ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

ইন্টারপোলের রেড নোটিশে ৬২ বাংলাদেশি

প্রকাশ: ০৯:১৭ এএম, ২২ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

আন্তর্জাতিকভাবে পুলিশকে সহায়তার জন্য প্রতিষ্ঠিত সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)। এ সংস্থার ওয়েবসাইটে ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছে ৬২ বাংলাদেশির নাম। জঙ্গি, সন্ত্রাসী, খুনি, সাইবার ক্রাইম, মাদক চোরাকারবারি, ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম, মানবপাচারে অভিযুক্ত তারা। তালিকায় রয়েছে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা। রয়েছে কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর নামও।

বাংলাদেশ পুলিশের চাওয়া সহযোগিতার কারণে এসব বাংলাদেশির নাম ও ছবি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। তালিকায় থাকা এসব ব্যক্তির বর্তমান অবস্থান জানার চেষ্টা করছে ইন্টারপোল। এরপর তাদের স্থানীয় আইনে গ্রেফতার করে আইনি প্রক্রিয়ায় দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

কয়েকদিন দেশে ইন্টারপোল প্রসঙ্গ নিয়ে বেশ চর্চা চলছে। দুবাইয়ে পালিয়ে থাকা পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে ঘিরে এ চর্চা।


কোন অপরাধী কোন দেশে অবস্থান করছেন- সেটা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে ইন্টারপোল। ইন্টারপোলকে সহয়তা করে পুলিশ সদরদপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) নামে একটি শাখা। এ শাখাটি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ইন্টারপোলের তালিকায় থাকা অপরাধীদের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদানে কাজ করে থাকে।

এনসিবি সূত্রে জানা গেছে, অপরাধীর অবস্থান নিশ্চিত হতে পারলে অনেক সময় ধরা যায়। তবে অনেক সময় দেখা যায়, অবস্থান নিশ্চিত হতে হতেই অপরাধীরা অবস্থান বদলে ফেলে। অনেক সময় সংশ্লিষ্ট দেশের আইনের ফাঁক গলিয়ে অধরা থেকে যায়। ইন্টারপোলের কিছু নিয়ম আছে, সেগুলো মেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হয়। ইন্টারপোলের এ লাল নোটিশে অপরাধীদের বিষয়ে সংস্থার পক্ষ থেকে প্রতি পাঁচ বছর পরপর তথ্য হালনাগাদ করা হয়।

ইন্টারপোলের ‘ওয়ান্টেড পারসন্স’ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই সংস্থাটির ওয়েবসাইটে ঝুলছে বাংলাদেশের পলাতক ৬২ শীর্ষ অপরাধীর নাম ও ছবি। এ তালিকায় রয়েছেন যুদ্ধাপরাধী, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, জঙ্গি ও শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্তরা।


ইন্টারপোলের লাল তালিকাভুক্ত ৬২ বাংলাদেশি

ইকবাল জাফর, তানজিরুল, স্বপন, মোল্লা নজরুল ইসলাম, মিয়া মিন্টো, খান মো. শহীদ উদ্দিন, ওয়াসিম, খোরশেদ আলম, গিয়াস উদ্দিন, অশোক কুমার দাস, মিয়া মিজান, চন্দন কুমার রায়, রাতুল আহমেদ বাবু, মো. মোস্তফা সিরাজ লালু, আব্দুল হারিস চৌধুরী, জাহিদ হোসেন খোকন, সৈয়দ মো. হোসাইন ওরফে হোসেন, সৈয়দ মো. হাসান আলী, রহমান আজিজুর, অজয় বিশ্বাস, তরিকুল ইসলাম, হানিফ, আব্দুল জব্বার, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, মোহাম্মদ সবুজ ফোকিদ, মোহাম্মদ মনির ভুঁইয়া, শফিক-উল, আমান উল্লাহ শফিক, আবুল কালাম আজাদ, জাহিদুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন খান, মো. নাঈম খান ইকরাম, ফেরদৌস কালা জাহাঙ্গীর, মো. ইউসুফ, আব্দুল আলিম শরীফ, মজনু আহমেদ, নুরুল দিপু, মোহাম্মদ ফজলুল আমিন জাবেদ, এস এইচ এম বি নুর চৌধুরী, আব্দুর রশীদ খন্দকার, নাজমুল আনসার, শারফুল হোসেন আহমেদ, শরিফুল হক ডালিম, রউফ উদ্দিন, খান মোসলেমউদ্দিন, এ ম রাশেদ চৌধুরী, আতাউর রহমান মাহমুদ চৌধুরী, আলহাজ মাওলানা মোহাম্মদ তাজউদ্দীন মিয়া, মিন্টু সালাহউদ্দিন, গোলাম ফারুক অভি, শেখ হারুন, সুলতান সুজিদ, তৌফিকুল আলম, জাফর আহমেদ, রফিকুল ইসলাম, আমিনুর রসুল, জিসান আহমেদ, সুব্রত বাইন ত্রিমতি, হোসাইন নবী, প্রকাশ কুমার বিশ্বাস, আব্দুল জব্বার ও খন্দকার তানভীর ইসলাম জয়।


ইন্টারপোলের ইতিহাস

ইন্টারপোল একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যার প্রধান কাজ আন্তর্জাতিক পুলিশকে সহায়তা করা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়ের কাজ করে থাকে ইন্টারপোল। প্রথমে এর নাম ছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ কমিশন। পরবর্তীতে বর্তমান নামে পরিবর্তিত হয়। এটি জাতিসংঘের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সংস্থা। ইন্টারপোলের বর্তমান সদস্য দেশ ১৯৪টি।

ফ্রান্সের লিয়নে অবস্থিত ইন্টারপোল সদরদপ্তর থেকে পরিচালিত সংস্থাটির ওয়েবসাইটে ‘রেড নোটিশ অব ওয়ান্টেড পারসন্স’ তালিকায় বিভিন্ন দেশের মোট সাত হাজার ১৮ জন অপরাধীর নাম, পরিচয়, ছবি ও জাতীয়তা তথা দেশের নাম উল্লেখ আছে। এ তালিকায় বাংলাদেশের ৬২ জন অপরাধীর নাম রয়েছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

ঢাকার ৪৭টি খালের মধ্যে টিকে আছে ২৬টি

প্রকাশ: ০৪:১৫ পিএম, ৩০ মে, ২০২৩


Thumbnail

এক সময় ঢাকায় সচল খাল ছিল ৪৭টি। চারপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদীর সঙ্গে সংযুক্ত ছিল ওই খালগুলো। নৌকা, স্টিমার চলতো সেসব নদীখালে। সেসময় নৌপথে মালামাল পরিবহণ ও বাণিজ্যিক প্রসার ঘটে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অপরূপ ছিল তখন ঢাকা। গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের হিসাব অনুযায়ী ঢাকা শহরে ৫৬টি খালের অস্তিত্ব থাকলেও তার সবই এখন মৃতপ্রায়।

হাজারীবাগ কালুনগর খাল। সিটি কর্পোরেশন নতুন করে দায়িত্ব নেয়ার পর এটির নাম দেয়া হয়েছে ষড়কুঞ্জ খাল। দেখে ড্রেন মনে হলেও এটি কিন্তু আসলে একটি খাল। খালটির দুই পাশে বর্জ্য ফেলার স্থায়ী জায়গা বানিয়ে ফেলেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এছড়াও ঘন আগাছা আর তীব্র দুর্গন্ধের কারণে খালটির আশে পাশে দাঁড়িয়ে থাকাটাও রীতিমত অসম্ভব। অথচ,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম রাজধানীর খাল উদ্ধার করা এবং ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে  ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি একক অভিভাবক হিসেবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাছে তুলে দেন। এরপর ঢাকার বিভিন্ন এলাকার  খালগুলোর সীমানা চিহ্নিত করে খালের পাড় থেকে অবৈধ সব স্থাপনা উচ্ছেদ, পাড় বাঁধাই ও ওয়াকওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়।এছাড়া খাল খনন/পুনঃখনন করে খালে পানির ধারণক্ষমতা বাড়ানো, সবুজায়ন ও সাইকেল লেন নির্মাণের উদ্যোগও নেয়া হয়। 

