গত ১৩ বছর ধরে
সরকার বিরোধী আন্দোলন করে আসছে বিএনপি। কিন্তু দলীয় কোন্দল আর নেতৃত্ব সংকটে রাজপথে
কখনো ঠিক মতো দাঁড়াতে পারেনি দলটি। আজ-কাল বলে কেটে গেছে ১৩ বছর। তবে সাম্প্রতিক সময়ে
বিশেষ করে গত দুই মাস ধরে দলটি রাজপথে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছে। সরকার
বিরোধী আন্দোলন আরও জোয়ার আনার চেষ্টা করছে দলের নেতাকর্মীরা। এক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে
দলটি সাফল্যও পাওয়া শুরু করেছিল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিএনপির এই আন্দোলনের জোয়ারে আওয়ামী
লীগও কিছুটা নড়েচড়ে বসেছে। বিএনপির ফাঁদে পা না দিতে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের
নিদের্শ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু বিএনপি সেই সরকার বিরোধী আন্দোলনের জোয়ার বেশিদিন ধরে রাখতে পারল না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। তারা বলছেন, বিএনপির সরকার
বিরোধী আন্দোলন খুব দ্রুতই জৌলুস হারিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বিএনপির কিছু সিনিয়র নেতাদের বেফাঁস মন্তব্যের কারণে আন্দোলনের জৌলুস হারিয়েছে। তারা মনে করছেন যে, নেতারা দলীয় কিছু স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে যেভাবে গণসমাবেশ গুলোতে কথা বলেছেন তাতে সংকটে পড়েছে খোদ দলটিই। যেমন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সম্প্রতি জামায়াত নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। ‘জামায়াতের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পরকীয়া প্রেম চলছে কিনা’ এমন একটি মন্তব্য তিনি করেছিলেন।
উল্লেখ্য যে, বিএনপি-জামায়াত একটি স্পর্শকাতর সম্পর্ক। আর এ কারণে দলের ভেতরে ও অনুসারীদের মধ্যে ‘জামায়াতের প্রতি দুর্বল অংশ’ ও দলীয়ভাবে জামায়াতের সমন্বিত প্রতিবাদের মুখে পড়েছেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী। দলের ভেতরটুকু নিয়ে নানা রকম সমালোচনা হচ্ছে। দলের মধ্যে ফিসফিস আলোচনা রয়েছে যে, দলের স্থায়ী কমিটির পরবর্তী বৈঠকে বিষয়টি আলোচনায় উঠতে পারে।
অন্যদিকে, বিএনপির
আরেক নেতা ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বরের
পর বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়ার কথায় দেশ চলবে। অথচ এই দুজন সাজাপ্রাপ্ত আসামী।
এর মধ্যে তারেক জিয়া লন্ডনে পালিয়ে আছেন আর খালেদা জিয়া সরকারের নিবার্হী আদের্শে সাজা
স্থগিত রেখে শর্তসাপেক্ষে বাসায় থেকে চিকিৎসাধীন। আমান উল্লাহ আমান যে ঘোষণা দিয়েছেন
আন্দোলন নিয়ে বিএনপির ফোরামে এমন কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানা গেছে। বরং তার এই ঘোষণার
কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে খালেদা জিয়ার। কারণ পরবর্তী বেগম
জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা সেটি নিয়ে এক ধরনের সংশয় তৈরি
হয়েছে।
আর এ সমস্ত
কারণে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দলের মধ্যে
আলোচনা রয়েছে যে, তারা একজন অন্যজনকে দায়িত্বশীল আচরণ করার কথা বলছেন। সভা-সমাবেশগুলোতে সতর্কতার সঙ্গে কথা বলতে পরামর্শ দিচ্ছেন। ফলে নেতাদের মধ্যে এক ধরনের স্নায়ুযুদ্ধ
চলছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নিষ্ক্রিয়তা কর্মীদের নজরে
এসেছে। ফলে কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের গা ছাড়া ভাব চলে এসেছে। তারা উৎসাহ-উদ্দীপনা হারিয়ে ফেলছে।
আর এর প্রভাব পড়ছে দলটির সরকার বিরোধী আন্দোলনে।
রাজিনীতি সরকার বিরোধী আন্দোলন আওয়ামী লীগ বিএনপি বেফাঁস মন্তব্য
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন