ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদার বাসায় ফেরা: বিভ্রান্ত করাই বিএনপির রাজনীতি?

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ০২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২


Thumbnail খালেদার বাসায় ফেরা: বিভ্রান্ত করাই বিএনপির রাজনীতি?

দীর্ঘ ৮১ দিন রাজধানী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাকে বাসায় নেয়া হয়। কিন্তু এতদিন বিএনপির নেতারা বলে আসছিলো ‘খালেদা জিয়া মরণাপন্ন, আর বাঁচবেন না, এখনই তাকে বিদেশে নিতে হবে। দেশে এ রোগের চিকিৎসা নেই’। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে জেলায় জেলায় সমাবেশও করেছে বিএনপি। অথচ এখন বেগম জিয়া সুস্থ হয়ে বাসায় অবস্থান করছেন। জনগণকে বিভ্রান্ত করা বিএনপির বহু পুরনো কৌশল হিসেবেই মনে করছেন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা।

জনগণকে বিভ্রান্ত করার রাজনীতি বিএনপির জন্য নতুন কিছু নয়। বিএনপি প্রতিষ্ঠাই পেয়েছে মানুষকে বিভ্রান্ত করার মধ্য দিয়ে। দলটি জন্মলগ্ন থেকেই  ক্ষমতাকে কে কুক্ষিগত করা এবং ক্ষমতায় বসার হাতিয়ার হিসেবে জনমনে বিভ্রান্তি এবং অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। বিএনপির রাজনৈতিক গ্রাফটি ভালো করে পর্যবেক্ষণ করলেই দেখা যায়, দলটি সব সময় মানুষকে বিভ্রান্ত করে আসছে। অসত্য তথ্য কিংবা অর্ধ সত্য তথ্য দিয়ে আসছে। আমরা সকলেই জানি অর্ধ সত্য তথ্য মিথ্যের থেকেও ভয়ংকর। সত্য-মিথ্যার মিশ্রণের ফলে বক্তব্য বেশি গ্রহণযোগ্য হয় এবং সত্য থেকে মিথ্যা আলাদা করা কঠিন হয়ে পড়ে। এই মিথ্যাচারের প্রকল্পে কিছু আছে ইতিহাস বিকৃত করার উদ্দেশ্য, আর কিছু আছে তাৎক্ষণিক রাজনৈতিক সুবিধা লাভের আশা। বিএনপির রাজনৈতিক ডিসকোর্স থেকে এর উত্তর স্পষ্ট হয়ে উঠে।

জিয়াউর রহমান যখন বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তখন তিনি বলেছিলেন, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধসহ দেশ মাতৃকাকে রক্ষা করার জন্য তিনি ক্ষমতায় এসেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে জাতি দেখলো যে, ক্ষমতায় বসেই তিনি রাজাকার, আলবদরদের পৃষ্ঠপোষকতা আরম্ভ করলেন। গ্রেফতার রাজাকারদের জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। শুধু জেল থেকে মুক্ত করাই না, রাষ্ট্রীয় খরচে তাদের পুনর্বাসনও হয় জিয়াউর রহমানের হাত ধরে।

স্বৈরাচার এরশাদের ক্ষমতায় আসার পেছনেও ছিল বিএনপির নেতাদের হাত। এমনকি এরশাদকে সেনাবাহিনীর সবচেয়ে বড় আসনেও বসিয়েছিল বিএনপি, আরও স্পষ্ট করে বললে স্বয়ং জিয়াউর রহমান। এরপর দীর্ঘদিন ধরে এরশাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামী ছাত্রবন্ধুরা আন্দোলন করে তার পতন ঘটিয়ে ছিল। কিন্তু স্বৈরাচার এরশাদের পতনের পর ৯১ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি সারাদেশে প্রচারণা চালালো যে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্য হয়ে যাবে। মসজিদে উলুধ্বনি ‍উচ্চারিত হবে। ফেনী নোয়াখালী এলাকা ভারত দখল করে নেবে। পরবর্তীতে ৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলো, দেখা গেলো বিষয়টি সত্যি না। দেশে এরকম কিছুই ঘটেনি। বাংলাদেশ বাংলাদেশের জায়গায় আছে। বরঞ্চ ২১ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির হাতে দেশ আরও শক্তিশালী হয়েছে। 

এরপর ৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে খালেদা জিয়া বললো যে, বাংলাদেশে পাগল এবং শিশু ছাড়া কেউই নিরপেক্ষ নয়। ফলে নিরপেক্ষ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা যাবে না। কিন্তু এখন এই বিএনপিই বলছে, নিরপেক্ষ লোক দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে। পাগল এবং শিশু কিভাবে নিরপেক্ষ হয়ে গেল, এটি একটি বড় প্রশ্ন বটে। 

২০০১ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় তৎকালীন বিএনপি নেতা বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও তার ছেলে মাহি বি চৌধুরী ‘সাবাস বাংলাদেশ’ নামে একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেছিলেন। প্রামাণ্যচিত্রে বি. চৌধুরী একহাতে কোরআন এবং অন্য হাতে গীতা রেখে বলেছিলেন যে, ‘আপনারা কোন শাসন চান?’ সেসময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভারতের সেবাদাসসহ নানারকম অভিযোগ তুলেছিল তিনি। ওই প্রামাণ্যচিত্রটি পরিচালনা করেছিলেন মাহি বি. চৌধুরী এবং উপস্থাপনা করেছিলেন অধ্যাপক বি. চৌধুরী। সাবাস বাংলাদেশে দেখানো হলো যে বাংলাদেশে ইসলাম বিপন্ন, কোরআন বিপন্ন। সবকিছুর খারাপ অবস্থা। এরকম পরিস্থিতি থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করার আহ্বান জানানো হলো শাবাস বাংলাদেশ থেকে। কিন্তু বিষয়টি ছিল স্রেফ মিথ্যাচার। আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশের কোনো নাগরিকই এরকম সমস্যার মুখোমুখি হয়নি। মসজিদে নামাজ হয়েছে, মন্দিরে প্রার্থনা। তবে হ্যাঁ, তৎকালীন সময়ে সাম্প্রদায়িক এবং মৌলবাদী গোষ্ঠী কোণঠাসা হয়ে গিয়েছিল এবং সরকারের বলিষ্ঠ ভূমিকার রাখার কারণে দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারেনি তারা। 

এরপর ২০০৬ সালে বিএনপি আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করেছে এবং দলটির পক্ষপাতদুষ্টতার জন্যই ওয়ান-ইলেভেন সম্ভব হয়েছিল। বিএনপি সেসময় যদি গণতান্ত্রিক পন্থায় চলতো এবং শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী হতো, তাহলে ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টির সুযোগ ছিল না বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন। 

বিএনপির সর্বশেষ জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে খালেদা জিয়ার অসুস্থা নিয়ে। বিগত কয়েক মাস ধরেই খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়ার নির্দেশে জাতির সামনে একের পর এক অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করেছে বিএনপির নেতারা। তারা এতদিন বলে আসলো যে খালেদা জিয়া মরে যাবে। তাকে বিদেশে পাঠানো দরকার। তাদের এই ধরণের মিথ্যাচারের কারণে জনগণও এতোদিন মনে করে আসছিল হয়তো খালেদা জিয়ার ভয়ঙ্কর কিছু একটা হয়েছে। কিন্তু গতকাল খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে তার নিজ বাসভবনে ফিরে গেছেন। ফলে বিএনপির বিভ্রান্তির রাজনীতির সবশেষ প্রমাণ হলো খালেদা জিয়ার অসুস্থতা।

বিএনপি   খালেদা জিয়া   জিয়াউর রহমান   তারেক রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

অক্টোবরে যে পাঁচ ঘটনা রাজনীতির দৃশ্যপট পাল্টে দিতে পারে

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

অক্টোবর মাস বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মাসে অনেক কিছু ঘটতে পারে—এমন আশঙ্কা করছেন রাজনীতিবিদ এবং সংশ্লিষ্টরা। বিভিন্ন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিও বলছেন, এই মাসে অনেক কিছুই ঘটতে পারে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘অক্টোবরেই সরকারের পতন ঘটবে।’ অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, ‘এই অক্টোবরেও আছি, আগামী অক্টোবরেও থাকবো।’ অক্টোবর নিয়ে পাল্টাপার্টি ঘোষণার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠেছে কি হতে যাচ্ছে আগামী অক্টোবরে। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শুরু হওয়া মাস আগামী অক্টোবরে পাঁচটি ঘটনা রাজনীতির দৃশ্যপট পাল্টে দিতে পারে। এই ঘটনাগুলোর মধ্যে রয়েছে-

১. বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা: বেগম খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অত্যন্ত অসুস্থ এবং জটিল অসুখে তিনি ক্রমশ মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন বলেই দাবি করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিএনপির নেতারা বলছেন, এই মুহূর্তে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে না পাঠানো হলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই নিয়ে বক্তৃতায় আবেগঘন দৃশ্যের অবতারণাও করেছিলেন। তিনি কেঁদে ফেলেছিলেন। বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার আবেদন এখন আইন মন্ত্রণালয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা পর্যায়ে রয়েছে। আগামীকাল রোববার এ বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত জানাবে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে। তবে প্রধানমন্ত্রী আজ ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এই ব্যাপারে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিতে গেলে আদালতের মাধ্যমে যেতে হবে বলেই তিনি দাবি করেছেন। বেগম খালেদা জিয়ার যদি কিছু হয় তাহলে রাজনীতি নতুন বাগ নেবে। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিএনপি বড় ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা করতে পারে। আন্দোলন এর মাধ্যমে বেগবান হতে পারে এমনটি কেউ কেউ মনে করছেন। আবার অনেকের ধারণা বেগম খালেদা জিয়ার তেমন কিছু হলে খুব একটা বড় প্রভাব রাজনীতিতে পড়বে না। তবে সরকার যদি শেষ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয় তাহলে সরকারের জন্য তা ইতিবাচক হতে পারে বলেও কেউ কেউ মনে করছেন। 

২. অর্থনৈতিক সংকট: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। অক্টোবরে এই অর্থনৈতিক সংকট প্রকট আকার ধারণ করতে পারে বলে কোনো কোনো বিশ্লেষকের ধারণা। বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রায় রিজার্ভ ক্রমশ কমতে থাকা, ডলারের বাজারে হাহাকার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি মানুষকে দিশেহারা অবস্থায় নিয়ে গেছে। এই রকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে অর্থনৈতিক সংকট রাজনীতির গতি-প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। এই অক্টোবর মাসে বোঝা যাবে অর্থনীতিতে সরকার কি ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারেন এবং সেই পদক্ষেপ অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা পালন করে কিনা।

৩. প্রধানমন্ত্রীর নাটকীয় ঘোষণা: অনেকেই মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী অক্টোবরে একটি নাটকীয় ঘোষণা দিবেন। আগামী ৪ অক্টোবর তার দেশে ফেরার কথা আছে। দেশে ফিরে তিনি নির্বাচন এবং বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবিলার ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো ঘোষণা দিতে পারেন এমন প্রত্যাশা করছেন অনেকে। প্রধানমন্ত্রীর হাতে সব সময় একটা ম্যাজিক থাকে। যেকোনো সংকটে তিনি একটা সমাধান নিয়ে হাজির হন। প্রধানমন্ত্রী আগামী নির্বাচন নিয়ে যে অচল অবস্থা তা দূর করার জন্য কোন ধরনের সমাধান দেবেন সেটার দিকে তাকিয়ে আছে অনেকের।

৪. মার্কিন প্রভাব: বাংলাদেশের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের কমতি নেই। একের পর এক বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা এবং শর্ত আরোপ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আগামী অক্টোবরে বোঝা যাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কি ভাবছে এবং কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি বাংলাদেশে নির্বাচন বন্ধ করতে চায়? এখানে একটি অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার কায়েম করতে চায় নাকি নির্বাচনের ব্যাপারে শেষ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নমনীয় হবে তা স্পষ্ট হবে এই অক্টোবরে।

৫. ভারতের ভূমিকা: বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত বাংলাদেশের আগামী দিনের রাজনীতি কিভাবে দেখতে চায়? বিশেষ করে নির্বাচনের ব্যাপারে ভারতের অবস্থান কি তা পরিষ্কার হবে অক্টোবরে। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অক্টোবর মাসেই সবকিছু নির্ধারিত হবে। কারণ নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করার কথা। তার আগেই যেকোনো একটি ঘটনা বা বিভিন্ন ঘটনার সমন্বয় বাংলাদেশের রাজনীতির দৃশ্যপট পাল্টে যেতে পারে। কি হবে অক্টোবরে তা বোঝা যাবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই।


অক্টোবর   নির্বাচন   বিরোধী দলের আন্দোলন   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   ভারত   খালেদা জিয়া   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   রাজনীতির খবর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ইলেকশন জমিদারতন্ত্র-পরিবারতন্ত্র-দলীয়তন্ত্রের সিলেকশনে পরিণত হয়েছে: প্রিন্স

প্রকাশ: ০৯:২২ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, সংবিধানে সবার 'সম ভোটের' কথা থাকলেও আজ নির্বাচন নির্বাসনে গেছে। জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে কোথাও নির্বাচন নেই। ইলেকশন জমিদারতন্ত্র-পরিবারতন্ত্র-দলীয়তন্ত্রের সিলেকশনে পরিণত হয়েছে।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় খুলনার পিকচার প্যালেস মোড়ে সিপিবি আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, আওয়ামী সরকারের দুঃশাসন হটিয়ে ও ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম আগ্রসর করে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ধারায় শোষণমুক্ত সমাজ গড়তে হবে।

তিনি আর বলেন, দেশ-বিদেশে খেটে খাওয়া ও গ্রাম-শহরের মানুষের শ্রমে দেশের অগ্রগতি হলেও লক্ষ কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। শাসকদের প্রশ্রয় ছাড়া এটা সম্ভব না।

তিনি অবিলম্বে পাচারের টাকা ফেরত আনা ও ঋণ খেলাপিদের কাছ থেকে টাকা আদায় করার দাবি জানান।

রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, দেশ এক থাকলেও দুই অর্থনীতি বিরাজ করছে। তাই জিনিসপত্রের দাম বাড়লে কারো পৌষ মাস আর কারো সর্বনাশ।

এ অবস্থা থেকে দেশ বাঁচাতে চলমান দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে হবে। ব্যবস্থা বদল করতে হবে। এজন্য ভোটাধিকার,গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এর অন্যতম ধাপ হলো নির্দলীয় নিরেপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্দলীয় সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো ভাগাভাগির, প্রহসনের নির্বাচনে সিপিবি ও বামপন্থীরা অংশ নেবে না। যত কথাই বলা হোক না কেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিকল্প নেই, যোগ করেন তিনি।

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, গণআন্দোলন,গণসংগ্রাম ছাড়া দেন-দরবার করে,বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে দাবি আদায় করা যাবে না। সরকারের নতজানু নীতি ও গণতন্ত্রহীনতার কারণে আজ সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যবাদী শক্তি দেশের ওপর নির্লজ্জ মাতবরি করছে। ভিসার ভয় দেখাচ্ছে।

'এসব অপশক্তিকে' রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গণতন্ত্রহীন ও দুঃশাসনের সুযোগে নানা অপশক্তি তৎপর হয়ে উঠেছে। এরা প্রচলিত ধারা বহাল রাখতে দেশকে দীর্ঘমেয়াদে অগণতান্ত্রিক ধারায় নিয়ে যেতে পারে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে রাজপথে গণসংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।

রুহিন হোসেন প্রিন্স আধুনিকায়ন করে রাষ্ট্রীয় খাতে পাটকল না করে লিজ দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শিল্প ধ্বংস, শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ না করা ও পাটকল লুটপাটের আয়োজন করার দায় থেকে সরকার মুক্তি পাবে না।

সিপিবির খুলনা জেলা সভাপতি ডা. মনোজ দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সিপিবির কেন্দ্রীয় সদস্য খুলনা জেলার সাধারণ সম্পাদক এস এ রশিদ, শেখ আব্দুল হান্নান, মিজানুর রহমান বাবু, অশোক সরকার, এইচ এম শাহদাত, নিতাই গাইন, নূর আলম বক্তব্য দেন।

সমাবেশ শেষে লাল পতাকার এক মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

রুহিন হোসেন প্রিন্স   সিপিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আগুন সন্ত্রাস করলে হাত ভেঙে দেওয়া হবে: হুঁশিয়ার নানকের

প্রকাশ: ০৯:০৫ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি নাশকতার পরিকল্পনা করছে। ২০১৪ সালের মতো আবারও দেশে বোমাবাজি, আগুন সন্ত্রাস করলে তাদের হাত ভেঙে দেওয়া হবে।’ 

 শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরের কালীগঞ্জে শহীদ ময়েজউদ্দিন আহমেদ এর ৩৯তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

এসময় তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে নানক বলেন, ‘আপনাদের নেত্রী খালেদা জিয়া দণ্ডিত আসামি। তারেক রহমান লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করছে। সেই দন্ডিত আসামি কোনোদিন এই বাংলাদেশে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। বিদেশে বসে বাংলাদেশকে ধ্বংসের জন্য উপদেশ এবং নির্দেশ দিতে পারে, ষড়যন্ত্র করতে পারে। কিন্তু জনগণ আপনাদের সঙ্গে ছিল না, ভবিষ্যতেও থাকবে না।'

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে দিনতারিখ দিয়ে লাভ নেই। সংবিধান সম্মতভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। আমরা এই দেশকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে নিয়ে যাবো।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, ‘বিএনপি নেতারা বলে পদত্যাগ করতে হবে। কিসের পদত্যাগ? কার জন্য পদত্যাগ? কি হইছে দেশের যে পদত্যাগ করতে হবে? শুক্র, কত ঈদ, কত পুজা, কত দিনক্ষণ দিলেন, সর্বশেষ বললেন ১০ ডিসেম্বরের পর খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়ার কথামতো দেশ চলবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই দেশ চলেছে।’ এসময় তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে হওয়া দেশের নানামুখী উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন।                                 

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন সরকারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য সিমিন হোসেন রিমি এমপি, মেহের আফরোজ চুমকি এমপি।

জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সরকার অবৈধ হলে খালেদার জন্য আবেদন কেন, প্রশ্ন কাদেরের

প্রকাশ: ০৭:২০ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

সরকারই যদি অবৈধ হয় তারপরেও কেন খালেদা জিয়ার জন্য বারবারই আবেদন করে বিএনপি, এমন প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে কৃষক লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরে বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকারকে যে অবৈধ বলছেন, তাহলে অবৈধ সরকারের কাছে কেন খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদন করেন?’

তিনি বলেন, বিএনপির আলটিমেটাম তো শেষ। ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম কই? বিএনপি ভুয়া, ৩২ দল ভুয়া। বিএনপি বলেছিল আওয়ামী লীগকে কবরস্থানে পাঠাবে। এখন বিএনপির রাজনীতি কবরস্থানে যাওয়ার সময় এসেছে।

কাদের বলেন, ‘এই দেশ কারো বাপ-দাদার দান করা নয়। যাদের হাতে রক্তের দাগ, ১৫ আগস্টের রক্ত, ২১ আগস্টের রক্ত, বাংলার কৃষকের রক্ত, তারা হত্যাকারী, দুর্নীতিবাজ, দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। সে বিএনপির হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ নয়, গণতন্ত্র, ভোট, নিরাপত্তা, মুক্তিযুদ্ধ কিছুই নিরাপদ নয়। এরা একাত্তরের বাংলাদেশ চায় না। খুন আর সন্ত্রাস চায়। এরা চায় দুর্নীতি আর স্বৈরাচারিতা।

বিএনপির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যারা ভাঙচুর করতে আসবে তাদের হাত গুঁড়িয়ে দেব। শপথ নিন, প্রস্তুতি নিন। আমাদের আজকে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ছাড়া গণতন্ত্র নিরাপদ নয়, ভাত-কাপড়ের ব্যবস্থা নিরাপদ নয়। শেখ হাসিনা আছে বলেই বাংলাদেশ অনেক শান্তিতে আছে। তার মতো একজন সৎ মানুষ রাজনীতিতে বিরল।’

শেখ হাসিনার মতো কৃষকবান্ধব নেতা আর নেই মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি কৃষকের পরম বন্ধু। তার উন্নয়নে আজ বাংলাদেশ আলোকিত। তার উন্নয়ন সারা বাংলায় আনাচে-কানাচে পৌঁছে গেছে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নেত্রী আসছেন, ডাক দেবেন, যখনই ডাক দেবেন রাস্তায় নেমে আসবেন। আমরা আর কোনো কালো হাতে বাংলাদেশ ছেড়ে দেব না। আমাদের যাত্রা আলোর দিকে ও সোনার বাংলাদের গড়ার দিকে।’

রাজপথ দখল নিয়ে বিএনপির বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘সেপ্টেম্বর অক্টোবর তো চলেই গেল। তারা রাজপথ দখল করতে পারবে না। বাংলার মানুষ তাদের সাথে নেই। এমনকি রাজপথ ও ঢাকা নগরী দখল করার তোমাদের (বিএনপি) কোনো অধিকার নেই।’

কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, এস এম কামাল, আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমবায় সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খাঁন নিখিল প্রমূখ। সমাবেশে সঞ্চালনা করেন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি। 

সরকার   কৃষক লীগ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘নির্বাচনে যাও আমরা দেখছি’: বিভ্রান্ত বিএনপি

