ইনসাইড হেলথ

প্রতিটি জেলায় মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭:৫৮ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

দেশের প্রতিটি জেলায় ৩০-৫০ বেডের আলাদা করে মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। রোববার (১৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) অডিটরিয়াম হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দেশের মা ও শিশুদের জন্য আলাদা করে সেবা দেয়ার জন্য। দেশের কয়েক শ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইতোমধ্যে প্রসূতি মায়ের জন্য ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। খুব দ্রুতই দেশের প্রতিটি জেলায় ৩০-৫০ বেডের আলাদা করে মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। এটি করা গেলে দেশের মায়েদের প্রসবকালীন যে সমস্যা ও অর্থ ব্যয় হয় তা অনেকখানি কমে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা মাত্র সাড়ে ৩ বছর দেশের দায়িত্ব পরিচালনায় ছিলেন। এই অল্প সময়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, বিসিপিএস, বিএমআরসি প্রতিষ্ঠা, চিকিৎসকদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদাসহ স্বাস্থ্যখাতের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর সূচনা করে বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন আমাদেরকে এখন আর কী কী কাজ করতে হবে। শেখ হাসিনা রাজনীতি করেন দেশের মানুষের উন্নতির জন্য, দেশের মানুষের স্বস্তিতে থাকার জন্য।’

মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষদের প্রায় ৩২ রকমের ওষুধ বিনামূল্যে বিতরণ করছেন প্রধানমন্ত্রী। নতুন করে ৫টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৭টি মেডিক্যাল কলেজ, ২২টি চিকিৎসা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ হাসিনা। প্রতিটি জেলায় বেড সংখ্যা দ্বিগুন করেছেন। জেলা হাসপাতালগুলোতে অতি জরুরি ১০টি করে ডায়ালাইসিস সেন্টার করেছেন। উপজেলা হাসপাতালে বেড বৃদ্ধি করা হয়েছে। চিকিৎসাখাতে আগামীর সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ ক্যান্সার, কিডনী, লিভার-চিৎিসাখাতে মানুষ যাতে ঢাকায় না এসে নিজ বিভাগেই নিতে পারে সেজন্য দেশের ৮ বিভাগেই ৮টি অতি উন্নত ও আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন ১৫ তলা বিশিষ্ট ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ কাজ দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলেছে।’

শিশু দিবস উপলক্ষে শিশুশ্রম ও বাল্যবিয়ে বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের অনেক দোকানে, কল-কারখানায় শিশুদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শিশুদের বয়সে শিশুরা খেলাধূলা করবে, আনন্দ করবে। সেখানে শিশুদেরকে যেভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে তা অমানবিক। অন্যদিকে, বাল্যবিয়ে ঠেকাতে সরকার নানারকম প্রচারণা ও উদ্যোগ নিলেও বাল্যবিয়ে অহরহ ঘটছে।

‘বাল্যবিয়ে মানে একজন অপ্রাপ্ত বয়সের ছেলেমেয়ের বিয়ে। এই বয়সে বিয়ে হলে তারা যেখানে নিজেরাই শিশু থাকে, সেই শিশুদের মধ্যে আরেক শিশুর জন্ম হয়। এতে মা ও শিশুর মৃত্যুঝুকি অনেকখানি বেড়ে যায়। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীর বাংলাদেশে সুস্থ-সবল বুদ্ধিমান শিশু হতে হবে। সে পরিকল্পনা নিয়ে আমরা স্বাস্থ্যসেবার কাজ করছি। এখন শিশুশ্রম ও বাল্য বিয়ে সব জায়গাতেই বন্ধ করতে হবে।’


স্বাস্থ্যমন্ত্রী   জাহিদ মালেক   মা ও শিশু হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

দেশে আরও দ্বিগুণের বেশি নার্স প্রয়োজন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:৩৫ পিএম, ৩১ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

দেশে বর্তমানে যে পরিমাণ নার্স রয়েছে, তার চেয়ে আরও দ্বিগুণের বেশি প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আমরা গত দশ বছরে ৩৪ হাজার নিয়োগ দিয়েছি। পর্যায়ক্রমে চাহিদামতো আরও নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকালে রাজধানীর ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি, ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি ও বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের ২৭তম কমপ্রিহেনসিভ (লাইসেন্সিং) পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, একজন রোগীকে ডাক্তার শুধু দেখে যায়, আর নার্সরা সার্বক্ষণিক সেবা দেয়। স্বাস্থ্য সেবার জন্য নার্সদের ভূমিকা অনেক। আমরা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর স্পেশালাইজড নার্স তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছি। এতে করে নার্সিং সেবা অনেকদূর এগিয়ে যাবে। তবে নার্সদেরকে আরও আন্তরিকতার সাথে রোগীদের সেবা দিতে হবে।

বিদেশে বাংলাদেশি নার্সের চাহিদা অনেক জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, আমরাও চাই আমাদের নার্সরা বিভিন্ন দেশে সেবা দিয়ে বাংলাদেশের সম্মান বয়ে আনুক। এজন্য তাদেরকে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের আওতায় এনে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে ৮৫ হাজার নার্স কাজ করছে। এর মধ্যে ৪৫ হাজার সরকারি, আর বাকিরা বেসরকারি। দেশে নার্সদের ৩৫০টি ইনস্টিটিউটে ৩৪ হাজার সিট আছে।

চিকিৎসকদের ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সাধারণ সরকারি হাসপাতালগুলোতে দুইটার পরে কোনো ডাক্তার থাকে না। কিন্তু দুইটার পরেই হাসপাতালে রোগী বেশি থাকে। সেকারণে আমরা হাসপাতালগুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক চেম্বার কার্যক্রম শুরু করেছি। একজন চিকিৎসক বাইরে যে সময় দিত, সেটাই এখানে দিবে। এতে করে হাসপাতালে যেসব রোগী ভর্তি থাকে, তারাও সেবা নিতে পারবে।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধিভুক্ত দেশের সরকারি-বেসরকারি নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কোর্স সম্পন্নকারিদের ২৭তম কম্প্রিহেন্সিভ (লাইসেন্সিং) পরীক্ষা ৪টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর এতে অংশগ্রহণ করেছে ৩টি কোর্সের মোট ১১ হাজার ৯০৪ জন পরীক্ষার্থী।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

ডাক্তারদের সরকারি হাসপাতালে ‘প্রাইভেট চেম্বার’ চালু

প্রকাশ: ০৬:৫৪ পিএম, ৩০ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail ডাক্তারদের সরকারি হাসপাতালে ‘প্রাইভেট চেম্বার’ চালু।

দেশের সরকারি হাসপাতালে রোগীদের বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে ‘ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস’ কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে ডাক্তাররা সরকারি হাসপাতালে বসেই ব্যক্তিগত চেম্বারের মতো রোগী দেখতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিকেল ৩টায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে, ‌‘সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের বৈকালিক চেম্বার’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।  

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা ১২টি জেলায় এবং ৩৯টি উপজেলায় পাইলট প্রকল্পের আওতায় ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস শুরু করতে যাচ্ছি। এ সেবার মাধ্যমে দেশের জনগণ বিকেল ৩টার পরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চিকিৎসাসেবা পাবে। ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং কনসালটেন্ট তাদের নিজ হাসপাতালে বসে রোগী দেখবেন। রোগীর কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হলে সেগুলোও করা হবে।

উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা হাসপাতালের চিকিত্সক, সংসদ সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অনলাইনে যুক্ত থেকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন।  

উদ্বোধনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটো মিয়া প্রমুখ।

যেসব হাসপাতালে ইনস্টিটিউশনাল প্রাক্টিস শুরু হচ্ছে ঢাকা বিভাগের ১০ জেলায়। হাসপাতালগুলো হলো: মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল, রাজবাড়ী জেলা সদর হাসপাতাল, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

 ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

চট্টগ্রামের আট জেলায় প্রথম ধাপে এ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। হাসপাতালগুলো হলো: ফেনী জেলা সদর হাসপাতাল এবং ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল এবং পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতাল, নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং বান্দরবানের লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলার মধ্যে জামালপুর জেলা সদর হাসপাতাল এবং সরিষাবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, শেরপুরের নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

খুলনা বিভাগের চার জেলায় এ বৈকালিক সেবা চালু হচ্ছে। হাসপাতালগুলো হলো: ঝিনাইদহ জেলা সদর হাসপাতাল, যশোরের মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

রাজশাহী বিভাগের তিন জেলায় বৈকালিক সেবা চালু হচ্ছে। হাসপাতালগুলো হলো: নওগাঁ জেলা সদর হাসপাতাল এবং সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রাজশাহীর পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলায় এ সেবা চালু হচ্ছে। হাসপাতালগুলো হলো: ঠাকুরগাঁও জেলা সদর হাসপাতাল, কুড়িগ্রাম জেলা সদর হাসপাতাল, দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রংপুরের বদরগঞ্জ এবং গংগাচরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নীলফামারীর ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

বরিশাল বিভাগের তিন জেলায় এ সেবা চালু হচ্ছে। হাসপাতালগুলো হলো: ভোলা জেলা সদর হাসপাতাল এবং চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বরগুনার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বরিশালের আগৈলঝড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

সিলেট বিভাগের চার জেলায় এসেবা চালু হচ্ছে। হাসপাতালগুলো হলো: সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল এবং ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সিলেটের গোপালগঞ্জ এবং বিশ্বনাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।


ডাক্তার   সরকারি হাসপাতাল   প্রাইভেট চেম্বার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

হাসপাতালেই প্র্যাকটিসের সুবিধা পাবেন চিকিৎসকরা

প্রকাশ: ০৩:৩০ পিএম, ২৭ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

আগামী ৩০ মার্চ থেকে নিজ হাসপাতালে চিকিৎসকরা প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সোমবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘সরকারি চিকিৎসকদের বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে ১০টি জেলা হাসপাতালে এবং ২০ উপজেলা হাসপাতালে পাইলটিংভাবে এ কার্যক্রম শুরু হবে। বিকেল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত সেবা দেবেন চিকিৎসকরা।

তিনি বলেন, মার্চ থেকেই সরকারি চিকিৎসকদের ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস শুরু করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু এখন ৩০ মার্চ থেকে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস চালু করার চেষ্টা করছি। প্রথমে কয়েকটি জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে এ কার্যক্রম শুরু করবো।

তিনি বলেন, বিকেল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত সেখানে প্র্যাকটিস করতে পারবেন চিকিৎসকরা। এতে নার্স ও টেকনিশিয়ানরাও সপ্তাহে দুদিন করে কাজ করবেন। তারা যে সেবা দেবেন, তার বিনিময়ে তাদের সম্মানী নির্ধারণ করা হয়েছে। তার একটি অংশ পাবেন চিকিৎসকরা। ৫০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হবে। এর মধ্যে ৪০০ টাকা পাবেন অধ্যাপকরা। সরকারও একটি অংশ পাবেন।

এসময় মন্ত্রী বলেন, আমরা দুই-তিন মাস যাবৎ ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা ছিল, এ টার্মের শুরুতেই ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস শুরু করা হোক। কিন্তু ডেঙ্গু ও করোনার কারণে তা আমরা শুরু করতে পারিনি। কিন্তু এখন আমরা আস্তে আস্তে সব জেলা ও উপজেলায় শুরু করব।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

মারবার্গ ভাইরাস আক্রান্তদের অর্ধেকই মারা গেছেন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

প্রকাশ: ০৩:০৩ পিএম, ২৭ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় মারবার্গ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। তানজানিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

অত্যন্ত সংক্রামক এই ভাইরাসটি ইবোলার সমগোত্রীয়। এর লক্ষণগুলো হচ্ছে- জ্বর, পেশিতে ব্যথা, ডায়রিয়া, বমি এবং কখনও কখনও চরম রক্তক্ষরণ।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এই ভাইরাসের সংক্রমিত রোগীদের অর্ধেকেরই মৃত্যু হয়েছে।

ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় ১৯৬৭ সালে। জার্মানির মারবার্গ, ফ্রাঙ্কফুর্টে এবং সার্বিয়ার বেলগ্রেডে একসাথে ছড়িয়েছিল ওই ভাইরাস। প্রথমে ৩১ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় এবং সাতজনের মৃত্যু হয়।

উগান্ডা থেকে আমদানি করা আফ্রিকান সবুজ বানর ভাইরাসটির জীবাণু বহন করছিল। তবে ভাইরাসটি তখন থেকে অন্যান্য প্রাণীর সাথে যুক্ত হয়েছে। শূকর ও বাদুড়ও ভাইরাসটি বহন করে। 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

রোজায় গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন

প্রকাশ: ০১:৫২ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

রমজান মহান আল্লাহর রহমত এবং তার সান্নিধ্য লাভের সুবর্ণ সুযোগসংবলিত একটি মাস। এবারও রমজান আসছে গরমের দিনে। এসময় প্রায় ১৫ ঘণ্টা অভুক্ত থাকতে হবে সবাইকে। তাই এসময় খাবারে একটু বাড়তি নজর দিতে হবে। বিশেষ করে ইফতারিতে এমন কিছু খাওয়া যাবে না যাতে, পেটে গ্যাস, বদহজম ও নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। রোজায় সুস্থ থাকতে তাই বাকি ৯ ঘণ্টা পরিকল্পিতভাবে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে।

ইফতারিতে ভাজাপোড়া খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। দীর্ঘসময় অভুক্ত থেকে ইফতারিতে তেল ও মশলা জাতীয় খাবার খাওয়ায় অনেকেই গ্যাস্ট্রিকে ভোগেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক, কী কী নিয়ম মেনে চললে গ্যাস্ট্রিকমুক্তভাবে রোজা পালন করা যাবে:

গ্যাস্ট্রিকের উপসর্গ:

১. পেটের ওপরের অংশে ব্যথা হবে।

২. বুক জ্বালাপোড়া করবে।

৩. খাবারের আগে পরে পেট ব্যথা হতে পারে।

৪. খাবারের সময় বুকে বাঁধ পড়ার মতো অনুভব হবে।

৫. ঢেকুর আসবে।

৬. বমি বমি ভাব থাকবে এবং খাবারের চাহিদা কমে যাবে।

৭. অল্প খাবারেই পেট ভরে গেছে মনে হবে।

রোজায় গ্যাস্ট্রক নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী কী বর্জন করতে হবে:
 
১. অতিরিক্ত মশলাযুক্ত ও তৈলাক্ত খাবার খাবেন না।

২. ইফতারের শুরুতেই লেবু পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন।

৩. ইফতারের পর পরই চা, কফি কিংবা কোনো ধরনের ফাস্টফুড জাতীয় খাবার একদমই খাবেন না।

৪. কেক, পেস্ট্রি, পাউরুটি পেটে গ্যাস তৈরি করে। তাই ইফতারির তালিকা থেকে এসব খাবার বাদ দিন বা পরিমাণে খুব কম রাখুন।

৫. একসঙ্গে অনেক পানি পান না করে কিছুক্ষণ পর পর অল্প অল্প করে পানি পান করুন।

৬. পায়খানা আটকে রাখবেন না।
 
গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে ইফতারিতে যা খেতে পারেন:
 
১. ইফতারের আয়োজনে তাজা ফল যেমন– বাঙ্গি, পেঁপে, আখ ইত্যাদির রস পান করা ভালো।

২. তাজা ফলের রসের বিকল্প হতে পারে ইসবগুলের ভুষি অথবা তোকমার দানা মিশ্রিত শরবত।

৩. কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন যারা তাদের জন্য পাকা পেঁপে দারুণ উপকারি।

৪. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন, তবে একটু একটু করে।

৫. হজমশক্তি ভালো রাখতে শসার সালাদ হতে পারে গ্যাস্ট্রিক রোগীর জন্য মহৌষধ।

৬. মাগরিবের আজানের পর দুই থেকে তিনটি খেজুর খেয়ে পানি পান করে নামাজ পড়ে নিতে পারেন। এতে খাবারে কিছুক্ষণ বিরতি পড়বে। নামাজের পর অন্যান্য খাবার গ্রহণ করলে পেট ফাঁপা কিংবা অস্থির লাগা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

৭. ইফতারির আয়োজনে একদিন নুডুলসের (কম তেলে রান্না) সঙ্গে সালাদ, কোনোদিন পায়েস (চিনি কম), কোনোদিন স্যুপ খাওয়া যেতে পারে।

রোজা   গ্যাস্ট্রিক   খাবার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন