ইনসাইড গ্রাউন্ড

রোড টু সেমিফাইনাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:০৮ এএম, ১১ জুন, ২০১৭


Thumbnail


এ যেন ১৬ কোটি প্রাণের স্বপ্নপূরণ। আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে খেলছে বাংলাদেশ। আর এই সুবাদে প্রথম কোনো আইসিসি’র টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে খেলবে টাইগাররা।

১১ বছর পর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। আর সে সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে দুর্দান্তভাবে। গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় করেছে ২০১৫ বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে। ৩ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ `এ` রানার্সআপ হিসেবে সেমিতে উঠেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ দিয়ে শেষ হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির `এ` গ্রুপের লড়াই। টানা তিন জয়ে ইংল্যান্ড পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিশ্চিত করেছে। সেমিফাইনালে পৌঁছানো বাংলাদেশের অর্জন ৩ পয়েন্ট। অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২ পয়েন্ট। আর বাংলাদেশের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেওয়া নিউজিল্যান্ডের অর্জন ১ পয়েন্ট।

শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় জয় তুলে নিয়ে সেমিফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহ। এরপর অপেক্ষা ছিল ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের ফলাফলকে ঘিরে। শনিবার ইংল্যান্ড বৃষ্টি আইনে ৪০ রানে হারিয়েছে অজিদের। তাতে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আর বাংলাদেশ অর্জন করেছে শেষ চারে খেলার যোগ্যতা।

প্রথমবারের মতো আইসিসি ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে ছয়ে ওঠার সাফল্য নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পা রেখেছিল বাংলাদেশ। তবে শুরুটা খুব ভালো হয়নি টাইগারদের। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে হেরে যায় স্বাগতিক ইংল্যান্ডের কাছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় ১ পয়েন্ট জমা হয় বাংলাদেশের ঝুলিতে। টিকে থাকে সেমিতে খেলার আশা। এরপর তো কিউইদের ৫ উইকেটে হারিয়ে নতুন ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ।

ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ
আসরের প্রথম ম্যাচেই টাইগাররা মুখোমুখি হয় স্বাগতিকদের বিপক্ষে। সেটা ছিল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচ। সেই ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই ছিল টাইগারদের। তামিম-মুশফিকের জুটির ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশ ৩০৫ রান করতে সক্ষম হয়। যদিও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা যেভাবে খেলেছে, রান হওয়ার কথা ছিল ৩৪০ এর বেশি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে, টাইগারদের বাজে বোলিংয়ে খুব সহজেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় ইংলিশরা। বাংলাদেশ ম্যাচটা হারে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাশরাফির কন্ঠেও শোনা যায় ব্যাটিংয়ে ২০-৩০ রানের আক্ষেপের কথা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ:
 ৫০ ওভারে ৩০৫/৬ (তামিম ১২৮, সৌম্য ২৮, ইমরুল ১৯, মুশফিক ৭৯, সাকিব ১০, সাব্বির ২৪, মাহমুদউল্লাহ ৬*, মোসাদ্দেক ২*; ওকস ০/৪, উড ০/৫৮, বল ১/৮২, স্টোকস ১/৪২, প্লানকেট ৪/৫৯, মইন ০/৪০, রুট ০/১৮)

ইংল্যান্ড: ৪৭.২ ওভারে ৩০৮/২ (রয় ১, হেলস ৯৫, রুট ১৩৩*, মর্গ্যান ৭৫*; মাশরাফি ১/৫৬, সাকিব ০/৯২, মুস্তাফিজ ০/৫১, সৌম্য ০/১৩, মোসাদ্দেক ০/৪৭, রুবেল ০/৬৪, সাব্বির ১/১৩।

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এই ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই ম্যাচেই হারলেই বিদায় নিতে হতো টুর্নামেন্ট থেকে। সেই সমীকরণ নিয়েই টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু এদিনের শুরুটা মনে হয় বাংলাদেশে নামে লেখা ছিল না। ব্যাটিং বিপর্যয়ে মাত্র ১৮২ রানে অলআউট হয়ে টিম বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে জয়ের বন্দরের দিকেই যাচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ১৬ ওভার শেষে বাদ সাধে বৃষ্টি। পরিশেষে বৃষ্টির আশীর্বাদেই ম্যাচটি পরিত্যাক্ত হয়ে যায়। বাংলাদেশ নিশ্চিত হেরে যাওয়া ম্যাচ থেকে পায় ১ পয়েন্ট। আর সেই সঙ্গে সেমিতে যাওয়ার আশাও টিকে থাকে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:বাংলাদেশ: ৪৪.৩ ওভারে ১৮২ (তামিম ৯৫, সৌম্য ৩, ইমরুল ৬, মুশফিক ৯, সাকিব ২৯, সাব্বির ৮, মাহমুদউল্লাহ ৮, মিরাজ ১৪, মাশরাফি ০, রুবেল ০, মুস্তাফিজ ১*; স্টার্ক ৪/২৯, হেইজেলউড ১/৪০, কামিন্স ১/২২, হেড /৩৩, হেনরিকেস ১/৩০, জ্যাম্পা ২/১৩, ম্যাক্সওয়েল ০/৯)

অস্ট্রেলিয়া: ১৬ ওভারে ৮৩/১ (ওয়ার্নার ৪০*, ফিঞ্চ ১৯, স্মিথ ২২*; মুস্তাফিজ ০/২৭, মাশরাফি ০/৩০, রুবেল ১/২১, মিরাজ ০/৪)


বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড
সেমিফাইনালে যেতে হলে এই ম্যাচটাতে জিততেই হতো বাংলাদেশকে। টসে হেরে ফ্লিন্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশ। বোলারদের নৈপুন্যে নিউজিল্যান্ডকে ২৬৫ রানের মধ্যে বেধে রাখতে সক্ষম হয় টাইগাররা। জবাবে ২৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে আবারও বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ৩৩ রানের মাঝে পরে যায় ৪ উইকেট। কিন্তু সেখান থেকেই ম্যাচটাকে নতুনভাবে শুরু করলেন সাকিব-মাহমুদুল্লাহ। এক রেকর্ড পার্টনারশিপে ধুকতে থাকা দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। বাংলাদেশ ম্যাচটা জিতে নেয় ৫ উইকেটে।   

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড:
৫০ ওভারে ২৬৫/৮ (গাপটিল ৩৩, রনকি ১৬, উইলিয়ামসন ৫৭, টেইলর ৬৩, ব্রুম ৩৬, নিশাম ২৩, অ্যান্ডারসন ০, স্যান্টনার, মিলন ৭, সাউদি; মাশরাফি ০/৪৫, মুস্তাফিজ ১/৫২, তাসকিন ২/৪৩, রুবেল ১/৬০, সাকিব ০/৫২, মোসাদ্দেক ৩/১৩)

বাংলাদেশ: ৪৭.২ ওভারে ২৬৮/৫ (তামিম ০, সৌম্য ৩, সাব্বির ৮, মুশফিক ১৪, সাকিব ১১৪, মাহমুদউল্লাহ ১০২*, মোসাদ্দেক ৭*; সাউদি ৩/৪৫, বোল্ট ১/৪৮, মিলন ১/৫৮, নিশাম ০/৩০, স্যান্টনার ০/৪৭, অ্যান্ডারসন ০/১৯, উইলিয়ামসন ০/১৯)।


ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া
বাংলাদেশের সেমিতে যাওয়ার কথা উঠলে, এই ম্যাচের কথা আসবেই। বাংলাদেশ তাদের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিল ঠিকই কিন্তু সেমিতে যাওয়া নিশ্চিত ছিল না। সেমিতে যাওয়ার ভাগ্য নির্ভর করছিল এই একটি ম্যাচের ওপর। ইংল্যান্ড জিতলে বা ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যাক্ত হলে বাংলাদেশই চলে যাবে সেমিফাইনালে। তবে ইংল্যান্ড হারলে অস্ট্রেলিয়া চলে যাবে সেমিতে।

ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে ইংল্যান্ড অসিদের ব্যাটিংয়ে পাঠায়। ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ভালো সূচনার পরও, ইংলিশ বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ২৭৭ রান করতে সক্ষম হয়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৫ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ইংল্যান্ড। কিন্তু বেন স্টোকস ও অধিনায়ক মরগ্যানের অসাধারণ এক জুটিতে ম্যাচে ফেরে ইংল্যান্ড। ইংলিশদের সংগ্রহ যখন ৪০.২ ওভারে ২৪০ রান তখন বাধা দেয় বৃষ্টি।  আর থ্রি-লায়ন্সদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৫৮ বলে ৩৮ রান। পরে বৃষ্টির কারণে আর খেলা মাঠে না গড়ালে ইংল্যান্ড বৃষ্টি আইনে ৪০ রানে জয় লাভ করে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ চলে যায় চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে। বাদ পড়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।

কে হতে পারে সেমির প্রতিপক্ষ?
সেমিফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কে হতে পারে, তা আজই জানা যাবে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা বা ভারতের মধ্যে কোনো এক দল হবে তা নিশ্চিত। কারণ গ্রুপ `বি`তে চারদলের পয়েন্ট সমান হলেও রান রেটে এগিয়ে প্রথম স্থানে ভারত আর দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর আজ বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩.৩০ মিনিটে মুখোমুখী হবে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

বাংলা ইন্সাইডার/ডিআর   



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত

প্রকাশ: ০৫:১৮ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) এলিট প্যানেলের আম্পায়ার হিসেবে জায়গা পেলেন শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত। আইসিসির বার্ষিক মূল্যায়ন এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সৈকতকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আইসিসি। 

আইসিসির মহাব্যবস্থাপক (ক্রিকেট) ওয়াসিম খান, সাবেক খেলোয়াড় এবং ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার, নিউজিল্যান্ডের অবসরপ্রাপ্ত আম্পায়ার টনি হিল এবং পরামর্শদাতা মাইক রিলির সমন্বয়ে গঠিত একটি নির্বাচন প্যানেল এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেন সৈকত। যেখানে তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণে দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছিলেন। এরপর তিনি নিরপেক্ষ একটি সিরিজেও প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছেন। গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও দায়িত্ব পালন করেন আম্পায়ার সৈকত।

আইসিসি এলিট প্যানেল আম্পায়ার : কুমার ধর্মসেনা (শ্রীলঙ্কা), ক্রিস্টোফার গ্যাফফানি (নিউজিল্যান্ড), মাইকেল গফ (ইংল্যান্ড), অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক (দক্ষিণ আফ্রিকা), রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ (ইংল্যান্ড), রিচার্ড কেটেলবরো (ইংল্যান্ড), নীতিন মেনন (ভারত), এহসান রাজা (পাকিস্তান), পল রাইফেল (অস্ট্রেলিয়া), শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত (বাংলাদেশ), রড টাকার (অস্ট্রেলিয়া), জোয়েল উইলসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।

বাংলাদেশি আম্পায়ার   আইসিসি   শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশ: ০৩:০২ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ভিন্ন সিরিজের পূর্ণাঙ্গ সূচি ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। আগামী নভেম্বরে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। এরপরেই ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে অজিরা। দীর্ঘ ৩৩ বছর পর পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে যাচ্ছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া।

সবশেষ ১৯৯৯ সালে ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর হোম-অ্যাওয়েতে ১১টি চার ম্যাচের, তিনটি তিন ম্যাচের এবং একটি করে এক ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া।

পার্থের নতুন ভেন্যুতে আগামী ২২ নভেম্বর থেকে বোর্ডার-গাভাস্কার টেস্ট সিরিজ শুরু করবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। আগামী ৬ ডিসেম্বর গোলাপি বলে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া।

এরপর ব্রিজবেনে ১৪ ডিসেম্বর থেকে তৃতীয় খেলতে নামবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। ২৬ ডিসেম্বর বক্সিং ডে’তে সিরিজে চতুর্থ টেস্ট খেলবে দু’দল। ঐতিহ্যবাহী বক্সিং ডে টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। আগামী বছরের শুরুতে ৩ জানুয়ারি সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্টে লড়বে দু’দল।


অস্ট্রেলিয়া   ভারত   পাকিস্তান   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ব্যক্তিগত লক্ষ্য বা অর্জন নিয়ে কখনও ভাবিনি: সাকিব

প্রকাশ: ০১:৪২ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ক্রিকেটে কখনও ব্যক্তিগত লক্ষ্য বা অর্জন নিয়ে কখনও ভাবিনি বলে মন্তব্য করেছেন সাকিব আল হাসান। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রূপায়ণ সিটি উত্তরার সঙ্গে ঢাকায় একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা জানান বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।

সাকিব বলেন, ‘যতদিন ক্রিকেট খেলেছি, ব্যক্তিগত লক্ষ্য বা অর্জন নিয়ে কখনও ভাবিনি। সবসময় চেষ্টা করেছি দলে কীভাবে অবদান রাখা যায়। টেস্ট দলে ফিরতে পেরে স্বাভাবিকভাবেই আমি আনন্দিত। ম্যাচ জেতার আশা তো সবসময়ই করি। শ্রীলংকার সঙ্গে ম্যাচটি জেতা উচিত।’

বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব বেশ কিছুদিন ছিলেন জাতীয় দলের বাইরে। শ্রীলংকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে ফিরছেন জাতীয় দলে। ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত সংস্করণ ধরা হয় সাদা পোশাকের ম্যাচকে। সেই টেস্টে বাংলাদেশ এখনও অনেক পিছিয়ে। শ্রীলংকার বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছে চার দিনে। করতে পারেনি ন্যূনতম লড়াই।

সিলেট টেস্ট শেষে চট্টগ্রামে ফিরেছে দল। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগামী ৩০ মার্চ থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। সেই ম্যাচের দলে যুক্ত করা হয়েছে সাকিবকে।


শ্রীলংকা   বাংলাদেশ   সাকিব আল হাসান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

চট্টগ্রাম টেস্ট শুরুর পূর্বে লংকান শিবিরে দুঃসংবাদ

প্রকাশ: ১২:৩৮ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশকে নাস্তানাবুদ করে জয় তুলে নিয়েছে শ্রীলংকা। তবে দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর পূর্বে বড় দুঃসংবাদ পেয়েছে সফরকারীরা। সিলেট টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি লঙ্কান বোলার কাসুন রাজিথা চট্টগ্রাম টেস্ট থেকে ছ্টিকে গেছেন। ইনজুরির কারণে আগামী ৩০ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া এই টেস্টে খেলতে পারবেন না এই লঙ্কান পেসার।

রাজিথার পরিবর্তে চট্টগ্রাম টেস্টে খেলবেন আসিথা ফার্নান্ডো। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে এসএলসি বলেছে, 'কাসুন রাজিথা দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের জন্য বিবেচিত হবেন না। কারণ তিনি পিঠের বাঁপাশের উপরের অংশে চোট পেয়েছেন। পুনর্বাসনের কাজ শুরু করতে কাসুন দেশে ফিরে আসবে।'

সিলেট টেস্টে খেলতে গিয়ে পিঠের ইনজুরিতে পড়েন রাজিথা। তার পরিবর্তে যেই আসিথাকে দলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা, তিনি হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে সিলেট টেস্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। তবে দ্রুত ফিরে এসে যোগ দিচ্ছেন দ্বিতীয় টেস্টে।

সিলেট টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৮ উইকেট শিকার করেছেন রাজিথা। এর মধ্যে প্রথম ইনিংসে ৩ আর দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট।


শ্রীলংকা   বাংলাদেশ   টেস্ট ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কবে অবসরে যাচ্ছেন মেসি, জানালেন নিজেই

প্রকাশ: ১১:২৪ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। ক্যারিয়ারে এমন কিছু নেই যা তার অধরা। এমনকি ক্যারিয়ারের গোধূলি লগ্নে এসে নিজের আজন্ম স্বপ্ন পূরণ করেছেন তিনি। প্রথমবার বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছেন ৩৫ বছর বয়সে এসে।

বর্তমানে বয়স ৩৬ হলেও খেলার মাঠে যেন বয়সের কোনো চাপ নেই তার। জাতীয় দল কিংবা ক্লাব দুই জায়গায় ২০ বছরের তরুণের চেয়েও মাঠে এখনও দুর্দান্ত মেসি। এমন তারকা ফুটবলার অবসরে চলে যাক, তা হয়তো কোনো ভক্তই চান না। না চাইলেও অনেক ভক্তের মনে প্রশ্ন, মেসি তো অবসর নেবেন একটা সময়; আর সেটা কখন?

যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার (এমএলএস) লিগের ক্লাব ইন্টার মিয়ামির সঙ্গে মেসির চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে। এরপর মেসি অবসর নেবেন কিনা, সেই প্রশ্নই অনেকের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।

অবসর নিয়ে ভাবনা আছে মেসিরও। বিষয়টি নিয়ে খোলাখুলি কথাও বলেছেন আর্জেন্টাইন ব্শ্বিকাপজয়ী তারকা। তবে সেটা বয়স বিবেচনায় নয়। ৮ বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী এই তারকার অবসরের সিদ্ধান্ত আসবে পারফরম্যান্স বিবেচনায়।

মেসি এমবিসির বিগ টাইম পডকাস্টকে বলেন, ‘যে মুহূর্তে বুঝতে পারবো যে, আমি পারফর্ম করছি না, নিজেকে (খেলায়) উপভোগ করছি না এবং আমি আমার সতীর্থদের সাহায্য করতে পারছি না (তখন অবসরের সিদ্ধান্ত আসবে)।’

আর্জেন্টাইন তারকা আরও বলেন, ‘আমি খুব আত্মসমালোচক। আমি জানি কখন ভালো খেলি, কখন খারাপ খেলি। যখন আমি অনুভব করবো, এই (অবসর) পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে, তখন বয়স নিয়ে চিন্তা না করেই এটি গ্রহণ করব। যদি আমি ভাল বোধ করি, আমি সর্বদা প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো। কারণ এটি আমি পছন্দ করি এবং সেটি কিভাবে করতে হবে সেটাও জানি।’

কাতার বিশ্বকাপে যদি শিরোপা জিততে না পারতেন, তাহলে ওই আসরের পরই অবসর নিয়ে নিতেন, এমনটিই বলেছেন মেসি।

ফুটবলে বর্ণাঢ্য এক ক্যারিয়ার তৈরি করেছেন মেসি। এখন পর্যন্ত ৪৪টি শিরোপা জিতেছেন তিনি। এখনো যেভাবে খেলছেন, তাতে বেশ কিছু শিরোপা জেতার সম্ভাবনা তো আছেই।

বর্তমানে হ্যামস্ট্রিং চোটে ভুগছেন মেসি। যে কারণে এল-সালভেদর ও কোস্টারিকার বিপক্ষে আর্জেন্টিনা হয়ে দুটি ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন