ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোড ৭৫ : ম্যান ফ্রম অ্যানাদার প্ল্যানেট

প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১


Thumbnail

ভীনগ্রহের ক্যালেন্ডারে ২০৮৭ সালের শেষভাগের কোনো একটা সময়! ভীন গ্রহের একটি স্থানে তৈরি হচ্ছে একটি টাইম মেশিন। উদ্দেশ্যে ৭৫ নাম্বার কোডধারী এক যাত্রীকে নিয়ে পৃথিবী নামক দূরবর্তী একটি গ্রহ ভ্রমণ করে আসা। টাইম মেশিনটি তৈরি হবার পর ভ্রমণের দিন তারিখ ঠিক করা হলো, সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো পেছনের কোন একটি সময়ে ঘুরে আসবার। টাইম মেশিনের সময়ের ডায়ালে সেট করা হলো ১৯৮৭ ডিজিটটি। যাত্রা শুরু করলো টাইম মেশিন। পৃথিবীর একটি অজ্ঞাত দেশে চুপিসারে এসে থামলো টাইম মেশিন। পৃথিবীর নিয়ম মেনে বিশ্বের একটি উন্নত দেশে ছোট্ট একটা শিশু জন্ম নিলো।

বাবা মায়ের কোলজুড়ে আসা ছেলেটি বড় হতে লাগলো। ছোট্ট শিশুটি যে দেশে জন্মেছিলেন সেই দেশেরই একটি ব্যাংকে চাকরি করতো ছেলেটির বাবা। ছেলেটি বড় হয়ে ওঠার সাথে সাথে একদিন ছেলেটির বাবা আবিষ্কার করলেন যে তার ছেলেটি ক্রিকেটে পারদর্শী। ছেলের এই প্রতিভার কথা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলো গোটা দেশেই। ধীরে ধীরে মূলধারার ক্রিকেটে খুব সহজেই তাই ঢুকে পড়লো ছেলেটি। ছেলেটির দুইটি গুন ছিলো, একইসাথে ছেলেটি করতে পারতো ব্যাটিং ও বোলিং। ন্যাচারাল ক্রিকেট প্রতিভার সাথে সে এমন একটি দেশে জন্মেছিলো যে দেশের ক্রিকেট বোর্ড বিশ্বের ধনী ক্রিকেট বোর্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম।

তাই ক্যারিয়ারের একদম শুরুতেই ছেলেটি বিশ্বের নামকরা সব ক্রিকেট কোচদের সান্নিধ্য পেতে শুরু করলো। যার ফলে তার সহজাত প্রতিভা নিয়মিত ক্রিকেট কোচিং এর বদৌলতে ধীরে ধীরে পৌঁছে গেলো এক অনন্য উচ্চতায়। এক সময় অভিষেক হলো দেশটির জাতীয় দলে। নতুন অভিষিক্ত সেই ছেলেটির পাশে থাকলো দেশটির ছোট বড় সব মিডিয়া। ছেলেটির ক্রিকেট প্রতিভা এতোটাই মুগ্ধ করতে লাগলো সবাইকে যে একের পর এক ক্রিকেট পরাশক্তিকে হারিয়ে সেই দেশটির সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়ের তকমা লাগাতে শুরু করলো অনেকে। গ্রেটেস্ট অফ অল টাইম তকমা পাওয়াতে অনেকেই ছেলেটির পূজা করতেও শুরু করলো। চারদিকে শুধুই সেই ক্রিকেটারের বন্দনা। টানটান উত্তেজনায় হুট করে ঘুম ভাঙলো রেজা সাহেবের। হুড়মুড় করে ঘুম ভেঙ্গে লাফিয়ে ওঠাতে ঘুম ভাঙলো পাশে শুয়ে থাকা সন্তান সম্ভবা স্ত্রী শিরীন রেজার। এক গ্লাস পানি খেয়ে আবার শুয়ে পড়লেন রেজা সাহেব। মনে গেঁথে থাকলো স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্নটি।

পৃথিবীতে তখন ১৯৮৭ সাল চলমান। বাংলাদেশের মাগুরা নামক জেলায় বসবাস করা রেজা সাহেব চাকরি করেন একটি ব্যাংকে। অন্যান্য দিনের মতো ব্যাংকের ব্যস্ততার মাঝেই বেড়িয়ে পড়তে হলো রেজা সাহেবকে। বাড়ি থেকে খবর এসেছে তাই রেজা সাহেব ছুটলেন বাড়ির দিকে। রেজা সাহেব খুব চিন্তিত, কারণ প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছেন তার সন্তান সম্ভবা স্ত্রী। কিছুক্ষণ পরে শোনা গেলো একটি সদ্যজাত শিশুর চিৎকার। রেজা দম্পতির কোলজুড়ে আসলো ফুটফুটে এক শিশু। রেজা সাহেব তার নাম রাখলেন সাকিব আল হাসান। ছোট্ট শিশুটি বড় হতে লাগলো। রেজা সাহেব বিকালে ছেলের সাথে ফুটবল খেলতেন আর মনে করতেন সেই রাতে দেখা সেই স্বপ্নটির কথা।

স্কুল পেরিয়ে ফেলা ছেলেটি একটা সময় ঝুকলো ক্রিকেটের দিকে। রেজা সাহেব প্রথমদিকে অবাক হতেন কিছুটা কিন্তু প্রোক্ষণেই ভাবতেন স্বপ্ন কি আর সত্য হয়। একটা সময় সত্যি সত্যি সাকিব নামের সেই ছেলেটি যুক্ত হলো বাংলাদেশ নামক নড়বড়ে ক্রিকেট খেলুড়ে দেশটির ক্রিকেটের সাথে।

২০০৬ সালের আগস্টে জিম্বাবুয়ের সাথে এক ওয়ানডে ম্যাচে অভিষেক হলো রেজা সাহেবের ছেলে সাকিব আল হাসানের। ওই সময়টায় ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো অনেকটাই পিছনে। কালে ভদ্রে পেছনের সারির কিছু দলের সাথে হারতে হারতে জিতে গেলে উল্লসিত হতো এদেশের ক্রিকেট পাগল জনতা। ওই সময়টায় ক্রিকেট মোড়ল দেশগুলো মাঝে মাঝেও আওয়াজ তুলতো বাংলাদেশের ক্রিকেট সামর্থ্য আর বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস নিয়ে। কিন্তু একজন তো আছেন যিনি হয়তো জন্মেছিলেন ক্রিকেট পাগল এ জাতির কঠিন সময়ের ত্রাণকর্তা হিসাবে।

আস্তে আস্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে নিজের ক্রিকেট সামর্থ্য পৌঁছে দিতে শুরু করলেন সাকিব আল হাসান। মাঝে মাঝে ব্যাটিং বোলিং দুই পাশ থেকে একাই দলকে টেনে তুলতেন সাকিব। ফল আসতে শুরু করলো। নিজের প্রাপ্তির সাথে সাথে বাংলাদেশের ক্রিকেট আগাতে লাগলো সামনের দিকে। সাকিবের এই পথচলায় পাশ থেকে অবদান রাখতে শুরু করলেন তামিম, মুশফিক, মাশরাফি আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মতো ক্রিকেটাররা।

তবে সবাইকে ছাপিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোষ্টার বয় হয়ে উঠলেন সাকিব। অন্যদিকে দলের অন্যতম ভরসাও হয়ে উঠলেন সাকিব কারণ যেদিন সাকিব বল হাতে জ্বলে উঠতে পারতেন না সেদিন হাসতো সাকিবের ব্যাট। ফলে উন্নতি হতে লাগলো অলরাউন্ডার সাকিবের। বিশ্বের অনেক নামীদামী ক্রিকেটারদের পেছনে ফেলে ধীরে ধীরে বিশ্বের অলরাউন্ডারদের তালিকার শীর্ষে উঠে আসলেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। একটা সময় তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটের শীর্ষ অলরাউন্ডারের তকমা নিজের নামের সাথে জুড়ে গেলো জার্সি নাম্বার ৭৫ এর।

কিন্তু বিধি বাম। যে কোনো ইস্যুতে পশ্চাৎ দেশের খাঁজের মতো দুইভাগে ভাগ হয়ে যাওয়া এ জাতি হয়তো সাকিবের মর্ম বুঝতে শিখবেনা কোনো কালেই। ক্রিকেট পাগল ভক্ত থেকে শুরু করে এ দেশের মিডিয়া কোনোটাই যেন পক্ষে থাকেনা সাকিবের। সাকিব আল হাসানই হয়তো দেশের একমাত্র ক্রিকেটার যিনি দেশীয় দর্শকের কাছে বেয়াদব নামে পরিচিত। যদিও আজকের বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য যারা কাজ নিজেকে বাজি রেখেছেন বারবার তাদের মধ্যে প্রথমেই থাকবেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এই সাকিবই বাংলাদেশকে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে শিখিয়েছেন। এই সাকিব শিখিয়েছেন কিভাবে প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে মনস্তাত্ত্বিক খেলায় এগিয়ে থাকতে হয়।

অথচ কোনো ম্যাচে একটু খারাপ করলে, কিংবা ব্যাটে বলে জ্বলে উঠতে না পারলেই শুনতে হয় সাকিবের দিন ফুরিয়ে এসেছে। কিন্তু যার জন্মই হয়তো হয়েছিলো দেশের ক্রিকেটকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে নিতে সেই সাকিব তো দুয়োধ্বনি শুনে দমে যাবার পাত্র নন। সাকিব বারবার ফিরে আসেন বীরদর্পে। একের পর এক রেকর্ড ভেঙ্গেচুরে নিজের রেকর্ডবুকে যুক্ত করেন রেকর্ডের নতুন নতুন পালক।

কোনো ম্যাচ খারাপ করলে বা টিম বাংলাদেশ হেরে গেলে হয়তো খুব মন খারাপ হয়ে যায় রেজা সাহেবের। কোনো এক মন খারাপের রাতে রেজা সাহেবের হয়তো মনে পড়ে যায় সেই স্বপ্ন অথবা দুঃস্বপ্নের কথা। আফসোস করে হয়তো রেজা সাহেব মাঝে মাঝে ভেবে বসেন যে তার ছেলে সাকিব আল হাসান হয়তো ভুল সময়ে অথবা ভুলদেশে জন্মগ্রহণ করেছেন। পাশের দেশ ভারতের মাঝারি মানের কোনো অলরাউন্ডারকে নিয়ে উন্মাদনা দেখে হয়তো নিজের অজান্তেই আফসোসে ভোগেন রেজা সাহেব। ঠিক ওই সময়ে হয়তো মনে পড়ে যায় রেজুয়া সাহেবের দেখা সেই স্বপ্নটির কথা, কারণ স্বপ্নের শেষটা যেমন দেখেছিলেন সেই সময়টা আসতে হয়তো এখনো বেশ খানিকটা সময় বাকী। হয়তো এ জাতি কোনো একটা সময় বুঝতে শিখবে সাকিব আল হাসানের গুরুত্ব আর উচ্চতা। সেটি মিলে গেলে হয়তো অবাক হবেন না রেজা সাহেব। কারণ মাঝরাতে দেখা রেজা সাহেবের সেই ভিনগ্রহের ক্রিকেটারকে নিয়ে দেখা স্বপ্নটি যে এখনো কাউকে জানাননি তিনি।

ওদিকে ভীনগ্রহ থেকে এ দশকে আসবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে একটি স্পেসশিপ। টাইম মেশিমের সময়ের ডায়াল ফিক্স করার আগে বার কয়েক ভেবে নিচ্ছে ওই গ্রহের বাসিন্দারা। কারণ তাদের ধারনা ৭৫ নাম্বার কোডধারী ভীনগ্রহ থেকে পৃথিবীর বুকে আসা মানুষটির মূল্য দিতে পারেনি পৃথিবীর কোনো এক দেশের বাসিন্দারা। যাত্রা কি তবে শুরু হবে স্পেসশিপের, কে জানে হয়তো হ্যা, হয়তোবা না...

 

বিঃদ্রঃ লেখাটির অনেকটা অংশই কাল্পনিক, বিষয়টি পাঠক দয়া করে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।  



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

শেষ ওভারে চেন্নাইকে ডোবালেন মুস্তাফিজ

প্রকাশ: ০২:০৭ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শেষ ৬ বলে ১৭ রানের টার্গেট। উইকেটে তখন স্টয়নিসের মতো বিধ্বংসী ব্যাটার। অন্যদিকে, ঘরের মাঠ এম চিদাম্বরম চেন্নাই চেন্নাই স্লোগানে প্রকম্পিত। দলকে জিতিয়ে নায়ক হওয়ার দারুণ সুযোগ মুস্তাফিজের সামনে। টাইগার এই পেসারের প্রথম বল গ্যালারিতে আছড়ে ফেলে এক লহমায় সমর্থকদের চুপ করিয়ে দিলেন স্টয়নিস। পরের দুই বলে দুটি চারে ম্যাচ তখন কেবল আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষা। তিন নম্বর ডেলিভারিটিতে আবার হলো নো বল। ফ্রি হিটে ফের ৪ মেরে লখনৌকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দিলেন স্টয়নিস। 

দিন তিনেক আগে নিজেদের মাটিতে প্রথম দেখায় চেন্নাইকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল লখনৌ। এবার চিপকে প্রতিশোধের ম্যাচে অধিয়াক রুতুরাজ গায়কোয়াড় আর শিবাম দুবের ব্যাটে হাতে শুরুটা দারুণ করে চেন্নাই। শেষ পর্যন্ত গায়কোয়াড় ১০৮ রানে অপরাজিত ছিলেন এবং দুবে করেছেন ৬৬ রান।

ঘরের মাঠে চেন্নাই বরাবরই ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দেখিয়ে আসছে। আজকের আগে তাদের চার জয়ের তিনটিই এসেছে চিপকের এই ভেন্যুতে। তবে ওপেনিংয়ে তারা সেভাবে সুবিধা করতে পারছিল না। তার ব্যতিক্রম ঘটেনি আজও। প্রথম ওভারেই ব্যক্তিগত ৪ রানে আউট হয়ে যান রাহানে। যদিও সেই ধাক্কা ড্যারিল মিচেলকে সঙ্গী বানিয়ে সামলাতে থাকেন গায়কোয়াড়। তবে নিউজিল্যান্ডের এই ব্যাটার বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি, বিদায়ের আগে মাত্র ১১ রান (১০ বল) করেন।

মিচেল-গায়কোয়াড় এবং এরপর নামা রবীন্দ্র জাদেজা-গায়কোয়াড়ের পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি হলেও, সেখানে বড় অবদান ছিল চেন্নাই অধিনায়কের। জাদেজাও ফেরেন মাত্র ১৬ রানে (১৯ বল)। গায়কোয়াড় রান এবং একপ্রান্ত আগলে রাখায় অগ্রণী ভূমিকা রাখায় উইকেট পতনে সেভাবে সমস্যা হচ্ছিল না। এরপর শিবাম দুবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন। গায়কোয়াড়ের চেয়েও এই তরুণ ছিলেন বেশি আগ্রাসী। ব্যাট করেছেন ২৪৪–এর বেশি স্ট্রাইকরেটে। অর্ধশতক করেছেন মাত্র ২২ বলে। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে দুবে ২৭ বলে ৩টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৬৬ রান করেন।

অন্যদিকে, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন চেন্নাই অধিনায়ক। তিনি ব্যক্তিগত শতক তুলে নেন ৫৬ বলে। একইসঙ্গে আইপিএলের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন বয়সী অধিনায়ক হিসেবেও সেঞ্চুরির নজির গড়েন গায়কোয়াড়। এদিন রুতুরাজ গায়কোয়াড় শেষ পর্যন্ত ৬০ বলে ১২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১০৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। মহেন্দ্র সিং ধোনি ক্রিজে এসে পেয়েছেন কেবল ১ বল, ইনিংসের চূড়ান্ত বলটিকে তিনি পরিণত করেন চারের বাউন্ডারিতে। লখনৌর হয়ে ম্যাচে একটি করে উইকেট নেন ম্যাট হেনরি, মহসিন খান ও যশ ঠাকুর।

চেন্নাইয়র ঘরের মাঠে ২১১ রানের টার্গেট তাড়া করা, তার ওপর চিপকের মাটিতে বেশ সফল স্বাগতিক দলের দুই পেসার পাথিরানা ও মুস্তাফিজ। জয়টা বেশ কঠিনই ছিল লখনৌয়ের জন্য। এমন সমীকরণে লখনৌয়ের শুরুটা ছিল হতাশার। 

কুইন্টন ডি'কক ফিরে যান কোনও রান না করেই। অধিনায়ক কেএল রাহুলকেও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে দিলেন না মুস্তাফিজ। ১৪ বলে ১৬ রান করেন তিনি। এর পরই ইনিংসের হাল ধরেন স্টয়নিস। লখনউয়ের ডুবন্ত নৌকা কার্যত একার হাতে তীর পর্যন্ত নিয়ে যান তিনি। অনবদ্য সেঞ্চুরিও হাঁকিয়ে ফেলেন তিনি। তাঁকে সঙ্গ দেন নিকোলাস পুরান এবং দীপক হুডা। পুরান মাত্র ১৫ বলে ৩৪ রান করেন। আর হুডা ১৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন।

কিন্তু কোনও লড়াই-ই কাজে আসত না যদি না শেষ ওভারে স্নায়ুর চাপ সামলে চেন্নাইয়ের হাত থেকে জয় ছিনিয়ে আনতেন স্টয়নিস। শেষ ওভারে ১৭ রানের টার্গেটে মুস্তাফিজের ৩ বলেই চেন্নাইয়ের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন এই অস্ট্রেলিয়ান। ৩.৩ ওভারে ৫১ রান খরচায় এক উইকেট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো মুস্তাফিজকে। ফিজের মতো শুরুটা ভালো হলেও ইনিংসের ১৯তম ওভারে তিন চার হজম করেছেন মাথিশা পাথিরানাও। ৪ ওভারে ৩৫ রান খরচায় ২ উইকেট তুলে নেন তিনি।


মুস্তাফিজ   বাংলাদেশ   চেন্নাই   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

লখনৌর বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে মুস্তাফিজের চেন্নাই

প্রকাশ: ০৮:০১ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসর। আর এবারের আসরের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস। চলতি আসরে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলে চারটিতেই জয়ের দেখা পেয়েছে রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।

তবে নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরেছে চেন্নাই। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে লখনৌর বিপক্ষে ফিরতি লেগে মাঠে নামছে মোস্তাফিজের দল। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) টস জিতে চেন্নাইকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন লখনৌর অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

প্রতিশোধের এই ম্যাচে একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে চেন্নাই। রাচিন রবীন্দ্রর জায়গায় একাদশে ফিরেছেন ড্যারিল মিচেল। অন্যদিকে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই নামছে লখনৌ।

চেন্নাই একাদশ : ড্যারিল মিচেল, রুতুরাজ গায়কোয়াড় (অধিনায়ক), আজিঙ্কা রাহানে, শিবাম দুবে, মঈন আলি, রবীন্দ্র জাদেজা, এমএস ধোনি (উইকেটরক্ষক), দীপক চাহার, তুষার দেশপান্ডে, মোস্তাফিজুর রহমান ও মাথিশা পাথিরানা।

লখনৌ একাদশ : কুইন্টন ডি কক, লোকেশ রাহুল (অধিনায়ক), মার্কাস স্টয়নিস, দীপক হুদা, নিকোলাস পুরান, আয়ুশ বাদোনি, ক্রুনাল পান্ডিয়া, ম্যাট হেনরি, রবি বিষ্ণুই, মহসিন খান, যশ ঠাকুর।


আইপিএল   চেন্নাই সুপার কিংস   লখনৌ সুপার জায়ান্টস   ঋতুরাজ   লোকেশ রাহুল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কী কারণে বাংলাদেশের প্রাথমিক দলে নেই সাকিব-মুস্তাফিজ?

প্রকাশ: ০৬:৫৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী মাস থেকে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজকে সামনে রেখে ১৭ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য এ প্রাথমিক দল ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ঘোষিত প্রাথমিক দলে রাখা হয়নি সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানকে।

আগামী ২৬ থেকে ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে এই ক্যাম্প। আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলা মুস্তাফিজকে আগামী ১ মে পর্যন্ত ছুটি দিয়েছে বিসিবি। আইপিএলে থাকায় বাঁহাতি এই পেসারকে প্রাথমিক দলে রাখেনি দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।  আর সাকিব শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের পর ছুটি কাটাতে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন। চলতি মাসের শেষের দিকে দেশে ফেরার কথা রয়েছে দেশসেরা এই অলরাউন্ডারের।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শুরু হবে ৩ মে। ৪ ও ৭ মে চট্টগ্রামেই পরের দুটি টি-টোয়েন্টি, এরপর মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ১০ ও ১২ মে হবে সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ।

জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রাথমিক দল
নাজমুল হোসেন, লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান, পারভেজ হোসেন, তানভির ইসলাম, আফিফ হোসেন, হাসান মাহমুদ, সাইফউদ্দিন, সৌম্য সরকার।


সাকিব আল হাসান   ‍মুস্তাফিজুর রহমান   জিম্বাবুয়ে   বাংলাদেশ   টি-২০  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অসদাচরণের অভিযোগে এবার শাস্তির মুখে কোহলি

প্রকাশ: ০৫:১৩ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলছে আইপিএলের ১৭তম আসর। যেখানে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে বেশ ভালো ফর্মে রয়েছেন ভারতের তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলি। প্রায় প্রতি ম্যাচেই পাচ্ছেন রানের দেখা। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে।

রোববার ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। যেখানে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয়ে মাঠেই কোহলি প্রতিক্রিয়া দেখান। অসদাচরণের অভিযোগে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে জরিমানা করেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। আইপিএলের কোড অব কন্টাক্ট ভঙ্গ করায় কোহলিকে তার ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে।

ব্যাঙ্গালুরুর সামনে লক্ষ্য ছিল ২২৩ রানের। সেই লক্ষ্যে ভালো একটা শুরুর দরকার ছিল। বিরাট কোহলি ঠিক সেই চেষ্টাই করেছিলেন। স্টার্কের প্রথম বলেই চার মেরে শুরু করেছিলেন। নিজের প্রথম ৬ বল থেকে তুলে নেন ১৮ রান। এরপরেই অবশ্য ভারতীয় এই ব্যাটার আউট হয়েছেন বিতর্কিত এক সিদ্ধান্তে।

হারশিত রানার বলটা ছিল কোমরের কাছাকাছি। ফুল টস বলে কোহলি কেবল ব্যাটে-বলে করেছেন। ফিরতি ক্যাচ লুফেছেন বোলার নিজেই। আউটের সিদ্ধান্তের জন্য দ্বারস্থ হতে হয়েছিল আম্পায়ারের। যেখানে প্রযুক্তির সাহায্যে থার্ড আম্পায়ার মাইকেল গফ আউটের সিদ্ধান্ত জানান।

কোহলি সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। মাঠেই মেজাজ হারিয়ে তর্ক করেছেন আম্পায়ারের সঙ্গে। যুক্ত ছিলেন আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিও। তবে গফ নিজেই ম্যাচ চলাকালে জানান, বিতর্ক উসকে দেয়া এমন সিদ্ধান্তের কারণ।

হারশিত রানার ওই ডেলিভারি পুরোপুরি বৈধ ছিল। ব্যাটার ক্রিজে থাকলে বলের উচ্চতা হতো ০.৯২ মিটার। বিরাট কোহলির কোমরের উচ্চতা ১.০৪ মিটার। যার অর্থ, বিরাট ক্রিজে থাকলে বল তার কোমরের নিচ দিয়েই যেত, যা আইসিসির নীতি অনুযায়ী বৈধ বল হিসেবেই গণ্য হবে। স্বাভাবিক নিয়ম মেনেই তাই আউটের সিদ্ধান্ত দেন মাইকেল গফ।


আইপিএল   বিরাট কোহলি   রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য বাংলাদেশের প্রাথমিক দল ঘোষণা

প্রকাশ: ০৪:৫৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী মাস থেকে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজকে সামনে রেখে ১৭ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য এ প্রাথমিক দল ঘোষণা করা হয়েছে। এ দলে ডাক পেয়েছে চলমান ডিপিএলে দারুণ ছন্দে থাকা পারভেজ হোসেন ইমন, তানভির ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। 

চলমান ডিপিএলে ব্যাট হাতে ৩ সেঞ্চুরি ও ২ হাফ সেঞ্চুরিতে ১২ ম্যাচে ৫৮৫ রান করেছেন পারভেজ ইমন। আর ডিপিএলে ১১ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়েছেন তানভির ইসলাম। তাছাড়া সর্বশেষ বিপিএলে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে নির্বাচকদের সুনজরে আসেন সাইফউদ্দিন।

জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রস্তুতি ক্যাম্প:

নাজমুল হোসেন, লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান, পারভেজ হোসেন, তানভির ইসলাম, আফিফ হোসেন, হাসান মাহমুদ, সাইফউদ্দিন, সৌম্য সরকার। 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শুরু হবে ৩ মে। ৪ ও ৭ মে চট্টগ্রামেই পরের দুটি টি-টোয়েন্টি, এরপর মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ১০ ও ১২ মে হবে সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ


বাংলাদেশ ক্রিকেট   বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন