দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় জামায়াত-শিবিরের ছয় নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নাশকতা ও সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা করার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) ভোরে বিরামপুর পৌরসভার কলেজবাজার-বটতলা এলাকার একটি চায়ের দোকান থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক নেতাকর্মীরা হলেন-হাকিমপুর উপজেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম (৪৫), একই উপজেলার বোয়ালদার ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আলতাব হোসেন (৫৪), সেক্রেটারি আজাহার আলী মণ্ডল (৬০), শিবির কর্মী নবাবগঞ্জ উপজেলার আব্দুর রাফি (২০), রেজাউল ইসলাম (৩২) এবং নাজিম উদ্দিন (২০)।
এ ঘটনায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন বিরামপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোতাহারুল ইসলাম।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত জানান, বিভিন্ন উপজেলা থেকে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা বিরামপুরে একত্রিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে নাশকতার পরিকল্পনা করছেন এমন খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে কলেজবাজার এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় সেখান থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়। আর বাকিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
তিনি আরও জানান, আটক ছয়জনকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে দিনাজপুর আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।