ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

স্বাস্থ্যের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১০% কমিশন নেয়ার অভিযোগ

প্রকাশ: ০৭:০৭ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

কাজ পাইয়ে দেয়া হবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১০% কমিশন নেয়া অভিযোগ এনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। 

সম্প্রতি সময় এমন অভিযোগ করেছেন ধ্রুব কথাচিত্র নামের একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. আশরাফুল আলম। 

তিনি লিখিতভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করে তাদের কাছ থেকে টাকা ফেরত চেয়েছেন। আবেদনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (লাইফস্টাইল, হেলথ এডুকেশন অ্যান্ড প্রমোশন) দশ কোটি টাকার স্বাস্থ্যসেবা প্যাকেজের কনসালট্যান্ট ও ঠিকাদার নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দশ কোটি টাকার স্বাস্থ্যসেবা প্যাকেজের কনসালট্যান্ট ও ঠিকাদার নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রাখার দাবি জানানো হয়েছে।

গত ৫ মার্চ দুদকে এ অভিযোগ জমা দিয়েছেন আশরাফুল। এর আগে স্বাস্থ্য সচিব বরাবর একই অভিযোগ দাখিল করেন তিনি। সেই আবেদনে তারিখ লেখা আছে ২২/০৩/২০২৩। অথচ ওই চিঠিটি গত ২৬ ফেব্রুয়ারি গ্রহণ করেছেন স্বাস্থ্য সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার । এক মাস পরের তারিখ দেয়া চিঠি কীভাবে স্বাস্থ্য সচিব আগেই গ্রহণ করলেন- এ বিষয়ে মো. আশরাফুল আলম ভোরের আকাশকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য সচিবের কাছে করা আবেদনে তারিখ ভুল হয়েছে। ২২ মার্চের জায়গায় ২২ ফেব্রুয়ারি হবে।’

দুদক চেয়ারম্যান বরাবর দেয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘বিগত দুই অর্থবছর ধরে বর্তমান লাইন ডাইরেক্টর ডা. মো. মিজানুর রহমান আরিফ যোগদানের পর থেকে ১০ শতাংশ হারে কোটি টাকা কমিশন নিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিজস্ব পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিচ্ছেন। আর এ কমিশনের টাকা সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করছেন দরপত্র মূল্যায়ন/অন্য কমিটির সভাপতি ডা. মো. শাখাওয়াত হোসেন, প্রোগ্রাম ম্যানেজার (টিএসডি) এবং দরপত্র মূল্যায়নের জন্য কমিটির সদস্য মো. মোখলেচুর রহমান, সহকারী প্রধান (কাঃ সঃ) ও ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার। এই দুই কর্মকর্তা বিগত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে আমাকে একটি সার্ভিস প্যাকেজের কাজ দেয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে নগদ দশ লাখ টাকা কমিশন নেন। প্রকাশ থাকে যে, ওই দশ লাখ টাকা ফেরত না দিয়ে আমাকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে আহ্বানকৃত প্যাকেজ নং-৭ প্রোডাকশন অব এসবিসিসি ম্যাটারিয়াল অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইন্টারভেনশন ফর প্রিভেনশন ডায়বেটিসের প্রস্তাব দাখিলের পরামর্শ প্রদান করেন এবং আমাকে ওই কাজ দিয়ে তাদের নেয়া দশ লাখ টাকা সমন্বয় করে দেবেন।’

অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘আমি বাধ্য হয়ে তাদের কথায় বিশ্বাস করে যথানিয়মে সব কাগজপত্র, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও আর্থিক সক্ষমতা সংযুক্ত করি। এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) দাখিল করি। আমার এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) যাচাই-বাছাই করে আমাকে রিকোয়েস্ট ফর প্রোপোজাল প্রদান করেন। আমরা রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজালের চাহিদা মোতাবেক সব তথ্যাদি সংযুক্ত করে টেকনিক্যাল এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল প্রস্তাব দাখিল করি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমার কাছ থেকে অগ্রিম নগদ দশ লাখ টাকা কমিশন নেয়ার পরও দরপত্র মূল্যায়ন ক্রয় কমিটির সভাপতি ডা. মো. শাখাওয়াত হোসেন এবং দরপত্র মূল্যায়ন ক্রয় কমিটির সদস্য মো. মোখলেছুর রহমান আমার টেকনিক্যাল এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল প্রস্তাব বিবেচনা না করে অধিক কমিশন গ্রহণ করে অযোগ্য, অদক্ষ ও ভুয়া প্রতিষ্ঠানকে ঊর্ধ্ব রেটে কাজ দিয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করছেন। আমি টাকা ফেরত চাইলে ওই দুই কর্মকর্তা আমার দশ লাখ টাকা ফেরত না দিয়ে আমাকে নানাভাবে হয়রানির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সব প্যাকেজের কাগজপত্র তদন্ত করলে অনিয়ম ও দুর্নীতির আসল চিত্র সহজেই পাওয়া যাবে।’

অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘দরপত্র মূল্যায়ন/ক্রয় কমিটির সভাপতি ডা. মো. শাখাওয়াত হোসেন এবং দরপত্র মূল্যায়ন ক্রয় কমিটির সদস্য মো. মোখলেছুর রহমান নগদ ৫০ লাখ টাকা কমিশন নিয়ে প্লে-ডক্টরস নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে সব ভুয়া কাগজপত্রের ভিত্তিতে সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারের জন্য ৪.৫০ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেন। পরে ২০২২-২৩ অর্থবছরে দরপত্র আহ্বান না করে পুনরায় ৫০ লাখ টাকা কমিশন নিয়ে এক বছর মেয়াদ বৃদ্ধি করে প্রচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং সরকারি টাকা আত্মসাৎ করে চলছেন। সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারের কাজের জন্য দরপত্র দলিলে চার কোটি টাকার কাজের অভিজ্ঞতা, আড়াই কোটি টাকার আর্থিক সক্ষমতা এবং এক বছরে সাড়ে তিন কোটি টাকার টার্নওভার চাওয়া হয়। এস কে শাহিন রহমানের প্লে-ডক্টরস নামক প্রতিষ্ঠানটির দেশের কোথায় চার কোটি টাকার প্রচার কাজসহ আর্থিক সক্ষমতা ও টার্নওভার আছে- এমন ইতিহাস কারো জানা নেই। ওই প্রতিষ্ঠানের দাখিলকৃত সব কাগজপত্র ভুয়া এবং নীলক্ষেত থেকে তৈরি করে দাখিল করা হয়।’

অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘প্রকাশ থাকে যে, এস কে শাহিন রহমানের আরেকটি প্রতিষ্ঠান RIAND Bangladesh Limited একই কায়দায় ভুয়া এবং নীলক্ষেত থেকে তৈরি করা কাগজপত্র নিয়ে বিগত তিন বছর ধরে লাখ লাখ টাকা কমিশন দিয়ে লাইফস্টাইল, হেলথ এডুকেশন অ্যান্ড প্রমোশন দপ্তরে কোটি কোটি টাকার কাজ করে যাচ্ছেন। ওই দুজন কর্মকর্তা ভুয়া এবং নীলক্ষেত থেকে তৈরি করা কাগজসমূহ যাচাই না করে টাকার বিনিময়ে কাজ প্রদান করে যাচ্ছেন। তথ্য অধিকার আইনে একটি প্রতিষ্ঠান প্লে-ডক্টরস কর্তৃক দাখিলকৃত ভুয়া ও নীলক্ষেত থেকে তৈরিকৃত কাগজপত্র চেয়ে আবেদন করলেও ওই কর্তকর্তারা কোনো প্রকার কাগজপত্র সরবরাহ করেননি। দাখিলকৃত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করলে আসল রহস্য উদ্ঘাটিত হয়ে যাবে। এ ছাড়াও ওই প্রতিষ্ঠানটি বিগত তিন বছর ধরে ভুয়া এবং নীলক্ষেত থেকে তৈরি কাগজপত্রের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা কমিশন দিয়ে কোটি কোটি টাকার কাজ ভাগিয়ে নিচ্ছেন।’



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

ইন্টারপোলের রেড নোটিশে আরাভ খান

প্রকাশ: ১০:২২ এএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সদস্য খুনের মামলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের নামে রেড নোটিশ জারি করেছে ইন্টারপোল। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ইন্টারপোল ওয়েবসাইটের রেড নোটিশের তালিকায় রবিউল ইসলামের নাম পাওয়া গেছে।

তালিকায় ৬৩তম বাংলাদেশি তিনি। এর আগে গত ২০ মার্চ পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন জানান, আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এর ভিত্তিতে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারির কথা শোনা গেলেও তালিকায় তার নাম দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবার রাতে ইন্টারপোলের রেড নোটিশে আরাভ খানের নাম পাওয়া গেছে।

রেড নোটিশে আরাভ খানের বয়স ৩৫। জন্মস্থান বাংলাদেশের বাগেরহাটে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় তার নাম, ছবি ও পরিচয় সংযুক্ত করা হয়েছে। তার জাতীয়তা বাংলাদেশি।

এর আগে, ২০১৮ সালে বনানীতে বিশেষ শাখার পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র ইন্টারপোলে পাঠায় বাংলাদেশ পুলিশের শাখা। পরবর্তীতে এ বিষয়টি ইন্টারপোল অবহিত হলে রেড নোটিশ জারি করে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

রাজধানীতে কিশোর গ্যাংয়ের ৪৩ সদস্য গ্রেফতার

প্রকাশ: ১১:৩২ এএম, ২৩ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

রাজধানীতে জনজীবন অতিষ্ঠকারী কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য রোধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৪৩ জন কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-২।

র‍্যাব জানায়, গ্রেফতার কিশোর গ্যাং সদস্যরা পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও ল্যাপটপ ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) র‍্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মো. ফজলুল হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও চাঁদাবাজির প্রবণতা বেড়েছে। এ বিষয়ে থানায় একাধিক জিডি ও মামলা রুজু হয়। সাধারণ মানুষ ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে। এতে এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এছাড়া পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে আশেপাশের কেউ বুঝে ওঠার আগেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও ল্যাপটপ ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা।

তিনি আরও বলেন, রাজধানীবাসী বিভিন্ন এলাকায় চলাচলকালে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। নারী, পুরুষ ও স্কুলগামী শিক্ষার্থী নির্বিশেষে সবাইকে তিক্ত অভিজ্ঞতায় পড়তে হচ্ছে। এরই পরিপেক্ষিতে র‍্যাব-২ এই চক্রের ওপর গোয়েন্দা নজরধারি বাড়ায়।

র‍্যাব-২ এর এই কর্মকর্তা বলেন, গতকাল বুধবার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-২ জানতে পারে সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছিনতাইয়ের উদ্দেশে দেশীয় অস্ত্রসহ প্রস্তুতি নিয়েছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-২ এর একাধিক আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, শেরেবাংলা নগর ও তেজগাঁও এলাকায় ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে ৪৩ জন বিভিন্ন গ্রুপের সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করে।

এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ছুরি, চাকু, খুর ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।

গ্রেফতাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং চক্রের সদস্য। রাজধানীর বিভিন্ন জনবিরল এমনকি জনসমাগমপূর্ণ স্থানেও পথচারীদের একা পেয়ে আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে আশেপাশের কেউ বুঝে ওঠার আগেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও ল্যাপটপ ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়।

এএসপি মো. ফজলুল হক বলেন, ছিনতাই ও ডাকাতি ছাড়াও তারা মাদক সেবন, খুচরা মাদকের কারবার, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, পাড়া-মহল্লায় মারামারি ও স্থানীয় ভূমিদস্যুদের পক্ষে দখলি জমিতে গিয়ে পেশিশক্তির মহড়া প্রদর্শনসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত।

এছাড়া চক্রের সদস্যরা নিজেদের গ্রুপের আধিপত্য বজায় রাখতে অন্য কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে মারামারিসহ বিভিন্ন সশস্ত্র সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়ে। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে স্বীকার করেছে। গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে পরবর্তী সময়েও র‍্যাব-২ এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে বলেও জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

ইন্টারপোলের রেড নোটিশে ৬২ বাংলাদেশি

প্রকাশ: ০৯:১৭ এএম, ২২ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

আন্তর্জাতিকভাবে পুলিশকে সহায়তার জন্য প্রতিষ্ঠিত সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)। এ সংস্থার ওয়েবসাইটে ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছে ৬২ বাংলাদেশির নাম। জঙ্গি, সন্ত্রাসী, খুনি, সাইবার ক্রাইম, মাদক চোরাকারবারি, ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম, মানবপাচারে অভিযুক্ত তারা। তালিকায় রয়েছে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা। রয়েছে কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর নামও।

বাংলাদেশ পুলিশের চাওয়া সহযোগিতার কারণে এসব বাংলাদেশির নাম ও ছবি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। তালিকায় থাকা এসব ব্যক্তির বর্তমান অবস্থান জানার চেষ্টা করছে ইন্টারপোল। এরপর তাদের স্থানীয় আইনে গ্রেফতার করে আইনি প্রক্রিয়ায় দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

কয়েকদিন দেশে ইন্টারপোল প্রসঙ্গ নিয়ে বেশ চর্চা চলছে। দুবাইয়ে পালিয়ে থাকা পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে ঘিরে এ চর্চা।


কোন অপরাধী কোন দেশে অবস্থান করছেন- সেটা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে ইন্টারপোল। ইন্টারপোলকে সহয়তা করে পুলিশ সদরদপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) নামে একটি শাখা। এ শাখাটি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ইন্টারপোলের তালিকায় থাকা অপরাধীদের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদানে কাজ করে থাকে।

এনসিবি সূত্রে জানা গেছে, অপরাধীর অবস্থান নিশ্চিত হতে পারলে অনেক সময় ধরা যায়। তবে অনেক সময় দেখা যায়, অবস্থান নিশ্চিত হতে হতেই অপরাধীরা অবস্থান বদলে ফেলে। অনেক সময় সংশ্লিষ্ট দেশের আইনের ফাঁক গলিয়ে অধরা থেকে যায়। ইন্টারপোলের কিছু নিয়ম আছে, সেগুলো মেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হয়। ইন্টারপোলের এ লাল নোটিশে অপরাধীদের বিষয়ে সংস্থার পক্ষ থেকে প্রতি পাঁচ বছর পরপর তথ্য হালনাগাদ করা হয়।

ইন্টারপোলের ‘ওয়ান্টেড পারসন্স’ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই সংস্থাটির ওয়েবসাইটে ঝুলছে বাংলাদেশের পলাতক ৬২ শীর্ষ অপরাধীর নাম ও ছবি। এ তালিকায় রয়েছেন যুদ্ধাপরাধী, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, জঙ্গি ও শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্তরা।


ইন্টারপোলের লাল তালিকাভুক্ত ৬২ বাংলাদেশি

ইকবাল জাফর, তানজিরুল, স্বপন, মোল্লা নজরুল ইসলাম, মিয়া মিন্টো, খান মো. শহীদ উদ্দিন, ওয়াসিম, খোরশেদ আলম, গিয়াস উদ্দিন, অশোক কুমার দাস, মিয়া মিজান, চন্দন কুমার রায়, রাতুল আহমেদ বাবু, মো. মোস্তফা সিরাজ লালু, আব্দুল হারিস চৌধুরী, জাহিদ হোসেন খোকন, সৈয়দ মো. হোসাইন ওরফে হোসেন, সৈয়দ মো. হাসান আলী, রহমান আজিজুর, অজয় বিশ্বাস, তরিকুল ইসলাম, হানিফ, আব্দুল জব্বার, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, মোহাম্মদ সবুজ ফোকিদ, মোহাম্মদ মনির ভুঁইয়া, শফিক-উল, আমান উল্লাহ শফিক, আবুল কালাম আজাদ, জাহিদুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন খান, মো. নাঈম খান ইকরাম, ফেরদৌস কালা জাহাঙ্গীর, মো. ইউসুফ, আব্দুল আলিম শরীফ, মজনু আহমেদ, নুরুল দিপু, মোহাম্মদ ফজলুল আমিন জাবেদ, এস এইচ এম বি নুর চৌধুরী, আব্দুর রশীদ খন্দকার, নাজমুল আনসার, শারফুল হোসেন আহমেদ, শরিফুল হক ডালিম, রউফ উদ্দিন, খান মোসলেমউদ্দিন, এ ম রাশেদ চৌধুরী, আতাউর রহমান মাহমুদ চৌধুরী, আলহাজ মাওলানা মোহাম্মদ তাজউদ্দীন মিয়া, মিন্টু সালাহউদ্দিন, গোলাম ফারুক অভি, শেখ হারুন, সুলতান সুজিদ, তৌফিকুল আলম, জাফর আহমেদ, রফিকুল ইসলাম, আমিনুর রসুল, জিসান আহমেদ, সুব্রত বাইন ত্রিমতি, হোসাইন নবী, প্রকাশ কুমার বিশ্বাস, আব্দুল জব্বার ও খন্দকার তানভীর ইসলাম জয়।


ইন্টারপোলের ইতিহাস

ইন্টারপোল একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যার প্রধান কাজ আন্তর্জাতিক পুলিশকে সহায়তা করা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়ের কাজ করে থাকে ইন্টারপোল। প্রথমে এর নাম ছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ কমিশন। পরবর্তীতে বর্তমান নামে পরিবর্তিত হয়। এটি জাতিসংঘের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সংস্থা। ইন্টারপোলের বর্তমান সদস্য দেশ ১৯৪টি।

ফ্রান্সের লিয়নে অবস্থিত ইন্টারপোল সদরদপ্তর থেকে পরিচালিত সংস্থাটির ওয়েবসাইটে ‘রেড নোটিশ অব ওয়ান্টেড পারসন্স’ তালিকায় বিভিন্ন দেশের মোট সাত হাজার ১৮ জন অপরাধীর নাম, পরিচয়, ছবি ও জাতীয়তা তথা দেশের নাম উল্লেখ আছে। এ তালিকায় বাংলাদেশের ৬২ জন অপরাধীর নাম রয়েছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

আরাভ খানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি

প্রকাশ: ০৩:৩৭ পিএম, ২০ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে হৃদয়ের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কোতোয়ালি থানার এনায়েতবাজার পুলিশ ফাঁড়ির উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করার জন্য ইন্টারপোলের কাছে পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরেছি, সেটা ইন্টারপোল করেছে।

আইজিপি বলেন, ‘আরাভ খানতে ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের আওতায় আনা হবে।’

দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত রয়েছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, সেই বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির গ্রেফতারের বিষয়ে আইজি বলেন, মাহির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে আদালত থেকে তিনি জামিন পেয়েছেন। মামলাটি তদন্ত হচ্ছে।

এ সময় সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার যুবক রবিউল ইসলাম নিজের নাম, জাতীয়তা পরিবর্তন করে জোগাড় করেন ভারতীয় পাসপোর্ট। এ পাসপোর্টেই পাড়ি জমান সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। দুবাই পাড়ি জমিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে তিনি হয়ে ওঠেন ‘আলাদিনের চেরাগ’।

দুবাইয়ে ‘আরাভ জুয়েলার্স’ নামের ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকের নাম আরাভ খান। মূলত তিনি বাংলাদেশের নাগরিক রবিউল ইসলাম। তবে ভারতে গিয়ে নাম পরিবর্তন করে রাখেন আরাভ খান।

পুলিশ বলছে, এ আরাভ খানই মূলত ঢাকার স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম। তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এছাড়া তিনি কীভাবে দেশত্যাগ করলেন সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।

দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর সম্প্রতি আলোচনায় আসেন আরাভ। বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে দিয়ে দুবাইয়ে তার শোরুম উদ্বোধন করা হবে- এই ঘোষণার মাধ্যমে আলোচনায় আসেন। কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমকেও দুবাইয়ে নেওয়ার আমন্ত্রণ জানান তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণাটি ছড়িয়ে পড়ার পর নড়েচড়ে বসে গোয়েন্দারা। দীর্ঘদিন ধরে যাকে খোঁজা হচ্ছিল তিনি দুবাইয়ে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ‘আরাভ জুয়েলার্স’ নামে সোনার দোকান দিতে যাচ্ছেন। কিনেছেন বাড়ি-গাড়ি। দুবাইয়ে রয়েছে তার কোটি কোটি টাকার ব্যবসা।

দুবাইয়ের নিউ গোল্ড সুকে উদ্বোধন করা হয়েছে আরাভ জুয়েলার্সের। কয়েক দিন আগে এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের খ্যাতিমান তারকাদের সম্ভাব্য উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন রবিউল ওরফে আরাভ। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা টাওয়ারের ৬৫ তলায় ফ্ল্যাট কিনেছেন। যার নম্বর ৬৫১০। আরও ৪-৫টি ফ্ল্যাটের মালিক তিনি। পাশাপাশি রয়েছে একটি সুইমিংপুল ও বাগানসহ বড় ডুপ্লেক্স বাড়িও।

তার ওই ফেসবুক পোস্ট দেখে অনেকেই চিনে ফেলেন, তিনি বাংলাদেশে পুলিশ কর্মকর্তা হত্যার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম। ফেরারি এক আসামি দুবাইয়ে গিয়ে কীভাবে এত টাকার মালিক হলেন, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

মাহিয়া মাহির গ্রেপ্তারের নেপথ্যে ‘সনি রাজ কার প্যালেস’-এর জমি

প্রকাশ: ০৩:২৮ পিএম, ২০ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail মাহিয়া মাহির গ্রেপ্তারের নেপথ্যে ‘সনি রাজ কার প্যালেস’-এর জমি

চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির স্বামী মামলার আসামী রকিব সরকার গতকাল রোববার (১৯ মার্চ) সকালে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন। তবে পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে কিছু জানেন না তাঁরা। মাহিয়া মাহি ফেসবুক লাইভে পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলে সহযোগিতা করার অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করে। অন্যদিকে মাহিয়া মাহির অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে গত শনিবার (১৮ মার্চ) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন। তবে গতকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তর থেকে কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি বলে জানা গেছে।

এদিকে গতকাল মাহিয়া মাহির স্বামী রকিব সরকার সৌদি আরব থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পৌঁছার পর উত্তরার নিজ বাসায় যান। সেখান থেকে বিকেলে তিনি গাজীপুরে যান। কিছু সময় ছিলেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সনি রাজ কার প্যালেসেও। রকিব সরকার দেশে ফিরলে ফুল দিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান স্ত্রী মাহি। পরে শুভেচ্ছা জানানোর ছবি নিজের সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন। তবে রকিব সরকারের দেশে ফিরে আসার বিষয়টি জানা নেই বলে জানিয়েছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম। একই কথা জানান বাসন থানার ওসিও।

গতকাল রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরে মোবাইল ফোনে রকিব সরকার জানান, আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে দ্রুত তিনি জামিন নিতে আদালতে যাবেন। এছাড়া তাঁর শোরুম দখলের চেষ্টা, হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় মামলাও করবেন। 

রকিব সরকারের দেশে ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এ সম্পর্কে কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।’

বিরোধের নেপথ্যে ৩২ শতক জমি: গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের ২ নম্বর গেটের পূর্ব পাশে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ঘেঁষে ৩২.৩৪ শতক জমির ওপর ‘সনি রাজ কার প্যালেস’। এই জমির মালিকানা নিয়ে রকিব সরকারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনের বিরোধ চলে আসছে।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, ২০০৭ সাল থেকে এই জমি রকিব সরকারের দখলে। ২০১২ সালে স্থাপনা নির্মাণ করে তিনি গড়ে তোলেন সনি রাজ কার প্যালেস ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে ইসমাইল হোসেন চাইছেন এই জমি তাঁর দখলে নিতে। ২০১২ সাল থেকে কয়েক দফা দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তিনি। সর্বশেষ গত শুক্রবার ভোরে আবারও চেষ্টা চালান। শনিবার রকিব সরকারের স্ত্রী মাহিয়া মাহি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর ইসমাইল হোসেন দাবি করেন, ওই শোরুম তাঁর, দখলও তাঁর।

গতকাল দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শোরুমে ‘সনি রাজ কার প্যালেস’ লেখা সাইনবোর্ড। একটি ছাড়া শোরুমের সব শাটার বন্ধ। সামনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে লোহার পাইপ ও কয়েকটি টিনের বেড়া।

ভেতরে থাকা নিরাপত্তা প্রহরী মুন্না সরকার (৫৩) বলেন, ইসমাইল হোসেন এসব নিয়ে এই শোরুম দখল করতে এসেছিলেন। নষ্ট করা সাইনবোর্ড গতকাল দুপুরে মেরামত করে আবার টানানো হয়েছে।

জমির মালিকানা বিষয়ে জানতে ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘রকিব সরকার প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে এই জমি নেননি। এসব নিয়ে অনেক সালিস-দরবার হয়েছে। কিন্তু রকিব সরকার দখল ছাড়ছেন না। সবাই জানে এই জমির প্রকৃত মালিক আমি।’

এ প্রসঙ্গে রকিব সরকার বলেন, ‘রেকর্ডীয় মালিক ফজল বাদ্যকরের কাছ থেকে আমি দুটি দলিলে ইটাহাটা মৌজার এই জমিটি কিনেছি। নামজারির মাধ্যমে খাজনা পরিশোধ করে ভোগদখলে আছি। ইসমাইল হোসেনের দলিলে মৌজা উল্লেখ করা হয়েছে ‘আমিরাবাদের চালা’, যা টঙ্গী এলাকায়।’

সৌদি আরব থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে ফেসবুক লাইভে অভিযোগ করার পর চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও তাঁর স্বামী রকিব সরকারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে পুলিশ। এ ছাড়া এক ব্যবসায়ী জমি দখলের অভিযোগ এনে মামলা করেন তাঁদের বিরুদ্ধে। দুই মামলায় গত শনিবার সকালে দেশে ফিরলে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় নায়িকা মাহিয়া মাহিকে। পরে পুলিশ আদালতে পাঠালে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে একই আদালত থেকে জামিন পান মাহি। অবশেষে গত শনিবার গ্রেপ্তারের সোয়া আট ঘণ্টা পর মুক্তি পান মাহিয়া মাহি।


মাহিয়া মাহি   গ্রেপ্তার   নেপথ্য   সনি রাজ কার প্যালেস   জমি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন