জেকেজি হেলথ কেয়ারের সাবরিনা শারমিন ১৭ বছর বয়সে এমবিবিএস ও ৮ বছরে এসএসসি পাস করেছেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে দেওয়া অভিযোগপত্রে সাবরিনার দ্বিতীয় এনআইডিতে এমন তথ্য রয়েছে। জালিয়াতি করে বানানো দ্বিতীয় জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) এমন তথ্য দিয়েছেন জেকেজি হেলথ কেয়ারের সাবরিনা শারমিন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) আদালতে এই অভিযোগপত্র দিয়েছে। সাবরিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও আয়কর বিবরণী সনদ তৈরিতে জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে।
মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ডিবি গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান (বর্তমানে ডিবি লালবাগ বিভাগে কর্মরত) জানান, তিনি গুলশান বিভাগে থাকার সময় সাবরিনার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। সাবরিনার বিরুদ্ধে জালিয়াতি করার তথ্য প্রমাণিত হয়েছে। করোনা পরীক্ষার ভুয়া সনদ দেওয়ার মামলায় জেকেজির চেয়ারম্যান ও বরখাস্ত চিকিৎসক সাবরিনা শারমিন, তাঁর স্বামী জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল চৌধুরীসহ আটজনকে ১১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ওই দম্পতি এখন কারাগারে। মহামারির মধ্যে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা না করে ভুয়া সনদ দেওয়ার অভিযোগে করা একটি মামলায় ২০২০ সালে ১২ জুলাই পুলিশ সাবরিনাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার ছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, জালিয়াতি করে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির অভিযোগে গত বছরের ৩০ আগস্ট সাবরিনার বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় আরেকটি মামলা হয়। ওই মামলার তদন্তের দায়িত্বে আছে ডিবি। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ডিবির তদন্তে বেরিয়ে এসেছে সাবরিনা ২০০৯ সালে প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্র করেন। এতে তাঁর নাম লেখা রয়েছে সাবরিনা শারমিন হোসেন। তাঁর বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা মোহাম্মদপুরের শ্যামলী বলে উল্লেখ রয়েছে ওই পরিচয়পত্রে। জন্মতারিখ দেওয়া আছে ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। পেশা হিসেবে সরকারি চাকরি উল্লেখ করা আছে। বাবার নাম সৈয়দ মুশাররফ হোসেন ও মায়ের নাম কিশোয়ার জেসমিন উল্লেখ রয়েছে।
সূত্রমতে, ২০১৬ সালে সাবরিনার আরেকটি জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য পায় ডিবি। তাতে সাবরিনার নাম আছে সাবরিনা শারমিন হুসেন। বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা দেওয়া আছে গুলশান প্রগতি সরণির বাড্ডা। জন্মতারিখ দেওয়া আছে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। বাবার নাম সৈয়দ মুশাররফ হোসেন, মায়ের নাম জেসমিন হুসেন দেওয়া আছে। এতে পেশা দেওয়া আছে চিকিৎসক।
আদালতে দেওয়া অভিযোগপত্র অনুসারে, সাবরিনা ১৯৯১ সালে এসএসসি ও ২০০০ সালে এমবিবিএস পাস করেন। জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে করা দ্বিতীয় এনআইডিতে সাবরিনার জন্ম ১৯৮৩ সালে। সে অনুযায়ী সাবরিনা ৮ বছর বয়সে এসএসসি পাস করেছেন। ১৭ বছর বয়সে এমবিবিএস দিয়েছেন। সাবরিনার দ্বিতীয় আয়কর বিবরণী সনদেও একই তথ্য রয়েছে। জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে করা ওই এনআইডি ব্যবহার করে তিনি চাকরির মেয়াদকাল সাত বছর বাড়িয়েছেন। সে অনুযায়ী ২০৪২ সালের ১ ডিসেম্বর তাঁর অবসর- পরবর্তী ছুটিতে (পিআরএল পোস্ট রিটায়ারমেন্ট লিভ) যাওয়ার কথা।
এমবিবিএস এসএসসি ডাক্তার সাবরিনা জেকেজি হেলথ কেয়ার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ দুর্নীতি মামলা ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মিন্টো রোড যৌন হয়রানি
মন্তব্য করুন
আধুনিক সময়ে প্রায় সবার হাতেই রয়েছে
স্মার্টফোন। ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসেই অনেকে করছেন অর্থ উপার্জন। আবার অনেকেই ইনকাম
করার সুযোগের অপেক্ষায় আছেন। আর এই সুযোগ নিয়ে প্রতারণার জাল বিস্তার করছে একটি চক্র।
ঘরে বসে পার্ট টাইম চাকরির অফার দিয়েই শুরু হয় তাদের কাজ। চটকদার সব বিজ্ঞাপন দিয়ে
আকৃষ্ট করে সবাইকে। তাদের চটকদার এসব বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে সর্বস্বান্ত হন অনেকে।
এ বিষয়ে সতর্ক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন
পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন। সোমবার (১৮ মার্চ) এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে
সবাইকে এই স্ক্যাম সম্পর্কে সচেতন করে সিটিটিসি।
জানা যায়, টেলিগ্রাম অ্যাপসভিত্তিক
চাইনিজ প্রতারক চক্র বাংলাদেশি কিছু প্রতারকের সহায়তায় জাল বিস্তার করছে। এরা ফোনে
বা হোয়াটসঅ্যাপে ঘরে বসে পার্ট টাইম চাকরির অফার দেবে।
এরপর ইউটিউব এ বিভিন্ন ভিডিও লাইক করতে
বলবে। প্রতি লাইকের জন্য আপনাকে তারা ১০০ টাকা করে দেবে। এভাবে ৫০০-১০০০ টাকা দেবে
তারা। একইসঙ্গে তারা হেল্পডেস্ক নামক টেলিগ্রাম গ্রুপে অ্যাড করে নেবে।
টেলিগ্রাম গ্রুপে ইনভেস্ট করার লোভনীয়
সব অফার দেবে। আপনি একবার তাদের প্ল্যানে যখনই ইনভেস্ট করবেন, তখনই ফাঁদে পড়ে যাবেন।
এভাবে কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে কথা বলে হাতিয়ে নেবে লাখ
লাখ টাকা।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে রক্ষা পাবেন কীভাবে?
সবাইকে জেনে রাখতে হবে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
কিংবা ঘরে বসে পাওয়া যে কোনো চাকরির অফারই এক একটি স্ক্যাম। ভুলেও কেউ এমন ইনভেস্টমেন্ট
প্রতারণার ফাঁদে পা দেবেন না।
টেলিগ্রাম স্ক্যাম সতর্ক বার্তা ডিএমপির অনলাইন জব
মন্তব্য করুন
পুলিশের চাকরি অর্থ আত্মসাত সাতক্ষীরা
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সরকার টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করছে। গত ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে। এর আগে তিন মেয়াদে যারা বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী ছিলেন এবং সরকারের ভিতর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের অনেকেরই দায়িত্ব পালনের সময়টি স্বচ্ছতার ছিল না। তারা নিজেদেরকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে পারেননি। আর এ কারণেই তাদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত তিন মেয়াদ এ রকম অন্তত এক ডজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই দুর্নীতির অভিযোগ এখন বিভিন্ন সংস্থাগুলো তদন্ত করছে।
আধুনিক সময়ে প্রায় সবার হাতেই রয়েছে স্মার্টফোন। ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসেই অনেকে করছেন অর্থ উপার্জন। আবার অনেকেই ইনকাম করার সুযোগের অপেক্ষায় আছেন। আর এই সুযোগ নিয়ে প্রতারণার জাল বিস্তার করছে একটি চক্র। ঘরে বসে পার্ট টাইম চাকরির অফার দিয়েই শুরু হয় তাদের কাজ। চটকদার সব বিজ্ঞাপন দিয়ে আকৃষ্ট করে সবাইকে। তাদের চটকদার এসব বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে সর্বস্বান্ত হন অনেকে।