১৭ মে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য, ‘সঠিকভাবে রক্তচাপ মাপুন, নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং দীর্ঘজীবী হোন’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ হিসাব বলছে, বিশ্বে আনুমানিক ১২৮ কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। অপরিণত বয়সে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ উচ্চ রক্তচাপ।
এদিকে উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে দেশে চার কোটির বেশি মানুষ। অথচ এসব মানুষের ৫৯ শতাংশ জানেই না ঝুঁকিপূর্ণ এই রোগে ভুগছেন তারা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, ওষুধ খাওয়ার পরও ৮৮ শতাংশ রোগীর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নেই।
গতকাল মঙ্গলবার (১৫ মে) বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজে আয়োজিত এক সেমিনারে দেশের মানুষের উচ্চ রক্তচাপ পরিস্থিতির এসব কথা বলা হয়। বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ভবনে পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বেসরকারি সংগঠন প্রজ্ঞা।
মেডিসিন সোসাইটি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ খান আবুল কালাম আজাদ। অনুষ্ঠানের পর ওষুধ বিশেষজ্ঞ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ হৃদ্যন্ত্র, কিডনি, মস্তিষ্ক ও চোখের ক্ষতি করে। নিয়ন্ত্রণহীন উচ্চ রক্তচাপ হঠাৎ মৃত্যু ডেকে আনতে পারে।’
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলছেন, উচ্চ রক্তচাপে ভোগা অনেকেই এই রোগের উপসর্গ বুঝতে বা অনুভব করতে পারে না। অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা, শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় থাকা, অতিরিক্ত লবণ খাওয়া এবং বেশি পরিমাণে মদ্যপান—এসব উচ্চ রক্তচাপের কারণ। কিছু ক্ষেত্রে জিনগত কারণও উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী।1
বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত সেমিনারে পাঁচ বছর আগের বাংলাদেশে জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপের তথ্যে বলা হয়েছে, দেশের জনসংখ্যার ২৭ শতাংশ বা চার কোটির বেশি মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। তাদের ৫৯ শতাংশ জানেই না তারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। আবার এই রোগে ভুগলেও ওষুধ সেবন করে মাত্র ৩৬ শতাংশ। অন্যদিকে ওষুধ সেবন করার পরও ৮৮ শতাংশ মানুষের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নেই।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলছেন, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের অনেকে নিয়মিত ওষুধ সেবন করে না, চিকিৎসক বা ওষুধ বিক্রেতা অনেক ক্ষেত্রে ওষুধ সেবনের নিয়ম রোগীকে বুঝিয়ে বলেন না, কিছু ক্ষেত্রে ওষুধের মান ঠিক থাকে না—এসব কারণে ওষুধ সেবনের পরও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে না। অনেক ক্ষেত্রেই রক্তচাপ সঠিকভাবে মাপা হয় না। অনেক স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসক ঠিকভাবে রক্তচাপ পরীক্ষা করেন না বা মাপেন না। ঢাকা মেডিকেল কলেজের গতকালের সেমিনারেও এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। গত জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নিয়মিত মাসিক কেন্দ্রীয় সেমিনারেও একই কথা বলা হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলছেন, রক্তচাপ পরিমাপের ৩০ মিনিট আগে ক্যাফেইন-জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়। রক্তচাপ পরিমাপের সময় দুই পা আড়াআড়ি (ক্রস) রাখা যাবে না, হাত রাখতে হয় নির্দিষ্ট উচ্চতায়, অস্বস্তির মধ্যে বা বাহুর ওপর কাপড় থাকলে রক্তচাপ মাপতে নেই, আবার মাপার সময় কথা বলতে নেই। অন্যদিকে যন্ত্র রাখতে হয়ে ঠিকভাবে।
বিএসএমএমইউর হৃদ্রোগ বিভাগের শিক্ষক ও বাংলাদেশ কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এস এম মোস্তফা জামান বলেন, সাধারণ কিছু ভুলের কারণে উচ্চ রক্তচাপে ভোগা বহু মানুষের সঠিকভাবে রক্তচাপ পরিমাপ হচ্ছে না। এই কারণে ২০ থেকে ৪৫ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগ ব্যবস্থাপনার সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনতে হয়। অন্যদিকে ঠিকভাবে রক্তচাপ পরিমাপ হচ্ছে না বলে দেশে হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে।
১৭ মে উচ্চ রক্তচাপ দিবস ভুগছেন দেশের চার কোটির বেশি মানুষ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৮০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৩ জন ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭ জন। তবে এসময়ে ডেঙ্গুতে কারো মৃত্যু হয়নি।
শনিবার (২৭ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২০২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১৭৬ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ২৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭০৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ১১৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫৮৫ জন।
অন্যদিকে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৪৮৯ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৯৩৩ ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে ৫৫৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হাসপাতাল ভর্তি
মন্তব্য করুন
ডেঙ্গু মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বুধবার (২৪ মে) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে জাতিসংঘের প্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আবারও ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়েছে, এ নিয়ে আপনাদের পদক্ষেপ কী-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গত বছর ৫০ লাখ লোকের দেশ সিঙ্গাপুরে ডেঙ্গুর প্রকোপ আমাদের চেয়েও বেশি ছিল। মালয়েশিয়ায় আক্রান্ত ছিল আড়াই লাখের মতো, ফিলিপাইনে এই সংখ্যাটা প্রায় তিন লাখের কাছাকাছি। দুঃখজনকভাবে আমাদের অনেক লোক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় আমাদের অবস্থা অনেক ভালো।’
বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে অনেক লোক মারা যাচ্ছে, ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে জনসচেতনতা বাড়ানো হয়েছে।’
জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘তারা মনে করেন খুবই অল্পসময়ে অনেক অর্জন আছে বাংলাদেশের। এসব অর্জন কীভাবে সম্ভব হয়েছে, তার কারণ কী; তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তাদের ধারণা, বাংলাদেশের এই উন্নতি যদি সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করা যায়, তাহলে সেই পথনকশা বিশ্বের অন্য দরিদ্র দেশগুলোতে তারা ব্যবহার করতে পারবেন।’
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান মো. তাজুল ইসলাম। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা বলতে চান, জাতিসংঘ ও অন্যান্য দেশগুলো সবাই মিলে চেষ্টা করছে যাতে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়।’
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তারা বাংলাদেশকে কী ধরনের সহযোগিতা দেবে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আইনগত সহায়তা ও মিয়ানমারের নাগরিকদের তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া সহজ করতে আলোচনা তারা করছে।’
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ডেঙ্গু
মন্তব্য করুন
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৬ জন ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪ জন। সোমবার (২২ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ সময়ে ডেঙ্গুতে কারো মৃত্যু হয়নি। চলতি বছর ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১৪৮ জন ডেঙ্গি রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১২২ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ২৬ জন ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৪৮৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৯৩০ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫৫৭ জন।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হাসপাতাল ভর্তি
মন্তব্য করুন
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে ৩৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২ জন ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১ জন। এ সময়ে ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২১ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১৫১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১২৫ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ২৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১৪৪৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৮৯৪ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫৫৩ জন।
অন্যদিকে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২৮৩ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৫৯ ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে ৫২৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মন্তব্য করুন
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৬ জন ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪ জন। সোমবার (২২ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।