প্রতিপক্ষ দলে
যখন লিওনেল মেসির মতো একজন থাকেন, তাকে নিয়ে আলাদা করে ভাবতে তো হবেই। ব্রাজিলও তাই
পরিকল্পনা আঁটছে ফুটবল বিশ্বের মহাতারকাকে আটকানোর। দলটির ফরোয়ার্ড রদ্রিগো তো সরাসরিই
বললেন, আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মেসিকে নিয়ে সর্তক থাকতে হবে তাদের।
২০২৬ বিশ্বকাপ
বাছাইয়ের ম্যাচে আগামী ২২ নভেম্বর আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। বাছাইয়ে নিজেদের
সবশেষ ম্যাচটি দুই দলই হেরেছে। কলম্বিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলে ব্রাজিল ও উরুগুয়ের সঙ্গে
২-০ গোলে হেরেছে আর্জেন্টিনা। তাই জয়ে ফিরতে আসন্ন ম্যাচটি দুই দলের জন্যই বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
সর্বশেষ উরুগুয়ে
ম্যাচের আগপর্যন্ত অবিশ্বাস্য ফুটবল খেলেছে ‘আলবিসেলেস্তে’রা।
এর মধ্যে বিশ্বকাপের পরই টানা ৮ ম্যাচে জিতেছে তারা। তবে ব্রাজিল ম্যাচের আগে উরুগুয়ের
কাছে ২–০ গোলে হেরে যায় আর্জেন্টিনা। এরপরও মারাকানায় আগামীকাল ফেবারিট
হিসেবেই খেলতে নামবে লিওনেল স্কালোনির দল। তবে ম্যাচে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে সম্মানই
আশা করছেন রদ্রিগো, ‘আমার মনে হয়, তারা (আর্জেন্টিনা) আমাদের সম্মান দেখাবে, আমরাও
যেমন তাদের সম্মান দেখাব।’
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে
অবশ্য এখন পর্যন্ত ব্রাজিলের বিপক্ষে গোল করতে পারেননি মেসি। এই ম্যাচ দিয়ে সেই অপেক্ষার
অবসান ঘটাতে চাইবেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
তবে প্রীতি
ম্যাচে ব্রাজিলের বিপক্ষে পাঁচ গোল আছে মেসির। প্রতিপক্ষের এই খেলোয়াড়ের সম্পর্কে ভালোই
ধারণা আছে ব্রাজিলিয়ানদের।
এদিকে চোটাক্রান্ত
নেইমারকে ছাড়া আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ব্রাজিল। দলের সেরা তারকাকে ছাড়া আর্জেন্টিনাকে
হারানোর কাজটা নিশ্চিতভাবেই অনেক কঠিন হবে। যদিও বিষয়টি সেভাবে ভাবছেন না ব্রাজিল কোচ
ফার্নান্দো দিনিজ।
গত সপ্তাহে
তিনি বলেছিলেন, ‘নেইমারের দায়িত্ব নেওয়া নিয়ে কাউকে উদ্বিগ্ন হতে হবে না। আমাদের দারুণ
একটি প্রতিভাবান প্রজন্ম আছে। অনেকেই সেই দায়িত্ব নিতে পারেন। খেলোয়াড়দের নির্ভার অনুভব
করতে হবে এবং নিজেদের সেরাটা দিতে হবে।’
লাতিন আমেরিকা
অঞ্চলের বাছাই পর্বের পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে আছে আর্জেন্টিনা। আর ব্রাজিলের অবস্থান
পাঁচ নম্বরে।
মন্তব্য করুন
সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না ট্রেবলজয়ী ম্যানচেস্টার সিটির। টানা ড্র আর হারের বৃত্তে পেপ গার্দিওলার দলকে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের চেয়ে ৬ পয়েন্ট দূরে ঠেলে দেওয়ার পাশাপাশি লিগ শিরোপা ধরে রাখার সক্ষমতাকেও প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে।
চেলসির সঙ্গে ৪-৪, লিভারপুলের সঙ্গে ১-১, টটেনহামের সঙ্গে ৩-৩। টানা তিন
ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগির পর চতুর্থ ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলার কাছে ১-০ গোলে হার। এই হলো
তাদের হারের বৃত্ত।
এই হচ্ছে ট্রেবলজয়ী ম্যানচেস্টার সিটির সর্বশেষ চার লিগ ম্যাচের ফল, সাবেক
আর্সেনাল ডিফেন্ডার মার্টিন কিওন সিটির এই নড়বড়ে পরিস্থিতিকে অভিহিত করেছেন ‘মিনি ক্রাইসিস’
নামে। অবশ্য কোচ পেপ গার্দিওলার যা স্বীকার না করে উপায়ও নেই।
কিন্তু এক মাস আগেও লিগ পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থাকা ক্লাবটি হঠাৎ কী কারণে
এমন ছন্নছাড়া? ৩৮ ম্যাচের লিগে উত্থান-পতনের মুখোমুখি প্রায় সব ক্লাবই হয়ে থাকে। সর্বশেষ
তিন আসরে লিগ জেতার পথে সিটিও এক-দুই-তিনে একাধিকবার ঘোরাঘুরি করেছে। কিন্তু এবারের
‘উত্থান-পতন’ দিচ্ছে ভিন্ন ইঙ্গিত। সিটি এবারের আগে লিগে টানা চার ম্যাচ জয়হীন ছিল
সর্বশেষ ২০১৭ সালের এপ্রিলে। ছয় বছরের পুরোনো তেতো স্বাদের সঙ্গে আছে অস্বস্তিকর আরও
এক ‘রেকর্ড’ও। সেই ২০০৯-১০ মৌসুমের পর এবারই প্রথম শুরুর ১৫ ম্যাচে ১৭ গোল হজম করেছে
সিটি।
কিছু খেলোয়াড় আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকবেন, কিছু চোট বা কার্ডের কারণে ম্যাচ মিস করবেন, আর এসবের মধ্য দিয়েই ট্রফির লড়াইয়ে এগিয়ে যেতে হবে—এমনটা ভালো করেই জানেন গার্দিওলা। জানেন এটাও যে দলকে আবার জয়ের পথে ফেরাতে মূল কাজটা করতে হবে তাঁকেই। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নিজের ভূমিকার কথাই তাই তুলে ধরেছেন সিটি কোচ, ‘ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খোঁজাটা আমারই কর্তব্য। আমরা জানি, সিটি কোন মাপের দল। কোচ হিসেবে আমাকে জয়ের পথ বের করতে হবে। আমরা কিছুটা হিমশিম খাচ্ছি। তবে এর জন্যই আমি এখানে।’
সিটির অবশ্য ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ যথেষ্টই আছে। আছে দৃষ্টান্তও। ২০১৮-১৯ মৌসুমে ১৯ ম্যাচের পর শীর্ষে থাকা লিভারপুলের চেয়ে ১০ পয়েন্ট পিছিয়ে ছিল সিটি। এরপরও মৌসুমের বাকি অর্ধেকে জয়রথ ছুটিয়ে ৯৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ জিতেছিল গার্দিওলার দল। তখন পারলে এবার কেন নয়—এমন মন্ত্রে উজ্জীবিত হতে দ্রুতই ‘সংকট’ থেকে বেরোতে হবে সিটিকে।
ম্যানচেস্টার সিটি ক্লাব ফুটবল ইংলিশ লিগ গার্দিওয়ালা লিভারপুল
মন্তব্য করুন
দেড় দিন পর খেলা শুরু হলে নিউজিল্যান্ডকে ২ ঘণ্টারও কম সময়ে অল আউট করে
দেয় বাংলাদেশ। এরপর ব্ল্যাক ক্যাপাররা টাইগারদের লিড দেয় ৮ রানের। কিন্তু, শান্ত-জাকিররা
ব্যাট করতে নেমে চাপে পড়ে যায়। এরমধ্যে আলোক স্বল্পতায় বন্ধ গেল তৃতীয় দিনের ও শেষ
সেশনের খেলা।
আলোক স্বল্পতায় খেলা বন্ধ হওয়ার আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ ওভার খেলে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান করে চাপে বাংলাদেশ। এর মধ্যে দিয়ে ৩০ রানের লিড পেয়েছে স্বাগতিকরা।
প্রথম ওভারেই মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট তুলে নেন এজাজ প্যাটেল। স্লিপে
ড্যারেল মিচেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাহমুদুল ফেরেন ২ রানে।
এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসানের ৩৫ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর
চেষ্টা বাংলাদেশের, তবে এই জুটি ভাঙে নাজমুলের বিদায়ে। টিম সাউদির বলে কেন উইলিয়ামসনের
হাতে ক্যাচ দিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক আউট হন ১৫ রানে।
জাকির ১৫ রানে অপরাজিত আছেন। তার সঙ্গী মমিনুল হক এক বলে শূন্য রানে ক্রিজে আছেন।
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট ক্রিকেট বিসিবি মিরপুর আলোক স্বল্পতা
মন্তব্য করুন
বৃষ্টির বাগড়া পেরিয়ে তৃতীয় দিন ২ ঘণ্টাও খেলতে পারলো না নিউজিল্যান্ড।
প্রথম দিন ৫৫ রানে ৫ উইকেট হারানো কিউইরা আজ ১২৫ রান তুলে বাকি পাঁচ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশকে
৮ রানের লিড দেয়। গ্লেন ফিলিপস সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেন।
খেলতে নেমে উইকেটে ব্ল্যাক ক্যাপাররা থিতু হতে পারেননি। আর সেই সুযোগটা
দেননি তরুণ নাঈম হাসান। তিনি পর পর দুই ওভারে ২ উইকেট নিয়েছেন। আরেকটি উইকেট নিয়েছেন
পেসার শরীফুল। এরপর আবারও শরীফুল ও তাইজুল একটি করে উইকেট নিলে কিউই শিবিরে আর কোনও
ব্যাটসম্যান অবশিষ্ট থাকেনি।
বাংলাদেশের পক্ষে মিরাজ ও তাইজুল ৩টি করে ও নাঈম হাসান ও শরীফুল নেন ২টি
করে উইকেট। কিউইদের পক্ষে ফিলিপস সর্বোচ্চ ৮৭ ও কাইল জনসন করেন ২০ রান।
তৃতীয় দিন মধ্যাহ্ন বিরতির পর মাঠে নেমে ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করেন গ্লেন ফিলিপস।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে কিউইদের সংগ্রহ ৩৩ ওভারে ১৫৬ রান। ৭৪ রানে
অপরাজিত আছেন ফিলিপস।
বাংলাদেশকে ১৭২ রানে গুঁড়িয়ে দেয়ার পর তাইজুল-মিরাজদের তোপে ৫৫ রানে ৫ উইকেট
হারিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছিল নিউজিল্যান্ড। বৃষ্টির কারণে মাঠে গড়ায়নি দ্বিতীয় দিনের
খেলা। ভেজা আউট ফিল্ডের কারণে তৃতীয় দিন নির্ধারিত সময়ে শুরু করা যায়নি ম্যাচ। আম্পায়ারদের
দীর্ঘ পর্যবেক্ষণের পর মধ্যাহ্ন বিরতি দিয়ে শুরু হয় খেলা।
এদিন মাঠে নেমে মারমুখো ভঙ্গিতে ব্যাট করতে থাকেন ফিলিপস। মেহেদী হাসান
মিরাজ ও নাঈম হাসানদের হাঁকাতে থাকেন চার-ছক্কা। তার সঙ্গে বাউন্ডারি হাঁকানোর উৎসবে
যোগ দিতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন ড্যারিল মিচেল।
নাঈমের হালকা টেনে দেয়া ডেলিভারি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারতে যান মিচেল। কিন্তু
দূর থেকে খেলায় ব্যাট থেকে ছুটে যায় এক হাত। বল উঠে যায় আকাশে। লং অন ও মিড অনের মাঝামাঝি
থেকে বাম দিকে অনেকটা পথ দৌড়ে অসাধারণ দক্ষতায় দুই হাতে ক্যাচ নেন মিরাজ। বিদায়ঘণ্টা
বাজে ১৮ রান করা মিচেলের। তাতে ফিলিপসের সঙ্গে ভাঙে তার ৪৯ রানের জুটি।
মিচেলকে সাজঘরে ফিরিয়ে এক ওভার পর আক্রমণে এসে মিচেল স্যান্টনারকেও নিজের
ঘূর্ণিতে পরাস্ত করেন নাঈম। স্টাম্পে পিচ করে টার্ন ও বাউন্সের সঙ্গে বেরিয়ে যাওয়া
ডেলিভারি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলার চেষ্টা করেন স্যান্টনার। বল তার ব্যাটের বাইরের
কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। ৭ বলে ১ রানে থামে
তার ইনিংস। নিউজিল্যান্ড সপ্তম উইকেট হারায় দলীয় ৯৭ রানে। অপরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে অবশ্য
নিজের মারমুখো ভঙ্গি ধরে রেখেছেন ফিলিপস। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন জেমিসন।
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট ক্রিকেট বিসিবি মিরপুর
মন্তব্য করুন
আইসিসি-র ক্রমতালিকায় টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের মধ্যে সেরা হলেন রবি বিষ্ণোই।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বল হাতে দারুণ পারফরম্যান্সের পুরস্কার এটি।
প্রথমবারের মতো এই সংস্করণে বোলারদের রেঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠলেন ভারতের এই তরুণ লেগি।
রবির উথানে সিংহাসন হারিয়ে দুইয়ে নেমে গেলেন আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার রশিদ খান।
দেশের মাটিতে ভারতের ৪-১ ব্যবধানে জেতা সিরিজে পাঁচ ম্যাচে ৯ উইকেট নেন
বিষ্ণই। জেতেন সিরিজ সেরার পুরস্কার। আইসিসি রেঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদে চার ধাপ
এগিয়ে চূড়ায় উঠেছেন ২৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
বোলারদের মধ্যে শীর্ষে থাকা বিষ্ণোই পেয়েছেন ৬৯৯ পয়েন্ট। দক্ষিণ আফ্রিকার
বিপক্ষে সেখানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ় খেলতে যাবে ভারত। এতে নিজেদের জায়গা ধরে রাখার সুযোগ
পাবেন সূর্য এবং বিষ্ণোই। ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ়।
১০, ১২ এবং ১৪ ডিসেম্বর সেই ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে টি-টোয়েন্টি অভিষেকের পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম
করে চলেছেন বিষ্ণই। এই সংস্করণে এখন পর্যন্ত ২১ ম্যাচে তার শিকার ৩৪ উইকেট।
টি-টোয়েন্টি ভারত-অস্ট্রেলিয়া রেঙ্কিং ক্রিকেট বিষ্ণই
মন্তব্য করুন
পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচে প্রায় দেড় দিনই খেলা হয়নি বৃষ্টির কারণে। অবশেষে
যখন বৃষ্টি বাঁধা পেরিয়ে শুরু হলো বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের খেলা তখন আবারও হলো প্রথম
দিনের পুনরাবৃত্তি। উইকেটে ব্যাটসম্যানরা থিতু হতে পারছেন না। আর সেই সুযোগটা দেননি
তরুণ নাঈম হাসান। তিনি পর পর দুই ওভারে ২ উইকেট নিয়েছেন। আরেকটি উইকেট নিয়েছেন পেসার
শরীফুল।
তৃতীয় দিন মধ্যাহ্ন বিরতির পর মাঠে নেমে ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করেন গ্লেন ফিলিপস।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে কিউইদের সংগ্রহ ৩৩ ওভারে ১৫৬ রান। ৭৪ রানে
অপরাজিত আছেন ফিলিপস।
বাংলাদেশকে ১৭২ রানে গুঁড়িয়ে দেয়ার পর তাইজুল-মিরাজদের তোপে ৫৫ রানে ৫ উইকেট
হারিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছিল নিউজিল্যান্ড। বৃষ্টির কারণে মাঠে গড়ায়নি দ্বিতীয় দিনের
খেলা। ভেজা আউট ফিল্ডের কারণে তৃতীয় দিন নির্ধারিত সময়ে শুরু করা যায়নি ম্যাচ। আম্পায়ারদের
দীর্ঘ পর্যবেক্ষণের পর মধ্যাহ্ন বিরতি দিয়ে শুরু হয় খেলা।
এদিন মাঠে নেমে মারমুখো ভঙ্গিতে ব্যাট করতে থাকেন ফিলিপস। মেহেদী হাসান
মিরাজ ও নাঈম হাসানদের হাঁকাতে থাকেন চার-ছক্কা। তার সঙ্গে বাউন্ডারি হাঁকানোর উৎসবে
যোগ দিতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন ড্যারিল মিচেল।
নাঈমের হালকা টেনে দেয়া ডেলিভারি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারতে যান মিচেল। কিন্তু
দূর থেকে খেলায় ব্যাট থেকে ছুটে যায় এক হাত। বল উঠে যায় আকাশে। লং অন ও মিড অনের মাঝামাঝি
থেকে বাম দিকে অনেকটা পথ দৌড়ে অসাধারণ দক্ষতায় দুই হাতে ক্যাচ নেন মিরাজ। বিদায়ঘণ্টা
বাজে ১৮ রান করা মিচেলের। তাতে ফিলিপসের সঙ্গে ভাঙে তার ৪৯ রানের জুটি।
মিচেলকে সাজঘরে ফিরিয়ে এক ওভার পর আক্রমণে এসে মিচেল স্যান্টনারকেও নিজের
ঘূর্ণিতে পরাস্ত করেন নাঈম। স্টাম্পে পিচ করে টার্ন ও বাউন্সের সঙ্গে বেরিয়ে যাওয়া
ডেলিভারি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলার চেষ্টা করেন স্যান্টনার। বল তার ব্যাটের বাইরের
কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। ৭ বলে ১ রানে থামে
তার ইনিংস। নিউজিল্যান্ড সপ্তম উইকেট হারায় দলীয় ৯৭ রানে। অপরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে অবশ্য
নিজের মারমুখো ভঙ্গি ধরে রেখেছেন ফিলিপস। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন জেমিসন।
বাাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট ক্রিকেট মিরপুর
মন্তব্য করুন