খুব ভালো সময় যাচ্ছে না শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে। না মাঠের পারফর্মেন্সে না বোর্ডের
কর্মকাণ্ডে। সরকারের হস্তক্ষেপে আইসিসির সদস্য পদটাই স্থগিত হয়ে গেছে। এই জেরে আইসিসি
তার নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে।
শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের অনিশ্চয়তায় বদলে গেল অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ভেন্যু।
শ্রীলঙ্কা থেকে নাম কাটা গেছে দেশটির।
অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ভেন্যু শ্রীলঙ্কা থেকে সরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় নিয়ে
গেছে আইসিসি। দেশটির ক্রিকেট বোর্ড নিয়ে অনিশ্চয়তার সূত্র ধরে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া
হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) আহমেদাবাদে আইসিসির বোর্ড মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া
হয়েছে।
আইসিসির এই বোর্ড মিটিংয়ে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডের সদস্যপদ স্থগিতের
সিদ্ধান্ত বহাল রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। যতদিন পর্যন্ত এসএলসি কোনো ধরনের বাহ্যিক
হস্তক্ষেপ থেকে পুরোপুরি মুক্ত না হচ্ছে, ততদিন এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
আগামী বছর জানুয়ারির ১৪ তারিখ থেকে শ্রীলঙ্কায় অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ শুরু
হওয়ার কথা ছিল। চলবে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সময়সূচী অপরিবর্তিত রেখেই দক্ষিণ আফ্রিকায়
অনুষ্ঠিত হবে আসরটি। তবে বিশ্বকাপের আসরটির সময়সূচীর সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে যাচ্ছে এসএ-২০
এর দ্বিতীয় সংস্করণের সময়সূচী। জানুয়ারির ১০ তারিখ থেকে শুরু হবে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টির
আসরটি।
তবে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার (সিএসএ) এক শীর্ষ কর্মকর্তা ক্রিকবাজকে জানান,
একই সময়ে আয়োজিত হলেও দুটি টুর্নামেন্টই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুষ্ঠিত হবে। উদাহরণ হিসেবে
চলতি বছর শুরুর দিকে এসএ-২০ ও নারী অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ আয়োজনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
বিশ্বকাপের বিকল্প ভেন্যু হিসেবে ওমান ও আরব আমিরাতের নামও বিবেচনায় ছিল।
কিন্তু অপেক্ষাকৃত ভালো অবকাঠামো থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১৪ দল নিয়ে ৫০ ওভারের এই টুর্নামেন্ট আয়োজনে কমপক্ষে তিনটি স্টেডিয়াম দরকার, কিন্তু
ওমানে সেই সুবিধা নেই। আর আরব আমিরাত ও ওমানে যৌথভাবে আয়োজন করলে খরচটা বেড়ে দাঁড়ায়
অনেক। তাই দক্ষিণ আফ্রিকাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। বহুজাতিক টুর্নামেন্টটির জন্য সিএসএ
তিনটি মাঠ দিতে রাজি হয়েছে।
আইসিসি অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
বিশ্বকাপে বাজে পারফর্মেন্সের পর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডে চলেছে অরাজকতা।
এর জের ধরে সরকারি হস্তেক্ষেপ হয়েছে। তাই আইসিসি নিয়ম অনুযায়ী শ্রীলঙ্কার সদস্যপদ স্থগিত
করে নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছিল। অবশ্য পরে এক সভায় নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে দেয়।
সদস্যপদ ফিরে না পেলেও শ্রীলঙ্কাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অনুমোদন দিয়েছে
আইসিসি। ফলে সিরিজ খেলতে আর কোনো বাধা নেই দলটির।
আইসিসির ফিউচারস ট্যুর প্রোগ্রামের (এফটিপি) আওতায় ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে
বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলার কথা শ্রীলঙ্কার। আজ (বুধবার) লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড
এক বিবৃতিতে সেই সিরিজের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ সিরিজে ২টি টেস্ট এবং
৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে লঙ্কানরা। তবে সিরিজের সূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
ক্রিকেট শ্রীলঙ্কা সিরিজ বিসিবি
মন্তব্য করুন
খেলার মাঠে দর্শক ঢুকে পড়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। সব খেলার মাঝেই কিছু দর্শক
নিরাপত্তারক্ষীদের ফাঁকি দিয়ে এভাবেই ঢুকে যায়।সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার
টেস্ট ম্যাচ চলাকালে মাঠে ঢুকে পড়ে এক শিশু দর্শক। মাঠে প্রবেশ করেই বাংলাদেশ দলের
ব্যাটার মুমিনুল হকের সঙ্গে সেলফি তোলারও চেষ্টা করে সে। যদিও পরমুহূর্তেই নিরাপত্তাকর্মীরা
তাকে মাঠ থেকে বের করে আনেন।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনের খেলায় লাঞ্চ বিরতির পর এ ঘটনা ঘটে। মাঠে
প্রবেশকারী শিশুটির নাম মাহাদ বলে জানিয়েছে সে নিজেই।
এসময় খেলা কাভার করতে আসা গণমাধ্যমকর্মীরা শিশুটির সাথে কথা বলতে চাইলে
নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে গ্রান্ডস্ট্যান্ডের বিল্ডিংয়ে নিয়ে যান। শিশুটির বাসা কিংবা
অন্য কোনো পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
ক্রিকেট বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট মুমিনুল
মন্তব্য করুন
কেন উইলিয়ামসন যেভাবে বিপদজ্জনক হওয়ার আভাস দিচ্ছিলেন সে তুলনায় তিনি ততটা বিপদজ্জনক হতে পারেননি।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের পুঁজি খুব বড় হয়নি। পুঁজি ছিল ৩১০ রানের। তবে এই মাঝারিমানের সংগ্রহ নিয়েই সিলেট টেস্টে লিডের সম্ভাবনা তৈরি করে ফেলেছে টাইগাররা। এক কেন উইলিয়ামসন ছাড়া যে কিউই ব্যাটারদের কাউকেই সেভাবে দাঁড়াতে দেননি তাইজুল-মিরাজরা।
স্বস্তির বিষয় হলো, সেঞ্চুরি হাঁকানো উইলিয়ামসনকেও দ্বিতীয় দিনের শেষভাগে এসে ফিরিয়েছেন তাইজুল। প্রথম দিনের মতোই আলোকস্বল্পতায় একটু আগেভাগে খেলা বন্ধ হয়ে যায়।
৮৪ ওভার খেলে নিউজিল্যান্ড তুলেছে ৮ উইকেটে ২৬৬ রান। কাইল জেমিসন ৭ আর টিম সাউদি ১ রানে অপরাজিত আছেন। বাংলাদেশ এখনও এগিয়ে ৪৪ রানে। তাইজুল দিনের সেরা বোলার, একাই নিয়েছেন ৪টি উইকেট।
দ্বিতীয় দিনে খেলতে নেমে প্রথম বলেই বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল ৩১০ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৪ রানের মাথায় ২ উইকেট হারায় কিউইরা। সেখান থেকে ম্যাচ দখলে রাখেন কেন উইলিয়ামসন। জুটি গড়েন হেনরি নিকোলস, ড্যারেল মিচেল ও টস ব্লান্ডেলের সঙ্গে। একে একে সবাইকে ফেরান তাইজুল-মিরাজ-শরিফুল-নাইমরা। তবে ফেরাতে পারেননি আঠার মতো লেগে থাকা উইলিয়ামসনকে।
এই ডানহাতি ব্যাটারের সঙ্গে জুটি গড়া নিকোলস ১৯ রান করে পেসার শরিফুলের শিকার হয়ে ফেরত যান। মিচেল আউট হন তাউজুলের ঘূর্ণিতে (৫৪ বলে ৪১)। নাইম হাসানের বলে আউট হওয়ার আগে ব্লান্ডেল করেছেন ৬ রান।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ওপেন করেন ডেভন কনওয়ে ও টম ল্যাথাম। তাইজুল-মিরাজের ঘূর্ণিতে সেটি বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি তারা। দলীয় ৩৬ রানের মাথায় ল্যাথাম ও ৪৪ রানের মাথায় আউট হয়ে যান কনওয়ে। ল্যাথামকে ফেরান বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তাইজুলকে সুইপ খেলতে গিয়ে ফাইন লেগ অঞ্চলে নাইম হাসানের হাতে ক্যাচ হন ল্যাথাম।
এরপর কনওয়েকে ফেরান অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজের বলে খেই হারিয়ে শর্টলেগে শাহাদাত হোসেনের তালুবন্দি হন এই কিউই ওপেনার।
মধ্যাহ্নভোজের পর আউট হন নিকোলস। ৪২ বলে ১৯ রান করে শরিফুলের বলে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ হন তিনি। তার আগে উইলিয়ামসনের সঙ্গে ৫৪ রানের জুটি করেছিলেন নিকোলস।
একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন কেন উইলিয়ামসন। একের পর এক জুটি গড়ে গেছেন। নিকোলসের সঙ্গে ৫৪, মিচেলের সঙ্গে ৬৬ রানের পর গ্লেন ফিলিপসের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটেও ৭৬ রান যোগ করেন তিনি। কিছুতেই জুটিটা ভাঙছিল না।
অবশেষে কিউই ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মুমিনুল হকের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আর বল হাতে নিয়েই অধিনায়ককে উইকেট উপহার দেন মুমিনুল। টার্ন করা বল ফিলিপসের (৪২) ব্যাটে লেগে প্রথম স্লিপে গেলে নিচু ক্যাচ দারুণভাবে লুফে নেন শান্ত।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের লিড নেওয়ার পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায় ছিলেন কেন উইলিয়ামসন। একটা প্রান্ত ধরে জুটির পর জুটি গড়ে যাচ্ছিলেন। টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৯তম সেঞ্চুরিও তুলে নেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
অবশেষে দিনের শেষ সময়ে এসে উইলিয়ামসনকে সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি এই স্পিনারের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেও বোল্ড হয়ে গেছেন উইলিয়ামসন। ২০৫ বলে ১০৪ রানের ধৈর্যশীল ইনিংসে ১১টি বাউন্ডারি হাঁকান কিউই তারকা।
গতকাল মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৮৫.১ ওভারে ৩১০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেছেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করার আগেই হন ইশ সোধির শিকার। ১৬৬ বলে ১১ বাউন্ডারি হাঁকানো এই ব্যাটার সোধির বলে ড্যারেল মিচেলের ক্যাচ হন।
এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক করেন সমান ৩৭ রান। ফিলিপসের ফুলটস বলে মিড-অনে উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন পিচে সেট হওয়া শান্ত। ফিলিপসের দ্বিতীয় শিকার হন মুমিনুল। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ক্যাচ হন উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলের হাতে।
এরপরই মূলত বিপত্তি ঘটে বাংলাদেশের। ৫৩ রানে হারায় ৫ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১০ রানে দিন শেষ করে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় দিনে রানটা আরেকটু বাড়বে আশা ছিল। কিন্তু কোনো রান যোগ না করেই অলআউট হতে হয় টাইগারদের।
কিউই পার্টটাইম অফস্পিনার গ্লেন ফিলিপস একাই নেন ৪টি উইকেট। ২টি করে উইকেট শিকার কাইল জেমিসন আর অ্যাজাজ প্যাটেলের। অধিনায়ক সাউদি ও ইশ সোধি নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট টেস্ট
মন্তব্য করুন
উইলিয়ামসন যে ভয়ঙ্কর ব্যাটার তা আর ক্রিকেট বিশ্বের জানতে বাকি নেই। তার
উপর তাকে জীবন দেওয়া হলেতো আর কথাই নেই। ক্যাচ মিচের খেসাড়ত দিতেই হলো বাংলাদেশকে।
উইলিয়ামসন পেলেন সেঞ্চুরি। একটা প্রান্ত তিনিই ধরে আছেন।
উইলিয়ামসন টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৯তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। এই প্রতিবেদন
লেখা পর্যন্ত ৮০ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৬২ রান। উইলিয়ামসন ১০০
আর কাইল জেমিসন ৪ রানে অপরাজিত আছেন।
গ্লেন ফিলিপসের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটেই ৭৬ রান যোগ করেন। কিছুতেই জুটিটা ভাঙছিল
না। অবশেষে কিউই ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মুমিনুল হকের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক নাজমুল
হোসেন শান্ত। আর বল হাতে নিয়েই অধিনায়ককে উইকেট উপহার দেন মুমিনুল। টার্ন করা বল ফিলিপসের
(৪২) ব্যাটে লেগে প্রথম স্লিপে গেলে নিচু ক্যাচ দারুণভাবে লুফে নেন শান্ত।
দ্বিতীয় দিনে খেলতে নেমে প্রথম বলেই বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল ৩১০ রানে। ব্যাট
করতে নেমে ৪৪ রানের মাথায় ২ উইকেট হারায় কিউইরা। সেখান থেকে ম্যাচ দখলে রাখেন কেন উইলিয়ামসন।
জুটি গড়েন হেনরি নিকোলস, ড্যারেল মিচেল ও টস ব্লান্ডেলের সঙ্গে।
একে একে সবাইকে ফেরান তাইজুল-মিরাজ-শরিফুল-নাইমরা। তবে ফেরাতে পারেননি আঠার
মতো লেগে থাকা উইলিয়ামসনকে।
এই ডানহাতি ব্যাটারের সঙ্গে জুটি গড়া নিকোলস ১৯ রান করে পেসার শরিফুলের
শিকার হয়ে ফেরত যান। মিচেল আউট হন তাউজুলের ঘূর্ণিতে (৫৪ বলে ৪১)। নাইম হাসানের বলে
আউট হওয়ার আগে ব্লান্ডেল করেছেন ৬ রান।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ওপেন করেন ডেভন কনওয়ে ও টম ল্যাথাম। তাইজুল-মিরাজের
ঘূর্ণিতে সেটি বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি তারা। দলীয় ৩৬ রানের মাথায় ল্যাথাম ও ৪৪
রানের মাথায় আউট হয়ে যান কনওয়ে। ল্যাথামকে ফেরান বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তাইজুলকে
সুইপ খেলতে গিয়ে ফাইন লেগ অঞ্চলে নাইম হাসানের হাতে ক্যাচ হন ল্যাথাম।
এরপর কনওয়েকে ফেরান অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজের বলে খেই হারিয়ে
শর্টলেগে শাহাদাত হোসেনের তালুবন্দি হন এই কিউই ওপেনার।
মধ্যাহ্নভোজের পর আউট হন নিকোলস। ৪২ বলে ১৯ রান করে শরিফুলের বলে উইকেটরক্ষক
নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ হন তিনি। তার আগে উইলিয়ামসনের সঙ্গে ৫৪ রানের জুটি করেছিলেন
নিকোলস।
গতকাল মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে
নেমে ৮৫.১ ওভারে ৩১০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেছেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। ক্যারিয়ারের
দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করার আগেই হন ইশ সোধির শিকার। ১৬৬ বলে ১১ বাউন্ডারি হাঁকানো এই ব্যাটার
সোধির বলে ড্যারেল মিচেলের ক্যাচ হন।
এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক করেন সমান ৩৭ রান। ফিলিপসের
ফুলটস বলে মিড-অনে উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন পিচে সেট হওয়া শান্ত। ফিলিপসের
দ্বিতীয় শিকার হন মুমিনুল। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ক্যাচ হন উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলের হাতে।
এরপরই মূলত বিপত্তি ঘটে বাংলাদেশের। ৫৩ রানে হারায় ৫ উইকেট। শেষ পর্যন্ত
৯ উইকেট হারিয়ে ৩১০ রানে দিন শেষ করে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় দিনে রানটা আরেকটু বাড়বে আশা ছিল। কিন্তু কোনো রান যোগ না করেই
অলআউট হতে হয় টাইগারদের।
কিউই পার্টটাইম অফস্পিনার গ্লেন ফিলিপস একাই নেন ৪টি উইকেট। ২টি করে উইকেট
শিকার কাইল জেমিসন আর অ্যাজাজ প্যাটেলের। অধিনায়ক সাউদি ও ইশ সোধি নিয়েছেন একটি করে
উইকেট।
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট ক্রিকেট বিসিবি সেঞ্চুরি
মন্তব্য করুন
বিশ্বকাপের ১৩তম আসর বসেছিল ভারতে। আর এই আসরে ভারত শেষ পর্যন্ত হয়েছে রানার্সআপ।
চমৎকার খেলেছে ভারত। ভারতীয় ব্যাটার-বোলারদের দাপটই ছিল বিশ্বকাপ জুড়ে। আর এই কৃতিত্বের
অন্যতম দাবিদ্বার প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ও।
বিশ্বকাপ শেষে কথা উঠেছিল রাহুল কোচ হিসেবে থাকছেন কি না। এই নিয়ে কয়েক
দিন বেশ জল্পনা-কল্পনাও চললো। অবশেষে জল্পনার অবসান ঘটিয়ে দ্রাবিড়ই থাকছেন কোচ। বিসিসিআই
তার সঙ্গে নতুন করে চুক্তি নবায়ন করেছে। তার কোচিং স্টাফও দায়িত্বে থেকে যাচ্ছেন।
রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে কথা বলে বিসিসিআই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২৪ সালে
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় টি-২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন
তিনি। রাহুল ২০২১ সালে ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের হেড কোচের দায়িত্ব নেন।
বিসিসিআই বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘২০২৩ বিশ্বকাপ দিয়ে রাহুলের সঙ্গে চুক্তি
শেষ হয়ে যাওয়ার পর তার সঙ্গে বোর্ডের খুব ভালো কথা-বার্তা হয়েছে। বোর্ড তার সঙ্গে চুক্তি
নবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
নতুন মেয়াদে দায়িত্বের বিষয়ে দ্রাবিড় বলেছেন, ‘ভারতীয় দলের সঙ্গে গত দুই
বছর দারুণ উপভোগ্য ছিল। এই সময়ে আমরা অনেক উত্থান-পতন দেখেছি। তবে এই যাত্রায় অনেক
স্মরণীয় মুহূর্তও আছে। আমাদের ড্রেসিংরুমে সংস্কৃতি ছিল অসাধারণ। সঠিক উপায়ে আমরা যথাযথ
প্রস্তুতি নিতে উন্মুখ ছিলাম। যার প্রভাব সামগ্রীক ফলে দেখা গেছে।’
রাহুল দ্রাবিড় নতুন মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে সম্মত হওয়ার তাকে ধন্যবাদ
দিয়েছেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট রজার বিনি, ‘পুনরায় হেড কোচের দায়িত্ব পালনে রাহুল সম্মত
হওয়ায় আমি উচ্ছ্বসিত। আমি নিশ্চিত, তার অধীনে দল সাফল্যের নতুন মাপকাঠি নির্ধারণ করবে।’
ভারত কোচ ক্রিকেট রাহুল দ্রাবিড়
মন্তব্য করুন