বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৭ গোল হজম করেছে বাংলাদেশ। এবার
বাংলাদেশ ঘরের মাঠে মোকাবেলা করবে লেবাননের। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আজ মঙ্গলবার
(২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় মুখোমুখি হবে দুই দেশ। অজিদের সঙ্গে হারলেও এবার জয়ের
লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামছে হাভিয়ের ক্যাবরেরার দল।
বাংলাদেশের চেয়ে শক্তিতে অনেকটাই এগিয়ে আরব দেশটি। ফিফা রেঙ্কিংয়ে এই মুহূর্তে
৭৯ নম্বরে আছে লেবানন। বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৩ নম্বরে। রেঙ্কিংয়ে অনেক পিছিয়ে থাকলেও
জয়ের স্বপ্নই দেখছে লাল সবুজের দল।
বাংলাদেশ-লেবানন এর আগে তিনবার মুখোমুখি হয়েছিল। এরমধ্যে ২বারই জিতেছে লেবানিজরা।
আর একবার জয়ের দেখা পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেটিও ২০১১ সালে। সেবার ২-০ গোল ব্যবধানের লেবাননকে
হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর সর্বশেষ দুই দেখার দু’বারই হেরেছে বাংলাদেশ।
তুলনামূলক বাংলাদেশের চেয়ে শক্তিশালী লেবাননের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলে পাচ্ছে
না গুরুত্বপূর্ণ দুই তারকাকে। কার্ড সমস্যায় দুই ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন ও সাদ উদ্দিন
এই ম্যাচে খেলতে পারছেন না। তবে তাদের বিকল্প খেলোয়াড় নিয়েই লেবাননকে হারাতে চান কোচ
ক্যাবরেরা।
বাছাই পর্ব বাংলাদেশ হার দিয়ে শুরু করলেও লেবানন নিজেদের প্রথম ম্যাচে প্যালেস্টাইনের
বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে। আজকের ম্যাচে দুদলই থাকবে প্রথম জয়ের সন্ধানে।
মন্তব্য করুন
নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্বের অভিষেকটা দারুণ হয়েছে। নিজে সেঞ্চুরি
করলেন আবার তার দলও নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে জয়লাভ করলো ১৫০ রানের
ব্যবধানে। আর এই জয়ের মাধ্যমে অধিনায়ক হিসেবে এক রেকর্ড গড়েছেন শান্ত।
টেস্ট ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকে প্রথম ম্যাচেই জয়। এই কীর্তি বাংলাদেশ
দলের আরও ৩ জনের আছে। তারা হলেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস।
সর্বশেষ ছিলেন লিটন। তার পর চতুর্থ বাংলাদেশি অধিনায়ক হিসেবে সাদা পোশাকের
নেতৃত্বে রেকর্ড গড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টেস্টে তার নেতৃত্বের অভিষেকে নিউজিল্যান্ডকে
হেসে খেলে নিজেদের মাটিতে হারালো বাংলাদেশ।
খেলা শেষ হওয়ার সময় ধারাভাষ্যকাররা বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়েছিলেন। এই জয়ে
অধিনায়ক হিসেবে শান্ত মাশরাফি-সাকিবদের কাতারে পড়ে গেলেন।
এই কীর্তি মজার এক মিল খুঁজে পাওয়া যায়। একই বছরের টেস্টে নেতৃত্বের অভিষেকে
জয় পেয়েছিলেন মাশরাফি ও সাকিব। আবার ২০২৩ সালে লিটন-শান্ত দুজনেরই অভিষেক অধিনায়কত্বে
টেস্টে সুখকর এই অভিজ্ঞতা হয়েছে।
২০০৯ সালে অধিনায়ক হিসেবে মুর্তজার দল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৯৫ রানে হারিয়েছিল।
সাকিব আল হাসানের বাংলাদেশ ওই বছরেই ক্যারিবীয়দের হারিয়েছিল ৪ উইকেটে। লিটনের নেতৃত্বে
আধুনিক টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়টি দেখেছিল টাইগাররা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে
তারা ৫৪৬ রানে জিতেছিল। সর্বশেষ শান্তর নেতৃত্বে জয় এলো ১৫০ রানের ব্যবধানে।
গেল বছর জানুয়ারিতেও মাউন্ট মঙ্গানুইয়েও স্মরণীয় টেস্টজয়ী দলের সদস্য ছিলেন
শান্ত। এবার ঘরের মাঠে অধিনায়কত্বে জিতলেন আরেকটি ম্যাচ। দুটির মধ্যে কোন জয়টিকে এগিয়ে
রাখবেন শান্ত, জানালেন উত্তরে, ‘দুইটাই। টেস্ট যেকোনো দলের বিপক্ষে যেকোনো সময় জিততেই
ভালো লাগে।’
ম্যাচ শেষে টাইগারদের এই তারকা ব্যাটসম্যান বলেন, ‘ভালো লাগছে। খুবই খুশি।
যে রকম চিন্তা করে এসেছিলাম, যে রকম পরিকল্পনা করেছি, সব মিলিয়ে যদি চিন্তা করি, তাহলে
আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, আমরা খুব ভালো একটা ম্যাচ খেলেছি। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম
ম্যাচে এ রকম জয়—খুবই আনন্দিত।’
কিউইরা হারলেও শান্ত তাদের শক্তিমত্তার কথাও স্মরণ করিয়ে দিলেন পুনরায়,
‘তারা অবশ্যই ভালো দল। টেস্ট ম্যাচের গুরুত্বটা অনেক বেশি আমার কাছে। আমার মনে হয়,
প্রত্যেক খেলোয়াড়ের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো দলের বিপক্ষে জিততেই ভালো লাগে। স্বাভাবিকভাবেই
তারা এমন এক দল, দুই বছর আগে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম চক্রের চ্যাম্পিয়ন ছিল।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এমন জয় টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে অন্যরকম বার্তা
দেবে বলে বিশ্বাস শান্তর, ‘এমন দলকে হারালে খেলোয়াড়দের মধ্যে আত্মবিশ্বাসটা বাড়ে। টেস্ট
ক্রিকেটে আমরা এখন যে অবস্থায় আছি, তার চেয়ে ভালো অবস্থায় যেতে পারি, এই বিশ্বাস কিন্তু
আরও ভালোভাবে বেড়ে ওঠে। এ ধরনের ম্যাচগুলো যদি আমরা না ভুলি, কী কী ঠিক করেছিলাম—এসব নিয়ে যদি ভবিষ্যতে
এগোতে পারি, তাহলে টেস্ট ক্রিকেটে আমরা এগিয়ে যাব।’
শান্ত ক্রিকেট বিসিবি টেস্ট মাশরাফি লিটন সাকিব
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার দুই টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে ১৫০ রানে জয় লাভ করেছে বাংলাদেশ। বাকি আছে আরেকটি টেস্ট। এরপর শান্ত তার দল নিয়ে উড়াল দেবেন নিউজিল্যান্ডে।
ইতিমধ্যে দল ঘোষণা হয়ে গেছে। দলে নেই বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের স্কোয়াডে থাকা
নাসুম আহমেদ। নাসুমকে বাদ দেওয়ার পর থেকে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
নাসুমের নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে না থাকা নিয়ে কথা বলেছেন নির্বাচক
হাবিবুল বাশার। তিনি বলেন, ‘নাসুমতো সাদা বলে নিয়মিত খেলছিল। তাকে আমরা দেখেছি অনেক।
নাসুম যে খুব খারাপ করেছে, তা বলবো না। তবে ওর কাছ থেকে আমরা যেটা চাচ্ছিলাম, উইকেট
শিকার করা, সেটা সাম্প্রতিক সময়ে পাচ্ছিলাম না। হ্যাঁ, ওকে একটা ভূমিকা পালন করতে বলা
হয়েছিল, আক্রমণ করার চেয়ে একটু রান বাঁচানো। তবে এরকম একজনকেও আমাদের দরকার, যে উইকেটও
নিতে পারে।’
একই সাথে নাসুমের পারফর্ম্যান্সও ভূমিকা রেখেছে দল থেকে বাদ পড়ার ক্ষেত্রে।
বাশার বলেন, ‘বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স কিছুটা ভাবনায় রেখেছি আমরা অবশ্যই। তবে আমরা
এখন চাচ্ছি একজন আগ্রাসী বোলার, সত্যি বলতে। যে কি না আমাদের উইকেট এনে দেবে।
শুধু নাসুমই নন, ওয়ানডেতে শেখ মেহেদীকেও না নেওয়ার যুক্তি দেখিয়ে বাশার
জানান, ‘আমরা কিন্তু শেখ মেহেদীকেও ওয়ানডে দলে নেইনি। কারণ ওই কন্ডিশনে অর্থোডক্স স্পিনারদের
পারফম্যান্স আশাব্যঞ্জক নয়। সেজন্যই আমরা ভিন্ন কিছুর চেষ্টা করছি। অবশ্যই লেগ-স্পিনার
নিয়ে অনেক কথা হয় আমাদের। আমরা আশা করছি, আমাদের যে চাহিদা রিশাদ তা পূরণ করতে পারবে।
মাঝের ওভারগুলোয় আমরা যদি উইকেট নিতে না পারি, বড় টুর্নামেন্ট খেলতে গেলে রান বাঁচানো
খুব কঠিন হয়ে যায়।’
নাসুম আহমেদ ক্রিকেট বিসিবি নির্বাচক বাংলাদেশ ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
মেসি-রোনালদো দ্বৈরথ বোধহয় থামবে না। যদিও ব্যক্তিগতভাবে তাদের দুজনের কোনও
দ্বন্দ্ব নেই। তবে তাদের ভক্তরা একরকম প্রতিদ্বন্দ্বীতায় মেতে ওঠে।
একটা সময় গোলের রেকর্ডের দৌঁড়ে দু’জনের লড়াইটা বেশ জমতো। এই দৌঁড়ে কখনো এগিয়ে
ছিলেন মেসি আবার কখনো রোনালদো। এখন অবশ্য সেই হিসেব আর নেই। কারণ, দুজনার দুটি পথ গিয়েছে
যে বেঁকে। রোনালদো খেলছেন সৌদিতে আর মেসি যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে।
তবে এরপরেও ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে দুইজনকে নিয়ে রেষারেষি এখনও রয়ে গিয়েছে আগের মতোই। সেই দৃশ্য দেখা গেল গতকাল সৌদি প্রো লিগে। সেখানে আল হিলালের মুখোমুখি হয়েছিল রোনালদোর আল নাসর। রিয়াদ ডার্বিতে আল হিলাল ৩-০ গোলে হারায় আল নাসরকে। বিরতিতে মাঠ ছাড়ার সময়ে রোনালদোকে শুনতে হয় ‘মেসি-মেসি’ ধ্বনি।
গ্যালারি থেকে রোনালদোকে উদ্দেশ্য করে এমন স্লোগান দেয় সমর্থকরা। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন রোনালদো।
যারা রোনালদোকে উদ্দেশ্য করে ‘মেসি-মেসি’ স্লোগান দিচ্ছিলেন, তাদের দিকে
তাকিয়ে রোনালদোকে উড়ন্ত চুমু শূন্যে ভাসাতে দেখা যায়। সেই সময়ে পর্তুগিজ তারকার মুখে
লেগেছিল হাসি।
ডার্বি ম্যাচে অবশ্য জ্বলে উঠতে পারেননি রোনালদো। তাতে তার দল হেরেছে বড় ব্যবধানে। তবে ক্রিশ্চিয়ানো এ মৌসুমে ১৪ ম্যাচে ১৫ গোল করে আছেন তালিকার সবার উপরে।
ফুটবল সৌদি প্রো লিগ মেসি রোনালদো আল নাসর
মন্তব্য করুন
ভারত বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হতে না পারার আক্ষেপই যেন মেটালো টি-টোয়েন্টি
দিয়ে। তারা অজিদের বিপক্ষে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-১
ব্যবধানে জিতে নিয়েছে।
টস হেরে ভারত অজিদের ১৭৫ রানের লক্ষ্য দেয়। জবাবে ১৫৪ রানে থেমেছে অস্ট্রেলিয়া।
এতে চতুর্থ ম্যাচে ২০ রানের জয় পেয়েছে স্বাগতিক ভারত।
রান তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করেছিলেন ট্রাভিস হেড। তবে বাঁহাতি এই ব্যাটার
১৬ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যেতেই খেই হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। আর এতে বড় ভূমিকা
রেখেছেন ভারতের স্পিনাররা। অক্ষর ১৭ রান দিয়ে নেন তিন উইকেট, বিষ্ণু মাত্র ১৬ রান দিয়ে
নিয়েছেন একটি উইকেট। শেষদিকে ম্যাথু ওয়েডের ২৩ বলে ৩৬ রান হারের ব্যবধান কমিয়েছে শুধু।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার জয়সাওয়াল ও ঋতুরাজে উড়ন্ত শুরু করে ভারত। ওপেনিং জুটিতে ৫০ রান হতেই ফেরেন জয়সাওয়াল। দলে ফেরা শ্রেয়াস আইয়ার ৭ বলে ৮ রান করে নেন বিদায়, অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবও এদিন পারেননি। ৬৩ রানে ভারত হারিয়ে বসে ৩ উইকেট।
সর্বোচ্চ ৪৬ রান এসেছেন রিংকু সিংয়ের ব্যাট থেকে, ১৯ বলে ৩৫ রান করেছেন জিতেশ শর্মা। অজিদের হয়ে তিনটি উইকেট শিকার করেন বেন দারশুয়িস, দুটি করে উইকেট নেন বেহেনড্রফ ও তানভীর সাঙহা।
ভারত-অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০২৩ টি-টোয়েন্টি
মন্তব্য করুন
এবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে প্রত্যাশামাফিক ফল পাওয়া যায়নি।
তবে বিশ্বকাপের পর পরই যেন ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস টাইগারদের মধ্যে। সেই প্রমাণই মিললো সিলেটে। নিউজিল্যান্ডকে তারা প্রথম
টেস্টে হারিয়ে দিল ১৫০ রানের ব্যবধানে। সেই সাথে টেস্টে দায়িত্ব পেয়েই নেতৃত্বের অভিষেকেই
জয় উপহার দিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ তাইজুল ইসলাম।
ম্যাচ জয়ের নায়ক তাইজুল ইসলাম। তিনি এই টেস্টে মোট ১০ উইকেট নিয়েছেন। প্রথম
ইনিংসে ৪ উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে কিউইদের পরাজিত করতে বড় ভূমিকা রেখেছেন।
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে জয়লাভ করলো বাংলাদেশ। অবশ্য এটি কিউইদের সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো জয়। তবে দেশের মাটিতে এটিই প্রথম জয়। প্রথম টেস্ট জয়টি নিউজিল্যান্ডের মাটিতেই হয়েছিল। সেটিও গত বছরের শুরুতেই মাউন্ট মঙ্গানুইতে।
চতুর্থ দিনে নিউজিল্যান্ড জয় থেকে ২১৯ রান দূরত্বে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে।
ফলে শেষ ও পঞ্চম দিনে বাংলাদেশ যত দ্রুতই বাকি তিন উইকেট নেওয়ার চেষ্টায় নেমেছে। তবে
এই দফায় কিছুটা হলেও লড়াইয়ের মানসিকতা দেখিয়েছেন স্বীকৃত ব্যাটার ড্যারিল মিচেল। বাংলাদেশের
অপেক্ষা বাড়িয়ে তিনি ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন।
যদিও এরপর তিনি আর বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। ডানহাতি অফ-স্পিনার নাঈম
হাসানের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্কোয়ার লেগে তাইজুল ইসলামের তালুবন্দি হয়েছেন। এর আগে
সিলেটে পঞ্চম দিনের (শনিবার) শুরুতেই পঞ্চাশ পূর্ণ করেন বাংলাদেশের জয়ের পথে বড় কাঁটা
হওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া মিচেল। ৬ চারে ৯৯ বলে ক্যারিয়ারের নবম ফিফটিতে পৌঁছান তিনি। এরপর
তিনি থামেন ১২০ বলে ৫৮ রান করে। ৭টি চারের বাউন্ডারি খেলেছেন মিচেল।
এরপর টিম সাউদি ২৪ বলে ৩৪ করে দলীয় ১৭৮ রানে ফিরে যান তাইজুলের বলে। শেষ
উইকেটটিও নেন তাইজুল। ইশ সোধি জাকির হাসানের হাতে ধরা পড়েন তাইজুলের বলে।
এর আগে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং শেষে গতকাল কিউইদের সামনে ৩৩২ রানের
পাহাড়সম টার্গেট ছুড়ে দেয় বাংলাদেশ। দলের পক্ষে অধিনায়ক শান্ত সর্বোচ্চ ১০৪, মুশফিকুর
রহিম ৬৭ ও মেহেদি হাসান মিরাজ অপরাজিত ৫০ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের স্পিনার এজাজ প্যাটেল
সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন।
বড় রানতাড়ায় মিচেল ছাড়া আর কোনো কিউই ব্যাটারই দ্বিতীয় ইনিংসে টাইগার বোলারদের
চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেননি। শুরু থেকেই তারা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে। তাইজুল-নাঈমদের
ঘূর্ণিতে তারা দলীয় একশ রানের আগেই ৬ উইকেট হারায়। আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান কেইন উইলিয়ামসনও
এদিন শুরুতে ফিরে যান। শেষ ইনিংসে কিউইদের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান আসে ডেভন কনওয়ের
ব্যাট থেকে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। দুটি শিকার
ধরেছেন নাঈম।
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট টেস্ট জয়
মন্তব্য করুন