ইনসাইড গ্রাউন্ড

টাইগারদের সামনে আজ অস্ট্রেলিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:৪৪ পিএম, ০৫ জুন, ২০১৭


Thumbnail

 

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস লিগে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া। এই ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘদিন পর আবার মুখোমুখি দুই দল। সময়ের হিসাবে যা ৬ বছর। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কেনিংটন ওভালে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ মানেই কার্ডিফের কথা আসবেই। কারণ কার্ডিফের সেই ম্যাচের কথা ভুলেনি ক্রিকেট বিশ্ব। যেখানে ঐ সময়ের পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়াকে সজেই পাঁচ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। আজও মাশরাফি বাহিনী চাইবে সেই ম্যাচের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে। একমাত্র অস্টেলিয়ার বিপক্ষেই টাইগারদের একাধিক জয় নেই।

এই ম্যাচে বাংলাদেশের মূল ভাবনা স্কোয়াড নিয়ে। কাকে খেলাবেন টিম ম্যানেজমেন্ট। আজও কি ইংল্যান্ডের মত তিন পেসার খেলাবেন নাকি মিরাজকে অন্তর্ভূক্ত করবেন দলে। সে সময়েই বলে দিবে। তবে টিম ম্যানেজমেন্টকে অবশ্যই ভাবাচ্ছে কিছু বিষয়। সাকিবের ফর্মহীনতা, কোন পজিশনে খেলবেন সাব্বির-মোসাদ্দেক এবং চার বোলার নাকি আট ব্যাটসম্যান?

সাকিব বেশ কয়েকদিন ধরেই ওয়ানডেতে চেনা ফর্মে নেই। তবে টেস্ট ও টি-২০তে ভালো করছেন। কিন্তু সব ফরম্যাটের সেরা অলরাউন্ডারের কাছ থেকে সেটাও যে মানা যায় না। সাকিব বাংলাদেশ দলের ভরসার নাম। আর দলের এক নম্বর খেলোয়াড় যখন অফ ফর্মে থাকবে তখন তা পুরো দলকেই ভাবাবে। সাকিব যে দলের প্রাণভোমরা। তাই আজও কোটি টাইগার সমর্থক তাকিয়ে থাকবে সাকিবের স্বরূপে ফেরার অপেক্ষায়।

বর্তমান সময়ে দলে এক মধুর সমস্যা পজিশন। কাকে কোন পজিশনে খেলাবে, তা নিয়ে প্রায়ই পরীক্ষা করতে দেখা যায় কোচকে। আর এই সমস্যাটা বেশি হয় সাব্বির ও মোসাদ্দেককে নিয়ে। সাব্বির কখনো ওয়ান ডাউনে আবার কখনো টু ডাউনে খেলছেন। আবার মোসাদ্দেককে কখনো উপরে আবার কখনো নীচে খেলানো হচ্ছে। তবে সাব্বির যে ওয়ান ডাউনে ভালো খেলেন তার প্রমাণ তিনি আগেও দিয়েছেন। আর মোসাদ্দেক সাত কিংবা আটেই ভালো খেলেন। তবে দলের প্রয়োজনে তারা দুজনই যেকোন জায়গায় খেলতে সদা প্রস্তুত।

আজ বাংলাদেশ হয়তো আট ব্যাটসম্যান খেলানোর ভুল করবে না। কারণ আজ যে উইকেটে খেলা হবে সেই উইকেটে আফ্রিকা-শ্রীলংকা’র ম্যাচটি হয়েছিল। তাই উইকেটে স্পিনটা ধরতেই পারে। এই উইকেট বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচের মতো ব্যাটিং স্বর্গ ছিলোনা। তাই আজ স্কোয়াডে পরিবর্তন আসতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে মিরাজের খেলার সম্ভাবনা খুব বেশি। কারণ মিরাজকে খেলালে একজন বোলারের পাশাপাশি একজন ব্যাটসম্যানও পাওয়া যাবে। তাই আজ বাংলাদেশ আট ব্যাটসম্যান তত্ত্ব থেকে বেড়িয়ে আসবে, এটা প্রায় নিশ্চিতই বলা যায়।

পিচ ও কন্ডিশন
পুরো চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেই বাধা দিয়েছে বেরসিক বৃষ্টি। আর ইংল্যান্ডের কন্ডিশন সর্বদাই উপমহাদেশের দলগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়। আজ যে উইকেটে খেলা হবে সেই উইকেটে আফ্রিকা-শ্রীলংকা’র ম্যাচটি হয়েছিল। তাই উইকেটে স্পিনটা ধরতেই পারে। তাছড়া এই উইকেট বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচের মতো ব্যাটিং স্বর্গ না। তাই আজ স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পেতে পারে। আর বৃষ্টি পড়ার সম্ভাবনাও আছে।

দুই দলের পরিসংখ্যান

১. বাংলাদেশের বিপক্ষে এর আগে খেলা ১৯ ম্যাচের ১৮টিতে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ২০০৫ সালে কার্ডিফে বাংলাদেশ তাদের একমাত্র জেতা ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ৫ উইকেটে।

২. এর আগে এই দুই দল একবারই আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মুখোমুখি হয়েছে। সেটি ২০০২ সালে, কলম্বোতে। ওই ম্যাচ ৯ উইকেটে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ ১২৯ রানে অল আউট হয়েছিল।

৩. ১৯৯৯ থেকে ২০১০ পর্যন্ত ওভালে টানা ৬ ম্যাচ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু এখানে খেলা শেষ ২ ম্যাচে হেরেছে তারা।

৪. কেনিংটন ওভালে মাত্র দুটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা দুই ম্যাচেই হেরেছে। একটি চলমান আসরে।

৫. অস্ট্রেলিয়া তাদের শেষ ১০ ম্যাচের ৭টিতে জিতেছে। শেষ দুই ম্যাচেই অবশ্য হেরেছে তারা।

৬. বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের ৯০০তম ওয়ানডে। তাদের রেকর্ড : ৫৫৪টি জয়, ৩০৩টি হার, ৯টি টাই, ৩৩টি নো রেজাল্ট।

৭. ডেভিড ওয়ার্নারের ৪,০০০ রান হতে আর ৩৬ দরকার। ৯২ ইনিংস খেলেছেন। তার চেয়ে কম ইনিংসে কেবল ৪ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়ছেন দুজন, হাশিম আমলা ও ভিভ রিচার্ডস। বিরাট কোহলির লেগেছিল ৯৩ ইনিংস।

৮. জস হ্যাজলউড এই ম্যাচে খেলতে নামছেন মাত্র দ্বিতীয় বোলার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ম্যাচে ৬ উইকেট শিকারের রেকর্ড নিয়ে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫২ রানে ৬ উইকেট ছিল তার। তবে সেরা ২০০৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার পারভিজ মাহরুফের ১৪ রানে ৬ উইকেট।

৯. তামিম ইকবাল ওভালেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এবারের আসরের প্রথম ম্যাচে ১২৮ রানের ইনিংস খেলেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসের শীর্ষ ৯ ওয়ানডে ইনিংসের ৬টিই তামিমের।

১০. মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান দুজনই এই ম্যাচে মোহাম্মদ আশরাফুলের দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭৫ ওয়ানডে খেলার রেকর্ড স্পর্শ করবেন।     

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশঃ

তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহীম (উইকেটরক্ষক), সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন।


বাংলা ইনসাইডার/ডিআর




মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টাইগারদের জন্য হাথুরুর বিশেষ অনুশীলন পরিকল্পনা

প্রকাশ: ০১:৪২ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আর কিছুদিন পরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের মহারণ। যার জন্য ইতোমধ্যেই বেশ জোরেশোরে প্রস্তুতি চলছে প্রতিটি দলেই। সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও। যার জন্য ফিটনেস ট্রেনিং থেকে শুরু করে ঘরের মাঠে সিরিজ সবক্ষেত্রেই ভালো করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে টাইগাররা।

আসন্ন বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ক্রিকেটারদের বিশেষ পরিকল্পনা দিয়েছেন হেড কোচ হাথুরুসিংহে। জানা গেছে, মুমিনুল-মিরাজদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করে অনুশীলন পরিকল্পনা দিয়েছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে বিশ্ব টেস্ট সিরিজ জন্য ব্যাটারদের ভালোভাবে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

হাথুরুসিংহের সঙ্গে আলাদা বৈঠকে কী নিয়ে কথা হয়েছে-এমন প্রশ্নের জবাবে মুমিনুল বলেন, ‘খেলা না থাকলে খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিটিং করে কিছু নির্দেশনা দেন কোচ। সে রকম একটা মিটিং ছিল। অবশ্য এবারের মিটিংটা একটু আলাদা। লিগ শেষ হলে টেস্ট ক্রিকেটারদের অনুশীলনে থাকতে বলা হয়েছে। বিসিবি থেকেই অনুশীলনের ব্যবস্থা করা হবে।’

হাথুরুসিংহের বিশেষ পরিকল্পনায় কারা অনুশীলন করবে জানতে চাওয়া হলে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘জাতীয় দলের পুলের ক্রিকেটারদের অনুশীলনে রাখার একটা পরিকল্পনা করা হয়েছে। কোচ টেস্ট খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিটিং করে পরিকল্পনা দিয়েছেন। বিসিবি এখন কোচের পরিকল্পনা অনুযায়ী অনুশীলনের ব্যবস্থা করবে। কারণ, বিশ্বকাপ শেষে পরপর দুটি টেস্ট সিরিজ খেলা হবে।’


হাথুরুসিংহে   বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-২০ বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত হলেন বোল্ট

প্রকাশ: ০১:১৪ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের মহারণ। যার জন্য ইতোমধ্যেই বেশ জোরেশোরে প্রস্তুতি চলছে প্রতিটি দলেই। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এই সংস্করণের বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট এবার আয়োজিত হচ্ছে কিছুটা ভিন্নরূপে। যেখানে অংশ নিচ্ছে ২০টি দল।

এই আসরে বাড়তি মাত্রা যোগ করবেন ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের সর্বকালের অন্যতম সেরা অ্যাথলেট উসাইন বোল্ট। আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন তিনি। তাকে এই টুর্নামেন্টে যুক্ত করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।

এ বিষয়ে দ্রুত গতির মানব বলেন, ‘টি-২০ বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত হতে পেরে আমি আনন্দিত। ক্যারীবিয়ান থেকে উঠে আসা মানুষ আমি। ক্রিকেট জীবনেরই একটি অংশ। এই খেলাটি সবসময় আমার হৃদয়ে বিশেষ জায়গা নিয়ে আছে। বিশ্বকাপের মতো এমন মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্টের অংশ হতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। বৈশ্বিকভাবে ক্রিকেটের উন্নতিতে অবদান রাখতে এবং বিশ্বকাপে নিজের শক্তি ও উৎসাহ দিয়ে কাজ করতে মুখিয়ে আছি আমি।’

দেশটিতে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়েও আশাবাদী বোল্ট। তার মতে, ‘আমেরিকা খেলায় এবং এর তীব্রতায় বিশ্বাস করে। এমন বাজারে ঢোকা আমার কাছে বড় ব্যাপার বলে মনে হয়। যদি তারা এদিকে ঝোঁকে, তাহলে তারা ঠিকঠাকভাবেই এগোবে। টি-২০ বিশ্বকাপে যেমন উৎসাহ থাকবে, তেমন কিছু হলে দারুণ হবে।’

এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইভেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে। বোল্ট মনে করেন,  ক্রিকেটের প্রতি দ্রুতই আরো মনোনিবেশ করবে আমেরিকা।


অ্যাথলেট   উসাইন বোল্ট   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ঘরের মাঠেও দিল্লির কাছে হারল গুজরাট

প্রকাশ: ১১:২১ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলতি আইপএলের ৩২ তম ম্যাচে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল গুজরাট টাইটানস্ ও দিল্লি ক্যাপিটালস। সেই দেখাই গুজরাটকে তাদের ঘরের মাঠে এ আসরের সব থেকে কম ৮৯ রানে অলআউট করেছিল দিল্লি। সেই ম্যাচে ৬ উকেটের দুর্দান্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঋষভ পন্তের দল। গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) দিনের একমাত্র ম্যাচে মুখোমুখি হয় এই দুই দল। এই ম্যাচে গুজরাটকে ৪ রানে হারিয়ে ব্যাক টু ব্যাক জয় তুলে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস।  

চলতি আইপিএলের ৪০ তম এই ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে গুজরাটকে ২২৫ রানের টার্গেট দেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান তুলতে পারে গুজরাট। এতে ৪ রানের জয় পায় দিল্লি। 

এই জয়ের মাধ্যমে গুজরাটকে পিছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলের ৬ নম্বরে উঠে গেল দিল্লি।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় গুজরাট। ৫ বলে ৬ রান করে সাজ ঘরে ফেরেন অধিনায়ক শুভমান গিল। এরপর সাই সুদর্শনকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ঋদ্ধিমান শাহা। ২৫ বলে ৩৯ রান করে ঋদ্ধিমান আউট হলেও ২৯ বলে ফিফটি তুলে নেন এই সুদর্শন।

এরপর একপ্রান্ত আগলে রেখে ডেভিড মিলার লড়াই জারি রাখলেও বাকিদের চলে আসা যাওয়ার মিছিল। শেষ দিকে রশিদ খান ও সাই কিশোরের শেষ ১০ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস থাকলেও হার এড়াতে পারেনি গুজরাট। 

এদিন দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন রাসিখ সালাম। এছাড়াও কুলদ্বীপ যাদব ২টি, এনরিখ নরকিয়া, মুকেশ কুমার ও অক্ষর প্যাটেল ১টি করে উইকেট নেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দিল্লির দুই ওপেনার পৃথ্বী শাহ এবং জ্যাক ফ্রেজার। তবে ইনিংস বড় করেতে পারেননি দুজনের কেউই। ১৪ বলে ২৩ রান করে ফ্রেজার আউট হলে ৭ বলে ১১ রান করে সাজ ঘরে ফিরেন পৃথ্বী। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি শাই হোপ। ৬ বলে ৫ রান করেন এই ক্যারিবিয়ান।

এরপর দিল্লি শিবিরের হাল ধরেন অক্ষর প্যাটেল এবং ঋষভ পান্থ। ৩৭ বলে ফিফটি তুলে নেন অক্ষর প্যাটেল। এরপর দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৪৩ বলে ৬৬ রান করে সাজ ঘরে ফিরেন তিনি। এরপর স্টাবসের ৭ বলে ২৬ রান এবং পান্থের ৪৩ বলে ৮৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে ২২৪ রানের বড় পুঁজি পায় দিল্লি।


আইপিএল   গুজরাট টাইটানস্   দিল্লি ক্যাপিটালস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পাকিস্তানে নয়, বরং চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হাইব্রিড মডেলেই চায় ভারত

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী বছর পাকিস্তানে বসতে চলেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর। তবে সেই আসরে ভারত অংশগ্রহণ করবে কিনা তা নিয়ে চলছে নানা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব। ভারতের একগুয়েমিতে গত এশিয়া কাপে হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তান। কারণ পাকিস্তান ভেবেছিল ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে গেলে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলবে রোহতিরা।

তবে ভারতীয় দলকে পাকিস্তানের মাটিতে ক্রিকেট খেলাতে পিসিবি (পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড) উদ্যোগ নিলেও তা কোনো কাজেই আসছে না। কারণ, পাকিস্তানে নয়, বরং হাইব্রিড মডেলেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে চায় ভারত।

সবশেষ রোহিত-কোহলিরা যাতে পাকিস্তানে  স্বাভাবিকভাবে খেলতে পারে সেজন্য দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের কথাও বলেছিলেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি। কিন্তু সেখানেও সায় দেয়নি ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিসিসিআই)। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ তো নয়ই, বরং ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতেও পাকিস্তান যেতে নারাজ ভারতীয়রা।

এমনকি আইসিসির এই বড় আসরে ভেন্যু পরিবর্তন করে ভারতের ম্যাচগুলো পাকিস্তানের বাইরে অন্য কোনো দেশে আয়োজনের দাবি করছে বিসিসিআই। পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে খেলতে চায় না ভারত।অর্থাৎ ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর হাইব্রিড মডেলে চায় ভারত।

এদিকে বিসিসিআই সূত্রের বরাত দিয়ে আইএএনএস বলছে, ভারতীয় দল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য পাকিস্তানে না-ও যেতে পারে। ভেন্যু পরিবর্তন হতে পারে। হাইব্রিড মডেলেও করার সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যদিকে বিসিসিআই জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আইসিসির আয়োজন হওয়া সত্ত্বেও ভারতের অংশগ্রহণ সরকারি নির্দেশের ওপর নির্ভর করে।

বিসিসিআই আরও জানায়, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি একটি আইসিসি ইভেন্ট। তাই এটি ভারতের জন্য একটি কঠিন সিদ্ধান্ত হবে। কিন্তু সরকারের নির্দেশ-সবুজসংকেত ছাড়া কিছুই করার নেই।

সবশেষ ২০১২-১৩ ভারতের বিপক্ষে  সিরিজ খেলতে যায় পাকিস্তান। এরপর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আর কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজিত হয়নি। এছাড়াও গত বছর পাকিস্তানের আয়োজনে এশিয়া  খেলতে যায়নি ভারত। কারণ সেবার রোহিতদের ম্যাচগুলো হয়েছিল শ্রীলঙ্কার মাটিতে।

তবে ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তান দল  ঠিকই খেলতে আসে ভারতের মাটিতে। যদিও ভারতীয় দল মোটেও যায়নি পাকিস্তানে।


পাকিস্তান   চ্যাম্পিয়নস ট্রফি   ভারত   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইসিসি থেকে সুসংবাদ পেলেন শাহীন, বাবরের দুঃসংবাদ

প্রকাশ: ০৮:২৫ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার বাবর আজম ও শাহীন আফ্রিদি। গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকেই আলোচনায় রয়েছেন তারা। জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব নিয়ে বারবার সমালোচিত হয়েছেন এই দুই তারকা। তবে এবার এই দুইজনের একজন আইসিসি থেকে পেয়েছেন সুসংবাদ এবং অন্যজন পেয়েছেন দুঃসংবাদ।

আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান এই সিরিজে নেই হারিস রউফ। এখন পর্যন্ত সিরিজের তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ৩ ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েছেন শাহিন আফ্রিদি।

আর এতেই রেটিং পয়েন্টের যোগ বিয়োগের খেলায় রউফকে টপকে আইসিসির টি-২০ র‍্যাঙ্কিংয়ে আবারও পাকিস্তানের শীর্ষ বোলার হয়েছেন আফ্রিদি। অবশ্য রউফকে টপকে গেলেও র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ১৫-তেও নেই পাকিস্তানের সদ্য সাবেক অধিনায়ক। দুই ধাপ এগিয়ে ১৭ নম্বরে উঠেছেন ২৪ বছর বয়সী এই পেসার।

এদিকে চার ধাপ পিছিয়ে ২২ নম্বরে নেমে গেছেন রউফ। বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে আফ্রিদির ঠিক পরেই ১৮ নম্বরে আছেন নিউজিল্যান্ডের লেগ স্পিনার ইশ সোধি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেট নেয়া সোধি পাঁচ ধাপ এগিয়েছেন।

কিউইদের সেরা বোলার মিচেল স্যান্টনার। সিরিজের নিউজিল্যান্ড দলে না থাকা স্যান্টনার অবশ্য পয়েন্ট হারিয়ে পাঁচ ধাপ পিছিয়ে ১৫ নম্বরে নেমে গেছেন। টি-২০ বোলারদের এক নম্বর জায়গাটা ধরে রেখেছেন ইংল্যান্ডের লেগ স্পিনার আদিল রশিদ।

এদিকে ব্যাটসম্যানদের র‍্যাঙ্কিংয়ে নিউজিল্যান্ডের টিম সাইফার্ট তিন ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ২৪ নম্বরে। তার সতীর্থ মার্ক চ্যাপম্যান লম্বা লাফই দিয়েছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ৪২ বলে অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডকে জেতানো ব্যাটসম্যান ১২ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ৩৩ নম্বরে।

পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম এক ধাপ পিছিয়ে নেমে গেছেন পাঁচে। মোহাম্মদ রিজওয়ান আছেন আগের মতোই তিনে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রকাশিত সর্বশেষ র‍্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ারসেরা অবস্থানে উঠেছেন নেপালের দীপেন্দ্র সিং ঐরী।

যুবরাজ সিং ও কাইরন পোলার্ডের পর তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-২০তে এক ওভারে ছয় ছক্কা মারা ব্যাটসম্যান ১০ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৫০ নম্বরে। পরশ খাড়কা, কৌশল ভুরতেল ও রোহিত পৌডেলের পর চতুর্থ নেপালি হিসেবে র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ৫০-এ উঠলেন ঐরী।

ব্যাটিংয়ে ভারতের সূর্যকুমার যাদব ও অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন।


পাকিস্তান   টি-২০ বিশ্বকাপ   আন্তর্জাতিক ক্রিকেট   বাবর আজম   শাহীন আফ্রিদি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন