ইনসাইড হেলথ

দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৮০০ ছাড়াল

প্রকাশ: ০৯:২৩ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৮০০ ছাড়াল।

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর দেশে ডেঙ্গুতে ৮০৪ জনের মৃত্যু হলো। আর চলতি সেপ্টেম্বর মাসে এখন পর্যন্ত এডিস মশাবাহিত এ রোগে মৃত্যু হলো ২১১ জনের।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শুক্রবার সকাল আটটা থেকে আজ শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে ঢাকায় পাঁচজন ও ঢাকার বাইরে নয়জন মারা গেছেন। এ সময় ডেঙ্গু নিয়ে ২ হাজার ৫৯৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৮৮১ জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোয় ১ হাজার ৭১৭ নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ লাখ ৬৪ হাজার ৫৬২ জন। তাঁদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৭২ হাজার ৩৮৪ ও ঢাকার বাইরে ৯২ হাজার ১৭৮ জন রয়েছেন।

এর আগে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছিল গত বছর—২৮১ জন। এ ছাড়া ডেঙ্গুতে ২০১৯ সালে মৃত্যু হয়েছিল ১৭৯ জনের। ২০২০ সালে ৭ জন এবং ২০২১ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয় ১০৫ জনের।


ডেঙ্গু   মৃত্যু   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

সবার জন্য চালু হচ্ছে ‘স্বাস্থ্য কার্ড’ সেবা

প্রকাশ: ০৯:১২ এএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত সব তথ্য ডিজিটাল ডেটাবেইজে সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে প্রত্যেক রোগীর জন্য ডিজিটাল কার্ড বা ‘স্বাস্থ্য কার্ড’ সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই এক কার্ডেই রোগীর বিস্তারিত সব তথ্য পাবেন চিকিৎসকরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, স্বাস্থ্য কার্ডের জন্য একটি বিশেষ ওয়েবসাইট চালু করা হবে। সেই ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে নিবন্ধন করলেই স্বাস্থ্য কার্ড পাওয়া যাবে।

যারা অনলাইনে নিজে নিবন্ধন করতে পারবেন না, তারা অনুমোদিত সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নিবন্ধন করতে পারবেন। এজন্য জাতীয় পরিচয়পত্র বা ১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য জন্ম নিবন্ধনের অনুলিপি নিয়ে হাসপাতালে যেতে হবে। হাসপাতালে স্বাস্থ্য কার্ড তৈরি করে দেওয়ার জন্য নির্ধারিত কাউন্টার থাকবে। সেখান থেকে এই কার্ড বিনামূল্যে করে দেওয়া হবে। কার্ড চালু হলে রোগীকে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়াটা সহজ হবে।

শুরুর দিকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর এবং মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় পাইলট প্রকল্পের আওতায় দেওয়া হবে এই স্বাস্থ্য কার্ড। এরপর দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের কার্ড দেওয়া হবে। সরকারি হাসপাতালের পর এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হবে অনুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোও।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল ইনফরমেশন সার্ভিসেস (এমআইএস) বাস্তবায়ন করছে এই প্রকল্প।

এমআইএসের পরিচালক অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, একজন ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জন্ম নিবন্ধন কার্ডের সঙ্গে মিল রেখে স্বাস্থ্য কার্ড করা হবে। প্রতিটি স্বাস্থ্য কার্ডের ওপর ভিত্তি করে ওই ব্যক্তির হেলথ প্রোফাইল তৈরি হবে, যাতে ওই ব্যক্তির চিকিৎসা সংক্রান্ত সব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাইছি সবার যেন একটা ইউনিক হেলথ আইডি হয়। একজন রোগী যখন এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে যাবে, তখন এই কার্ড দেখে চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা দিতে পারবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাগজপত্র, পুরনো প্রেসক্রিপশন বহন করতে হবে না। সব তথ্যই সেখানে সংরক্ষিত থাকবে।

এই প্রকল্প বাস্তবায়নে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের জন্য নির্বাচন কমিশন এবং জন্ম নিবন্ধনের জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চুক্তি হয়েছে বলে জানান শাহাদাত হোসেন।

তিনি বলেন, এটুইআইয়ের মাধ্যমে তারা আমাদের এসব তথ্য দিচ্ছেন। অফিসিয়াল কাজকর্ম মোটামুটি শেষ পর্যায়ে। আমরা দেখতে চাচ্ছি, আমাদের সিস্টেমগুলো সব কাজ করছে কি না, সেটা দেখার জন্য পরীক্ষামূলকভাবে এটা করা হয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের পর আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্পের পাইলটিং করব।

অধ্যাপক শাহাদাত আরও বলেন, সরকারি-বেসরকারি সব রোগ নির্ণয় কেন্দ্র এবং গবেষণাগারের সঙ্গে স্বাস্থ্য কার্ডধারীর তথ্য সমন্বয় করা হবে। সেখানে নমুনা পরীক্ষার পর রোগ নির্ণয় সংক্রান্ত তথ্যগুলো সংরক্ষিত থাকবে। এতে যে কোনো সময় রোগীর এসব তথ্য দেখা যাবে। কোনো ফাইল মেনটেইন করতে হবে না, ইমেজিংও সংরক্ষিত থাকবে। কোনো রোগী হাসপাতালে গিয়ে এই কার্ড দেখালেই প্রাথমিকভাবে এই রোগীর রোগ সংক্রান্ত তথ্য পেয়ে যাবে।

 


স্বাস্থ্য কার্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

ডেঙ্গুতে আরও দুই মৃত্যু, নতুন রোগী ৬৮২

প্রকাশ: ০৭:২৮ পিএম, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৩৪ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৮২ জন। অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন দুই হাজার ৬৮৯ জন ডেঙ্গুরোগী।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৬৮২ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১৩৫ জন। এছাড়া ঢাকার বাইরের ৫৪৭ জন। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ১ জন ও ঢাকার বাহিরে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯৬১ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২০১ জন এবং ঢাকার বাইরের ৭৬০ জন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট তিন লাখ ১৪ হাজার ৩৮৮ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৮ হাজার ৪০৪ জন, আর ঢাকার বাইরের দুই লাখ ছয় হাজার ৯৮৪ জন।





ডেঙ্গু   মৃত   স্বাস্থ্য অধিদপ্তর   হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

বিনামূল্যেই মিলছে ব্যয়বহুল ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সারের চিকিৎসা

প্রকাশ: ০৯:৩৯ এএম, ২৬ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

যে কোনো ক্যান্সারই শরীরের জন্য অনেক মারাত্মক একটি রোগ। সেগুলোর মধ্যে ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সার বা গলায় ক্যান্সারও অন্যতম। এটি হচ্ছে— এক ধরনের টিউমার জাতীয় রোগ।

এই ক্যান্সার গলার কোষ থেকে শুরু হয়ে থাকে। আর মারাত্মক এ রোগটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে মদ ও ধূমপান করার কারণে। এই ক্যান্সারে আক্রান্তদের অনেকেই একটা সময় তাদের ভয়েস বক্স হারিয়ে ফেলেন।

এতদিন ভয়ংকর এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য বিদেশের হাসপাতালগুলোই ছিল চিকিৎসার পরিচিত গন্তব্য। তবে আশার কথা হল, বর্তমানে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে একদমই বিনামূল্যে মিলছে এই রোগের চিকিৎসা।

বেশিরভাগ ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সার ফুসফুসেও ছড়িয়ে পড়ে। ছোট টিউমার যা লিম্ফ নোডে ছড়িয়ে পড়েনি তা হল সবচেয়ে কম গুরুতর ধরনের ক্যান্সার। যেখানে, একবার টিউমারগুলি লিম্ফ নোডগুলিতে পৌঁছালে, ক্যান্সার একটি উন্নত পর্যায়ে চলে যায়। ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সারের চিকিৎসা নির্ণয়ের পর্যায়ের পাশাপাশি টিউমারের আকারের উপর নির্ভর করে। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার ধরা পড়লে ডাক্তার রেডিয়েশন থেরাপি বা অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন।

ভারতে এই রোগের অস্ত্রোপচারসহ সুস্থ হয়ে দেশে ফিরতে খরচ পরে যায় ১৫ লাখ রূপি। যার ব্যয় বহন করা অনেকের ক্ষেত্রেই প্রায় অসম্ভব। ভারত ছাড়া এই চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশীদের আরেক গন্তব্য সিঙ্গাপুর। কিন্তু সেখানে খরচাটা আরও বেশি। সফল অস্ত্রোপচার শেষে নিরাময় পেতে রোগীদের ব্যয় করতে হয় ৩০ লাখ টাকারও বেশি।

বাংলাদেশে এই রোগের চিকিৎসা নিয়ে এখন অনেকেই সম্পূর্ণ সুস্থ জীবনবযাপন করছেন। জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সারের চিকিৎসা সেবা নিয়ে সুস্থ হওয়া একজন বলেন, আমার ক্যান্সার এখন নির্মূল হয়ে গেছে। কেমোথেরপি বা অন্যান্য থেরাপিরও প্রয়োজন পড়ে নাই। তবে গলায় হাত দিয়ে কথা বলতে হয় এজন্য কিছুটা অসুবিধা হয়।

জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সারের চিকিৎসা রোগীদের জন্য স্বস্তিকর তো বটেই, বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার আধুনিকায়নেও নতুন একটি মাত্রা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।  


ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সার   জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

সরকারি তিন মেডিকেল কলেজে নতুন পরিচালক নিয়োগ

প্রকাশ: ১১:২৩ এএম, ১৬ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দেশের সরকারি তিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। কলেজ তিনটি হলো- শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। বুধবার (১৫ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের

দেশের সরকারি তিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। কলেজ তিনটি হলো- শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের 

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পারসোনেল-২ শাখার উপ-সচিব কমল কুমার সাহা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, স্বাস্থ্যের ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমানকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী আইএইচটির অধ্যক্ষ ডা. তরন মন্ডলকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এবং মাগুরা ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।

বদলি ও পদায়নকৃত কর্মকর্তাদের প্রজ্ঞাপন জারির পর ৫ কর্মদিবসের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় ৬ষ্ঠ কর্মদিবস থেকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত হিসেবে গণ্য হবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।


সরকারি   মেডিকেল   কলেজ   পরিচালক   নিয়োগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

বিশ্বের ২৪ কোটি মানুষ জানেন না, তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

সারাবিশ্বে ডায়াবেটিস বর্তমানে একটি মহামারি রোগ হিসেবে চিহ্নিত এবং এই রোগ সারা জীবনের রোগ। নিয়ন্ত্রণে থাকলে স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায় কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের জটিলতা অনেক। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ডায়াবেটিসকে মৃত্যুর চতুর্থ প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। সুতরাং প্রতিদিন যেমন ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি বাড়ছে ডায়াবেটিক রোগীদের নানা ধরনের জটিলতা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশনের তথ্য অনুযায়ী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ২৪ কোটি মানুষ জানেন না, তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।

আজ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। এ বছর এই দিবসটির স্লোগান হচ্ছে— ‘Know your risk, Know your response.’ বাংলায় ভাবানুবাদ করা হয়েছে, ‘ডায়াবেটিসের ঝুঁকি জানুন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।’ এ প্রতিপাদ্য থেকে এটা স্পষ্ট যে, আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) এবার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে এ বিষয়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশনের সম্প্রতিক তথ্যমতে, পৃথিবীতে প্রতি ১০ সেকেন্ডে একজন ডায়াবেটিস রোগীর মৃত্যু হয় এবং দুই জন নতুন ডায়াবেটিস রোগী শনাক্ত হয়!

১৯৯১ সালে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশন (আইডিএফ) ১৪ নভেম্বর তারিখটিকে ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। ২০০৭ সাল থেকে পৃথিবীজুড়ে দিবসটি পালন শুরু হয়। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির অনুরোধে বাংলাদেশ সরকার ১৪ নভেম্বর ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ পালনের জন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব করে। ২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর জাতিসংঘে এ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটি জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে প্রায় ১ কোটি ৩১ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন এবং সারা বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। আগামী চার বছরে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সে হিসেবে দেশের চারটি অসংক্রামক রোগের মধ্যে অন্যতম এই ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ২০২৫ সালের মধ্যে দেড় কোটি ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। 


আইডিএফ ডায়াবেটিস এটলাস ডায়াবেটিসের বৈশ্বিক প্রভাব সম্পর্কে সর্বশেষ যে পরিসংখ্যান এবং তথ্য দিয়েছে তাতে দেখা যায়, ২০২১ সালে ৫৩.৭ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। ২০৩০ সালের মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৬৪.৩ কোটিতে এবং ২০৪৫ সালে ৭৮.৩ কোটিতে পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ২৪ কোটি মানুষ জানেন না, তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তাদের অধিকাংশই টাইপ-২ ডায়াবেটিস আক্রান্ত। ১২ লাখেরও বেশি শিশু ও কিশোর (০-১৯ বছর) টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ২০২১ সালে বিশ্বের ৬৭ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসের কারণে মৃত্যুবরণ করেন। ২০২১ সালে ৯৬৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয় ডায়াবেটিসের কারণে, যা বৈশ্বিক স্বাস্থ্য খাতে মোট ব্যয়ের ৯ শতাংশ।

ইব্রাহিম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক অরুপ রতন চৌধুরী বলেন, ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে : কায়িক পরিশ্রম না করা, মোটা বা স্থূলকায় হয়ে যাওয়া, অতিমাত্রায় ফাস্টফুড খাওয়া ও কোমল পানীয় (সফট ড্রিংকস) পান করা, অতিরিক্ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকা, ধূমপান করা ও তামাক (জর্দা, গুল, খৈনী, সাদাপাতা) খাওয়া, গর্ভকালীন বিভিন্ন সমস্যা, যাদের বাবা-মা অথবা রক্ত সম্পর্কীয় নিকটাত্মীয়ের ডায়াবেটিস আছে এবং যাদের বয়স ৪৫ বছরের বেশি তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কাজেই ডায়াবেটিস সম্বন্ধে তাদের অধিকতর সতর্ক থাকা দরকার।


ডায়াবেটিস   মহামারি রোগ   বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন