ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগই সবসময় দুর্গতদের পাশে থাকে, বিএনপি থাকে না: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭:৪৫ পিএম, ০২ অক্টোবর, ২০২২


Thumbnail আওয়ামী লীগই সবসময় দুর্গতদের পাশে থাকে, বিএনপি থাকে না: তথ্যমন্ত্রী

পঞ্চগড়ের নৌকাডুবিতে স্বজনহারা মানুষদের সহায়তাদানকালে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গণমানুষের দল আওয়ামী লীগই সবসময় দুর্গত মানুষের পাশে থাকে, বিএনপি থাকে না, বরং তারা মানুষের মৃত্যু, দুর্যোগ, দুর্বিপাক নিয়ে উপহাস করে।'

রোববার (২ অক্টোবর) বিকেলে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে সেখানে ২৫ সেপ্টেম্বর করতোয়া নদীতে নৌকাডুবিতে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের মাঝে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ত্রাণ ও আর্থিক সহায়তা বিতরণে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির 'শোকাহত পঞ্চগড়' শিরোনামের এ ত্রাণ-সহায়তা বিতরণে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন রেলপথমন্ত্রী ও পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এড. মো: নূরুল ইসলাম সুজন।

স্বজনহারা ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের উদ্দেশ্যে ড. হাছান বলেন, 'আজকে দল হিসেবে আমরা আপনাদের কাছে এসেছি। কিন্তু দেশে একটি বিরোধী দল আছে, রাজপথের বিরোধী দল। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের বাড়ি উত্তরবঙ্গে, পাশের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে, আসতে যেতে লাগে এক বা দেড় ঘন্টা।  ফখরুল সাহেব কিন্তু এখনো আসেননি। আমরা যাওয়ার পর উনি আসবেন আমি জানি। কারণ আওয়ামী লীগ চলে এসেছে, বিএনপিকে তো আসতে হবে। উনি না এসে ঢাকায় বসে নানা ধরণের কথা বলেছেন, এরা এগুলোই করেন, দুর্গতের পাশে থাকেন না।'

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'আমি চট্টগ্রামের মানুষ, নদী এবং সমুদ্রপাড়ের মানুষ। ১৯৯১ সালের  প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড়ের দু’একদিন পরে পার্লামেন্টে আমাদের দলের পক্ষ থেকে সংসদে তখনকার বিরোধীদলীয় নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেন যে, কয়েক লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া সে দিন পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে নির্লজ্জের মতো বলেছিলেন- যত মানুষ মরার কথা ছিল অতো মানুষ মরে নাই। তখন জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন যে, কতো মানুষ মরলে ততো মানুষ হতো আপনি বলেন। এর কোনো জবাব ছিল না, অর্থাৎ তারা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ায় না। তারা মানুষের মৃত্যু, দুর্যোগ, দুর্বিপাক নিয়ে উপহাস করে।'

'এখানেই খালেদা জিয়ার সাথে শেখ হাসিনার পার্থক্য, বিএনপির সাথে আওয়ামী লীগের পার্থক্য' উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, 'আওয়ামী লীগ শুধু কথা বলে না, মানুষের পাশে থাকে, মানুষের পাশে দাঁড়ায়। সেই কারণেই আমরা এসেছি, আমাদের দলের নেতারা ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়া দূরে থাক, তাদের দেখাও যায়নি।'

'কিন্তু ভোট আসলে তারা আসবে, বলবে পরীক্ষার খাতায় কি কি ভুল হয়েছে' বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, 'ওদের পরীক্ষার খাতা তো সাদা। পরীক্ষাই দেয় নাই। আমরা তো লিখছি। আমরা ১৪ বছর ধরে লিখছি, আরো এক বছর লিখবো। লিখলে তো টুকটাক ভুল হবে। ওরা আসবে পরীক্ষার খাতায় কি ভুল হয়েছে সেটি দেখিয়ে দেয়ার জন্য। তুখন তাদেরকে বলবেন, এতদিন আপনাদেরকে দেখি নাই কেন, আপনারা শীতের পাখি এসেছেন সাইবেরিয়া, হিমালয় থেকে, ওখানেই চলে যান।'

তথ্যমন্ত্রী জানান, 'প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিদেশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সফরে থেকেও আপনাদের নেতা সুজন ভাইকে, ত্রাণমন্ত্রীকে, ধর্মমন্ত্রীকে ফোন করেছেন, দলকে নির্দেশনা দিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে সবাই ছুঁটে এসেছেন। প্রত্যেক নিহতের ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জেলা প্রশাসন থেকে ২০ হাজার, ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে ২৫ হাজার ল, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৫০ হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে। সুজন ভাই উকিল মানুষ এরপরও তিনি প্রত্যেককে ৫ হাজার ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পক্ষ থেকে প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে প্রকৃতপক্ষে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে।'

মন্ত্রী হাছান মাহমুদ তার বক্তৃতার শুরুতেই নৌকাডুবিতে মৃত্যুবরণকারীদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের   শোক কাটিয়ে ওঠার শক্তির জন্য স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা জানান এবং বলেন, 'এই ঘটনার পরপর আমাদের দলের অত্র এলাকার সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সরকারের পুলিশ বাহিনী, উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, ফায়ার বিগ্রেড, ডুবুরিরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে, এখনো যে তিনজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি তাদেরকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। যারা এই উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ করেছেন, বিশেষ করে ডুবুরিরা, সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই। আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সবসময় আপনাদের পাশে আছেন এবং থাকবেন। আমাদের দল সবসময় আপনাদের পাশে আছে এবং থাকবে।'

স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বোদা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান সুজা, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আলম, মাড়েয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আনছার রেজাউল করিম শামীম ও সাধারণ সম্পাদক সুশীল বর্মণ এবং শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডেন্ট সুকুমার চৌধুরী প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য এ দিন দুপুর পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরিরা ৬৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে, তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী   ড. হাছান মাহমুদ   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সরকার জুলুমের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৮:৪৯ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার তাদের সব অপকর্মকে আড়াল করতেই জুলুমের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে। অপরাধ না করেও মিথ্যা মামলায় আসামি হওয়া, গ্রেপ্তার হওয়া ও কারাগারে যাওয়া এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির আওয়ামী ডামি সরকার নব্য বাকশালী শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে দেশব্যাপী বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর অবর্ণনীয় জুলুম, অত্যাচার অব্যাহত রেখেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‌‘দেশের মানুষ নিত্যপণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে যখন দিশেহারা তখন দখলদার আওয়ামী সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের নতুন মিথ্যা মামলায় আটকসহ আদালতকে দিয়ে সাজা প্রদান ও জামিন নামঞ্জুরের মাধ্যমে কারান্তরীণের অমানবিক খেলায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ক্ষমতাসীনদের নির্মম আচরণ, দৌরাত্ম্য এবং দাপটে মানুষ এখন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিনাতিপাত করছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আইনের শাসনহীন এই দেশে নিরপরাধ মানুষরাই সরকারের নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর কতৃর্ত্ববাদী আওয়ামী সরকার তাদের দুঃশাসন চালাতে আরও বেশি ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। তবে এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে সংগ্রামী জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’

তিনি বলেন, অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আবুল খায়ের লিটন, হাজারীবাগ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মজু, ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নুরুল হক আরজু, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, সহসভাপতি ইসলাম উদ্দিন, হাজারীবাগ থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলম হোসেন, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মুরাদ হোসেন মন্টি, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মামুন, হাজারীবাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. মাসুম, ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হোসেন, মহিলা দল নেত্রী ফাহমিদা এবং বংশাল থানার অপর একটি মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৬ জন নেতাকর্মী যথাক্রমে মো. সোহেল, মো. সিদ্দিক, সাহেদ, আনিস, সাবের ও মাসুদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, সাজা বাতিল এবং অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানাচ্ছি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কেন্দ্রের নির্দেশ মানছেন না এমপি-মন্ত্রীরা

প্রকাশ: ০৯:০৭ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিস্তার না করতে। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়, কেউ কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। প্রশাসন কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বিঘ্নে ভোট দানের ব্যবস্থা করেছেন নির্বাচন কমিশন। অবাধ-সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও সাফ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ এই হেভিওয়েট নেতা। 

শুধু তাই নয়, এর আগে একাধিকবার আওয়ামী লীগ সভাপতি দলীয় বিভিন্ন ফোরামে এ নির্দেশ দেন। দলের সাধারণ সম্পাদক সহ শীর্ষ নেতারাও নিয়মিত সংবাদ সন্মেলনগুলো এই বিষয়কে সামনে নিয়ে এসেছেন। বিশেষ করে এবার উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী দলীয় প্রতীক ব্যবহার করবে না। দল থেকে কাউকে মনোনয়নও দেবে না। এমনকি দলের কোন নেতাকর্মী দলীয় পদ-পদবীও ব্যবহার করে নির্বাচন করতে পারবে না। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ মন্ত্রী-এমপিরা যেন কোন প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান না নেয় কিংবা সমর্থন না জানায় সে ব্যাপারে বারংবার হুশিয়ার উচ্চারণ করে আসছে দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা। কারণ আওয়ামী লীগ চায় নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় এবং নির্বাচনে যেন কোন ধরনের কোন্দল বা সহিংসতার ঘটনা না ঘটে।

তবে দলের এই নির্দেশনা মানছে না আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা। নেত্রকোনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আহমদ হোসেনের কথাই ধরা যাক। দলীয় নির্দেশ অমান্য করে বিএনপির সাবেক নেতা শিল্পপতি আসাদুজ্জামান ওরফে নয়নকে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

আসাদুজ্জামান বিএনপির সহযোগী সংগঠন তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। পেশায় ব্যবসায়ী ওই ব্যক্তি এলাকায় বিএনপির নেতা হিসেবে পরিচিত। শনিবার রাতে সংসদ সদস্য তাকে পছন্দের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করেন। এ–সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

শুধু আহমদ হোসেন একা নয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে কিংবা নিজেদের প্রভাবপত্তি বাড়ানোর কৌশল হিসেবে মাইম্যানকে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা। আর এর ফলে স্থানীয় রাজনীতিতে দলীয় কোন্দল আর বাড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এখন দেখার বিষয় আওয়ামী লীগ শেষ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচনকে কতটুকু অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা সহিংস মুক্ত রাখতে পারে।

উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   মো. আহমদ হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে এখনও বিএনপিতে বিভ্রান্তি

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। গতকাল সোমবার রাতে দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়। তবে বর্জনের সিদ্ধান্ত হলেও নির্বাচন নিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি স্পষ্ট লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত জানানো হলেও দলীয় অবস্থানের বিষয়ে এখন বিএনপি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বলে দলটির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র দাবি করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকলেও দলের অবস্থান কী হবে-এ বিষয়ে এখনও অস্পষ্টতায় দলটির নেতাকর্মীরা। অর্থাৎ স্বতন্ত্রভাবে দলের কেউ নির্বাচন করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, নাকি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল নেবে তা নিয়ে কেন্দ্রের কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা পায়নি তৃণমূল। যে কারণে তারা অনেকটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন।

সূত্রমতে, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ইস্যুতে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির নেতারা দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একাংশের নেতাদের মতামত হচ্ছে, যেহেতু এখন কোনো আন্দোলন-সংগ্রাম নেই, সে কারণে নেতাকর্মীদের সক্রিয় এবং ঐক্যবদ্ধ রাখতে কৌশলে হলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত। তা ছাড়া নেতাকর্মীদের একটি অংশকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখা কঠিন হবে।

অন্য আরেকটি অংশের নেতাদের মতামত হচ্ছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা মানে, এই সরকারকে বৈধতা দেওয়া। একই সঙ্গে গত ৭ জানুয়ারি বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও চায় বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। সরকারের এ ফাঁদে কোনো অবস্থায় পা দেওয়া ঠিক হবে না। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। 

দলীয় সূত্রে জানা যায়, প্রথম ধাপে বিএনপি নেতাদের মধ্যে কতজন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে তাদের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে তাদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কি না, সে সম্পর্কে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি দায়িত্বপ্রাপ্তদের। ফলে অন্যান্য নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচন বর্জনের কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত দলের অবস্থান কী হবে সেটা নিয়ে বিএনপিতে বিভ্রান্ত এখনও স্পষ্ট। এখন দেখার বিষয় যারা উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করেছেন তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নাকি দল তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।



উপজেলা নির্বাচন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

গণতন্ত্র নিয়ে পিটার হাসকে পাল্টা প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের

প্রকাশ: ০৫:২৯ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গণতন্ত্র প্রশ্নে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি পিটার হাসের কাছে জানতে চেয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রে কত ধাপ পিছিয়েছে?

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। 

যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক কাউন্সিলের স্বাধীনতা সূচকে ২৫ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের এমন তথ্য সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটাই যে সত্য তা তো আমরা মেনে নিচ্ছি না। ২৫ ধাপ পিছিয়েছে? আমি রাষ্ট্রদূতকে (মার্কিন) জিজ্ঞেস করতে চাই, আপনার নিজের দেশ গণতন্ত্রে কত ধাপ পিছিয়েছে। সেটার জবাব আগে দিন।

এ সময় উপনির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের অংশগ্রহণ ও গাজায় ইসরাইলের হামলা নিয়েও কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

গণতন্ত্র   পিটার হাস   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিতে গণবহিষ্কারের শঙ্কা

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির তৃণমূলে গণবহিষ্কারের আশঙ্কা করছেন অনেকে। শেষ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় এই শঙ্কা দেখা দিয়েছে দলটিতে। গতকাল সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দীর্ঘ ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা এই রাজনৈতিক দলটি। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

উল্লেখ্য যে, প্রথম ধাপের ১৫০টি উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে গতকাল রোববার। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ১ হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন। এর মধ্যে ১২০ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপির ৩৪ ও জামায়াতের ১৫ নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। 

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে যে, যে সমস্ত উপজেলা গুলোতে বিএনপির প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তারা প্রত্যেকেই বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রিয় নেতা। জনগণের মাঝে তাদের আলাদা একটি গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। কোথাও কোথাও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর চেয়ে জনপ্রিয়তায় এড়িয়ে রয়েছেন বলে ভোটাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। এবং উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে স্থানীয় জনগণের পক্ষ থেকেও এক ধরনের চাপ রয়েছে। ফলে এ রকম পরিস্থিতি জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে যদি বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থীরা শেষ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তাহলে বিএনপিতে গণবহিষ্কারের একটা আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য যে, বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যাপারে দলের মধ্যে এক ধরনের অস্পষ্টতা ছিল। বিশেষ করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক ব্যবহার করবে না কিংবা কাউকে দলীয় মনোনয়ন দেবে না এরকম সিদ্ধান্ত হলে বিএনপির মধ্যে এই অস্পষ্টতা তৈরি হয়। এরকম পরিস্থিতি দলের কেউ নির্বাচন করলে সেটাকে উপেক্ষা করার নীতিগত কৌশল গ্রহণ করেছিল বিএনপি। দলটির একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা বিভিন্ন সময় এ ধরনের ইঙ্গিত দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের দিয়েছিলেন। ফলশ্রুতি সারাদেশে বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপির তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতারা আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারাও এতদিন বিষয়টিকে এড়িয়ে গেছেন এবং কৌশলগত অবস্থানে ছিলেন। কিন্তু এখন আবার হঠাৎ করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনও বর্জন করার ঘোষণা দিলেন। এখন বিএনপি যদি এই অবস্থানে অটল থাকেন তাহলে দলটিতে গণবহিষ্কারের ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যে সমস্ত উপজেলায় বিএনপির প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তারা প্রত্যেকই দলে জনপ্রিয় এবং নির্বাচন করার ব্যাপারে তাদের ওপর এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক চাপও রয়েছে। ফলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সম্ভাবনাই তাদের মধ্যে বেশি। আর এ রকম বাস্তবতায় দল তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।

বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন