থানই ধরে রেখেছিল
তারা।
তবে এবার নেমে যেতে হলো। ফ্রান্স দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছে। তিনে উঠে এসেছে
ইংল্যান্ড। চারে বেলজিয়াম।
এদিকে গতমাসে প্রকাশিত র্যাংকিংয়ে ৬ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ উঠে এসেছিল ১৮৩
তম স্থানে। আজ প্রকাশিত র্যাংকিংয়ে সেই অবস্থানেই আছেন জামাল ভূইয়ারা। ফিফা
মন্তব্য করুন
সিলেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে টাইগারদের
জয়ের হাতছানি দেখা যাচ্ছে। তাইজুল-মিরাজ-নাঈমদের ঘূর্ণি তোপের ফাঁদে পড়ে চতুর্থ দিন
শেষে কিউইরা ৭ উইকেট খুঁইয়ে তুলেছে ১১৩ রান।
বাংলাদেশ নিউজল্যান্ডকে জয়ের জন্য ৩৩২ রানের লক্ষ্য বেঁধে দেওয়ার পর থেকেই
চেপে ধরেছে কিউইদের। তাইজুল তুলে নিয়েছেন ৪টি উইকেট। মেহেদি আর নাইম শিকার করেছেন ১টি
করে উইকেট।
সবশেষ কাইল জেমিসনকে এলবিডব্লিউ করে সাজঘরে ফিরিয়েছেন তাইজুল। ২৮ বলে ৮
রান করেন এই কিউই লোয়ার অর্ডার। এর আগে গ্লেন ফিলিপসকে এলবিডব্লিউ করেছেন ডানহাতি অফস্পিনার
নাইম। এই কিউই ব্যাটার করেছেন ২৬ বলে ১২ রান। জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার আর ৩ উইকেট।
অপরদিকে কিউইদের করতে হবে ২৩০ রান।
শুরুতেই ৩ উইকেট হারানোর পর দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ওপেনার ডেভন
কনওয়ে। দেখেশুনে খেলতে থাকেন এই কিউই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত তাকেও পিচে থাকতে দিলেন
না অফস্পিনার তাইজুল ইসলাম। ৭৬ বলে ২২ করা এই ব্যাটারকে শাহাদাত হোসেনের ক্যাচ বানান
বাঁহাতি স্পিনার। এরপর উইকেটরক্ষক ব্যাটার টম ব্লান্ডেলকেও সাজঘরে ফেরত পাঠান তাইজুল।
১৬ বলে ৬ রান করে শর্টলেগে নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন এই কিউই ব্যাটার।
৪৯ ওভারের খেলা শেষে কিউইদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১১৩ রান। ৮৬ বলে ৪৪ রান নিয়ে
খেলছেন ড্যারেল মিচেল, অপরপ্রান্তে ২৪ বলে ৭ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন ইশ সোধি।
এর আগে একে একে সাজঘরে ফিরেছেন ৩ কিউই টপঅর্ডার। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ
বলে রানের খাতা খোলার আগেই টম ল্যাথামকে (৬ বলে ০) সাজঘরে ফেরত পাঠান শরিফুল ইসলাম।
এই বাঁহাতি পেসারের ফুল লেন্থের বলে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন
ল্যাথাম।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দলের কাঁটা হয়ে ব্যাট করছিলেন কেন উইলিয়ামসন। কিন্তু
দ্বিতীয় ইনিংসে উইলিয়ামসনকে সেটি করতে দিলেন না তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের শুরুর দিকেই
এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে এই কিউই ব্যাটারকে আউট করেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল। ২৪ বলে
১১ রান করে সাজঘরে ফেরত যান উইলিয়ামসন।
এরপর ব্যাট করতে নামা হেনরি নিকোলসে সাজঘরের পথ দেখান অফস্পিনার মেহেদি
হাসান মিরাজ। ২ রানে করে নাইম হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই কিউই ব্যাটার।
এর আগে ২ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে ৩৩২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে
বাংলাদেশ। আজ চতুর্থ দিনে ৭ উইকেটে ১২৬ রান করেছে বাংলাদেশ। এর আগে গতকাল দ্বিতীয় ইনিংসে
ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ২১২ রান করেছিল টাইগাররা। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত হাঁকিয়েছেন
রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের মোট দাঁড়িয়েছে ৩৩৮ রান।
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট ক্রিকেট বিসিবি সিলেট
মন্তব্য করুন
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ম্যাচে মুশফিকুর রহিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের
সব ফর্মেট মিলিয়ে তার শততম ৫০-এর বেশি স্কোর রেকর্ডভূক্ত করেছেন। তিনি ৫০তম ক্রিকেটার
হিসেবে এই মাইলফলক অর্জন করলেন। এই কৃতিত্ব অর্জনকারী অন্য বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা হলেন
তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ডের প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনের মধ্যাহ্ন বিরতির
পর বেশিদূর এগোলো না টাইগারদের ইনিংস। ৩২ মিনিটের মধ্যে বাকি ৩ উইকেট তুলে বাংলাদেশকে
গুটিয়ে দেয় নিউজিল্যান্ড। দুটি উইকেট নেন এজাজ প্যাটেল, একটি উইকেট নেন ইশ সোধি। আর
একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখলেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
মিরাজ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। দল থামার আগে তিনি পেলেন টেস্ট ক্যারিয়ারের
পঞ্চম হাফসেঞ্চুরি। তার কল্যাণেই শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডকে ৩৩২ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে
দিতে পারলো বাংলাদেশ।
এই ম্যাচে মুশফিকুর রহিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব ফর্মেট মিলিয়ে তার শততম
৫০-এর বেশি স্কোর রেকর্ডভূক্ত করেছেন। তিনি ৫০তম ক্রিকেটার হিসেবে এই মাইলফলক অর্জন
করলেন।
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট ক্রিকেট বিসিবি সিলেট মুশফিক
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডকে একটিমাত্র টেস্টে হারাতে পেরেছিল। সেটি মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে কিউইদের মাটিতেই। কিউইদের প্রথমবার হারানোর স্মৃতি বোধ হয় ফিরে আসছে। কারণ বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডকে ৩৩২ রানের টার্গেট দিয়ে ভালোভাবে চেপে ধরেছে।
বাংলাদেশের ছুড়ে দেওয়া বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে
পড়েছে নিউজিল্যান্ড। একে একে বিদায় নিয়েছেন দলটির প্রথম ৬ ব্যাটার।
বাংলাদেশি বোলারদের তোপে কিউই ব্যাটাররা উইকেটে থিতু হতে পারছেন না। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারীদের সংগ্রহ ৩৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৮৫ রান।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ২১২ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করে বাংলাদেশ। দিনের প্রথম ওভারে কোনো উইকেট হারায়নি তারা। কিন্তু সাউদির করা দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন শান্ত। ১৯৮ বলে ১০৫ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংসের ইতি হয় তাতে।
এরপর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী হয়েছিলেন শাহাদাৎ হোসেন দীপু। কিন্তু তিনি বেশিক্ষণ উইকেটে টিকে থাকতে পারেননি। অভিষেক টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯ বলে ১৮ রান করে এলবিডব্লিউ হয়েছেন তিনি।
মুশফিকও হন এলবিডব্লিউ। ১১৬ বলে ৬৭ রান করার পর এজাজ প্যাটেলকে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে হন এলবিডব্লিউ। পরে রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি। তিন স্বীকৃত ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর হাল ধরেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
কিন্তু তিনি হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিলেও অপর পাশের ব্যাটাররা লম্বা সময় সঙ্গ দিতে পারেননি। ২৭ বলে ১০ রান করেন নুরুল হাসান সোহান, ৭ বলে ১০ রান আসে শরিফুলের ব্যাট থেকে। ৩৩৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ৭৬ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন মিরাজ।
৩৩২ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় কিউইরা। ইনিংসের প্রথম ওভারে ওপেনার টম ল্যাথামকে শূন্য রানে ফেরান শরিফুল ইসলাম। এরপর দশম ওভারের শেষ বলে তাইজুলের শিকার হন কেইন উইলিয়ামসন। আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ানকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন ১১ রানে।
এরপর নতুন আসা হেনরি নিকোলসও (২) বেশিক্ষণ টেকেননি। মেহেদী হাসান মিরাজের ডেলিভারিতে বল তার ব্যাটের কানায় লেগে আশ্রয় নেয় নাঈম হাসানের হাতে। বিপর্যয়ের মুখে হাল ধরতে পারেননি ওপেনার ডেভন কনওয়ে (২২)। দীর্ঘ সময় ক্রিজে কাটানো এই ব্যাটারকে বিদায় করেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট ক্রিকেট বিসিবি সিলেট
মন্তব্য করুন
বিশ্বকাপ ট্রফির উপর পা রেখে ছবি তোলার পর বেশ সমালোচিত হয়েছেন অজি ক্রিকেটোর
মিচেল মার্শ। ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে ভারতীয় ক্রিকেটাররাও অনেকে মার্শের এই কাণ্ডের
সমালোচনা করেন। এ বিষয়ে এতদিন মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন মার্শ। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবার
১১ দিন পর সেই ছবি নিয়ে মুখ খুললেন এই অজি অলরাউন্ডার। জানালেন যে, তিনি ট্রফিটিকে
অসম্মান করতে চাননি তিনি।
১৯ নভেম্বর ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। পরের দিন প্যাট
কামিন্সের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ছবি চমকে দেয় সকলকে। বিশ্বকাপ ট্রফিটিকে পাদানি
হিসাবে ব্যবহার করেছেন মার্শ। সেই ছবি প্রসঙ্গে ১১ দিন পর অজি ক্রিকেটার ‘সেন’ নামক
এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “বিশ্বকাপ ট্রফিকে অসম্মান করার কোনও বাসনা আমার ছিল না। আমি
ওই ছবি নিয়ে কিছুই ভাবিইনি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটা নিয়ে প্রচুর কথা হচ্ছে
বলে শুনেছি। আমি খুব একটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দেখি না। আমাকে অনেকে বলেছে যে, ছবিটি
ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এর বেশি কিছু না।”
মার্শ কিছু না ভাবলেও তার সেই ছবি নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে যায় সঙ্গে সঙ্গে।
যে ট্রফি একবার হাতে তোলার জন্য সারাটা জীবন অপেক্ষা করে থাকেন খেলোয়াড়েরা, সেই ট্রফির
উপর দিব্যি দুই পা তুলে ছবি তুললেন তিনি। আর সেটাও ফলাও করে দেখালেন দলের অধিনায়ক প্যাট
কামিন্স।
উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের একটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সমাজকর্মী পণ্ডিত
কেশব। আরও এক ধাপ এগিয়ে, তিনি অভিযোগের একটি প্রতিলিপি পাঠিয়ে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর
দফতরেও। তিনি চাইছেন, মার্শের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। কেশব আরও
জানিয়েছিলেন, মার্শ যাতে ভবিষ্যতে কোনও দিন ভারতে খেলতে না পারেন তার ব্যবস্থা করতে
হবে। বিশ্বকাপের ট্রফির সঙ্গে এ রকম ব্যবহার কোনও ভাবেই মানা যায় না বলে দাবি তাঁর।
মার্শ যদিও বুঝিয়ে দিলেন তিনি এ সব কিছুকে পাত্তাই দিচ্ছেন না।
মার্শের সেই ছবি দেখে নিন্দা করেছিলেন মহম্মদ শামি। ভারতীয় ক্রিকেটার বলেছিলেন,
“আমি ছবিটা দেখে খুব কষ্ট পেয়েছি। এই ট্রফির জন্যে গোটা বিশ্বের এত দেশ লড়াই করে।
এই ট্রফিকে সবাই মাথার উপর তুলে ধরতে চায়। সেই ট্রফির উপরেই পা রাখার ছবি কখনওই আমাকে
খুশি করতে পারে না।”
বিশ্বকাপ ট্রফি অস্ট্রেলিয়া-ভারত ক্রিকেট
মন্তব্য করুন