মাহবুব উল আলম হানিফ আওয়ামী লীগ বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
হাওর এলাকাগুলোতে বাঁধ নির্মাণে সরকারের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগ এনে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রী-এমপি, সরকারি কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই টাকা হরিলুট করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৭মে) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কৃষকদলের একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি সুনামগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত হাওড়াঞ্চল সরেজমিনে পরিদর্শন ও কৃষকদের দুর্দশার চিত্র দেখে এসেছেন। তারা একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। যা থেকে জানা যায়, চলতি বছরে সুনামগঞ্জ জেলায় বাঁধ নির্মাণে সরকারি বরাদ্দ ছিল ১২২ কোটি এবং গত ৫ বছরে এই টাকার পরিমাণ ছিল ৬২১ কোটি টাকা। যা বাঁধ রক্ষায় তেমন কোনো কাজে আসেনি। বরং এই বরাদ্দকৃত টাকা ব্যাপক অনিয়ম ও লুটপাট হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রী-এমপি, সরকারি কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই টাকা হরিলুট করেছেন। যে সমস্ত বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে তা এতই দুর্বল যে, মাত্র ২৪ ঘণ্টার পানির চাপ সামলাতে পারেনি।
সরকারি দুর্নীতিরোধ, হাওড়ের কৃষকদের দুর্দশা লাঘব ও শস্য নিরাপত্তা রক্ষায় কৃষক দলের কতিপয় সুপারিশ তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, হাওড় রক্ষা বাঁধ নির্মাণে সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধ করতে হবে। এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
বছর বছর বাঁধ নির্মাণ না করে সিমেন্ট ও বালু দিয়ে তৈরি ব্লক ফেলে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনা সুদে বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। ঋণগ্রস্ত কৃষকের ঋণের সুদ মওকুফ এবং স্বাভাবিক অবস্থা না ফেরা পর্যন্ত ঋণের কিস্তি নেওয়া বন্ধ করতে হবে। হাওড় অঞ্চলে শস্য বিমা চালু করতে হবে। হাওড় অঞ্চলের কৃষকের আর্থ-সামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য গণমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান, বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নাজিম উদ্দিন আলম, মীর সরাফত আলী সপু, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, সহসভাপতি ভিপি ইব্রাহিম ও জামাল উদ্দিন খান মিলন।
বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতিতে জড়িতদের শাস্তি
মন্তব্য করুন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও ঢাকার সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাস অসুস্থ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মির্জা আব্বাস দুদিন যাবৎ পেটের পীড়ায় ভুগছেন। সকালে তাকে শ্যামলী স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে তার সুস্থতার জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
এক যুগেরও কিছু বেশি সময় ধরে রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। ক্ষমতায় আসতে নানা রকম ছলচাতুরির চেষ্টা আর সহিংসতার পথ অবলম্বন করায় মামলা ও গ্রেফতারে নেতাকর্মীদের নাজেহাল অবস্থা। বলা যায় জনগণ থেকে একঘরে হয়ে রয়েছে বিএনপি। হাজার বেড়াজালে দলটি এখন ভঙ্গুর প্রায়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফল বিপর্যয়ের পর আরও চাপে পড়েছে দলটি। সবমিলিয়ে এখন কঠিন সংকটের সম্মুখীন দলটি। এ অবস্থায় বর্তমান সংকট কাটিয়ে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বিএনপি। কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতে গিয়ে নিজের উপর আস্থার সংকটে ভুগছে দলটির নেতাকর্মীরা। নিজেদের উপর আস্থার সংকট এবং সন্দেহ নিয়ে রোববার (১৫ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, অনেকেই ঝরে যাবে। অনেকেই দালালি করবে, অনেকেই ষড়যন্ত্রের শিকার হবে। আবার অনেকেই লোভে পড়বে।
বিএনপির নেতারা বলছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা হলে ২০ দলীয় জোট ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছিল এবং নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু যে প্রত্যাশা নিয়ে ২০ দলীয় জোট ওই ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছিল সে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি বরং তারা ষড়ষন্ত্রের মধ্যে পড়েছিল বলে দলের অধিকাংশ নেতা মনে করেন। তাদের অনেকের মতে, ড. কামাল হোসেন সে সময় সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছে। আর সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ড. কামালের এজেন্ডা বাস্তবায়নে বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় কিছু নেতার ব্যক্তি স্বার্থে বিএনপি ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছিল। যা দলটির জন্য সমীচীন হয়নি বলে মনে করেন দলের একাংশের নেতাকর্মীরা। এই নিয়ে বিএনপিতে মেরুকরণও তৈরি হয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এবারও বিভিন্ন জোট গঠনের কথা ভাবছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। ফলে এবারও হয়তো স্বার্থন্বেষী কিছু নেতা আগের পথে পা বাড়াবে বলে শঙ্কা করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এই নিয়ে দলের বেশ কয়েকজন নেতার প্রতি সন্দেহ-অবিশ্বাস বাড়ছে বিএনপিতে। বিএনপি সংশ্লিষ্টরা বলছে, যাঁদের সন্দেহ করা হচ্ছে তাঁদের মধ্যে বিএনপির সাবেক একাধিক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আছেন। এমনকি স্থায়ীদের কমিটির একাধিক নেতার নামও এই তালিকায় রয়েছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। শুধু বিএনপিতে নয়, ২০ দলীয় জোটের একাধিক শরিকও রয়েছে এই সন্দেহের তালিকায়।
বিশ্লেষকদের মতে, ভুল রাজনীতির কারণে বিএনপি এখন ‘চোরাগলিতে’আটকে গেছে। দলের ভেতর বিভিন্ন ধরনের সংকটে টালমাটাল দলটি। সাংগঠনিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানো চেষ্টা করলেও সুবিধা করতে পারছে না দলটি বরং আরও কঠিন হয়ে পড়ছে। এদিকে অসুস্থ হলেও এখনও বিএনপির কাণ্ডারি খালেদা জিয়া। কিন্তু নানা কারণে দলের নেতাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ হচ্ছে না। আবার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া লন্ডনে বসে স্বেচ্ছাচারীভাবে দল পরিচালনা করছেন। যাকে মন চাইছেন বহিষ্কার করছেন আবার যাকে মন চাইছেন শোকজ করছেন। ফলে নিজ দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন দলের অধিকাংশ নেতাকর্মীরা। এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে সরকারের সঙ্গে আঁতাত বা তৃতীয় শক্তির উত্থান তৎপরতায় নেতারা জড়িত হবেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
মন্তব্য করুন
জাতীয় সরকারের দাবি নিয়ে বেশকিছুদিন ধরে মাঠে নেমেছেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি প্রথমে জাতীয় সরকারের বিষয়টি ইনিয়ে-বিনিয়ে বলেছিলেন কিন্তু এখন তিনি খোলাসা করেই সুনির্দিষ্ট ফর্মুলা দিয়ে জাতীয় সরকারের দাবি তুলছেন। যদিও তার জাতীয় সরকারের এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে দেশের প্রধান দুইটি রাজনৈতিক দলই। আওয়ামী লীগ এটিকে উদ্ভট এবং....
আজ ১৭ মে। ১৯৮১ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু শেখ হাসিনার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অত্যন্ত সহজ সরল একটি বিষয় ছিল না। নানা প্রতিকূলতা এবং প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে তাকে দেশে ফিরতে হয়েছিল এবং তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে সবচেয়ে বড় বাধা ছিলেন তৎকালীন সামরিক স্বৈরাচারী জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালের...
হাওর এলাকাগুলোতে বাঁধ নির্মাণে সরকারের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগ এনে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রী-এমপি, সরকারি কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই টাকা হরিলুট করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এক যুগেরও কিছু বেশি সময় ধরে রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। ক্ষমতায় আসতে নানা রকম ছলচাতুরির চেষ্টা আর সহিংসতার পথ অবলম্বন করায় মামলা ও গ্রেফতারে নেতাকর্মীদের নাজেহাল অবস্থা। বলা যায় জনগণ থেকে একঘরে হয়ে রয়েছে বিএনপি। হাজার বেড়াজালে দলটি এখন ভঙ্গুর প্রায়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফল বিপর্যয়ের পর আরও চাপে পড়েছে দলটি। সবমিলিয়ে এখন কঠিন সংকটের সম্মুখীন দলটি।