গত বছরের জানুয়ারিতে খাল উদ্ধারে সিটি কর্পোরেশন শক্ত হাতে উদ্যোগ নিলেও দখলদারদের দৌরাত্বে আবারও বেহাল দশা খালটির। ঢাকার অন্যতম বড় এই খাল বেহাল হওয়ায় বৃষ্টির সময় এই এলাকা তলিয়ে যায় পানির নিচে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, শেকেরটেকের শ্যামলী হাউজিং, আদাবর-১০ নম্বর, আদাবর-১৬ নম্বর, আদাবর-১৭ নম্বর এলাকায় খালের ওপর আবাসিক ভবন, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এছাড়া ইব্রাহীমপুর, আগারগাঁও, শ্যাওড়াপাড়া, মহাখালী, বেগুনবাড়ি, কামরাঙ্গীরচর, গোপীবাগ, আব্দুল্লাহপুর, বাউনিয়া, রূপনগর এলাকার খালগুলো রয়েছে মৃতপ্রায় অবস্থায়। ঢাকার অন্যান্য এলাকাতেও খাল গুলোর অবস্থা বেহাল। খালের সীমানা নির্ধারণ করে পিলার বসানো পরও অবৈধভাবে স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে।

রাজধানীর পয়োবর্জ্য ও কঠিন পয়োবর্জ্য প্রবাহের মোট পয়েন্ট যথাক্রমে ৩৬০ টি ও ৪০০ টি। টঙ্গী, বালু, তুরাগ ও বুড়িগঙ্গার সাথে বিভিন্ন এলাকাড় বড় খালগুলো যুক্ত হয়ে থাকলে জলাবদ্ধতার সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। 

ঢাকার ৪৭টি খালের মধ্যে এখন টিকে আছে ২৬টি। ঢাকার চারপাশে চারটি নদীকে ঘিরে যে খালগুলো আছে, যেগুলো বিভিন্ন দিকে দখল হয়ে গেছে বা দূষণের কারণে নদীর সঙ্গে যুক্ত হতে পারছে না, সেগুলো উদ্ধার করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনার মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন হলে শুধু ঢাকার চারপাশে নৌ-চলাচল নয়, ঢাকার মধ্য দিয়েও নৌ-চলাচল সম্ভব হবে।





ঢাকার খাল   সিটি কর্পোরেশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

বনানীতে ৫৬ বোতল বিদেশি মদসহ একজন গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ২৬ মে, ২০২৩


Thumbnail বনানীতে ৫৬ বোতল বিদেশি মদসহ একজন গ্রেপ্তার।

রাজধানীর বনানী এলাকার দোকানে অভিযান চালিয়ে ৫৬ বোতল বিদেশি মদসহ মনির হোসেন (৩৮) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ মে) কড়াইল বস্তি এলাকার মিম ফ্যাশন গ্যালারি নামের একটি দোকানে তল্লাশি চালিয়ে মাদকগুলো উদ্ধার করা হয়। 

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বলছে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি বিমানবন্দর ও বনানী এলাকাকেন্দ্রিক অবৈধ বিদেশি মদ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত।

ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (উত্তর) সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান বলেন, মনির দীর্ঘদিন ধরে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ বিদেশি মদ সরবরাহ করে আসছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর ওপর নজরদারি করা হচ্ছিল। অবশেষে গতকাল তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের অন্যান্য সদস্য সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। চক্রের অন্য সদস্যদের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে। তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


বনানী   বিদেশি মদ   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

মন্ত্রী পরিবারের ‘কবজায়’ ১১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান!

প্রকাশ: ১০:১৭ পিএম, ২৫ মে, ২০২৩


Thumbnail

রাজধানীর উপকণ্ঠের জনপদ রূপগঞ্জ উপজেলায় মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৬৫টি। এর মধ্যে ১১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে আছে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পরিবার। পরিবারের সবাই কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠানের সভাপতি। সংসদ সদস্য হয়েও নিজে আছেন তিনটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে। এমনকি ছেলের শাশুড়িকেও একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি বানিয়েছেন গোলাম দস্তগীর গাজী।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, রূপগঞ্জ উপজেলায় ৪০টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২০টি মাদরাসা এবং পাঁচটি কলেজ আছে। যার মধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, তার পরিবার ও আত্মীয়স্বজন ১১টি প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে রয়েছেন। 

গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) ব্রাহ্মণখালী এলাকার ‘জনতা উচ্চ বিদ্যালয়’, ত্রিশকাহনীয় এলাকার ‘ছাত্তার জুট মিলস উচ্চ বিদ্যালয়’ ও মর্তুজাবাদ এলাকার ‘মর্তুজাবাদ ফাজিল মাদরাসা’র ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি।

মন্ত্রীর স্ত্রী তারাবো পৌরসভার মেয়র হাসিনা গাজী রূপসী এলাকার ‘রূপসী নিউ মডেল উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ’, বরপা এলাকার ‘হাজী নুরউদ্দিন আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়’ ও তারাবো এলাকার ‘তারাবো পৌর মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়’-এর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। 

পরিবারের বড় ছেলে গোলাম মর্তুজা পাপ্পা উপজেলার ভুলতা এলাকার ‘ভুলতা স্কুল অ্যান্ড কলেজ’, কাঞ্চন এলাকার ‘হাজী রফিজউদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’ ও চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের ‘নবকিশলয় হাই স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজের’ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। ছোট ছেলে গাজী গোলাম আসরিয়া বাপ্পী খাদুন এলাকার ‘হাজী আয়েত আলী ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়’-এর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। এ ছাড়া বড় ছেলে গোলাম মর্তুজা পাপ্পার শাশুড়ি খাদিজা মাহতাব রূপসী গন্ধর্বপুরের ‘গন্ধর্বপুর উচ্চ বিদ্যালয়’-এর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে আছেন।

অভিযোগ আছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের কবজায় নিয়ে মানহীন শিক্ষক নিয়োগ, বিদ্যালয় তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রধান শিক্ষকদের সরিয়ে সেখানে নিয়মবহির্ভূতভাবে সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক করা হয়েছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে বাধ্য করা হয় বলেও অভিযোগ ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে। এতে থমকে গেছে বিদ্যালয়গুলোর উন্নয়ন এবং ভেঙে পড়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। 

নীতিমালা অনুসারে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য তহবিল সংগ্রহ, শিক্ষক নিয়োগ, বরখাস্ত, বাতিল বা অপসারণ, নৈমিত্তিক ছুটি মঞ্জুর করা ইত্যাদি পরিচালনার কাজ কমিটির হাতে।

উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত বাজেটসহ বার্ষিক বাজেট অনুমোদন, সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ, সংরক্ষিত ও সাধারণ তহবিল, অন্যান্য তহবিল, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বিলে সই করাসহ মোটামুটি বিদ্যালয়ের অধিকাংশ কাজই হয় পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে।

অভিযোগ আছে, অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই শিক্ষার মানোন্নয়নের চেয়ে নিয়োগ, প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ যেসব কাজে আর্থিকভাবে লাভ হওয়ার সুযোগ আছে, সেগুলো নিয়েই বেশি আগ্রহী গাজী পরিবার। নিজ পরিবারের কবজায় ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রেখে উপজেলার অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আত্মীয়স্বজন, ঘনিষ্ঠজন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে রেখেছেন গোলাম দস্তগীর গাজী।

শিক্ষার্থীদের একাধিক সচেতন অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে বলেন, একটি পরিবার এতগুলোর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটিতে থাকায় তারা সঠিকভাবে এগুলোর দেখভাল করতে পারছেন না।  নিজেরা যা ভালো মনে করছেন সেভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এক পরিবার থেকে এতগুলো প্রতিষ্ঠানের কমিটিতে থাকা যাবে কি না, জানতে চাইলে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘এ ধরনের কোনো বিধি-নিষেধ নেই। তবে সুনির্দিষ্ট তথ্যে কোনো অনিয়মের অভিযোগ পেলে আমরা খতিয়ে দেখব।’ 

এ বিষয়ে জানতে গোলাম দস্তগীর গাজীকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

প্রেমের হতাশা থেকেই নিজের বুকে গুলি চালান পুলিশ কনস্টেবল রনি

প্রকাশ: ০৭:০৮ পিএম, ২৫ মে, ২০২৩


Thumbnail

রাজধানীর বনানীতে পুলিশ চেকপোস্টে গুলিবিদ্ধ হয়ে আশরাফুজ্জামান রনি (২২) নামে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। তিনি নিজের ইস্যুকৃত পিস্তল দিয়ে নিজেই বুকে গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি পুলিশের। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল ৮টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় রনিকে সহকর্মীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।

ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহীদুল্লাহ বলেন, কনস্টেবল রনির সঙ্গে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। তারা মোবাইলে কথা বলতেন। বুধবার রাতেও মোবাইলে অনেক কথা বলেন। সকালে ডিউটিতে আসার আগেও তাদের কথা হয়। 

তিনি বলেন, মোবাইল চেক করে দেখা গেছে, প্রেমঘটিত কোনো বিষয় নিয়ে কনস্টেবল রনির প্রেমিকার সঙ্গে ঝামেলা চলছিল। এ কারণেই তিনি নিজের পিস্তল দিয়ে বুকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে তদন্তের পর সঠিক কারণ জানা যাবে। 

কনস্টেবল পিস্তল ব্যবহার করতে পারে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, চেকপোস্টে যে কনস্টেবলরা ডিউটি করেন, তাদের সুবিধার্থে পিস্তল ব্যবহার করতে পারবেন বলে ডিএমপি সদরদপ্তর থেকে সিদ্ধান্ত হয়। অনেক আগে থেকেই সব চেকপোস্টে এটি ব্যবহার হয়ে আসছে।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বনানী ১১ নম্বরে চেকপোস্টে ডিউটি ছিল রনির। সকালে স্বাভাবিকভাবে তিনি ডিউটিতে আসেন। সঙ্গে আরও পুলিশ সদস্য ছিল। সকাল ৬টা ৪৯ মিনিটের দিকে চেকপোস্টের পাশেই বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে নিজের পিস্তল দিয়ে নিজে গুলি করে আত্মহত্যা করেন। রনি পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) কর্মরত ছিলেন। 

সকাল সাতটার দিকে গুলিবিদ্ধ পুলিশ কনস্টেবলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ কনস্টেবল আশরাফ উজ জামান রনির পরিচয়পত্র থেকে জানা গেছে, তার পুলিশ আইডি নম্বর- বিপি০১২০২২৯২৬২, রক্তের গ্রুপ ‘এ নেগেটিভ’। 

পুলিশ   চেকপোস্ট   কনস্টেবল   গুলি   আত্মহত্যা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতা চাঁদের নামে মামলা

প্রকাশ: ০১:৪৭ পিএম, ২২ মে, ২০২৩


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়ায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে (৬৬) আসামি করে মামলা হয়েছে।

রোববার (২১ মে) রাতে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন সোমবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আবু সাঈদ চাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে আমরা খুঁজছি।

এ বিষয়ে পুঠিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন, এই ঘটনায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা হয়েছে। আসামি আবু সাঈদ চাঁদকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১৯ মে) পুঠিয়ার শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। এ সময় তিনি বলেন, ‘আর ২৭ দফা বা ১০ দফা নয়। শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠাতে হবে।’

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সোমবার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে রাজশাহীসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

এর আগেও বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন। শেখ হাসিনাকে কটূক্তির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হয়। তার ওই বক্তব্য প্রচারের অভিযোগে আরো সাতজনকে মামলায় আসামি করা হয়েছিল।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার আদালতে মামলাটি করেছিলেন।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন