ইনসাইড পলিটিক্স

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম দুর্যোগের দিকে গেছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০২:০১ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২২


Thumbnail দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম দুর্যোগের দিকে গেছে: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম দুর্যোগের দিকে গেছে। যেকারণে নিউ মার্কেটের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘তাদের চোখের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সংঘর্ষ হয়েছে, সেটা বন্ধের জন্য তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। উপরন্তু তাদের কর্মকর্তারা বিভিন্নভাবে বক্তব্য দিচ্ছেন, তারা কোনো পক্ষেই ছিলেন না, নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে। নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে তারা সংঘর্ষকে আরো ভয়াবহ হতে ভূমিকা পালন করেছে। এ মৃত্যুর জন্য, হত্যার জন্য তারাই দায়ী।’

বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটি গঠন উপলক্ষে মাজারে শ্রদ্ধা জানানো হয়।  

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে আবারো প্রমাণিত হয়েছে, দেশে আসলে কোনো সরকার নেই। এ সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ সরকার। তারা রাষ্ট্রকেও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জার্মান রাষ্ট্রদূতকে মিসকোড করে বিএনপি বক্তব্য দিয়েছে- রাষ্ট্রদূতের এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ কথাগুলো তিনি সঠিক বলেননি। কারণ আমাদের তিনি (আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী) কখনো জার্মান রাষ্ট্রদূতকে কোড করে এ কথাগুলো বলেননি। জার্মান রাষ্ট্রদূত ভুল উদ্ধৃতি দিয়েছেন।’

ছাত্রদলের নতুন কমিটির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নতুন কমিটি মাজারে ফুল দিয়ে শপথ নিয়েছে, তারা সংগঠনকে অত্যন্ত সুসংগঠিত ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ছাত্রদলকে উপযোগী করে তুলবে। অল্প সময়ের মধ্যে তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে সারাদেশে অতীত ঐতিহ্য অনুযায়ী ছাত্রদলকে একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করবে। আজকে দেশে যে সংকট, গণতন্ত্রহীনতা, জনগণের ভোটাধিকার হরণ ও ছাত্রদের যে ন্যূনতম দাবি, সেইগুলো পূরণ না করা, শিক্ষা ব্যয় কমানো, শিক্ষা শেষে যেন কর্মসংস্থান পায় সেই আন্দোলনগুলো অবশ্যই ছাত্রদল করবে।’   

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে থেকে প্রমাণিত হয়, তারা যে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী, অবৈধ সরকার আছে তারা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে দেশকে পরিচালনা করতে। দেশকে সুষ্ঠু জায়গায় নিয়ে আসতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে, আওয়ামী লীগ যে আজকে জোর করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছে তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে দেশ থেকে গণতন্ত্রকে হরণ করেছে। ছাত্রদের তাদের ন্যূনতম ব্যয়ে শিক্ষা লাভের যে অধিকার রয়েছে, তা থেকে বঞ্চিত করেছে। সেজন্য দেশের সব মানুষ দাবি তুলেছে, অবিলম্বে এ সরকারের পদত্যাগ করা উচিত। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নিরপেক্ষ সরকারের পরিচালনায় জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠাতা করাই আজকে সবচেয়ে বড় দাবি এবং আন্দোলন।’

আওয়ামী লীগের অপরাধটা কী— প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘উনাদের সবচেয়ে ভয়ংকর অপরাধ, এই দেশে তারা গণতন্ত্রকে হরণ করেছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দেশকে তারা দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে যে লক্ষ্যগুলো ছিল, সেসব লক্ষ্যকে ধূলিসাৎ করে দিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।’  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতা আমানউল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান প্রমুখ। 

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি   দুর্যোগে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ভুল কৌশলের মাশুল গুনছে আওয়ামী লীগ?

প্রকাশ: ০৬:২৬ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আওয়ামী লীগের অতীতে নেয়া কিছু সিদ্ধান্ত বা ঘটনা এর জন্য দায়ী হতে পারে। উদাহরণ দিয়ে কেউ কেউ বলছেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে একাধিকবার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল। কিন্তু পরে আবার তাকে দলে ফিরিয়ে আনা হয়। জাহাঙ্গীর আলমকে প্রথমবার বহিষ্কার করার পর যখন দলে ফিরিয়ে আনা হয় পরে দ্বিতীয়বার তিনি আবার একই ভুল করলেও তাকে সাধারণ ক্ষমা দিয়ে দলে ফেরত আনা হয়। বিষয়টি সে সময় আওয়ামী লীগের অনেক তৃণমূল নেতাকর্মীই ভালো ভাবে নেয়নি। 

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মেয়র জাহাঙ্গীরের মতো একাধিক ঘটনা অতীতে আওয়ামী লীগে ঘটেছে। ফলে নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের ধারণা তৈরি হয়েছে যে, প্রথমে দল তাদেরকে বহিষ্কার করলেও পরে তারা সাধারণ ক্ষমা পেয়ে আবার দলে ফেরত আসার সুযোগ পাবেন। আর সে কারণেই দলের নির্দেশনা থাকলেও সেটা অমান্য করে তারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি বলে মনে করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাছাড়া স্থানীয় রাজনীতিও নিয়ন্ত্রণ করে এমপিরা। সেখানে এমপিরাই যখন তাদের পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের মনোনয়ন দিচ্ছেন তাহলে তো কোন কথাই নাই। অতীতে আওয়ামী লীগ শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিলে দলের চেইন অব কমান্ড এভাবে ভেঙে পড়ত না। আওয়ামী লীগকে এখন ভুল কৌশলের মাশুল গুনছে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, দলীয় নির্দেশনার পরও যেসব এমপি-মন্ত্রীর আত্মীয়স্বজনরা নিজেদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি, তাদের নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার সময় কিন্তু এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আমরা বিশ্বাস করি, দলীয় নির্দেশনা মেনে তারা নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেবেন। তবে কেউ যদি শেষ পর্যন্ত দলীয় নির্দেশনা না মানেন তাহলে অবশ্যই দল তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। দলের নিয়মনীতি ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের (এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয়দের) বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটাই আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত।

তিনি আরও বলেন, কেউ যদি জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়টি থেকে অনুপ্রাণিত হন তাহলে তিনি ভুল করছেন। এরা অচিরেই রাজনীতিতে হারিয়ে যাবে। দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে বা গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে কেউই এখন পর্যন্ত রাজনীতির চরম শিখরে পৌঁছাতে পারেনি। বরং যিনি দলের প্রতি অবিচল থেকেছেন, দলের সিদ্ধান্তকে মান্য করেছেন, দলের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি তারা ধাপের ধাপে রাজনীতিতে উন্নতি করেছেন দেশের জন্য অবদান রাখতে পেরেছেন, জনগণের নেতাতে পরিণত হয়েছেন, রাজনীতিতে অমরত্ব লাভ করেছেন। 

আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে ব্যবস্থা: কাদের

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেনি তাদের বিষয়ে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময়মতো অবশ্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে না আসে। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে। কেউ কেউ বলেছেন আমরা বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও কেউ কেউ প্রত্যাহার করেছেন, কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা তারপরেও ইচ্ছা করলে করতে পারবেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবে না সময়মতো দল ব্যবস্থা নেবে’।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি একতরফা কোনো সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়টি এসে যায়। আওয়ামী লীগও একই সময়ে সমাবেশের ডাক দেয়। তবে এটা পাল্টাপাল্টি নয়।

ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে হওয়া  উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।


মন্ত্রী-এমপি   প্রার্থিতা প্রত্যাহার   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা জিয়ার গ্যাটকো মামলার গঠন শুনানি ২৫ জুন

প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৫ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আলী হোসাইনের আদালতে খালেদা জিয়ার অব্যাহতির বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার প্রধান আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার দেশের বাইরে থাকায় অভিযোগ শুনানি পেছাতে সময়ের আবেদন করা হয়। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য নতুন করে এ তারিখ ধার্য করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, মামলাটিতে ১৫ জন আসামির মধ্যে ১৪ জনের অব্যাহতির বিষয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার অব্যাহতি চেয়ে শুনানি শুরু হয়।

২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার ১৩ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ২০০৮ সালের ১৩ মে মামলাটি তদন্ত করে জোট সরকারের প্রভাবশালী ৯ জন সাবেক মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মো. জহিরুল হুদা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২৪ আসামির মধ্যে সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভুইয়া, সাবেক মন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো, এম কে আনোয়ার, সাবেক মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেমের মৃত্যুর পর মামলায় বর্তমানে আসামির সংখ্যা ১৫ জন।

অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (প্রয়াত) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন।


খালেদা জিয়া   গ্যাটকো মামলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচনে পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রতিটি ধাপেই ভোটের দিন পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে-এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। ইসির উচ্চপর্যায়ের সভায় গোয়েন্দা সংস্থা তথ্য জানিয়েছেন।

একটি গোয়েন্দা সংস্থা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে, প্রথম ধাপে ৭৮টি, দ্বিতীয় ধাপে ৭০টি ও তৃতীয় ধাপে ৪০টি উপজেলায় নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। আরেকটি সংস্থা জানিয়েছে, শুধু প্রথম ধাপে ৪৯টি উপজেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করেছে। ভোটের দিন পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে-নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আভাস দিয়েছে। এজন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা নিতে ইসিকে পরামর্শ দিয়েছেন এ দুটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা।

তবে তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন প্রতিহতের বড় ধরনের কর্মসূচি নেই। 

গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত বৈঠকে এমন আভাস দেওয়া হয়। ওই সভায় পরিস্থিতি অবনতির বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন ২৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 
অনেক উপজেলায় আওয়ামী লীগের একাধিক প্রভাবশালী প্রার্থী রয়েছেন। ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলও রয়েছে। ওই রেশে ভোটের দিন খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

বৈঠকে আরও বলা হয়, বিএনপি ও জামায়াত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করেছে। তবুও বিচ্ছিন্নভাবে বিএনপির ১১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জামায়াতেরও পাঁচজন মাঠে রয়েছেন। এসব উপজেলায় সহিংসতার শঙ্কা বেশি। নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আরও জানা যায়, সভায় সাম্প্রতিক ঘটনায় অতি নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় বান্দরবানের থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি উপজেলাগুলোয় ২০১৯ সালের তুলনায় এবার আইনশৃঙ্খলা নিরাপত্তা বলয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। এবার সাধারণ ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় তিনজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৬ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে চারজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৭-১৮ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। পার্বত্য ও দুর্গম এলাকার সাধারণ কেন্দ্রে চারজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৭ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে পাঁচজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৮-১৯ জন নিয়োজিত হবেন। 

ওই সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, সভায় উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে-এবার উপজেলা নির্বাচনে অন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চেয়ে বেশিসংখ্যক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হবে। চার ধাপে ভোট হওয়ায় জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের চাহিদা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে উপজেলাভিত্তিক বিজিবি মোতায়েন করা হবে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, প্রতি উপজেলায় সর্বনিম্ন দুই প্লাটুন এবং সর্বোচ্চ চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে।

নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, একই দলের একাধিক প্রার্থী ভোটে অংশ নিচ্ছেন। এমনকি যেসব দল ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে, তাদেরও প্রার্থী রয়েছেন বলে গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছে। ফলে ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। তবে নির্বাচনে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা নেই। 

তিন উপজেলা নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ‘পার্বত্য জেলা বান্দরবানে বিশেষ করে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। আপাতত এ তিনটি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। পরে সুবিধাজনক সময়ে এ নির্বাচন করা হবে’। 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে দুই ঘণ্টাব্যাপী চলে রুদ্ধদ্বার এ সভা। সভায় চারজন নির্বাচন কমিশনার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং বিজিবি, র‌্যাব, কোস্ট গার্ড ও আনসারের মহাপরিচালক অংশ নেন। এছাড়া পুলিশের আইজি, গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই ও এনএসআই-এর মহাপরিচালকের পক্ষে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন কমিশন এ পর্যন্ত চার ধাপে ৪৭৭টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করেছে। প্রথম ধাপে ১৪৮টি উপজেলায় ৮মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৯টিতে ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২টিতে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫টিতে ৫ জুন ভোট হবে।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে ২৬ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। বাগেরহাট সদর, মুন্সীগঞ্জ সদর, মাদারীপুরের শিবচরে ও ফেনীর পরশুরামে চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাই এ চার উপজেলায় ভোটগ্রহণের প্রয়োজন হবে না।

বৈঠক সূত্র জানায়, পুলিশ ও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা বৈঠকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কার কথা জানান। একটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা বৈঠকে বলেন, অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন ২৬ প্রার্থী নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। বিএনপি-জামায়াতেরও প্রার্থী আছেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনে পর্যাপ্ত কোনো ঝুঁকি না থাকলেও ভোটের দিন খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। প্রথম ধাপের ৪৯টি উপজেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ কর্মকর্তা আরও বলেন, এ নির্বাচনে ৬৯টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হবে। এ মেশিনে ভোটগ্রহণ বিলম্ব হলেও পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে। 

আরেক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত তফশিল ঘোষিত তিন ধাপের মধ্যে প্রথম ধাপের ৭৮টি, দ্বিতীয় ধাপের ৭০টি ও তৃতীয় ধাপের ৪০টি ঝুঁকিপূর্ণ বলে সভায় উল্লেখ করেন। তিনি আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং বিচ্ছিন্নভাবে বিএনপির ১১৬ জন প্রার্থী মাঠে থাকার কথা জানিয়ে বলেন, এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে নির্বাচনের দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। যেহেতু সব এলাকা সমান ঝুঁকিপূর্ণ নয়, তাই ঝুঁকির মাত্রা বিবেচনায় নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

সভায় পুলিশের পক্ষ থেকে সরকারি দলের একাধিক প্রার্থী মাঠে থাকা ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। র‌্যাবের মহাপরিচালক জানান, র‌্যাব মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবে। তবে পরিস্থিতি অবনতি হলে রিটার্নিং ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তার নির্দেশে র‌্যাব ভোটকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করবে।


উপজেলা নির্বাচন   গোয়েন্দা সংস্থা   ইসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ব্যারিস্টার খোকনের অব্যাহতি নিয়ে বিএনপিতে বিভক্তি

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত বিরোধ ও তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে মত বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের অনেকের। সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে তুমুল জনপ্রিয় এই নেতাকে বাদ দেওয়ায় ফোরামের নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ বিএনপির সিনিয়র নেতারাও। এ নিয়ে বিএনপিতে এখন বিভক্ত স্পষ্ট।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলটির দুজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, তাদের কাছে মনে হয়েছে বিষয়টি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে। ব্যারিস্টার খোকন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাতবারের সম্পাদক। তিনি দলেরও একজন সিনিয়র নেতা। তার মতো নেতাকে এভাবে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দিয়ে অসম্মানিত করাটা মোটেই ঠিক হয়নি। 

বিএনপি নেতারা বলছেন, ফোরামের ভেতরকার অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে মাহবুবউদ্দিন খোকনকে কোণঠাসা করার অপচেষ্টা করছে একটি পক্ষ। ওই পক্ষটি ফোরামের একক নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে। যেটি খোকনের জনপ্রিয়তার কাছে আদৌ সম্ভবপর হয়ে উঠছে না, সেটিও তারা জানে।  

অন্যদিকে ব্যারিস্টার খোকনের সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের সেক্রেটারি ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বক্তব্য দেওয়াটাও সমীচীন হয়নি বলে মনে করেন কেউ কেউ। 

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন তার অব্যাহতি নিয়ে কোনো কথা বলেননি। তিনি ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামালের বিরুদ্ধে। যা নিন্দনীয় ও অরুচিকর। তার মতো সিনিয়র নেতার কাছে এমনটা আশা করিনি। 

উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার কায়সার কামালকে অর্বাচীন বালক ও কুলাঙ্গার আখ্যায়িত করে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন বলেন, সময় এসেছে তাকে দল থেকে বহিস্কারের। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশেই তিনি বার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন এবং দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বলেও দাবি করেন খোকন। কায়সার কামালের নৈতিক স্খলনের দায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটিকে অনুসন্ধানের আহবানও জানান বিএনপি থেকে নবনির্বাচিত বার সভাপতি খোকন। 

এর আগে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করায় বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব খোকনকে ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে চিঠি দেওয়া হয় গত শনিবার। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে তাকে অব্যাহতির কথা জানানো হয়। এ নিয়ে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামালের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন খোকন। তিনি কায়সার কামালকে ‘অর্বাচীন বালক’ বলে আখ্যায়িত করেন। নৈতিক স্খলনের কারণে দল থেকে কায়সার কামালের বহিষ্কারও দাবি করেন।

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন