দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের ৮৭ শতাংশই সবচেয়ে বিপজ্জনক ডেন-২ জিনগত ধরন দ্বারা আক্রান্ত। এছাড়াও বাকি ১৩ শতাংশ শিশু ডেন-৩ ধরন দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের এক গবেষণায় উঠে এসেছে এ তথ্য।
শনিবার
(১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় রাজধানীর
আগারগাঁও শিশু হাসপাতাল অডিটোরিয়ামে
এক অনুষ্ঠানে এ গবেষণা প্রতিবেদন
তুলে ধরেন হাসপাতালটির পরিচালক
ও গবেষণার প্রধান গবেষক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর
আলম।
চলতি
বছরের জুন থেকে আগস্ট
পর্যন্ত বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও
ইনস্টিটিউটে ডেঙ্গু আক্রান্ত এক হাজার ৩৯
জন ভর্তি শিশু রোগীর মধ্যে
৭২২ জনকে রোগতাত্ত্বিক গবেষণার
জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ডেঙ্গু
ভাইরাসের সেরোটাইপ নির্ধারণে এবং অন্যান্য ভাইরাসের
উপস্থিতি শনাক্তকরণে ওই ৭২২ জন
শিশু রোগী থেকে ১০৪
জন রোগীর রক্ত ও ন্যাজোফ্রানজিয়াল
সোয়াব সংগ্রহ করে আইসিডিডিআর,বির
পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়।
এছাড়া
ডেঙ্গুর উপসর্গ ছিল কিন্তু এনএস-১ অথবা আইজিএম
পরীক্ষায় ডেঙ্গুর উপস্থিতি শনাক্তকরণ সম্ভব হয়নি এমন ৫০ জন
ভর্তি রোগীর রক্ত ও ন্যাজোফ্রানজিয়াল
সোয়াবও সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা
হয়।
গবেষণায়
দেখা গেছে, এনএস-১ এবং
আইজিএম নেগেটিভ ৫০টি নমুনার মধ্যে
আরটি পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে ১৭টি (৩৪ শতাংশ) ফলস
নেগেটিভ পাওয়া যায় ও ডেঙ্গু
নেগেটিভ রোগীর মধ্যে ১৯ শতাংশ রোগী
এবং ডেঙ্গু পজেটিভ রোগীর মধ্যে ১২ শতাংশ রোগী
অন্যান্য ভাইরাসের সংক্রমণে (ইনফ্লুয়েঞ্জা ও রেসপাইরেটরি সিনসাইটাল
ভাইরাস) আক্রান্ত ছিল।
জিনোম
সিকোয়েন্স পরীক্ষায় ১১৩টি ডেঙ্গু পজেটিভ নমুনায় ৮৭ শতাংশ ডেন-২ এবং ১৩
শতাংশের ডেন-৩ ধরনের
উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যে শিশুদের ভেতর
৮৭ শতাংশ ডেন-২ ধরনের
উপস্থিতি দেখা গেছে, তার
জিনগত বৈশিষ্ট্য ২০১৮ সালের ডেন-২ এর জিনগত
বৈশিষ্ট্যের কাছাকাছি। এমনকি যে ১৩ শতাংশের
ডেন-৩ ধরনের উপস্থিতি
পাওয়া গেছে, তার জিনগত বৈশিষ্ট্য
২০১৭ সালের ডেন-৩ এর
জিনগত বৈশিষ্ট্যের কাছাকাছি।
প্রধান
গবেষক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর
আলম বলেন, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের পরিচালক
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এখন
পর্যন্ত সবচেয়ে বিপজ্জনক ডেন-২ ধরন।
বাচ্চাদের মাঝে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা
বাড়ছে, ধরন পালটাচ্ছে।
তিনি
আরও জানান, গবেষণার অংশ হিসেবে পূর্ণাঙ্গ
সিকোয়েন্সিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে।
ফলাফল হাতে পেলে আরও
বেশি তথ্য উপস্থাপন করা
যাবে।
আইইডিসিআরের
পরিচালক তাহমিনা শিরিন বলেন, ঢাকার বাইরে নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই বাচ্চাদের জ্বর
হলে হালকাভাবে নেয়া যাবে না। চিকিৎসকের
পরামর্শ নিতে হবে।
মন্তব্য করুন
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৩৪ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৮২ জন। অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন দুই হাজার ৬৮৯ জন ডেঙ্গুরোগী।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৬৮২ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১৩৫ জন। এছাড়া ঢাকার বাইরের ৫৪৭ জন। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ১ জন ও ঢাকার বাহিরে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯৬১ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২০১ জন এবং ঢাকার বাইরের ৭৬০ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট তিন লাখ ১৪ হাজার ৩৮৮ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৮ হাজার ৪০৪ জন, আর ঢাকার বাইরের দুই লাখ ছয় হাজার ৯৮৪ জন।
ডেঙ্গু মৃত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হাসপাতাল
মন্তব্য করুন
যে কোনো ক্যান্সারই
শরীরের জন্য অনেক মারাত্মক একটি রোগ। সেগুলোর মধ্যে ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সার বা গলায়
ক্যান্সারও অন্যতম। এটি হচ্ছে— এক ধরনের টিউমার জাতীয় রোগ।
এই ক্যান্সার
গলার কোষ থেকে শুরু হয়ে থাকে। আর মারাত্মক এ রোগটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে মদ
ও ধূমপান করার কারণে। এই ক্যান্সারে আক্রান্তদের অনেকেই একটা সময় তাদের ভয়েস বক্স হারিয়ে
ফেলেন।
এতদিন ভয়ংকর
এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য বিদেশের হাসপাতালগুলোই ছিল চিকিৎসার পরিচিত গন্তব্য।
তবে আশার কথা হল, বর্তমানে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে একদমই বিনামূল্যে
মিলছে এই রোগের চিকিৎসা।
বেশিরভাগ ল্যারিঞ্জিয়াল
ক্যান্সার ফুসফুসেও ছড়িয়ে পড়ে। ছোট টিউমার যা লিম্ফ নোডে ছড়িয়ে পড়েনি তা হল সবচেয়ে
কম গুরুতর ধরনের ক্যান্সার। যেখানে, একবার টিউমারগুলি লিম্ফ নোডগুলিতে পৌঁছালে, ক্যান্সার
একটি উন্নত পর্যায়ে চলে যায়। ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সারের চিকিৎসা নির্ণয়ের পর্যায়ের
পাশাপাশি টিউমারের আকারের উপর নির্ভর করে। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার ধরা পড়লে ডাক্তার
রেডিয়েশন থেরাপি বা অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন।
ভারতে এই রোগের
অস্ত্রোপচারসহ সুস্থ হয়ে দেশে ফিরতে খরচ পরে যায় ১৫ লাখ রূপি। যার ব্যয় বহন করা অনেকের
ক্ষেত্রেই প্রায় অসম্ভব। ভারত ছাড়া এই চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশীদের আরেক গন্তব্য সিঙ্গাপুর।
কিন্তু সেখানে খরচাটা আরও বেশি। সফল অস্ত্রোপচার শেষে নিরাময় পেতে রোগীদের ব্যয় করতে
হয় ৩০ লাখ টাকারও বেশি।
বাংলাদেশে এই
রোগের চিকিৎসা নিয়ে এখন অনেকেই সম্পূর্ণ সুস্থ জীবনবযাপন করছেন। জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা
ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সারের চিকিৎসা সেবা নিয়ে সুস্থ হওয়া একজন
বলেন, আমার ক্যান্সার এখন নির্মূল হয়ে গেছে। কেমোথেরপি বা অন্যান্য থেরাপিরও প্রয়োজন
পড়ে নাই। তবে গলায় হাত দিয়ে কথা বলতে হয় এজন্য কিছুটা অসুবিধা হয়।
জাতীয় ক্যান্সার
গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সারের চিকিৎসা রোগীদের জন্য স্বস্তিকর
তো বটেই, বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার আধুনিকায়নেও নতুন একটি মাত্রা বলে মনে করছেন
সংশ্লিষ্টরা।
ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সার জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
মন্তব্য করুন
দেশের সরকারি তিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। কলেজ তিনটি হলো- শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের
দেশের সরকারি তিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। কলেজ তিনটি হলো- শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পারসোনেল-২ শাখার উপ-সচিব কমল কুমার সাহা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, স্বাস্থ্যের ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমানকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী আইএইচটির অধ্যক্ষ ডা. তরন মন্ডলকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এবং মাগুরা ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
বদলি ও পদায়নকৃত কর্মকর্তাদের প্রজ্ঞাপন জারির পর ৫ কর্মদিবসের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় ৬ষ্ঠ কর্মদিবস থেকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত হিসেবে গণ্য হবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সরকারি মেডিকেল কলেজ পরিচালক নিয়োগ
মন্তব্য করুন
সারাবিশ্বে ডায়াবেটিস বর্তমানে একটি মহামারি রোগ হিসেবে চিহ্নিত এবং এই রোগ সারা জীবনের রোগ। নিয়ন্ত্রণে থাকলে স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায় কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের জটিলতা অনেক। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ডায়াবেটিসকে মৃত্যুর চতুর্থ প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। সুতরাং প্রতিদিন যেমন ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি বাড়ছে ডায়াবেটিক রোগীদের নানা ধরনের জটিলতা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশনের তথ্য অনুযায়ী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ২৪ কোটি মানুষ জানেন না, তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।
আজ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। এ বছর এই দিবসটির স্লোগান হচ্ছে— ‘Know your risk, Know your response.’ বাংলায় ভাবানুবাদ করা হয়েছে, ‘ডায়াবেটিসের ঝুঁকি জানুন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।’ এ প্রতিপাদ্য থেকে এটা স্পষ্ট যে, আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) এবার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে এ বিষয়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশনের সম্প্রতিক তথ্যমতে, পৃথিবীতে প্রতি ১০ সেকেন্ডে একজন ডায়াবেটিস রোগীর মৃত্যু হয় এবং দুই জন নতুন ডায়াবেটিস রোগী শনাক্ত হয়!
১৯৯১ সালে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশন (আইডিএফ) ১৪ নভেম্বর তারিখটিকে ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। ২০০৭ সাল থেকে পৃথিবীজুড়ে দিবসটি পালন শুরু হয়। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির অনুরোধে বাংলাদেশ সরকার ১৪ নভেম্বর ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ পালনের জন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব করে। ২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর জাতিসংঘে এ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটি জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে প্রায় ১ কোটি ৩১ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন এবং সারা বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। আগামী চার বছরে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সে হিসেবে দেশের চারটি অসংক্রামক রোগের মধ্যে অন্যতম এই ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ২০২৫ সালের মধ্যে দেড় কোটি ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
আইডিএফ ডায়াবেটিস এটলাস ডায়াবেটিসের বৈশ্বিক প্রভাব সম্পর্কে সর্বশেষ যে পরিসংখ্যান এবং তথ্য দিয়েছে তাতে দেখা যায়, ২০২১ সালে ৫৩.৭ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। ২০৩০ সালের মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৬৪.৩ কোটিতে এবং ২০৪৫ সালে ৭৮.৩ কোটিতে পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ২৪ কোটি মানুষ জানেন না, তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তাদের অধিকাংশই টাইপ-২ ডায়াবেটিস আক্রান্ত। ১২ লাখেরও বেশি শিশু ও কিশোর (০-১৯ বছর) টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ২০২১ সালে বিশ্বের ৬৭ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসের কারণে মৃত্যুবরণ করেন। ২০২১ সালে ৯৬৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয় ডায়াবেটিসের কারণে, যা বৈশ্বিক স্বাস্থ্য খাতে মোট ব্যয়ের ৯ শতাংশ।
ইব্রাহিম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক অরুপ রতন চৌধুরী বলেন, ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে : কায়িক পরিশ্রম না করা, মোটা বা স্থূলকায় হয়ে যাওয়া, অতিমাত্রায় ফাস্টফুড খাওয়া ও কোমল পানীয় (সফট ড্রিংকস) পান করা, অতিরিক্ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকা, ধূমপান করা ও তামাক (জর্দা, গুল, খৈনী, সাদাপাতা) খাওয়া, গর্ভকালীন বিভিন্ন সমস্যা, যাদের বাবা-মা অথবা রক্ত সম্পর্কীয় নিকটাত্মীয়ের ডায়াবেটিস আছে এবং যাদের বয়স ৪৫ বছরের বেশি তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কাজেই ডায়াবেটিস সম্বন্ধে তাদের অধিকতর সতর্ক থাকা দরকার।
ডায়াবেটিস মহামারি রোগ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস
মন্তব্য করুন
শীতের আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে প্রকৃতি। বছরের যে কোনো সময়ের তুলনায় শীতকালে শাক-সবজি একটু বেশি পাওয়া যায়। শীতকালীন শাক–সবজির মধ্যে পালংশাক অন্যতম। সহজলভ্য এই শাকে রয়েছে অনেক খাদ্যগুণ। আসুন জেনে নিন পালংশাকের গুণের কথা:
১. পালংশাক চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এই শাকের উচ্চমাত্রার বিটা ক্যারোটিন চোখে ছানি পড়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
২. ভিটামিন 'ডি' বাদে পালংশাকে বাকি সব ভিটামিনই রয়েছে। বিশেষ করে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন 'ই' এবং ভিটামিন 'সি'র উৎস পালংশাক। ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও বিটা ক্যারোটিন ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ায়। এ ছাড়া পালংশাকে উচ্চমাত্রার আয়রন থাকে।
৩. পালংশাকে থাকে প্রচুর ভিটামিন এ। এটি মানুষের ত্বক থেকে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সহায়তা করে। এই শাক ত্বকের বাইরের স্তরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৪. পালংশাকে আছে উচ্চমাত্রার ম্যাগনেশিয়াম, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এ ছাড়া পালংশাকে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা।
৫. কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে এই শাকের জুড়ি মেলা ভার।
৬. পালংশাকে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কোষ সতেজ ও কর্মক্ষম রাখে। তাই মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও এই শাক খেতে পারেন।
মন্তব্য করুন
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৩৪ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৮২ জন। অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন দুই হাজার ৬৮৯ জন ডেঙ্গুরোগী।
সারাবিশ্বে ডায়াবেটিস বর্তমানে একটি মহামারি রোগ হিসেবে চিহ্নিত এবং এই রোগ সারা জীবনের রোগ। নিয়ন্ত্রণে থাকলে স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায় কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের জটিলতা অনেক। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ডায়াবেটিসকে মৃত্যুর চতুর্থ প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। সুতরাং প্রতিদিন যেমন ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি বাড়ছে ডায়াবেটিক রোগীদের নানা ধরনের জটিলতা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশনের তথ্য অনুযায়ী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ২৪ কোটি মানুষ জানেন না, তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।