শেষ হয়ে গিয়েছে এক দিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ। চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
দেশের মাটিতে রানার্স আপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ভারতকে। বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায়
বাকি সব দলের থেকে বেশি উপার্জন করেছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু অংশ নেওয়া প্রতিটি দলই কিছু
আর্থিক পুরস্কার পেয়েছে। দেখে নেওয়া যাক, প্রতিযোগিতার ১০ দল কত টাকা করে পেয়েছে?
বিশ্বকাপের রাউন্ড রবিন পর্বে প্রতিটি ম্যাচের জন্য একই টাকা পেয়েছে সবগুলি
দল। প্রতি ম্যাচের জন্য দেওয়া হয়েছে ৩৩ লক্ষ টাকা। তার পরে ধাপে ধাপে টাকার অঙ্ক বেড়েছে।
যে ছ’টি দল বিশ্বকাপের নক আউটে উঠতে পারেনি তারা আলাদা করে ৮৩ লক্ষ টাকা করে পেয়েছে।
প্রতিযোগিতায় যে দু’টি দল সেমিফাইনালে হেরেছে তারা আলাদা করে ৬ কোটি টাকা
করে পেয়েছে। বিশ্বকাপের ফাইনাল জেতায় ৩৩ কোটি টাকা পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। রানার্স হওয়ায়
ভারত পেয়েছে ১৬ কোটি টাকা।
অর্থাৎ, বিশ্বকাপ থেকে সব থেকে বেশি রোজগার করেছে অস্ট্রেলিয়া। গ্রুপ পর্বে
৭টি ম্যাচ জেতায় ২ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা পেয়েছে তারা। তাদের মোট রোজগার ৩৫ কোটি ৩১ লক্ষ
টাকা। দ্বিতীয় স্থানে ভারত। গ্রুপ পর্বের সব ক’টি ম্যাচ জেতায় ২ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা
পেয়েছে তারা। সব মিলিয়ে রোহিত শর্মাদের রোজগার ১৮ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা। দক্ষিণ আফ্রিকা
গ্রুপ পর্বে ৭টি ম্যাচ জিতে পেয়েছে ২ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা। তাদের মোট রোজগার ৮ কোটি ৩১
লক্ষ টাকা। গ্রুপ পর্বে ৫টি ম্যাচ জিতে নিউ জ়িল্যান্ডের পকেটে ঢুকেছে ১ কোটি ৬৫ লক্ষ
টাকা। তাদের মোট রোজগার ৭ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা।
বিরাটে শুরু, বিরাটেই শেষ! মাঝে ৪১ দিন, শুধু বদলে গেল উল্লাসের ছবিটা,
কী হল ভারতের সাজঘরে?
পঞ্চম স্থানে থাকা পাকিস্তান গ্রুপ পর্বে ৪টি ম্যাচ জিতে ১ কোটি ৩২ লক্ষ
টাকা পেয়েছে। তাদের মোট রোজগার ২ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা। ষষ্ঠ স্থানে থাকা আফগানিস্তানের
রোজগারও একই। সপ্তম স্থানে থাকা ইংল্যান্ড ৩টি ম্যাচ জিতে ৯৯ লক্ষ টাকা পেয়েছে। তাদের
মোট রোজগার ১ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা।
বিশ্বকাপের শেষ তিনটি দল বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডস ২টি করে ম্যাচ
জিতে ৬৬ লক্ষ টাকা করে পেয়েছে। তাদের মোট রোজগার ১ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা।
প্রাইজমানি অস্ট্রেলিয়া ভারত বিশ্বকাপ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ান
মন্তব্য করুন
গত বছর কাতার
বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে নিজের জীবনের সব চাওয়া পূর্ণ করেছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার
লিওলেন মেসি। তবে বরাবরই একটি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। আর সেটি হল- মেসি
তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন কবে?
মেসিও জানিয়েছেন,
যত দিন ফিট আছেন ততোদিন তার খেলা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।
এবার প্রশ্ন
উঠছে আগামী ২০২৬ বিশ্বকাপেও মেসি খেলবেন কি না? এ বিষয়ে মেসি জানান, প্রায় ৩ বছর দূরের
বিশ্বকাপ আপাতত তার ভাবনায় নেই। মেসি এখন শুধু আসন্ন ২০২৪ কোপা আমেরিকা নিয়েই ভাবছেন।
চলতি বছরে এমএলএস
ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন মেসি। দলটির হয়ে ইতোমধ্যে একটি শিরোপাও জিতেছেন তিনি।
আগামী বছরের কোপা আমেরিকাও অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই। তারপর ২০২৬ সালের
বিশ্বকাপও যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন বিশ্বকাপের সময় ৩৬
বছরের মেসি পা দিবেন ৩৯ বছর বয়সে। ৩৯ বছর বয়সে বিশ্বকাপে খেলার মত ফিটনেস মেসি ধরে
রাখতে পারবেন কিনা সেটাও একটি প্রশ্ন।
ইদানিং প্রায়ই
ফিটনেস নিয়ে ছোট খাটো সমস্যায় পরছেন মেসি। তাই আগামী বিশ্বকাপে মেসির খেলতে পারার সম্ভাবনা
নিয়েও তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। এ ব্যাপারে মেসির মতামত জানা গেল।
সম্প্রতি গণমাধ্যমকে
দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, বিশ্বকাপ নিয়ে আমার আপাতত কোনো ভাবনা নেই। তাই নিশ্চয়তা
দিয়েও বলতে পারছি না যে আগামী বিশ্বকাপে আমি খেলবো কি না। এর অন্যতম কারণ আমার বয়স।
সামনে যে কোন কিছুই ঘটতে পারে।
কোপা আমেরিকা
নিয়ে তিনি বলেন, অনেকেই মনে করছে, কোপা আমেরিকায় আমরা খুব ভালো করবো। কিন্তু বাস্তবতা
আসলে অনেক কঠিন। সাফল্য পেতে আমাদের পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে। আপাতত আমি শুধু কোপা
আমেরিকা নিয়েই ভাবছি। কোপা শেষে বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।
মন্তব্য করুন
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই আছে আর্সেনাল। অবস্থান মজবুত
করার লক্ষ্য নিয়ে ২ ডিসেম্বর উলভসের মুখোমুখি হচ্ছে তারা। ম্যাচটি শুরু হবে রাত ৯টায়।
আরেক ম্যাচে রাত ২টায় মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও নিউক্যাসল ইউনাইডেট।
নতুন উদ্যমে লড়াইয়ে নেমেছে আর্সেনাল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গত মৌসুমে বেশিরভাগ
সময় এগিয়ে থেকেও শেষদিকে গিয়ে ছন্দ হারায় গানাররা। সে সুযোগে শিরোপা জেতে ম্যানচেস্টার
সিটি। ভেঙে না পড়ে এ মৌসুমে রেইসে সবার সামনে মিকেল আর্টেটার দল। ১৩ ম্যাচ শেষে ৩০
পয়েন্ট তাদের।
এক পয়েন্ট কম নিয়ে এবারও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানসিটি। তিন ও চারে থাকা
লিভারপুল ও অ্যাস্টন ভিলাও পিছিয়ে নেই। দুদলের পয়েন্টই ২৮ করে। পাঁচে থাকা টটেনহ্যামের
সংগ্রহ ২৬ পয়েন্ট। তাই প্রতিটি ম্যাচ নিয়েই খুব সিরিয়াস গানাররা।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ৪ জয়ে আত্মবিশ্বাসী কোচ আর্টেটা। সবশেষ ম্যাচে
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লঁসকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তার শিষ্যরা। যদিও প্রতিপক্ষ উলভসও
জায়ান্ট কিলার। এ মৌসুমে ম্যানসিটি ও টটেনহ্যামকে হারিয়েছে তারা। মুখোমুখি দেখায় আর্সেনালের
৬৮ জয়ের বিপরীতে উলভসের জয় ৩২ ম্যাচে।
এদিকে, ২৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয়ে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্রতিপক্ষ
নিউক্যাসল ইউনাইটেড ২৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে সাতে। সবশেষ ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজির
বিপক্ষে বিতর্কিত এক পেনাল্টিতে জয়বঞ্চিত হয় ম্যাগপাইরা। ঘরের মাঠে তারা যে ক্ষোভ ঝারতে
চাইবে, সেটা জানা আছে ম্যান ইউনাইটেডের।
বাজে সময় কাটিয়ে ধারাবাহিকভাবে ভালো করছে এরিক টেন হ্যাগের দল। ইপিএলে সবশেষ
৬ ম্যাচে ৫ জয় তাদের। যদিও বেশ কিছু তারকা ফুটবলার রয়েছেন ইনজুরিতে। ক্যাসেমিরো, লিসান্দ্রো
মার্তিনেজ, ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন, মেসন মাউন্টরা থাকছেন মাঠের বাইরেই।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ আর্সেনাল ফুটবল ক্লাব ফুটবল
মন্তব্য করুন
শনিবার (২ ডিসেম্বর) নারী আইপিএলের দ্বিতীয় মৌসুমের ড্রাফটের তালিকা প্রকাশ
করেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। যেখানে ভারতের ১০৪ জনসহ মোট ১৬৫
জন ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ করেছে বিসিসিআই।
৬১ জন বিদেশির মধ্যে অস্ট্রেলিয়া থেকে সর্বোচ্চ ১৮ জন নাম লিখিয়েছে। দ্বিতীয়
সর্বোচ্চ ১৪ জন ইংল্যান্ডের। ৪ জন করে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নেদারল্যান্ডসের। সংযুক্ত
আরব আমিরাত, স্কটল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড থেকে আছে ৩ জন করে। এর বাইরে ২ জন করে আছে
দক্ষিণ আফ্রিকা, আয়ারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের। হংকং
থেকে নাম লিখিয়েছেন একজন।
বাংলাদেশ থেকে নাম লেখানো একজন পেসার মারুফা আক্তার আর অন্যজন স্পিন অলরাউন্ডার
রাবেয়া খান। দেশের হয়ে দ্যুতি ছড়ানো দুই ক্রিকেটার এবার বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে
সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন।
এর আগে ছেলেদের আইপিএলের আগামী মৌসুমের ড্রাফটে নাম লিখিয়েছে ৬ জন ক্রিকেটার।
তালিকায় আছেন মুস্তাফিজুর রহমান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম,
মেহেদী হাসান ও তাসকিন আহমেদ।
গত আইপিএলে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে খেলেছিলেন লিটন কুমার দাস ও মুস্তাফিজ,
দলে ছিলেন সাকিব আল হাসানও। দিল্লি ক্যাপিটালসের ছেড়ে দেয়া ফিজ এবারের নিলামে থাকলেও
নাম নেই সাকিব ও লিটনের। নিলামের আগে কলকাতা নাইট রাইডার্স তাদের ছেড়েও দিয়েছে।
আগামী ৯ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ে বসবে ২০২৪ আইপিএলের নিলাম।
নারী আইপিএল ক্রিকেট টি-টোয়েন্টি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড মারুফা
মন্তব্য করুন
বিশ্বকাপে ভারতের মাটিতে দশ দলের আয়োজনে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার নজর কেড়েছেন
তাদের পারফর্মেন্স দিয়ে। ব্যাটে-বলে এক দারুণ লড়াই হয়েছে। ভারতের কন্ডিশনে দারুণ খেলে
আইপিএলের দলগুলোরও নজরে এসেছেন তারা।
তাইতো আইপিএলের নিলামে ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলোর নজর থাকবে বিশ্বকাপে সফল একাধিক
ক্রিকেটারের দিকে। বিশেষ করে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স,
ফাইনালের নায়ক ট্র্যাভিস হেডেরা ভালো দাম পেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। আলাদা নজর
থাকবে বিশ্বকাপের আবিষ্কার নিউজ়িল্যান্ডের রাচিন রবীন্দ্রের দিকেও।
কামিন্স, রাচিনদের দলে নিতে হলে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলোকে অন্তত কত টাকা খরচ করতে হবে, তা জানা গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সূত্রে। কামিন্স, হেড ছাড়াও মিচেল স্টার্ককে কিনতে গেলে খরচ করতে হবে অন্তত ২ কোটি টাকা। ১৯ ডিসেম্বরের নিলামে এটাই তাদের ন্যূনতম দাম। বিশ্বকাপজয়ী দলের স্টিভ স্মিথ, জস ইংলিস, জস হ্যাজ়লউডও রয়েছেন এই তালিকায়।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের ছেড়ে দেওয়া উমেশ যাদবও নিজের ন্যূনতম দাম রেখেছেন
২ কোটি টাকা। এই বিভাগে অন্যতম চমক ভারতীয় দলের প্রাক্তন ব্যাটার কেদার যাদব। তিনিও
নিজের ন্যূনতম দাম রেখেছেন ২ কোটি টাকা।
তবে কিছুটা কম টাকায় পাওয়া যেতে পারে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিউজ়িল্যান্ডের
অলরাউন্ডার রাচিনকে। নিলামে তার ন্যূনতম দাম থাকছে ৫০ লাখ টাকা। যদিও মনে করা হচ্ছে,
তার দাম উঠতে পারে ১০ কোটি টাকার কাছাকাছি। ভাল দাম পেতে পারেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই
ক্রিকেটার জেরাল্ড কোয়েৎজ়ে এবং রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। শ্রীলঙ্কার স্পিনার ওয়ানিন্দু
হাসারাঙ্গা নিজের ন্যূনতম দাম রেখেছেন ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
১৯ ডিসেম্বরের নিলামে ৩০ জন বিদেশি-সহ মোট ৭৭জন ক্রিকেটারকে কিনতে পারবে
১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি। দুবাইয়ের নিলামে ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলো খরচ করতে পারবে মোট ২৬২ কোটি
৯৫ লাখ টাকা।
আইপিএল ক্রিকেট ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড রাচিন স্টিভ স্মিথ মিচেল
মন্তব্য করুন
নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্বের অভিষেকটা দারুণ হয়েছে। নিজে সেঞ্চুরি
করলেন আবার তার দলও নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে জয়লাভ করলো ১৫০ রানের
ব্যবধানে। আর এই জয়ের মাধ্যমে অধিনায়ক হিসেবে এক রেকর্ড গড়েছেন শান্ত।
টেস্ট ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকে প্রথম ম্যাচেই জয়। এই কীর্তি বাংলাদেশ
দলের আরও ৩ জনের আছে। তারা হলেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস।
সর্বশেষ ছিলেন লিটন। তার পর চতুর্থ বাংলাদেশি অধিনায়ক হিসেবে সাদা পোশাকের
নেতৃত্বে রেকর্ড গড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টেস্টে তার নেতৃত্বের অভিষেকে নিউজিল্যান্ডকে
হেসে খেলে নিজেদের মাটিতে হারালো বাংলাদেশ।
খেলা শেষ হওয়ার সময় ধারাভাষ্যকাররা বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়েছিলেন। এই জয়ে
অধিনায়ক হিসেবে শান্ত মাশরাফি-সাকিবদের কাতারে পড়ে গেলেন।
এই কীর্তি মজার এক মিল খুঁজে পাওয়া যায়। একই বছরের টেস্টে নেতৃত্বের অভিষেকে
জয় পেয়েছিলেন মাশরাফি ও সাকিব। আবার ২০২৩ সালে লিটন-শান্ত দুজনেরই অভিষেক অধিনায়কত্বে
টেস্টে সুখকর এই অভিজ্ঞতা হয়েছে।
২০০৯ সালে অধিনায়ক হিসেবে মুর্তজার দল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৯৫ রানে হারিয়েছিল।
সাকিব আল হাসানের বাংলাদেশ ওই বছরেই ক্যারিবীয়দের হারিয়েছিল ৪ উইকেটে। লিটনের নেতৃত্বে
আধুনিক টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়টি দেখেছিল টাইগাররা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে
তারা ৫৪৬ রানে জিতেছিল। সর্বশেষ শান্তর নেতৃত্বে জয় এলো ১৫০ রানের ব্যবধানে।
গেল বছর জানুয়ারিতেও মাউন্ট মঙ্গানুইয়েও স্মরণীয় টেস্টজয়ী দলের সদস্য ছিলেন
শান্ত। এবার ঘরের মাঠে অধিনায়কত্বে জিতলেন আরেকটি ম্যাচ। দুটির মধ্যে কোন জয়টিকে এগিয়ে
রাখবেন শান্ত, জানালেন উত্তরে, ‘দুইটাই। টেস্ট যেকোনো দলের বিপক্ষে যেকোনো সময় জিততেই
ভালো লাগে।’
ম্যাচ শেষে টাইগারদের এই তারকা ব্যাটসম্যান বলেন, ‘ভালো লাগছে। খুবই খুশি।
যে রকম চিন্তা করে এসেছিলাম, যে রকম পরিকল্পনা করেছি, সব মিলিয়ে যদি চিন্তা করি, তাহলে
আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, আমরা খুব ভালো একটা ম্যাচ খেলেছি। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম
ম্যাচে এ রকম জয়—খুবই আনন্দিত।’
কিউইরা হারলেও শান্ত তাদের শক্তিমত্তার কথাও স্মরণ করিয়ে দিলেন পুনরায়,
‘তারা অবশ্যই ভালো দল। টেস্ট ম্যাচের গুরুত্বটা অনেক বেশি আমার কাছে। আমার মনে হয়,
প্রত্যেক খেলোয়াড়ের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো দলের বিপক্ষে জিততেই ভালো লাগে। স্বাভাবিকভাবেই
তারা এমন এক দল, দুই বছর আগে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম চক্রের চ্যাম্পিয়ন ছিল।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এমন জয় টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে অন্যরকম বার্তা
দেবে বলে বিশ্বাস শান্তর, ‘এমন দলকে হারালে খেলোয়াড়দের মধ্যে আত্মবিশ্বাসটা বাড়ে। টেস্ট
ক্রিকেটে আমরা এখন যে অবস্থায় আছি, তার চেয়ে ভালো অবস্থায় যেতে পারি, এই বিশ্বাস কিন্তু
আরও ভালোভাবে বেড়ে ওঠে। এ ধরনের ম্যাচগুলো যদি আমরা না ভুলি, কী কী ঠিক করেছিলাম—এসব নিয়ে যদি ভবিষ্যতে
এগোতে পারি, তাহলে টেস্ট ক্রিকেটে আমরা এগিয়ে যাব।’
শান্ত ক্রিকেট বিসিবি টেস্ট মাশরাফি লিটন সাকিব
মন্তব্য করুন