বিশ্বকাপ মানেই বিশেষ কিছু ঘটবে, বিশেষ কিছু ম্যাচ হবে। আর বিশেষ ম্যাচে
হবে বিশেষ কোনও রেকর্ড। যা ক্রিকেট ভক্তদের মনে গেঁথে থাকে যুগের পর যুগ। ওই বিশেষ
ম্যাচগুলোই দলগুলোকে নিয়ে যায় বিশ্বকাপের চূড়ান্ত সাফল্যের দিকে।
এবারের বিশ্বকাপের এমনই দূর্দান্ত ৫টি ইনিংসকে সেরা বলে ঘোষণা করেছে 'ক্রিকেটের
বাইবেল'খ্যাত ম্যাগাজিন উইজডেন। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক উইজডেনের চোখে বিশ্বকাপের সেই
সেরা ইনিংসগুলো-
১। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল
(১২৪ বলে ২০১*):
শুধু উইজডেনের নয়। পুরো ক্রিকেটবিশ্বের চোখেই এটি সেরা ইনিংস। মুম্বাইয়ে
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২০১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
ম্যাচের মাঝখানে ইনজুরিতে পড়ে মাঠে শুয়ে পড়েছিলেন এই অসি ব্যাটার। সেখান
থেকে উঠে একপায়ে দাঁড়িয়ে খেললেন ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসের সেরা ইনিংস। ২৯২ রানের লক্ষ্যে
ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়া ৯১ রানে হারিয়েছিল ৭ উইকেট। সেখান থেকে দলকে একাই টেনে
জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেন ম্যাক্সওয়েল।
২। ট্রাভিস হেড
(১২০ বলে ১৩৭):
ফাইনালের চোখ ধাঁধানো ইনিংস। দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে হেড একাই শিরোপাবঞ্চিত
করে দিয়েছেন ভারতকে। আহমেদাবাদে ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া অস্ট্রেলিয়াকে ষষ্ঠ
শিরোপা তুলে দিলেন হেডই। জয়ের জন্য অসিদের প্রয়োজন ছিল ২৪১ রান। হেড একাই করলেন ১৩৭
রান।
৩। ডেভিড মিলার
(১১৬ বলে ১০১):
দলের কঠিন সময়ে ৬ নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার
ডেভিড মিলার। তখন প্রোটিয়াদের ২৪ রানে ৪ উইকেট নেই। কলকাতায় প্রথম সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার
এমন চাপের মুখে প্রোটিয়া ব্যাটার তুলে নিলেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। দলকে
এনে দিলেন ২১২ রানের সম্মানজনক পুঁজি। যদিও অসিদের কাছে শেষমেষ হেরে বিদায় নিতে হয়েছে
দক্ষিণ আফ্রিকাকে, তবে মিলারের ইনিংসেই পাওয়া পুঁজি নিয়েই শেষ পর্যন্ত মরণপন লড়াই করে
তারা।
৪। ফখর জামান (৮১
বলে ১২৬):
দল থেকে বাদই পড়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে এসে বেঙ্গালুরুর মাঠে ঝড় তুললেন
পাকিস্তানের ওপেনার ফখর জামান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে খেললেন দুর্দান্ত
১২৬ রানের ইনিংস। ওই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৪০২ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল কিউইরা। বৃষ্টির
কারণে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ওই ম্যাচে ২১ রানের জয় পায় পাকিস্তান। সেই ম্যাচে জয়ের
নায়ক ছিলেন ফখর।
৫। রহমানুল্লাহ গুরবাজ
(৫৭ বলে ৮০):
সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গুরবাজের ম্যাচজয়ী ইনিংস এটি।
গুরবাজের ৮০ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের উপর ভর করে ২৮৪ রানের সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২১৫ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। দিল্লির ওই ম্যাচে আফগান
স্পিনারদের তোপের মুখে পড়েই মূলত খেই হারিয়ে ফেলেছিল ইংলিশরা।
ইনিংস ক্রিকেট বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০২৩
মন্তব্য করুন
বিশ্বকাপে ভারতের মাটিতে দশ দলের আয়োজনে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার নজর কেড়েছেন
তাদের পারফর্মেন্স দিয়ে। ব্যাটে-বলে এক দারুণ লড়াই হয়েছে। ভারতের কন্ডিশনে দারুণ খেলে
আইপিএলের দলগুলোরও নজরে এসেছেন তারা।
তাইতো আইপিএলের নিলামে ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলোর নজর থাকবে বিশ্বকাপে সফল একাধিক
ক্রিকেটারের দিকে। বিশেষ করে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স,
ফাইনালের নায়ক ট্র্যাভিস হেডেরা ভালো দাম পেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। আলাদা নজর
থাকবে বিশ্বকাপের আবিষ্কার নিউজ়িল্যান্ডের রাচিন রবীন্দ্রের দিকেও।
কামিন্স, রাচিনদের দলে নিতে হলে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলোকে অন্তত কত টাকা খরচ করতে হবে, তা জানা গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সূত্রে। কামিন্স, হেড ছাড়াও মিচেল স্টার্ককে কিনতে গেলে খরচ করতে হবে অন্তত ২ কোটি টাকা। ১৯ ডিসেম্বরের নিলামে এটাই তাদের ন্যূনতম দাম। বিশ্বকাপজয়ী দলের স্টিভ স্মিথ, জস ইংলিস, জস হ্যাজ়লউডও রয়েছেন এই তালিকায়।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের ছেড়ে দেওয়া উমেশ যাদবও নিজের ন্যূনতম দাম রেখেছেন
২ কোটি টাকা। এই বিভাগে অন্যতম চমক ভারতীয় দলের প্রাক্তন ব্যাটার কেদার যাদব। তিনিও
নিজের ন্যূনতম দাম রেখেছেন ২ কোটি টাকা।
তবে কিছুটা কম টাকায় পাওয়া যেতে পারে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিউজ়িল্যান্ডের
অলরাউন্ডার রাচিনকে। নিলামে তার ন্যূনতম দাম থাকছে ৫০ লাখ টাকা। যদিও মনে করা হচ্ছে,
তার দাম উঠতে পারে ১০ কোটি টাকার কাছাকাছি। ভাল দাম পেতে পারেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই
ক্রিকেটার জেরাল্ড কোয়েৎজ়ে এবং রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। শ্রীলঙ্কার স্পিনার ওয়ানিন্দু
হাসারাঙ্গা নিজের ন্যূনতম দাম রেখেছেন ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
১৯ ডিসেম্বরের নিলামে ৩০ জন বিদেশি-সহ মোট ৭৭জন ক্রিকেটারকে কিনতে পারবে
১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি। দুবাইয়ের নিলামে ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলো খরচ করতে পারবে মোট ২৬২ কোটি
৯৫ লাখ টাকা।
আইপিএল ক্রিকেট ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড রাচিন স্টিভ স্মিথ মিচেল
মন্তব্য করুন
নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্বের অভিষেকটা দারুণ হয়েছে। নিজে সেঞ্চুরি
করলেন আবার তার দলও নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে জয়লাভ করলো ১৫০ রানের
ব্যবধানে। আর এই জয়ের মাধ্যমে অধিনায়ক হিসেবে এক রেকর্ড গড়েছেন শান্ত।
টেস্ট ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকে প্রথম ম্যাচেই জয়। এই কীর্তি বাংলাদেশ
দলের আরও ৩ জনের আছে। তারা হলেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস।
সর্বশেষ ছিলেন লিটন। তার পর চতুর্থ বাংলাদেশি অধিনায়ক হিসেবে সাদা পোশাকের
নেতৃত্বে রেকর্ড গড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টেস্টে তার নেতৃত্বের অভিষেকে নিউজিল্যান্ডকে
হেসে খেলে নিজেদের মাটিতে হারালো বাংলাদেশ।
খেলা শেষ হওয়ার সময় ধারাভাষ্যকাররা বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়েছিলেন। এই জয়ে
অধিনায়ক হিসেবে শান্ত মাশরাফি-সাকিবদের কাতারে পড়ে গেলেন।
এই কীর্তি মজার এক মিল খুঁজে পাওয়া যায়। একই বছরের টেস্টে নেতৃত্বের অভিষেকে
জয় পেয়েছিলেন মাশরাফি ও সাকিব। আবার ২০২৩ সালে লিটন-শান্ত দুজনেরই অভিষেক অধিনায়কত্বে
টেস্টে সুখকর এই অভিজ্ঞতা হয়েছে।
২০০৯ সালে অধিনায়ক হিসেবে মুর্তজার দল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৯৫ রানে হারিয়েছিল।
সাকিব আল হাসানের বাংলাদেশ ওই বছরেই ক্যারিবীয়দের হারিয়েছিল ৪ উইকেটে। লিটনের নেতৃত্বে
আধুনিক টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়টি দেখেছিল টাইগাররা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে
তারা ৫৪৬ রানে জিতেছিল। সর্বশেষ শান্তর নেতৃত্বে জয় এলো ১৫০ রানের ব্যবধানে।
গেল বছর জানুয়ারিতেও মাউন্ট মঙ্গানুইয়েও স্মরণীয় টেস্টজয়ী দলের সদস্য ছিলেন
শান্ত। এবার ঘরের মাঠে অধিনায়কত্বে জিতলেন আরেকটি ম্যাচ। দুটির মধ্যে কোন জয়টিকে এগিয়ে
রাখবেন শান্ত, জানালেন উত্তরে, ‘দুইটাই। টেস্ট যেকোনো দলের বিপক্ষে যেকোনো সময় জিততেই
ভালো লাগে।’
ম্যাচ শেষে টাইগারদের এই তারকা ব্যাটসম্যান বলেন, ‘ভালো লাগছে। খুবই খুশি।
যে রকম চিন্তা করে এসেছিলাম, যে রকম পরিকল্পনা করেছি, সব মিলিয়ে যদি চিন্তা করি, তাহলে
আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, আমরা খুব ভালো একটা ম্যাচ খেলেছি। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম
ম্যাচে এ রকম জয়—খুবই আনন্দিত।’
কিউইরা হারলেও শান্ত তাদের শক্তিমত্তার কথাও স্মরণ করিয়ে দিলেন পুনরায়,
‘তারা অবশ্যই ভালো দল। টেস্ট ম্যাচের গুরুত্বটা অনেক বেশি আমার কাছে। আমার মনে হয়,
প্রত্যেক খেলোয়াড়ের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো দলের বিপক্ষে জিততেই ভালো লাগে। স্বাভাবিকভাবেই
তারা এমন এক দল, দুই বছর আগে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম চক্রের চ্যাম্পিয়ন ছিল।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এমন জয় টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে অন্যরকম বার্তা
দেবে বলে বিশ্বাস শান্তর, ‘এমন দলকে হারালে খেলোয়াড়দের মধ্যে আত্মবিশ্বাসটা বাড়ে। টেস্ট
ক্রিকেটে আমরা এখন যে অবস্থায় আছি, তার চেয়ে ভালো অবস্থায় যেতে পারি, এই বিশ্বাস কিন্তু
আরও ভালোভাবে বেড়ে ওঠে। এ ধরনের ম্যাচগুলো যদি আমরা না ভুলি, কী কী ঠিক করেছিলাম—এসব নিয়ে যদি ভবিষ্যতে
এগোতে পারি, তাহলে টেস্ট ক্রিকেটে আমরা এগিয়ে যাব।’
শান্ত ক্রিকেট বিসিবি টেস্ট মাশরাফি লিটন সাকিব
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার দুই টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে ১৫০ রানে জয় লাভ করেছে বাংলাদেশ। বাকি আছে আরেকটি টেস্ট। এরপর শান্ত তার দল নিয়ে উড়াল দেবেন নিউজিল্যান্ডে।
ইতিমধ্যে দল ঘোষণা হয়ে গেছে। দলে নেই বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের স্কোয়াডে থাকা
নাসুম আহমেদ। নাসুমকে বাদ দেওয়ার পর থেকে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
নাসুমের নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে না থাকা নিয়ে কথা বলেছেন নির্বাচক
হাবিবুল বাশার। তিনি বলেন, ‘নাসুমতো সাদা বলে নিয়মিত খেলছিল। তাকে আমরা দেখেছি অনেক।
নাসুম যে খুব খারাপ করেছে, তা বলবো না। তবে ওর কাছ থেকে আমরা যেটা চাচ্ছিলাম, উইকেট
শিকার করা, সেটা সাম্প্রতিক সময়ে পাচ্ছিলাম না। হ্যাঁ, ওকে একটা ভূমিকা পালন করতে বলা
হয়েছিল, আক্রমণ করার চেয়ে একটু রান বাঁচানো। তবে এরকম একজনকেও আমাদের দরকার, যে উইকেটও
নিতে পারে।’
একই সাথে নাসুমের পারফর্ম্যান্সও ভূমিকা রেখেছে দল থেকে বাদ পড়ার ক্ষেত্রে।
বাশার বলেন, ‘বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স কিছুটা ভাবনায় রেখেছি আমরা অবশ্যই। তবে আমরা
এখন চাচ্ছি একজন আগ্রাসী বোলার, সত্যি বলতে। যে কি না আমাদের উইকেট এনে দেবে।
শুধু নাসুমই নন, ওয়ানডেতে শেখ মেহেদীকেও না নেওয়ার যুক্তি দেখিয়ে বাশার
জানান, ‘আমরা কিন্তু শেখ মেহেদীকেও ওয়ানডে দলে নেইনি। কারণ ওই কন্ডিশনে অর্থোডক্স স্পিনারদের
পারফম্যান্স আশাব্যঞ্জক নয়। সেজন্যই আমরা ভিন্ন কিছুর চেষ্টা করছি। অবশ্যই লেগ-স্পিনার
নিয়ে অনেক কথা হয় আমাদের। আমরা আশা করছি, আমাদের যে চাহিদা রিশাদ তা পূরণ করতে পারবে।
মাঝের ওভারগুলোয় আমরা যদি উইকেট নিতে না পারি, বড় টুর্নামেন্ট খেলতে গেলে রান বাঁচানো
খুব কঠিন হয়ে যায়।’
নাসুম আহমেদ ক্রিকেট বিসিবি নির্বাচক বাংলাদেশ ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
মেসি-রোনালদো দ্বৈরথ বোধহয় থামবে না। যদিও ব্যক্তিগতভাবে তাদের দুজনের কোনও
দ্বন্দ্ব নেই। তবে তাদের ভক্তরা একরকম প্রতিদ্বন্দ্বীতায় মেতে ওঠে।
একটা সময় গোলের রেকর্ডের দৌঁড়ে দু’জনের লড়াইটা বেশ জমতো। এই দৌঁড়ে কখনো এগিয়ে
ছিলেন মেসি আবার কখনো রোনালদো। এখন অবশ্য সেই হিসেব আর নেই। কারণ, দুজনার দুটি পথ গিয়েছে
যে বেঁকে। রোনালদো খেলছেন সৌদিতে আর মেসি যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে।
তবে এরপরেও ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে দুইজনকে নিয়ে রেষারেষি এখনও রয়ে গিয়েছে আগের মতোই। সেই দৃশ্য দেখা গেল গতকাল সৌদি প্রো লিগে। সেখানে আল হিলালের মুখোমুখি হয়েছিল রোনালদোর আল নাসর। রিয়াদ ডার্বিতে আল হিলাল ৩-০ গোলে হারায় আল নাসরকে। বিরতিতে মাঠ ছাড়ার সময়ে রোনালদোকে শুনতে হয় ‘মেসি-মেসি’ ধ্বনি।
গ্যালারি থেকে রোনালদোকে উদ্দেশ্য করে এমন স্লোগান দেয় সমর্থকরা। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন রোনালদো।
যারা রোনালদোকে উদ্দেশ্য করে ‘মেসি-মেসি’ স্লোগান দিচ্ছিলেন, তাদের দিকে
তাকিয়ে রোনালদোকে উড়ন্ত চুমু শূন্যে ভাসাতে দেখা যায়। সেই সময়ে পর্তুগিজ তারকার মুখে
লেগেছিল হাসি।
ডার্বি ম্যাচে অবশ্য জ্বলে উঠতে পারেননি রোনালদো। তাতে তার দল হেরেছে বড় ব্যবধানে। তবে ক্রিশ্চিয়ানো এ মৌসুমে ১৪ ম্যাচে ১৫ গোল করে আছেন তালিকার সবার উপরে।
ফুটবল সৌদি প্রো লিগ মেসি রোনালদো আল নাসর
মন্তব্য করুন
ভারত বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হতে না পারার আক্ষেপই যেন মেটালো টি-টোয়েন্টি
দিয়ে। তারা অজিদের বিপক্ষে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-১
ব্যবধানে জিতে নিয়েছে।
টস হেরে ভারত অজিদের ১৭৫ রানের লক্ষ্য দেয়। জবাবে ১৫৪ রানে থেমেছে অস্ট্রেলিয়া।
এতে চতুর্থ ম্যাচে ২০ রানের জয় পেয়েছে স্বাগতিক ভারত।
রান তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করেছিলেন ট্রাভিস হেড। তবে বাঁহাতি এই ব্যাটার
১৬ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যেতেই খেই হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। আর এতে বড় ভূমিকা
রেখেছেন ভারতের স্পিনাররা। অক্ষর ১৭ রান দিয়ে নেন তিন উইকেট, বিষ্ণু মাত্র ১৬ রান দিয়ে
নিয়েছেন একটি উইকেট। শেষদিকে ম্যাথু ওয়েডের ২৩ বলে ৩৬ রান হারের ব্যবধান কমিয়েছে শুধু।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার জয়সাওয়াল ও ঋতুরাজে উড়ন্ত শুরু করে ভারত। ওপেনিং জুটিতে ৫০ রান হতেই ফেরেন জয়সাওয়াল। দলে ফেরা শ্রেয়াস আইয়ার ৭ বলে ৮ রান করে নেন বিদায়, অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবও এদিন পারেননি। ৬৩ রানে ভারত হারিয়ে বসে ৩ উইকেট।
সর্বোচ্চ ৪৬ রান এসেছেন রিংকু সিংয়ের ব্যাট থেকে, ১৯ বলে ৩৫ রান করেছেন জিতেশ শর্মা। অজিদের হয়ে তিনটি উইকেট শিকার করেন বেন দারশুয়িস, দুটি করে উইকেট নেন বেহেনড্রফ ও তানভীর সাঙহা।
ভারত-অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০২৩ টি-টোয়েন্টি
মন্তব্য করুন