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

কদিন আগেও বিএনপি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বলে সাফ ঘোষণা করে দিয়েছিল। কিন্তু এখন বিএনপির সিনিয়র নেতাদের বক্তব্যের সুর পাল্টেছে। তারা বলছে, সরকার চায় না বিএনপি নির্বাচনে আসুক। নির্বাচনে আসার সব দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, পশ্চিমা দেশগুলোর পরামর্শের কারণেই বিএনপির পক্ষ থেকে এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। বিএনপিকে পশ্চিমা দেশগুলো এখন সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দিয়েছে। তারা বলেছে, ‘নির্বাচনে যাও আমরা দেখছি।’ নির্বাচনে যদি কোনরকম কারচুপি হয় তাহলে সেই কারচুপির বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। আর এ কারণেই বিএনপিকে এখন বিভ্রান্ত লাগছে। তারা তাদের আন্দোলনের বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবছে।

বিএনপির সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা কূটনৈতিকদের দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে। এই সমস্ত বৈঠকে আগামী নির্বাচন, সম্ভাব্য আন্দোলন সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। বিএনপি এখন পর্যন্ত বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ব্যাপারে অনড় অবস্থানে রয়েছে। তবে পশ্চিমা দেশের কূটনৈতিকরা তাদেরকে একাধিক কারণে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন। তারা যে সমস্ত যুক্তিগুলো বিএনপিকে দেখাচ্ছেন তার মধ্যে রয়েছে-

১. এবার নির্বাচন আগের মতো হবে না: বিএনপিকে পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনৈতিকরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, এবার বাংলাদেশে কোন অবস্থাতেই ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন হবে না। যার ফলে এবার নির্বাচনের ব্যাপারে বিএনপি আগ্রহ দেখাতেই পারে। কারণ এই নির্বাচন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলো সরাসরি পর্যবেক্ষণ করবে, মনিটরিং করবে এবং নির্বাচনের আগে থেকেই পশ্চিমা দেশগুলো এই নির্বাচনের গতিবিধির দিকে নজর রাখবে। যেকোনো পরিস্থিতিতে যেকোনো কারচুপি চেষ্টা করা হলে সাথে সাথে তাতে হস্তক্ষেপ করা হবে এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ফলে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন এবার সরকারকে করতেই হবে তা যে পদ্ধতিতেই সরকার করুক না কেন। 

২. একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করা: নির্বাচণে যদি বিএনপি অংশগ্রহণ না করে তাহলে সরকার একটি একতরফা নির্বাচন করবে এমন বার্তাটি পশ্চিমা দেশগুলো বিএনপিকে দিয়েছে। সে ধরনের নির্বাচনে যদি ভোটার উপস্থিতি বেশি হয় তাহলে সেই নির্বাচনের ব্যাপারে নেতিবাচক কোন মনোভাব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমবাংলা দেখাতে পারবেন না। তাছাড়া যদি বেশির ভাগ ভোটার ভোট নেয় এবং উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হয় তাহলে কারোরই কিছু বলার থাকবে না। এরকম একটি একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার আবার ক্ষমতায় আসতে পারে। কাজেই বিএনপির উচিত নির্বাচনে যাওয়া এবং নির্বাচনের মাধ্যমে আন্দোলনকে বেগবান করা। 

৩. নির্বাচনে সকল প্রতিষ্ঠানের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা: নির্বাচনে পশ্চিমা দেশগুলো সকল পক্ষের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করবে বলেই জানিয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা ইত্যাদি কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখা হবে। ভিসা নীতির ফলে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহ অন্যান্যরা নিরপেক্ষ অবস্থায় থাকবে বলেই পশ্চিমরা বিশ্বাস করে। আর এর ব্যত্যয় হলে সেই নির্বাচনের স্বীকৃতির সংকট তৈরি হবে। ফলে বিএনপি যদি নির্বাচনে যায় তাহলে তারা একটি নিরপেক্ষ পরিবেশেই নির্বাচন করতে পারবে।

৪. অন্যান্য সংকটগুলোর দিকেও নজর দেওয়া: যদি শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে আসে তাহলে বিএনপির যে অন্যান্য সমস্যা গুলো রয়েছে যেমন- তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়রানি, নির্বাচনে অযোগ্যতা এই সমস্ত বিষয় গুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলো সরকারের সাথে আলোচনা করবে এবং এর মাধ্যমে একটি সুরাহা বের হয়ে যাবে। কাজেই নির্বাচনে না গিয়ে যদি আন্দোলন করা হয় এবং সরকার যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করে তাহলে বিএনপি ঠকবে। এ কারণেই বিএনপিকে এখন বলা হচ্ছে ‘নির্বাচনে যাও আমরা দেখছি।’ এর ফলে বিএনপির মধ্যে তৈরি হয়েছে এক ধরনের বিভ্রান্তি।


নির্বাচন   বিএনপি   পশ্চিমা বিশ্ব   বাংলাদেশের নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন