ইনসাইড পলিটিক্স

নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগে শুদ্ধি অভিযান আসছে?

প্রকাশ: ০৭:০১ পিএম, ১৯ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগে শুদ্ধি অভিযান আসছে?

নারায়ণগঞ্জের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন শেষ হয়েছে। নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। কিন্তু এই বিজয়ের পরও নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির টালমাটাল অবস্থা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। নির্বাচনের পর পর কপাল পুড়েছে বিএনপি'র স্বতন্ত্র প্রার্থী  তৈমুর আলম খন্দকারের। আগে তাকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল এখন তাকে দল থেকেই বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, এটি স্রেফ একটি নাটক। যেহেতু নির্বাচনে তিনি পরাজিত হয়েছেন সে জন্য সাময়িকভাবে এটা করা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই আবার তৈমুর আলম খন্দকার কে বিএনপিতে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। বিএনপির রাজনীতিতে বহিষ্কার এবং ঘরে ফেরা ডাল-ভাতের মত ব্যাপার। অনেক নেতাই বহিষ্কৃত হন আবার ফিরে আসেন। ওয়ান-ইলেভেনের সময় সংস্কারের কারণে ইমরান সালেহ প্রিন্সের মতো অনেকেই দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন, তারা আবার দলে ফিরে এসেছেন। এখন তারা দলের পক্ষ থেকে নানারকম বক্তৃতা বিবৃতিও দেন। আর একারণেই তৈমুর আলম খন্দকারের বহিষ্কারাদেশ নিয়ে বিএনপির নেতৃবৃন্দ খুব একটা চিন্তিত নন। তৈমুর আলম খন্দকার নিজেও বলেছেন তিনি বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে কাজ করবেন। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পর আওয়ামী লীগের বিজয় কে সংহত করা এবং ভবিষ্যতে নারায়ণগঞ্জকে বিতর্কমুক্ত এবং বিভক্তি মুক্ত রাখার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। 

cর আগেই শামীম ওসমানের সাথে সেলিনা হায়াত আইভীর বিরোধ প্রকাশ্যে রূপ ছিল। এই নির্বাচনে শুরুতেই শামীম ওসমান আইভীর বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন এবং তার পছন্দের কাউন্সিলরা তৈমুর আলম খন্দকার এর পক্ষেই কাজ করেছিলেন। এরপর পরই আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড সেখানে হস্তক্ষেপ গ্রহণ করে এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত শামীম ওসমান সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে নৌকার পক্ষে প্রচার করবেন বলে জানান। যদিও তাকে কোনো প্রচারণায় দেখা যায়নি। এমনকি তার নিজস্ব লোক জন্ও এই নির্বাচনে নিরাপদ দূরত্বে ছিল। আইভী তার নিজের যোগ্যতা এবং জনপ্রিয়তায় বিজয়ী হয়েছেন। তবে নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন চলাকালীন সময়ে ছাত্রলীগের মহানগর কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। নির্বাচনের পর পর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি বিলুপ্ত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের এখন শুদ্ধি অভিযান শুরু হবে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন যে, নারায়ণগঞ্জে এখনো অনেক কাজ বাকি আছে এবং এই কাজগুলোতে তারা হাত দেবেন। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সভাপতির সঙ্গে তারা বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। 

ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন নিয়ে একটি পোস্টমর্টেম রিপোর্ট চূড়ান্ত করেছেন আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ৫ নেতা। নারায়ণগঞ্জ যেহেতু ঢাকা বিভাগের মধ্যে পড়ে সেহেতু ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এই প্রতিবেদনটি তৈরি করবেন এবং আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে দিবেন। বিভিন্ন সূত্র বলছে যে, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের যে অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কমিটিগুলো রয়েছে সেই কমিটিগুলো সবই শামীম ওসমানের পকেট কমিটি এবং এই কমিটিগুলোকে রেখে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করা অসম্ভব। আর এ কারণেই নারায়ণগঞ্জে একটি বড় ধরনের শুদ্ধি অভিযান পরিচালিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি এই নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন সম্পর্কে মূল্যায়ন প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিবেন। যেখানে যেখানে বিভক্তি আছে যেখানে যেখানে পকেট কমিটি আছে সেগুলো বিলুপ্ত করে দেওয়া হবে এবং বেশ কিছু ব্যক্তি হয়তো নারায়ণগঞ্জে পথ হারাবেন। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলছে নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সংগঠনের দিকে মনোযোগী এবং সংগঠনে যারা বিভক্তি সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর। 

নারায়ণগঞ্জের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   শামীম ওসমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ফখরুলকে পছন্দ কূটনৈতিকদের

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপিতে এখন নেতৃত্বের টানাপোড়েন চলছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পদ ছেড়ে দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিক অভিপ্রায় জানিয়েছেন। এ নিয়ে দলের ভিতর চলছে নানা রকম অস্বস্তি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শেষ পর্যন্ত সরে গেলে দলের মহাসচিব হিসেবে কে দায়িত্ব নেবেন, তা নিয়ে দলের ভিতর চলছে এক ধরনের অনিশ্চয়তা এবং হতাশা। কারণ, এই মুহূর্তে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিকল্প নেই।

দলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একদিকে যেমন তারেক জিয়া এবং বেগম খালেদা জিয়ার অনুগত এবং আস্থাভাজন, অন্যদিকে তিনি সারা দেশের বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে যোগসূত্র রক্ষা করে চলেছেন। তিনি ছাড়া এই মুহূর্তে অন্য কেউ মহাসচিব বা ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হলে দলের ভিতর এক ধরনের শূন্যতা তৈরি হবে বলেও অনেকে মনে করছেন।

তবে শুধু বিএনপির নেতাকর্মীরাই নয়, কূটনৈতিকরাও মনে করছেন, এই সময় বিএনপিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিকল্প নেই। তারা মনে করছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে শুধু মহাসচিব নয়, তাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া উচিত। কারণ, তাকে ঘিরে এখন বিএনপির রাজনীতি আবর্তিত হচ্ছে এবং তিনি একদিকে যেমন দায়িত্বশীল আচরণ করেন, অন্যদিকে কূটনৈতিকদের মনের ভাষা বোঝেন এবং তাদের কথাবার্তা গুলোর সঠিক উত্তর দিতে পারেন। যদিও কূটনৈতিক অঙ্গনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চেয়ে বেশি পদচারণা করেন ড. মঈন খান। কিন্তু মঈন খানের চেয়ে এই মুহূর্তে কূটনৈতিকদের পছন্দ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, পশ্চিমা কয়েকটি দেশ এখন বিএনপিতে সংকট নিরসনের জন্য একটি ফর্মুলা দিয়েছেন। তাদের মতে, এই মুহূর্তে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়াকে দলের মূল নেতৃত্ব থেকে সরে যাওয়া উচিত। তার বদলে এমন একজন ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত যিনি দলের সার্বক্ষণিক কাজ করেন এবং সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। আর এক্ষেত্রে তাদের প্রথম পছন্দ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কূটনৈতিকরা ইতোমধ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বিষয়ে বার্তা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

কূটনৈতিকদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, যদি এমন একজন নেতা বিএনপির দায়িত্ব নেন যার সঙ্গে সরাসরি কথা বলা যায় এবং যিনি সংবেদনশীল ও কূটনৈতিকদের চাওয়া চাহিদাগুলো সম্পর্কে সম্যক ধারণা আছে তাহলে পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন হওয়া সম্ভব। এর ফলে কূটনৈতিকরা কি চাচ্ছেন না চাচ্ছেন সেই বার্তাগুলো সহজেই বিএনপির নীতি নির্ধারকদের কাছে সঞ্চালিত করা যায়।

কিন্তু এখন বিষয়টি অন্যরকম হচ্ছে। তাদের মতে, বিএনপির নেতারা যখন কূটনৈতিকদের সঙ্গে বৈঠকে আসছেন তখন তারা কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারছেন না। সব সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে দেওয়ার জন্য সময় নিচ্ছেন। এটির ফলে বিএনপির প্রতি কূটনৈতিকদের আস্থা এবং বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

কূটনৈতিকরা মনে করেন , বিএনপিতে বেশ কয়েকজন নেতা রয়েছেন যারা যোগ্য এবং দায়িত্বশীল, দীর্ঘদিন রাজনীতি করার অভিজ্ঞ। তবে যেহেতু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দীর্ঘদিন ধরে দলের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন এবং অঘোষিতভাবে তিনিই বিএনপির নেতা সে কারণেই এই মুহূর্তে তাকে ভারপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করা উচিত।

তবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, তিনি ডিসেম্বর পর্যন্ত তারেক জিয়া এবং বেগম খালেদা জিয়াকে সময় দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তার যে শারীরিক অবস্থা এবং পারিবারিক বাস্তবতা, তাতে ডিসেম্বরের পরে তার পক্ষে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। এর মধ্যে তিনি বিএনপির নতুন একজন মহাসচিব খুঁজে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন।

তবে কূটনৈতিক মহল বলছে যে, শেষ পর্যন্ত যদি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহাসচিব না থাকেন, এই পদে যাকেই নেওয়া হোক না কেন বিএনপি নতুন করে সংকটে পড়বে।


ফখরুল আসলাম আলমগীর   কূটনৈতিক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

লাইমলাইটে ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আবার লাইমলাইটে। টানা তিনবারের সাধারণ সম্পাদক হয়ে রেকর্ড করা ওবায়দুল কাদের এবার তৃণমূলের হৃদয় জয় করেছেন। তৃণমূলের কাছে আকস্মিকভাবে তিনি একজন পছন্দের ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন। এর প্রধান কারণ অবশ্য শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচনে ‘মাই ম্যান’দের উত্থান ঠেকাতে আত্মীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছেন। দলীয় পরিচয়ে এবার উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না। দল থেকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু তারপরেও মন্ত্রী-এমপিরা এলাকায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য তার নিজের পছন্দের লোকজনকে উপজেলায় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করছেন। নিজের পছন্দের প্রার্থী ঘোষণা করেই কেউ কেউ ক্ষান্ত হচ্ছেন না। অনেকে তার স্ত্রী, পুত্র, ভাই, ভাতিজা, শ্যালকদেরকে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদে প্রার্থী করে এলাকায় নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছেন।

আর এর বিরুদ্ধে এবার সুস্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, উপজেলা নির্বাচনে আর স্বজনপ্রীতি বরদাস্ত করা হবে না। নিজেদের স্বজনদেরকে যারা প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন, তাদের প্রার্থী থেকে সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এ নিয়ে আওয়ামী লীগকে চাঙ্গা করে তুলেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে অতীতে তৃণমূলের অনেক অভিযোগ ছিল, সমালোচনা ছিল। বিশেষ করে বিভিন্ন কমিটি সম্পন্ন না হওয়া, কমিটিতে অযোগ্য লোকজন এবং অনুপ্রবেশকারীদের প্রভাব- ইত্যাদি নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদকের এক ধরনের দূরত্বের কথা শোনা যাচ্ছিল। বিভিন্ন সময়ে তৃণমূলের নেতারা অভিযোগ করেছেন যে, আওয়ামী লীগের সভাপতিকে পাওয়া যায় কিন্তু সাধারণ সম্পাদক তাদের কথা শোনেন না। এরকম পরিস্থিতি যখন চলছিল, তখন হঠাৎই যেন জ্বলে উঠলেন ওবায়দুল কাদের। স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে তার অবস্থান, তৃণমূলে তার প্রভাব এবং জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিয়েছে।

আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতারা বলছেন যে, ওবায়দুল কাদের যদি এই অবস্থান ধরে রাখতে পারেন এবং শেষ পর্যন্ত যারা স্বজনদেরকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন, তাহলে তিনি আরও জনপ্রিয়তা পাবেন এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অমরত্ব লাভ করবেন।

ওবায়দুল কাদের অবশ্য আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশ প্রতিপালন করেই এ ধরনের পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করছেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি যা বলেন, সেটা করাই তার সবচেয়ে বড় যোগ্যতা। আর এ কারণেই তিনি এখন ‘মাই ম্যান’দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।

গত কিছুদিন ধরে আওয়ামী লীগের স্বজনদের উপদ্রব অনেক ব্যাপকভাবে বেড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার মেয়েকে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে জিতিয়ে আনা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে দেখা যাচ্ছে যে, এমপিরা তাদের সন্তান এবং নিকট আত্মীয়দেরকে বিভিন্ন কমিটিতে বসাচ্ছেন এবং এই কমিটিগুলো শেষ পর্যন্ত পারিবারিক কমিটিতে পরিণত হচ্ছে। মূলত এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্যই এটি করা হচ্ছে। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ এদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবশেষে সোচ্চার হয়েছে আওয়ামী লীগ। আর এই সোচ্চার হওয়ার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সভাপতির ভূমিকাই প্রধান। তবে আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে সততা এবং নিষ্ঠার পরিচয় দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি ইতোমধ্যে দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের নির্দেশ দিয়েছেন যে, কারা আত্মীয় স্বজনদেরকে উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়েছেন, তাদের তালিকা তৈরি করার জন্য। আর এই তালিকা অনুযায়ী যদি শেষ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের প্রার্থীতা কিছুটা কমে, তাহলেও সেটা হবে তৃণমূলের একটা বড় বিজয়। এর ফলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তি যেমন বাড়বে, তেমনই আওয়ামী লীগের তৃণমূলের বঞ্চিত, পরীক্ষিত এবং দুঃসময়ের কাণ্ডারীরা উজ্জীবিত হবেন। আর এর প্রশংসা শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ সভাপতি একা পাবেন না, সাধারণ সম্পাদকও পাবেন।


ওবায়দুল কাদের   রাজনীতি   সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ভারতে সব দলেরই অপছন্দ বিএনপি

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের নির্বাচন শুরু হয়েছে গতকাল থেকে। প্রথম দফার নির্বাচন হয়েছে উত্তেজনাপূর্ণ। এই নির্বাচনে ভারতের ক্ষমতা পরিবর্তন হবে, নাকি টানা তৃতীয় বারের মতো নরেন্দ্র মোদি আবার ক্ষমতায় আসবেন তা বুঝা যাবে ৪ জুন। ঐ দিন ভোট গণনা শুরু হবে। তবে ভারতে বিজেপি বা ইন্ডিয়া জোট যারাই ক্ষমতায় আসুন না কেনো, দুই জোটই বিএনপিকে অপছন্দ করে এবং বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব রক্ষা করার নীতি নিয়ে চলে। দুটি জোটের কূটনৈতিক নীতি এবং ক্ষমতায় এলে পরিকল্পনার যে কৌশলপত্র তাতে বাংলাদেশের ব্যাপারে অভিন্ন মতামত লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

শুধু বাংলাদেশ নয়, কূটনৈতিক ক্ষেত্রে বিজেপি এবং ইন্ডিয়া জোট প্রায় অভিন্ন মনোভাব পোষণ করেছেন। দুটি দলের নির্বাচনী যে অঙ্গীকার এবং কূটনৈতিক পরিকল্পনা তা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

ইন্ডিয়া জোটের প্রধান শরীক হলো কংগ্রেস। কংগ্রেস তার নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেছে এবং বাংলাদেশে যেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার রাজনীতি বিকশিত হয়, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের যে বীজ বপিত হয়েছিল সেই সম্পর্ক যেন আরও এগিয়ে যায়, সেই ব্যাপারে অঙ্গীকার করা হয়েছে। ভারতীয় কংগ্রেস তার নির্বাচন কূটনৈতিক পরিকল্পনায় যে সমস্ত বিষয়গুলো রেখেছেন তাতে বাংলাদেশে যাতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের লালন না হয়, ধর্মান্ধ উগ্র মৌলবাদীরা যাতে ক্ষমতাবান না হয়ে উঠে সে ব্যাপারে সতর্ক দেয়া হয়েছে।

একই রকম অবস্থান গ্রহণ করা হয়েছে বিজেপির নির্বাচনী অঙ্গিকারে। বিজেপি সবসময় মনে করে যে, বাংলাদেশের ভূখন্ড যেন ভারতের বিছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় কেন্দ্রে পরিণত না হয়। বাংলাদেশে যেন ধর্মান্ধ, মৌলবাদি, সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা চাড়া না দিয়ে ওঠে এবং বাংলাদেশে যাতে সংখ্যালঘু নিপিড়ন না হয়।

ভারতের বিজেপি সমর্থিত থিংক ট্যাংক গুলো সুস্পষ্টভাবে বলেছে যে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপিড়ন বন্ধ করার জন্য এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে রাখার জন্য আওয়ামী লীগের কোন বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় না থাকে তাহলে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে বলে মনে করে বিজেপি এবং কংগ্রেস দু’টি রাজনৈতিক দল। এ দুটির বাইরেও যে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো ভারতের কূটনীতি এবং পররাষ্ট্র নীতিতে ভূমিকা রাখতে পারে সে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থানও কংগ্রেস এবং বিজেপির মতোই। কংগ্রেসের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের লড়াই করা তৃণমূল বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বিশেষ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। আর একারণেই ভারতের নির্বাচনে ফলাফল যাই হোক না কেন, এটি বিএনপির জন্য কোন আশার বাণী আনবে না।

সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বক্তব্যটি স্বীকার করেন। তবে নাম প্রকাশ করে বিএনপির কোন নেতাই ভারতের নির্বাচন নিয়ে এখন কোন মন্তব্য করতে রাজি নন। তবে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলছেন, ‘ভারতের মনোভাব যাই হোক না কেন, আমাদেরকে ক্ষমতায় আসতে হবে জনগণের সমর্থন নিয়েই। আমরা যদি জনগণের তাহলে ভারত কি ভাবলো না ভাবলো, ভারত কাকে চাই বা না চাই সেটি কোন বিষয় নয়’।


বিজেপি   বিএনপি   কংগ্রেস   ভারত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘মাই ম্যান’দের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে নীরব বিপ্লব

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা এবং ওবায়দুল কাদেরের সুস্পষ্ট ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের তৃণমূলে রীতিমতো জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক উপজেলায় এ সিদ্ধান্তের পক্ষে বিজয় মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, এটি মাই ম্যানদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট নির্দেশনা এবং দল বাচানোর জন্য একটি দূরদর্শী পদক্ষেপ।

আওয়ামী লীগে দীর্ঘদিন ধরে মন্ত্রী-এমপিদের দাপটে দলে ত্যাগী এবং বঞ্চিত নেতারা কোণঠাসা অবস্থায় ছিলেন। বিশেষ করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর মন্ত্রীরা এলাকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের জন্য রীতিমতো রাম রাজত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের বহু নেতা অভিযোগ করেছেন যে, মন্ত্রী-এমপিরা এখন দলের অন্য কোন নেতাকেও রাখতে দিচ্ছিলেন না। তারা সবসময় চেষ্টা করছেন যে, পরিবারের লোকজনকেই বিভিন্ন পদ পদবী দিতে।

একাধিক নেতা বলছেন যে, রূপগঞ্জের কথাই ধরা যাক, রূপগঞ্জে সাবেক মন্ত্রী এবং বর্তমান সরকারের এমপি গাজী গোলাম দস্তগীর পুরো রূপগঞ্জকেই যেন দখল করে ফেলেছেন। তার স্ত্রীকে পৌরসভার মেয়র করা হয়েছে, তার ছেলে এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন। সবকিছু মিলিয়ে রূপগঞ্জ এখন যেন গাজীগঞ্জে পরিণত হয়েছে। শুধু রূপগঞ্জ একা না এরকম অনেক নির্বাচনী এলাকায় পরিবারতন্ত্র একটি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে।

এর আগে আওয়ামী লীগের তৃণমূল এবং স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা এর বিরুদ্ধে কথা বলতেন না। কথা বললেই তাদের বিরুদ্ধে নানা রকম হয়রানি করা হতো। তাদের উপর হামলা করা হতো। এখন সেই পরিস্থিতি পাল্টে যাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় যারা মন্ত্রী-এমপি হয়ে এলাকায় জমিদারতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছেন তাদের মূল ক্ষোভের জায়গা হলো তৃণমূল আওয়ামী লীগ। আর এই তৃণমূল আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করা তাদেরকে হটিয়ে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মিশন শুরু হয়েছিল বেশকিছু নির্বাচনী এলাকায়। এখন আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনার ফলে তৃণমূলের মধ্যে একধরনের উত্থান ঘটেছে। এটি নির্বাচনের আবহাওয়া পাল্টে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এখন এই নির্বাচনে যারাই অংশগ্রহণ করুক বা যেই ফলাফলই হোক না কেন, ‘মাই ম্যান’দেরকে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আলাদা পক্ষপাত দিতে পারবে না বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ আওয়ামী লীগ সভাপতি সুস্পষ্টভাবেই নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এটি সরকারের আনুষ্ঠানিক অবস্থান। এর ফলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা প্রশাসন মন্ত্রী-এমপিদের পছন্দের প্রার্থীদের জিতিয়ে আনার জন্য আলাদা কোন অবস্থান নিতে পারবেন না। এটির ফলে নির্বাচনে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের একটি পথ তৈরি হবে।

তবে তৃণমূলের স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন যে, এটির ফলে যেটি সবচেয়ে ভালো হয়েছে তা হলো ‘মাই ম্যানরা’ এখন কোণঠাসা থাকবেন এবং যারা স্থানীয় পর্যায়ে তৃণমূলকে উপেক্ষা করতেন তাদের জন্য এটি একটি সুস্পষ্ট বার্তা।

টাঙ্গাইলে ড. আব্দুর রাজ্জাক, মাদারীপুরে শাজাহান খান, রূপগঞ্জে গোলাম দস্তগীর গাজীর মত যারা তাদের এলাকায় পরিবারতন্ত্র কায়েমের চেষ্টা করছেন তাদের বিরুদ্ধে এখন তৃণমূল ঐক্যবদ্ধ হবে এবং পরিবারতন্ত্রকে হটানোর ক্ষেত্রে একটা বড় ধরনের ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


আওয়ামী লীগ   তৃণমূল   উপজেলা নির্বাচন   রাজনীতি   ড. আব্দুর রাজ্জাক   শাজাহান খান   গোলাম দস্তগীর গাজী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যুক্তরাজ্যে থাকলে রাজনীতি করতে পারবেন না তারেক?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তারেক জিয়ার যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে নতুন সংকট তৈরি হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ রয়েছে। বিশেষ করে অপরাধ বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকার এখন তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আবার নতুন করে প্রচেষ্টা শুরু করেছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ড. হাছান মাহমুদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর পরই এ বিষয়টিকে তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসকে এ ব্যাপারে তৎপর হওয়ার জন্য তিনি পরামর্শ দিয়েছেন। তার এই নির্দেশনা অনুযায়ী যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস আবার নতুন করে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করছে এবং তারেক জিয়ার ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানতে চাচ্ছে।

তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকর করার অঙ্গিকার আওয়ামী লীগ ৭ জানুয়ারী নির্বাচনেই করেছে। সেই অঙ্গিকার বাস্তবায়নের জন্য আওয়ামী লীগ তার চেষ্টা এবং তৎপরতা নতুন করে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। এরকম বাস্তবতায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত সারা কুক বিএনপির তিন নেতাকে ডেকেছিলেন এবং তাদের কাছে এ মনোভাবগুলো জানান।

বিট্রেনসহ পশ্চিমা দেশগুলো এখন চাইছে যে, তারেক জিয়ার রাজনীতির নেতৃত্বের অবসান ঘটুক। তিনি বিএনপিতে কোন অলঙ্কারিক পদ গ্রহণ করুক। যেন তিনি উপদেষ্টা বা দলের পৃষ্টপোষক হতে পারেন। কিন্তু দলের নির্বাহী দায়িত্ব যেন তিনি পালন না করেন সে ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলো থেকেও বিএনপির উপর এখন একধরনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।

বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, একাধিক কারণে পশ্চিমা দেশগুলো এরকম মনোভাব ব্যক্ত করছে। প্রথমত, পশ্চিমা দেশগুলো অনেক নীতি নির্ধারণী বিষয়ে যখন মতামত জানতে চান তখন বিএনপি নেতারা এই মতামত দিতে পারেন না। কারণ সব কিছুর জন্য তারা তারেক জিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকেন। লন্ডনে তারেক জিয়া যে নির্দেশ দিবে সে নির্দেশ পালন করা যেন তাদের একমাত্র কাজ। ফলে কূটনৈতিকরা বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন।

দ্বিতীয়ত, তারেক জিয়ার এখন সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত থাকাটা সংগঠন এবং গণতন্ত্রের পরিপন্থী। কারণ, একজন দন্ডিত ব্যক্তি কখনোই একটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে থাকতে পারেন না এবং থাকা উচিত নয়। এরককম বাস্তবতা থেকে তারেক জিয়াকে রাজনীতির মূল নেতৃত্বের বাইরে রাখার জন্য যুক্তরাজ্য প্রস্তাব করছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, তারেক জিয়া একজন রাজনৈতিক আশ্রয় লাভকারী হিসেবে যুক্তরাজ্যে গত ১৬ বছর ধরে অবস্থান করছেন। আর রাজনৈতিক আশ্রয় লাভকারী কোন ব্যক্তিকে যুক্তরাজ্য রাখে মানবাধিকার এবং জীবনের অধিকার সুরক্ষার স্বার্থেই। তারেক জিয়া বাংলাদেশে এলে তার জীবন হুমকি হতে পারে, তিনি প্রতিহিংসার স্বীকার হতে পারেন, একারণেই ব্রিটিশ সরকার তাকে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রাখতে পারেন। কিন্তু ব্রিটেনে থেকে যদি তিনি অন্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কথা বলেন বা কাজ করেন, একজন রিফিউজি হয়ে যদি তিনি অন্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেন- সেক্ষেত্রে সেটি হবে রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। এখন তারেক জিয়া সেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জাড়িত তা অনেকে মনে করে। আর এ কারণেই সরকারের পক্ষ থেকে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তাছাড়া সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি এখন সামনে এসেছে তা হলো, তারেক জিয়া একধিক মামলায় দন্ডিত হয়েছেন এবং এ মামলাগুলো হাইকোর্টে বিচারাধীন আছে। আদালতে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্যই তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে ফেরত আনা জরুরী বলে মনে করছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।


আওয়ামী লীগ   বিএনপি   তারেক জীয়া   পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন