দেশের প্রধান দুই বড় রাজনৈতিক দল যেন এখন শোডাউনের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এক দল আরেক দলকে চ্যালেঞ্জ করছে জনসমাবেশগুলোতে জনসমাগম করার ব্যাপারে। বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ গুলোতে জনসমাগম সবার নজর কেড়েছে। তাদের এই জনসমাগমকে অনেকটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। বিএনপির চেয়ে তাদের জনসমাবেশগুলোর কয়েক গুন বেশি জনসমাগম হবে বলে ঘোষণাও করেছে দলটি। এ লক্ষ্যে সারা দেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ
মহানগরীতে জনসমাবেশ করার ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। ঘরে বসে নেই দলটির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোও।
আগামীকাল শুক্রবার ১১ নভেম্বর ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের প্রতিষ্ঠার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মহা যুব সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনটি। এ লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে সংগঠনটি। সারা ঢাকা শহর পোস্টারে ছেয়ে গেছে। এ সব পোস্টারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আকর্ষিত এবং আলোচিত হচ্ছে যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট এর পোস্টার। মহা যুব সমাবেশকে কেন্দ্র করে তারও পোস্টার রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সোভা পাচ্ছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে ।
যুবলীগের প্রতিষ্ঠার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১১ নভেম্বর ডাকা যুব মহাসমাবেশকে ঘিরে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছেন যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। ইতোমধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ফেস্টুন টানিয়ে নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন তিনি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত হলেও এখন তার বিশাল কর্মী বাহিনী আছে। যা তার জামিনে মুক্ত হওয়ার সময় দেখা গেছে। অতীতে ঢাকায় যেকোনো জনসমাবেশে তার নেতৃত্বে বিশাল শোডাউন দেখা গেছে। এবার হয়তো তিনি যুব মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে জেল থেকে মুক্তির পর রাজনীতিতে নিজের উপস্থিতি জানান দিতে প্রস্তুতি শুরু করেছেন সম্রাট। এ যুব মহাসমাবেশে বিশাল শোডাউন দিয়ে নেত্রীর নজর কাড়ার চেষ্টা করবেন তিনি। সূত্রে জানা গেছে, নিজের নাম দিয়ে টুপি-গেঞ্জি তৈরি করে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মহাসমাবেশে উপস্থিত থাকবেন এক সময়ের আলোচিত এ নেতা।
আওয়ামী লীগ যুব লীগ শোডাউন সম্রাট
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক
লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আগামীকাল আজ শুক্রবার।
১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল আজকের এদিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কৃষক লীগের ৫২ বছর পূর্তি
উপলক্ষে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধু কৃষক নেতা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতকে
কৃষক লীগের কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেন। বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনায় ব্যারিস্টার বাদল রশিদকে
সভাপতি ও আব্দুর রউফকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠিত হয়।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কৃষক
লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে কৃষিবিদ সমীর চন্দকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম
স্মৃতিকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ
সমীর চন্দ দলের নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান।
এসময় তিনি বলেছেন, দেশের কৃষির উন্নয়ন এবং কৃষকের স্বার্থ রক্ষার
জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষক
লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে কৃষক লীগ কৃষকদের সংগঠিত করা, তাদের দাবি আদায়
এবং দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে আসছে।
আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টায় সংগঠনটির ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
উপলক্ষে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা এবং দলীয়
পতাকা উত্তোলন। এছাড়াও সকাল ৭টায় মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে ধানমন্ডির ৩২ পর্যন্ত শোভাযাত্রা।
সকাল সাড়ে ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। এছাড়াও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ
হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর কর্মসূচি রয়েছে।
এদিন বিকাল ৩টায় কৃষি ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী
লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্রের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী। আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করবেন কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু।
কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিএনপি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শামা ওবায়েদ সারাহ কুক
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-এমপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনাটি জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্য স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এটি আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যন্ত যে পরিবারতন্ত্র ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় যে জমিদারি প্রথা তৈরির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল সেটা প্রতিরোধের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতির এই উদ্যোগ তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।