রাজধানী ঢাকায় মোবাইল ফোন চুরি-ছিনতাইয়ে অন্তত ২০টি চক্র সক্রিয় রয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রাজধানীতে গত কয়েক দিনে এই চক্রের বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।
গ্রেপ্তারকৃত বেশ কয়েক জনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, ঢাকায় দৈনিক শতাধিক মোবাইল ফোন ছিনতাই করা হয়। এখন এসব মুঠোফোনের আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি) নম্বর পরিবর্তন করে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে। আগে এসব মোবাইল ফোন ফুটপাত ও বিপণিবিতানে বিক্রি করা হতো। তবে চুরি-ছিনতাইয়ের মোবাইল ফোন এখন বেশি বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন অনলাইনে।
চুরি-ছিনতাইয়ের মোবাইল ফোন উদ্ধার ও চক্রের সদস্যদের নিয়ে কাজ করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একাধিক দল। সংশ্লিষ্ট ডিবি কর্মকর্তারা বলছেন, পুলিশ ও র্যাবের ধারাবাহিক অভিযানের ফলে ক্রেতার কাছে সরাসরি চোরাই মোবাইল ফোন বিক্রি অনেক কমে গেছে। এখন এসব মুঠোফোন অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে। এ ধরনের মোবাইল ফোন বিক্রির জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকগুলো গ্রুপও রয়েছে।
ডিবি সূত্র জানায়, রাজধানী ঢাকার ১৬টি জায়গায় প্রতিদিনই মোবাইল ফোন চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও এর আশপাশে দিনে তিন থেকে পাঁচটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। তিনটি পেশাদার দলের সঙ্গে এসব চুরি ও ছিনতাইয়ে তেজগাঁও এলাকার ২৫ জন ভাসমান শিশু জড়িত রয়েছে। ঢাকার শ্যামলী, আদাবর, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, মিরপুর ও গাবতলী এলাকায় মোবাইল ফোন ছিনতাই করে চারটি চক্র। এ চক্রগুলোর সমন্বয়কের দায়িত্বে রয়েছেন শহিদ। আর এ চক্রের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের মোবাইল ফোন কিনে বিক্রি করেন টিপু। বিভিন্ন সময় ডিবির অভিযানে এসব এলাকায় চুরি-ছিনতাইয়ে জড়িত দুটি চক্রের ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উত্তরা, আবদুল্লাহপুর, বনানী, গুলশান, ভাটারা এলাকায় সক্রিয় রয়েছে তিনটি ছিনতাইকারী চক্র। হাতিরঝিল, রামপুরা, মগবাজার ও মালিবাগ এলাকায় তিন থেকে চারটি চক্র রয়েছে। শাহবাগ, মৎস্য ভবন ও নিউমার্কেট এলাকায় সক্রিয় রয়েছে অন্তত পাঁচটি চক্র। গুলিস্তান, কমলাপুর, যাত্রাবাড়ী, বাবুবাজার ব্রিজ এলাকায় আরও চার থেকে পাঁচটি চক্র মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এই ছিনতাইকারীরা পথচারীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ছিনতাই করেন। আবার গাড়ির জানালার পাশে বসে কথা বলা অবস্থায় মুঠোফোন থাবা দিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা।
ডিবি জানায়, ছিনতাই হওয়া কম দামি মোবাইল ফোনগুলো সরাসরি গুলিস্তানের পাতাল মার্কেট ও গুলিস্তান সিটি করপোরেশন ভবনের সামনে ফুটপাতসহ ঢাকার কয়েকটি ফুটপাতে বিক্রি করা হয়ে থাকে। আর ভালো কোম্পানির দামি মোবাইল ফোনগুলো কিনে নেন কয়েক জন ব্যক্তি। তাঁদের দুজন টিপু ও শহিদকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। তাঁরা ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, পুরো রাজধানীকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে সীমানা নির্ধারণের মাধ্যমে ছিনতাই করেন চক্রের সদস্যরা। ঢাকায় অন্তত ২০টি মোবাইল ফোন ছিনতাইকারী চক্র সক্রিয় রয়েছে, যারা দিনে ৫ থেকে ৭টি মোবাইল ফোন ছিনতাই করে থাকে। তাদের কাছ থেকে কয়েক জন ব্যবসায়ী এসব মুঠোফোন কিনে নিয়ে বিক্রি করেন।
গত কয়েক দিনে চুরি-ছিনতাইয়ের মোবাইল ফোন উদ্ধার ও একাধিক চক্রের সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবির তেজগাঁও ও ওয়ারী বিভাগ। তেজগাঁও বিভাগের সাবেক সহকারী কমিশনার হাসান মুহাম্মদ মুহতারিম জানান, আগে বিভিন্ন মার্কেট ও ফুটপাতে দাঁড়িয়ে চুরি-ছিনতাইয়ের মোবাইল ফোন বিক্রি হতো। এখন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে চোরাই মোবাইল ফোন বিক্রি হচ্ছে।
সম্প্রতি রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় পারভেজ সাগর নামে এক ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় চিনতাইকারী চক্রের দুইজন সদস্য। অভিযোগ করে মোবাইল ফোন উদ্ধার হবে না মনে করে তিনি থানায় যাননি। তিনি বলেন, এক পরিচিতের মোবাইল ফোন ছিনতাই হয়েছিল। থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেও মোবাইল ফোনটি উদ্ধার হয়নি।
রাজধানী মোবাইল ফোন চুরি ছিনতাই চক্র
মন্তব্য করুন
মাহমুদা খানম মিতু পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দুদক দুর্নীতি রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ দুর্নীতি মামলা ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সরকার টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করছে। গত ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে। এর আগে তিন মেয়াদে যারা বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী ছিলেন এবং সরকারের ভিতর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের অনেকেরই দায়িত্ব পালনের সময়টি স্বচ্ছতার ছিল না। তারা নিজেদেরকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে পারেননি। আর এ কারণেই তাদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত তিন মেয়াদ এ রকম অন্তত এক ডজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই দুর্নীতির অভিযোগ এখন বিভিন্ন সংস্থাগুলো তদন্ত করছে।