নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট-বল্টু খুলে নেওয়া বায়েজিদ বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অনুসারী।
বুধবার (২৯ জুন) সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘পদ্মা সেতু: সম্প্রীতির পথে সাফল্যের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, একজন নেত্রী বলেছিলেন পদ্মা সেতু জোড়া তালি দিয়ে বানানো হচ্ছে আপনারা এতে উঠবেন না। সেই কথা প্রমাণ করতে তারই এক অনুসারী পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খুলে নিয়েছে। অসুস্থ রাজনৈতিক নেতৃত্বের কারণে তারা এমনটা করতে পারে। নাট-বল্টু পদ্মা সেতুর অলংকার। অলংকার নারীর সৌন্দর্য। নারীর অলংকার যদি কেউ খুলে নিতে চায় তাকে আমরা ছিনতাইকারী বলি। পদ্মার নাট-বল্টু খুলে ছিনতাইকারীর মতন কাজ করেছে। তবে এসব করে আমাদের সৌন্দর্য নষ্ট করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘পদ্মা সেতুর মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে আরও বেশি পরিচিত হতে পারছে। বর্তমানে বাংলাদেশে পদ্মাসেতু থেকেও বড় প্রজেক্ট চলমান আছে। পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল। ড. মোহাম্মদ ইউনুস ছিলেন ষড়যন্ত্রের মূল হোতা। তার সঙ্গে পরবর্তীতে যোগ দিয়েছেন খালেদা জিয়া। তারা চেয়েছিল বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শম রেজাউল করিম, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সম্প্রতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, সম্প্রীতি বাংলাদেশের সভাপতি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।