সাম্প্রতিক সময় আদালত পাড়া থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। হলি আর্টিজনের পর বাংলাদেশ এ ধরনের একটি ঘটনা কীভাবে ঘটল তা নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো আতঙ্কিত। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের যেন নতুন করে উত্থান না হয় সে ব্যাপারটি নিয়ে সবসময় সচেষ্ট বলে জানিয়েছে। আর এর প্রেক্ষিতে আদালত পাড়ার ঘটনার পর জঙ্গিবাদের উত্থান জঙ্গিদের বর্তমান অবস্থান এবং জঙ্গিদের সঙ্গে মূল ধারার রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পর্ক কোন পর্যায়ে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে, তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। আর এই সমস্ত তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে জঙ্গিদের সঙ্গে বিএনপির যোগসূত্র আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য যে এর আগেও বিএনপির সঙ্গে জঙ্গিবাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া যায়। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্তত পাঁচটি ক্ষেত্রে বিএনপির সঙ্গে জঙ্গিদের সম্পর্কের প্রমাণ পেয়েছিল এবং সে সম্পর্কে তৎকালীন রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র দপ্তরে বার্তাও পাঠিয়েছিলেন। যে পাঁচটি ক্ষেত্রে সেই সময়ে জঙ্গিদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল তার মধ্যে রয়েছে:
১. জামায়াতের সঙ্গে জোট: জামাতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি জঙ্গী সংগঠন মনে করে। বিশেষ করে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সংগঠন।
২. বাংলা ভাই এবং শায়খ আব্দুর রহমানের উত্থান: সেই সময় বাংলাদেশে জেএমবি এবং বিভিন্ন ইসলামি জঙ্গি সংগঠনগুলোর উত্থানের ঘটনার সঙ্গে বিএনপির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া পেয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং একটি প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল যে আওয়ামী লীগকে দমন করার জন্যই জঙ্গিদেরকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বিএনপি।
৩. ১০ ট্রাক অস্ত্রের ঘটনা: ১০ ট্রাক অস্ত্রের ঘটনার সম্পর্কে ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পৃথক পৃথক প্রতিবেদন তৈরি করেছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে বলা হয় জঙ্গি এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহযোগিতা করার জন্যই এই অস্ত্র আমদানি করা হয়েছে এবং এই অস্ত্র আমদানির ঘটনার পিছনে ক্ষমতাসীন বিএনপি জামায়াতের মদদ ছিল বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল।
৪. তারেকের জঙ্গি কানেকশন: তারেককে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা দেয়নি। সেই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, তারেকের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগ রয়েছে।
৫. বিএনপির ভেতরে উগ্র মৌলবাদীদের আস্তানা: উগ্র মৌলবাদী বিভিন্ন ব্যক্তিরা বা বিএনপিতে জোরেশোরে আছে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিল। বিশেষ করে সেইসময় যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত সাকা চৌধুরী ও তার ভাই সহ বেশকিছু জঙ্গি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের প্রতিবেদনে দেয়া হয়েছিল।আবার ২০১৮ সালেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সঙ্গে জঙ্গিদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পায়। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল যে, জামায়াতের ২০ জনকে বিএনপি তার প্রতীক ছেড়ে দেয়ার মধ্যে দিয়ে প্রমাণ করেছে যে, বিএনপি জঙ্গি এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে মদদ দিচ্ছে। তাছাড়া সেই সময় জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ যোগাযোগের খবরও পাওয়া গিয়েছিল। এখন যখন আদালত পাড়া থেকে দুইজন জঙ্গিকে ছিনতাই করা হয়েছে, তখন এই ঘটনাটি বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এর সাথে সম্পর্কিত কিনা, বিশেষ করে বিএনপি যখন আন্দোলন করছে তখন সরকারকে চাপে ফেলার জন্য জঙ্গিরা নতুন কোন নাশকতার ছক আঁকছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।