ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ‘রাজধানীর বঙ্গবাজারে ব্যবসায়ীদের দ্বন্দ্বের কারণে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।’ শনিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশ চলচিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবাজারে বহুতল ভবন নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিরোধ ছিল। এই দ্বন্দ্বের কারণে আগুন লাগে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আগুন লাগার কারণও ফায়ার সার্ভিস তদন্ত করছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার আসামিদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করব। এখানে অন্য কোন পরিকল্পনা, ভিন্ন কোনো দৃষ্টিকোণ ও ভিন্ন কোনো গোষ্ঠীর থেকে এই ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তথ্য পেলে জানাব।’
পুলিশ কমিশনার বলেন, আমি মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি বঙ্গবাজারের আগুন লাগার স্থানে বহুতল ভবন করার কথা ছিল। ব্যবসায়ীদের এক অংশ এখানে বহুতল ভবন করার বিপক্ষে। তাদের (ব্যবসায়ীদের) মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে। বঙ্গবাজারে আগুন লাগার কারণ কি, সেটা নিয়ে তদন্ত কমিটি করেছে ফায়ার সার্ভিস ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবাজারের পাশে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরে বিক্ষিপ্ত কিছু জনতা ভাঙচুর করেছে। এ সময় অফিসও কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মনে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের হামলাটি পরিকল্পিত আক্রমণ। আমরা এই মামলা রেকর্ড করেছি।’
এর মধ্যে ১১ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছি। গ্রেফতারকৃতদের সঙ্গে ভিডিও ফুটেজের অনেকের চেহারার মিল আছে। আমরা তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের হামলাটি পরিকল্পিত আক্রমণ।’
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বঙ্গবাজার আগুন
মন্তব্য করুন
মাহমুদা খানম মিতু পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দুদক দুর্নীতি রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ দুর্নীতি মামলা ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সরকার টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করছে। গত ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে। এর আগে তিন মেয়াদে যারা বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী ছিলেন এবং সরকারের ভিতর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের অনেকেরই দায়িত্ব পালনের সময়টি স্বচ্ছতার ছিল না। তারা নিজেদেরকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে পারেননি। আর এ কারণেই তাদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত তিন মেয়াদ এ রকম অন্তত এক ডজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই দুর্নীতির অভিযোগ এখন বিভিন্ন সংস্থাগুলো তদন্ত করছে।