ইনসাইড হেলথ

চোখকে ভালোবাসুন

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৩ অক্টোবর, ২০২২


Thumbnail চোখকে ভালোবাসুন

চোখ, আমাদের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। কথায় আছে চোখ হলো কানের চেয়ে অধিকতর নির্ভুল প্রত্যক্ষদর্শী। এই সুন্দর পৃথিবী, সুন্দর প্রকৃতি আমরা আমাদের চোখের মাধ্যমেই দেখি। এছাড়া দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিক চিত্রও আমাদের দেখায় এই দুটি চোখই। কিন্তু আমরা এই চোখের যত্নেই থাকি সব থেকে বেশি উদাসীন। বাংলাদেশে অন্ধ মানুষের সংখ্যা দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই অন্ধত্বের পেছনে কারণ হচ্ছে  সঠিক চিকিৎসা ও সচেতনতার অভাব। 

আজ বিশ্ব দৃষ্টি দিবস, প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার পালিত হয় দৃষ্টি দিবস। সে হিসেবে আজ বিশ্ব দৃষ্টি দিবস। এই দিবসটি ঘিরে এবারের থিম স্লোগান রাখা হয়েছে "চোখকে ভালোবাসুন"।  এই দিবসটির প্রাক্কালেই একটি দুঃখজনক বার্তা হলো আমরা আমাদের এই দৃষ্টি দানকারী চোখ দুটির প্রতি অনেক বেশি অসচেতন, এবং এই চোখ দুটির প্রতিই যেন অবজ্ঞা করি বেশি। আর এর ফলে অন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে অনেক বেশি । 

বিশেষজ্ঞদের মতে মানুষের অন্ধত্ব বরণের জন্য ৭ টি কারণ রয়েছে। প্রথমটি হল ম্যাকুলার ডিজেনারেশন, এটা মূলত বয়স বাড়ার সাথে সাথে হয়, তাই একে বয়সজনিত কারণ হিসেবেই দেখা হয়। দ্বিতীয়টি হলো গ্লুকোমা, এটি একটি জটিল রোগ। এর ফলে খুব ধীরে ধীরে চোখের দৃষ্টি কমে যায়। গ্লুকোমারের কারণে চোখের স্নায়ু ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্তও হয় এবং এক সময় রোগী অন্ধত্ব বরণ করে। তৃতীয়টি হলো চোখের ছানি। ছানি পরা এমন একটি  সমস্যা বা অসুখ যেখানে চোখের লেন্স অস্বচ্ছ বা ঘোলা  হয়ে যায়, ফলে দেখতে অসুবিধা হয়। এছাড়া অন্যান্য কারণগুলো হল  আঘাতজনিত কারণ, ট্রাকোমা ও ভিটামিনের অভাব, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথিজনিত কারণগুলো। 

বাংলাদেশে এক সময় ভিটামিন 'এ' এর অভাবে রাতকানা রোগের প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি ছিল। কিন্তু ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুলের ব্যবহার, শিশুদের 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি, এসব কারণে এই হার এখন সহনীয় পর্যায়ে। মূলত ভিটামিন 'এ 'এর অভাবে জেরোপথ্যালমিয়া নামের যে রোগটি হয়, এটিই আসলে  রাতকানা রোগ। এই রোগের মোট ৮ থেকে ৯ টি পর্যায় রয়েছে। এর মধ্যে শেষ পর্যায় চোখের কর্নিয়া একদম নষ্ট হয়ে যায়। এবং রোগী সম্পূর্ণরূপে দৃষ্টিশক্তি হারায়। তবে এই রোগের প্রথম পর্যায়টি হচ্ছে রাতকানা রোগ। বাংলাদেশে শিশুরা বেশি রাতকানা রোগে আক্রান্ত হয়।  এছাড়া বাংলাদেশের অন্ধত্ব বরণের  আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হল ছানি পরা। বাংলাদেশে পূর্ণবয়স্কদের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষের অন্ধত্বের কারণ এই ছানিপরা। আর এর ৭১ শতাংশ অন্ধত্বের কারণ হচ্ছে চোখের ছানির চিকিৎসা না করানো। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে সারাবিশ্বে প্রায় ৪ কোটি মানুষ নিবারণযোগ্য অন্ধত্বের শিকার। আর বাংলাদেশের মানুষ এই নিবারণযোগ্য অন্ধত্বেরই শিকার বেশি, যা হয়তো সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা করালেই ঠিক হয়ে যেত। আর এই সঠিক চিকিৎসা এবং সচেতনতা অন্ধত্ব থেকে মুক্তি দিতে পারে অনেক মানুষকে যার অভাব রয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের মানুষ মোটেই চোখের সমস্যা নিয়ে ভাবতে চায়না।

বাংলাদেশে চোখের সমস্যাকে কোনভাবেই গুরুত্বের সাথে নেয় না মানুষ। চোখের সঠিক পরিচর্যা বিষয়ক সাধারণ জ্ঞানের অভাব এবং অসচেতনতা অনেক মানুষের অন্ধত্বের কারণ। চোখের যত্ন ও সেবার ওপর গুরুত্বারোপ করা অপরিহার্য এখনই। একটু সচেতনতা, প্রাথমিক পর্যায়ে চিহ্নিতকরণ ও চিকিৎসা রোধ করতে পারে অন্ধত্বকে। আবার বাংলাদেশে এমন কিছু রোগী আছেন তারা বুঝতেই পারেননা তিনি চোখের সমস্যায় ভুগছেন। ফলে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না হওয়ার দরুন অন্ধত্বের সংখ্যাও বাড়ছে দিন দিন । সময়মতো চিকিৎসা ও অপারেশন করা হলে ৮০ ভাগ অন্ধত্ব দূর করা সম্ভব এবং সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে চক্ষু সমস্যা চিহ্নিত করা দরকার। এছাড়া বাংলাদেশে অন্ধত্ব দূরীকরণ ও প্রতিরোধে সরকারী ও বেসরকারিভাবে নানা উদ্যোগ নেয়ারও প্রয়োজন রয়েছে।

অন্ধত্ব কোনভাবেই কারো কাম্য নয়, চোখ ছাড়া মানুষ পৃথিবীর সকল সৌন্দর্য থেকে বঞ্চিত হয়। তাই আমাদের নেয়া উচিৎ চোখের যত্ন। চোখের সমস্যা এড়াতে ছোটবেলা থেকেই নিয়মমাফিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ছোট মাছ, সবুজ শাকসবজি ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধ  খাবার গ্রহণ চোখকে ভালো রাখবে ছোটবেলা থেকেই। এছাড়া নিতে হবে পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ক্ষেত্রে কমপক্ষে দৈনিক ৬-৮ ঘণ্টা ঘুম ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম প্রয়োজন। কম্পিউটারে কাজের ক্ষেত্রে  ২০ মিনিট পরপর ২০ সেকেন্ডের বিরতি নিতে হবে এবং বিরতি চলাকালীন কমপক্ষে ২০ ফুট দূরে থেকে স্ক্রিনের দিকে তাকাতে হবে। আবার তীব্র রোদ কিন্তু আমাদের চোখের সমস্যা করে। রোদের আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি চোখের জন্য অত্যন্ত বিপদজনক, তাই রোদে গেলে ব্যবহার করতে হবে সানগ্লাস। হ্যাঁ, যেহেতু বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ চোখের সমস্যার মধ্য দিয়ে যান কিন্তু বুঝতে পারেন না, তাদের জন্য বলি, প্রাথমিকভাবে চোখে সমস্যা দেখা গেলে  যেটি বোধ হয়, তা হলো দৃষ্টি কমে যাবে, অর্থাৎ আপনি চোখে ঝাপসা দেখবেন। এছাড়া  চোখ থেকে পানি পড়া, ময়লা জমা, চোখে ব্যথা বা লাল হওয়া এসব উপসর্গ দেখা দিলেও চিকিৎসকের দ্বারস্থ হবেন অবশ্যই।

আরেকটি বিষয় না বললেই নয়,  বাংলাদেশে চোখের চিকিৎসক সংকটের কারণেও কিন্তু চোখের রোগের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। ভালো চিকিৎসকের অভাবে অনেক চোখের অপারেশন করা সম্ভব হয় না, যেটা  আমাদের একটা বড় ব্যর্থতা। এছাড়া দেশে কর্ণিয়া দানে মানুষের অনাগ্রহও আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে পিছিয়ে রাখছে। আর গণসচেতনতার অভাব তো আছেই। আমাদের উচিৎ হবে দেশের সর্বত্র গণসচেতনতা তৈরি করা, এতে দেশে অন্ধত্ব কমানো যাবে। তবে হ্যাঁ বাংলাদেশে এখন ছানি পরা থেকে অন্ধত্ব রোগীর সংখ্যা কমছেও আস্তে আস্তে। যেমন, ১৯৯৯ সালের একটি জরিপে দেখা যায় দেশে ছানিজনিত অন্ধ রোগী ছিল ৬ লাখ ৫০ হাজার এবং ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি) এর ২০২০ সালের জরিপে এ সংখ্যা কমে হয়েছে ৫ লাখ ৩৪ হাজার। তাহলে বলাই যায়  ছানি নিয়ে জনসচেতনতা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এটিই এখন আমাদের আশার আলো। আর বিশ্ব দৃষ্টি দিবসের প্রাক্কালে আমরা আশা করি একদিন এই হার শূন্যের  কোঠায় নেমে যাবে।

চক্ষু চিকিৎসায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বমানে পৌঁছে গেছে 

চোখের চিকিৎসায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বমানে পৌঁছে গেছে। বিশ্ব দৃষ্টি দিবস উপলক্ষে বাংলা ইনসাইডার আয়োজিত একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এই মন্তব্য করেন। তারা বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চক্ষু সেবায় বাংলাদেশ অসাধারণ অর্জন করেছে। তারা প্রত্যাশা করেন যে, বাংলাদেশে নিরাময়যোগ্য অন্ধত্ব নিবারণ করা সম্ভব এবং সেই লক্ষ্যে চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এগিয়ে যাচ্ছে। 

আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা কমিউনিটি ক্লিনিক সহায়তা ট্রাস্টের সভাপতি এবং বিএমআরসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী। আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এর লাইফ ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা অংশগ্রহণ করেন। সৈয়দ বোরহান কবীরের সঞ্চালনায় আলোচনাটা দেখুন বাংলা ইনসাইডারের ইউটিউব চ্যানেলে।




চোখ   ভালোবাসুন   বিশ্ব দৃষ্টি দিবস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

দিনে ৭ হাজার কদম হাঁটলে কমতে পারে অকাল মৃত্যুঝুঁকি

প্রকাশ: ১০:৩৭ এএম, ১০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্যায়ামের মধ্যে সবচেয়ে সহজ নিয়মিত হাঁটা। কতুটুকু হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে– খুব বেশি নয়, দিনে কমপক্ষে ৭ হাজার কদম হাঁটার অভ্যাসই অকাল মৃত্যুঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।

এছাড়া, দিনে কমপক্ষে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৭০০ ধাপ হাঁটলে হৃদযন্ত্রের সমস্যাজনিত কারণে মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস পায়। তবে এর চেয়ে বেশি হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

নতুন গবেষণা আরও বলা হয়েছে, যারা দিনে ৯ হাজার ধাপ হাঁটেন, হৃদযন্ত্রের সমস্যাজনিত কারণে তাদের মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস পায় ৬০ শতাংশ। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘গালফ নিউজ’ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

সম্প্রতি ‘জার্নাল অব আমেরিকান কার্ডিওলজি’তে প্রকাশিত এই গবেষণাটি পূর্বের অন্যান্য ১২টি গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে করা হয়েছে। এটিকে ‘মেটা অ্যানালাইসিস’ বা ‘মেটা স্টাডি’ বলা হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ৭ হাজার ধাপ হাঁটলে হৃদরোগ কমার সম্ভাবনা প্রায় ৫১ শতাংশ। এই গবেষণায় পরামর্শ দেয়া হয়েছে, দিনে ২৫০০ থেকে ২৭০০ কদম হাঁটলে স্বাস্থ্যের পক্ষে প্রাথমিক উপকারিতা শুরু হয়। পরিমিত হাঁটার এই অভ্যাস রক্তে শর্করার বৃদ্ধি কমাতে উল্লেখযোগ্যভাবে সাহায্য করে।

নতুন গবেষণা বলছে, প্রতিদিন ২৭০০ কদম হাঁটলে হৃদযন্ত্রের সমস্যাজনিত কারণে মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস পায় ১১ শতাংশ। প্রতিদিন ৭০০০ ধাপ হাঁটা এটিকে ৫১ শতাংশে উন্নীত করে। আর প্রতিদিন যদি ৯০০০ কদম হাঁটা যায়, তাহলে হৃদরোগে মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস পায় ৬০ শতাংশ।

সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন আপনার কত কদম হাঁটা উচিত? এই প্রশ্ন যদি আপনার মনে এসে থাকে, তাহলে তার নিশ্চিত উত্তর নিয়ে হাজির হয়েছে নতুন এই গবেষণা।


ব্যাম   হাঁটা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

‘কোয়ালিটিফুল চিকিৎসক তৈরিতে কোনো আপস নয়’

প্রকাশ: ০৮:৩৪ এএম, ০৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেছেন, কোয়ালিটিফুল চিকিৎসক তৈরিতে আমরা কোনো আপস করবো না। ভবিষ্যতের জন্য চিকিৎসক তৈরিতে মানের দিক থেকে কোনো ছাড় না দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি।

গতকাল রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক বৈজ্ঞানিক অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ ফাউন্ডেশন এই অধিবেশনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ।

উপাচার্য বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৪ হাজার ৮০৭ জন রেসিডেন্ট চিকিৎসক আছেন। এরমধ্যে ১০০ জন বিদেশি রেসিডেন্ট। তাদের ডিগ্রিটা যেন ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেওয়া হয়। আমরা তাদের পরীক্ষার ব্যাপারে কোনো ছাড় দেবো না’।

নতুন দায়িত্ব গ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাকে এনে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি এখানকার দায়িত্ব চেয়ে নেইনি। আমার ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভরসার পাশাপাশি আমার প্রতি ওনার কিছু চাওয়াও আছে। আমি চেষ্টা করবো এই বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা, চিকিৎসা ও গবেষণায় বিশ্বে একটি অনুকরণীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়তে’।


বিএসএমএমইউ   উপাচার্য   অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস: এখনও অধরা স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

অপারেশন থিয়েটারে হেঁটে গিয়েছিল শিশু তাসনিয়া, পরে নিথরদেহ পেল বাবা।  সম্প্রতি কেরানীগঞ্জে তনয়া (১২) নামের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর আদ-দ্বীন হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।  অপরদিকে রাজধানীর ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খৎনা করাতে গিয়ে পাঁচ বছর বয়সী শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যু হয় গত ৭ জানুয়ারি।  শুধু তাই নয়, রাজধানীর মালিবাগের জেএস হাসপাতালে সুন্নতে খৎনা করতে গিয়ে মৃত্যু হয় দশ বছর বয়সী ছেলে আহনাফ তাহমিনের।

শুধু তাসনিয়া কিংবা আহনাফের মতো কোমলমতি শিশুই নয়, দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে, ভুল আর অবহেলা জনিত চিকিৎসায় মৃত্যুর মিছিল। প্রতিদিনই রাজধানীসহ সারাদেশের কোথাও না কোথাও থেকে এমন খবর আসছে। গত এক বছর ধরে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটছে। এর মাঝেই বিশ্বজুড়ে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতের লক্ষ্যে পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস।

বলা হয়ে থাকে, একজন মানুষের সুখের আসল সূত্র সত্যিকার অর্থেই তার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার উপর নির্ভর করে। মানুষ হিসাবে সুস্থ শরীর ও মন নিয়ে একটি ভালো সামাজিক অবস্থানে স্থিত থাকাই সকলের আরাধ্য। কিন্তু তবুও পৃথিবীর বহু মানুষ যেমন নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে উদাসীন তেমনি নিজেদের স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কেও তারা অসচেতন। আবার পুঁজিবাদের বিকাশের কারণে স্বাস্থ্যসেবা লাভ ক্রমশ অনেক ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে। দরিদ্র মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা থেকে।

আর এ লক্ষ্যেই বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরিতে ও সকলের জন্য স্বাস্থ্য পরিসেবার সুযোগ বৃদ্ধিতে ১৯৫০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে পালন করা হচ্ছে 'বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস'। ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল গঠন করা হয় জাতিসংঘের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। মানুষের সুস্থতা নিশ্চিত করা এবং জীবন রক্ষার শপথে পরিচালিত সংস্থাটির প্রথম সম্মেলনেই ৭ এপ্রিল থেকে প্রতি বছর নিয়মিত 'বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস' পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতি বছর এমন একটি প্রতিপাদ্য বিশ্ববাসীর সামনে নিয়ে আসে, যা বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রত্যেক দেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্যবিষয়ক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থাগুলো নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। অসম এই পৃথিবীতে সকলের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়ার ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বৃদ্ধি করাই এ দিবসটি উদযাপনের মূল উদ্দেশ্য। একদিকে যেমন নিত্য নতুন রোগ শোক মানুষের জীবনকে দূর্বিষহ করে তুলেছে। অন্যদিকে গরীব মানুষের স্বাস্থ্য সেবা লাভের পথ হচ্ছে রুদ্ধ। স্বাস্থ্য সেবা এখন বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। এখন থেকে বঞ্চিত মানুষের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান এখন এই বিশ্বের বড় চ্যালেঞ্জ।


বিশ্ব   স্বাস্থ্য   দিবস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

শিগগিরই পূর্ণাঙ্গরূপে চালু হচ্ছে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল

প্রকাশ: ১০:০৬ পিএম, ০৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পূর্ণাঙ্গরূপে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল শিগগিরই চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।

শনিবার (৬ এপ্রিল) আয়োজিত বিএসএমএমইউয়ের অধীন এই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল দ্রুত পূর্ণাঙ্গরূপে চালুর লক্ষ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।

এসময় উপাচার্য জানান, আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে দেশের শ্রেষ্ঠতম চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় যোগ্য ও দক্ষ জনবল নিশ্চিত করা, সামগ্রিক যন্ত্রপাতির জোগান নিশ্চিত করা, সঠিকভাবে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেন ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, আজ শনিবার উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে অবস্থান করেন। এসময় তিনি অ্যাক্সিডেন্ট অ্যান্ড ইমারজেন্সি সেন্টার, কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন সেন্টার, ম্যাটার্নাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার, হেপাটোবিলিয়ারি, হোপাটোলজি, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি, প্যানক্রেটিক ডিজিস অ্যান্ড লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেন্টার, কার্ডিওভাসকুলার অ্যান্ড স্টোক সেন্টার, প্যাথলজি ল্যাব, ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস, ব্যবস্থাপনা বিভাগ পরিদর্শন করেন। পরে তিনি সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে সভায় মিলিত হন।

এসময় উপাচার্যের সঙ্গে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন, উপ-পরিচালক (প্রকল্প) সহযোগী অধ্যাপক ডা. নূর-ই-এলাহী মিম প্রমুখ।


বিএসএমএমইউ   উপাচার্য   অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১২ নির্দেশনা

প্রকাশ: ০১:২৭ পিএম, ০১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর, বাংলা নববর্ষ ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে দীর্ঘ ছুটির কবলে পড়তে যাচ্ছে দেশ। এ অবস্থায় জরুরি স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে হাসপাতালগুলোতে কর্মরতদের ১২ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

রোববার (৩১ মার্চ) ডা. আবু হোসাইন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বলা হয়, ছুটিকালীন কর্মস্থলে পর্যাপ্ত জনবল ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য ঈদের আগে ও পরে সমন্বয় করে জনবলকে পর্যায়ক্রমে ছুটি দেয়া যেতে পারে।

এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধান নিরবিচ্ছিন্ন জরুরি চিকিৎসা কার্যক্রম ও জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে অনুকূলিতভাবে ছুটি মঞ্জুর করবেন।

সিভিল সার্জন, বিভাগীয় পরিচালককে অবহিত করে কেবল ঈদের ছুটির সময়ে নিজ জেলার মধ্যে অতি প্রয়োজনীয় জনবল সমন্বয় করতে পারবেন।

জরুরি বিভাগে সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করার পাশাপাশি জরুরি বিভাগ ও লেবার রুম, ইমারজেন্সি ওটি সার্বক্ষণিক চালু রাখতে বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, আন্তঃবিভাগে ইউনিট প্রধানগণ প্রতিদিন তদারকি করবেন। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সমূহে জরুরি ল্যাব, এক্স-রে সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।

ছুটি শুরু হওয়ার আগেই ছুটিকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ, আই ডি ফ্লুয়িড কেমিক্যাল রি-এজেন্ট, সার্জিক্যাল সামগ্রী মজুদ ও তাৎক্ষণিকভাবে সরবরাহের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে স্টোর কিপার অথবা ছুটিকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টাফকে অবশ্যই নিজ জেলা ও উপজেলায় অবস্থান করতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।

ছুটিকালীন হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আগাম পত্র দিতে হবে।

প্রতিষ্ঠান প্রধান ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানদেরকে ছুটিকালীন সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং ঈদের দিন কুশল বিনিময় করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

প্রতিষ্ঠান প্রধান ছুটি নিলে অবশ্যই বিধি মোতাবেক কাউকে দায়িত্ব দিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে; একইসঙ্গে দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তির নাম ও মোবাইল নম্বর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।

এছাড়া, প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ঈদের দিন রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন তদারকি এবং রোগীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


স্বাস্থ্য অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন