সারা বিশ্বব্যাপী এখন অর্থনৈতিক সংকট ক্রমশ বাড়ছে। এর প্রভাব এসে পড়েছে বাংলাদেশের ওপরও। ২০২৩ সালে দুর্ভিক্ষ হতে পারে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে খোদ জাতিসংঘ। অতএব এ থেকে সহজেই অনুমান করা যায় যে, বাংলাদেশে যে চলমান অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে এটি বিশ্ব পরিস্থিতির কারণেই হয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশের আইএমএফ এর ঋণ সহায়তা পাওয়া বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার কারণে দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকট অচিরেই কেটে যাবে বলে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা দাবি করছে। তবে দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটকে পরিকল্পিতভাবে ঘনিভূত করা হচ্ছে বলে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রাথমিক অনুসন্ধানে তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।
বিএনপির বিভিন্ন সমাবেশ ও কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে দলটির কর্মীরা মোবাইল ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়ছেন বলে গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সন্মোলনে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে এ ধরনের একটি চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ এবং ১৮টি মোবাইল ফোনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা বিএনপির কর্মী বলে জানা গেছে। গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি জানতে পেরেছে যে, কর্মসূচিতে আসতে যে খরচ হয়, তা তুলতেই বিএনপি কর্মীরা ছিনতাই বা চুরিতে জড়িয়ে পড়েন। এই চক্রের ব্যাপারে আরও বিশদ অনুসন্ধান করতে যেয়ে চোখ কলাপে ওঠার মতো চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দা সংস্থা পেয়েছে বলে জানা গেছে। সন্ধান জানা গেছে আরেক অভিনব ছিনতাইকারী চক্রের কথা। যারা দেশের বিভিন্ন স্থানে টাগের্ট করে করে মানুষের টাকা ছিনতাই করে বলে জানা গেছে। ছিনতাই করার আগে এই চক্রটি আরেক অভিনব কৌশল অবলম্বন করে থাকে। এই চক্রটির একটি অংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ায় যে, দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ব্যাংকগুলোর তারল্য কমে যাচ্ছে, কোনো কোনো ব্যাংকের তারল্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যার ফলে শীঘ্রই কিছু কিছু ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে। আর এ কারণেই যথা সম্ভব ব্যাংক থেকে আমানতের টাকা তুলে ফেলাই শ্রেয়। অনথায় টাকা পাওয়া যাবে না বলে গুজব ছাড়ানো হচ্ছে। এতে করে ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে মানুষের মধ্যে ধুম পড়েছে। কিন্তু টাকা তুলে বাড়ি ফেরা পথে তারা ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছে। এমন একটি ছিনতাই চক্রের তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। যে চক্রটির সঙ্গে ওই মোবাইল ছিনতাকারী চক্রের সংযোগ আছে। যাদের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে সংকটকে কাজে লাগিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়া। আর এই পুরো চক্রটির তথ্যানুন্ধান করতে যেয়ে এর পেছেন বিএনপি-জামায়াত জোটের ইন্ধনের চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া কথাও জানা গেছে এবং বিষয়টি নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আরও অধিকতর অনুসন্ধান করছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় তারল্যের কোনো সংকট নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বরং বর্তমানে এক লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকার অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে বলেও জানিয়েছে ব্যাংকিং খাতে নিয়ন্ত্রক এই প্রতিষ্ঠানটি। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ষড়যন্ত্রমূলক খবর প্রচারিত হচ্ছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংক এ সমস্ত গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি এটি জানিয়েছে যে, স্বাধীনতার ৫১ বছরে বাংলাদেশে কোনো বিলীন হয়ে যায়নি। আর হওয়ার ক্ষীণ কোনো শঙ্কাও নেই।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।